expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইসলাম নিয়ে আহলে হাদিস ও ইংরেজদের যৌথ ষড়যন্ত্র,দলিল ভিত্তিক প্রমান

 "ইসলাম নিয়ে আহলে হাদিস ও ইংরেজদের যৌথ ষড়যন্ত্র,দলিল ভিত্তিক প্রমান"



ইংরেজদের ষড়যন্ত্রঃ 

যখন ইংরেজরা আগমন করল ওরা দেখল এদেশের মুসলমানরা তাদের ধর্মের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ । তাদের মাঝে কোন অভ্যান্তরীণ বিভেদ নাই । একতার এক স্বর্গীয় বাঁধনে তারা জড়িয়ে আছে । পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্রে মুসলমানদের সতুস্ফুর্ততা ও যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বাসঘাতকদের প্রতি সর্বসাধারণের ঘৃণা তাদের এই ধারণা আরও প্রবল করে । তাই ইংরেজরা তাদের বহুল প্রচলিত “ডিভাইট এন্ডরোলস” তথা “পরস্পরে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের উপর শাসন করা হবে” এই নীতি বাস্তবায়িত করতে উঠেপরে লেগে গেল । মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় বিভেদ-কোন্দল সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে দিল। টাকা দিয়ে, অর্থ সম্পদ দিয়ে, বিত্ত-বৈভব দিয়ে কিছু দুনিয়ালোভী আলেমদের নির্বাচিত করে ।


একদিকে উপমহাদেশ খ্যাত আলেম হুসাইন আহমাদ মাদানী ছাহেবের ফাতওয়া যে, “ইংরেজদের দলে ঢুকা হারাম”। আর হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী ছাহেবের ফাতওয়া, “ইংরেজদের পণ্য ব্যবহার হারাম”। হযরত হাজী শরিয়তুল্লাহ রহঃ, শহীদ তিতুমীর রহঃ, টিপু সুলতান রহঃ সহ সমস্ত হক্কানী আলেম, পীর মাশায়েখ, বিশিষ্ট চিন্তাবীদগণের ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন ও ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার মাধ্যমে তারা ধর্মীয় স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে শুরু করলেন ।


অপরদিকে ইংরেজরা একদল ঈমান বিক্রেতাদের ঈমান ক্রয় করে নিল । ইংরেজদের পক্ষে একদল মূর্খ কিতাব লিখল- “আল ইকতিসাদ ফি মাসায়িলিল জিহাদ”। যাতে তারা লিখে যে, ইংরেজদের শাসন ইসলামী রাষ্ট্র । আর ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম । এই বই লিখার পর তাদেরকে ‘শামসুল উলামা’ উপাধী দেয়া হয়, তাদেরকে নানা পদক দেয়া হয়। অনেক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।


ওহাবী সম্বোধনঃ যখন এদেশের মানুষ দেখল যে, ওরা ইংরেজদের দালালী করেছে । তখন তাদেরকে “ওহাবী” বলে গালি দেয়া শুরু হয়। ওহাবী সেই যুগে তাদের বলা হত- যারা দেশের গাদ্দার তথা দেশদ্রোহী । ওরা যেখানেই যেত সাধারণ মানুষ তাদের দেখে বলত এইতো ওহাবী চলে এসেছে ।


আহলে হাদিস নামকরন ইংরেজদের দেওয়াঃ

এভাবে যখন তাদেরকে সবাই ঘৃণার চোখে দেখতে লাগল, তখন নিজেদের সম্মানিত করার জন্য ওরা রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে গিয়ে আবেদন করল যে, আমরাতো আপনাদের কথা অনুযায়ী কিতাব লিখে আপনাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হারাম বলেছি, এখন আমাদের সবাই ধিক্কার দিচ্ছে। গালি দিচ্ছে “ ওহাবী” বলে । আমাদের জন্য সম্মানজক কোন পদবীর ব্যবস্থা করুন । তখন তাদের নাম দেয় রাণী ভিক্টোরিয়া “মুহাম্মদী ” এবং পরবর্তীতে “ আহলে হাদীস” । 

