"জামায়াত সমর্থক বহিষ্কার ও শালী তালাক একই কথা"
গত দুই দিন আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কৃষক লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তি যোদ্ধা(৭১) কানু কে বিগত স্বৈরশাসক হাসিনার আমলে নির্যাতিত জামায়াত সমর্থক পরিবারের কয়েকজন জুতার মালা পড়িয়ে এলাকা ছাড়া করেছে। এই নিয়ে দেশে হইচই তৈরী হলে জামায়াতের কেন্দ্র ঐ জামায়াত সমর্থকদের বহিষ্কার করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
এই ঘটনা দেখে আমি হাসি চেপে রাখতে কষ্ট হচ্ছে। হায়রে বর্তমাম জামায়াতের নেতৃত্ব, হায়রে রাজনীতি,হায়রে কুফুরী গনতন্ত্র, হায়রে ভোট। ছিঃ ছিঃ। জামায়াতের সমর্থক তো কেনো দলের কেডারও না, দলীয় কোনো পদবীও না। তাকে আবার বহিষ্কার করলো কেমনে? পৃথিবীর কোথাও কোনো সমর্থককে বহিষ্কার এর মত ঘটনা হয়তো এটাই প্রথম। আর এই ঘটনার আমদানী দেখলাম এই প্রথম।
এতোটা কাঁচা মগজে পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজি থ্রো করাটা পুরো সাংগঠনিক জনশক্তিকে ঝুঁকি ও প্রশ্নের সম্মুখীন করা ছাড়া আর কী হতে পারে?
এখানে একটা সহজ বিষয়কে জটিলতায় আবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে!
অভিযুক্তরা অপদস্তকৃত ব্যক্তিকে মুক্তিযুদ্ধ করার কারণে এমনটা করেছে, নাকি গুণ্ডামি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার কারণে করেছে এটা কি জামায়াত জানে না? নাকি না জেনে শুধু পরের বউকে খুশির জন্য নিজের শালীকে তালাক দিলো?
একটা ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে অত্যাচারিতদের দ্বারা প্রতিশোধ পদক্ষেপকে ভিন্ন ভাবে প্রবাহিত করতে সচেষ্ট হওয়াটা নিজেদের কাণ্ডজ্ঞান এবং ব্যক্তি বিশেষেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে মাত্র!
আইন হাতে তুলে নেওয়াটা জামায়াতে ইসলামীর নীতিগত সিদ্ধান্তেরই পরিপন্থী বলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জনশক্তিকে তালিম দিয়ে এসেছে এবং এটা প্রতিষ্ঠিতও রয়েছে। তাই যে কোনো বে-আইনী তৎপরতাকে জামায়াতে ইসলামী প্রশ্রয় দেয় না কখনোই।
বিগত সাড়ে ১৫ বছরে অত্যাচারিত, নিপিড়ীত ও অধিকার বঞ্চি মজলুমরা এখনো আইনি সহায়তা বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জোরালো ও শক্তিশালী ভূমিকা না পাওয়ার কুফল হিসাবে এসব বিচ্যুত পদক্ষেপ, এটা স্বীকার না করাটা নেহায়েতই অজ্ঞতার পরিচয় এবং দায়িত্বশীলদের মূর্খতা মাত্র।
এখন যাঁরা এমন বিবৃতি পত্র প্রকাশ ও প্রচার করছেন তাঁদের নিকট সবিনয়ে প্রশ্ন রাখছি, আপনারা শেষ কথাগুলো লেখার আগে কি কোমায় ছিলেন নাকি কুষ্টিয়ার সবুজ পাতা করে বিভোর অবস্থায় ছিলেন সন্দেহ হয়।নাকি আওয়ামিলীগ এর মত আপনারাও কি মানুষকে বোকা ভাবেন?
এটা বললেই হতো, "কারো ব্যক্তিগত পদক্ষেপ বা দায় জামায়াতে ইসলামির নয়, তিনি যে-ই হোক না কেন! আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
পাশাপাশি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব পর্যায়ের দোসরদের সকল দুষ্কর্মের যথাযথ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি!১৫বছরে নির্যাতিত মানুষ সঠিক বিচার না পাওয়ায় আইন হাতে তুলতে বাধ্য হচ্ছে, আমরা বিগত ১৫ নছরের নির্যাতনের দ্রূত বিচার চাই"
এতটুকুই যথেষ্ট ছিলো না কি?
এমনটা না বলে উল্টো পুরো মাজলুম জনগোষ্ঠী ও সংগঠনকে উটকো ঝামেলার জালে জড়িয়ে দিলেন। যা খুবই দুঃখজনক ও হতাশার।
সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হলো, সমর্থককে কীভাবে বহিষ্কার করা যায়? বউ তালাক দেয়া যা, তাই বলে কি শালীকে তালাক দেওয়া যায়?
রাজনীতির অ আ/ ক খ আগে আয়ত্ব করা জরুরী বলে আমি মনে করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