(তথ্যসূত্রঃ এশায়াতুস সুন্নাহঃ পৃ: ২৪-২৬, সংখ্যা: ২, খ: ১১)


পাঠকের সুবিধার্থে ওহাবী থেকে আহলে হাদিস পদবী পাওয়ার একটি দরখাস্তের অনুবাদ নিম্নে তুলে ধরা হলঃ


“বখেদমতে জনাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী, আমি আপনার খেদমতে লাইন কয়েক লেখার অনুমতি এবং এর জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করছি । আমার সম্পাদিত মাসিক “ এশায়াতুস সুন্নাহ” পত্রিকায় ১৮৮৬ ইংরেজিতে প্রকাশ করেছিলাম যে, ওহ্হাবী শব্দটি ইংরেজ সরকারের নিমকহারাম ও রাষ্ট্রদ্রোহীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এ শব্দটি হিন্দুস্তানের মুসলমানদের ঐ অংশের জন্য ব্যবহার সমীচিন হবে না, যাদেরকে “আহলে হাদীস” বলা হয় এবং যারা সর্বদা ইংরেজ সরকারের নিমক হালালী, আনুগত্যতা ও কল্যাণই প্রত্যাশা করে, যা বার বার প্রমাণও হয়েছে এবং সরকারী চিঠি প্রত্রে এর স্বীকৃতিও রয়েছে…


অতএব, এ দলের প্রতি ওহ্হাবী শব্দ ব্যবহারের জোর প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এবং সাথে সাথে গভার্মেন্টের বরাবর অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আবেদন করা যাচ্ছে যে, সরকারীভাবে এ ওহ্হাবী শব্দ রহিত করে আমাদের উপর এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক এবং এ শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” সম্বোধনকরা হোক ।


আপনার একান্ত অনুগত খাদেম আবু সাঈদ মুহাম্মদ হুসাইন সম্পাদক, এশায়াতুস সুন্নাহ দরখাস্ত মুতাবেক ইংরেজ সরকার”


পরবর্তীতে ইংরেজরা তাদের জন্যে “ ওহ্হাবী ” শব্দের পরিবর্তে “আহলে হাদীস” নাম বরাদ্দ করেছে । এবং সরকারী কাগজ-চিঠিপত্র ও সকল পর্যায়ে তদের “আহলে হাদীস” সম্বোধনের নোটিশ জারি করে নিয়মতান্তিকভাবে ।


দরখাস্তকারীকেও লিখিতভাবে মঞ্জুরী নোটিশে অবহিত করা হয়-


ক) সবর্প্রথম পাঞ্জাব গভার্মেন্ট সেক্রেটারী মি: ডাব্লিউ, এম, এন (W.M.N) বাহাদুর চিঠি নং-১৭৫৮ এর মাধ্যমে ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৬ ইংরেজিতে অনুমোদনপত্র প্রেরণ করেন ।


খ) অতপর ১৪ই জুলাই ১৮৮৮ ইং সি,পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৪০৭ এর মাধ্যমে


গ) এবং ২০শে জুলাই ১৮৮৮ ইং ইউ,পি গভার্মেন্ট চিঠি নং-৩৮৬ এর মাধমে


ঘ) এবং ১৪ই আগষ্ট ১৮৮৮ ইং বোম্বাই গভার্মেন্ট চিঠি নং-৭৩২ এর মাধ্যমে


ঙ) এবং ১৫ই আগষ্ট ১৮৮৮ মাদ্রাজ গভার্মেন্ট চিঠি নং-১২৭ এর মাধ্যমে


চ) এবং ৪ঠা মার্চ ১৮৯০ ইং বাঙ্গাল গভার্মেন্ট চিঠি নং-১৫৫ এর মাধ্যমে দরখাস্তকারী মৌলভী আবুসাইদ মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভীকে অবহিত করা হয়। ( তথ্যসূত্রঃ এশায়াতুস সুন্নাহঃ পৃ: ৩২-৩৯, সংখ্যা: ২, খ: ১১)।


সূত্রঃ[mhfaisalhijbullah.wordpress.com/2016/07/16/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a6%e0%a6%a6%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%93%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ac/]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...