"ইলুমিনাতি বা দাজ্জালীয়রা যেভাবে সকল মানব সত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে"
![]() |
দাজ্জালীয় শাসন |
আমার মত যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে নিয়মিত ভাবে কাজ করছে তারা যতই বলছি মানব সভ্যতার সব কিছু ক্রমেই দা*জ্জা*লীয় ইলুমিনাতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যাচ্ছে, কেউ বিশৃবাস করছে না। আজ আপনাদের হাতে নাতে প্রমান দেব কিভাবে ইলুমিনাতি আমাদের নিয়ন্তৃরন করছে। আজকের বিষয় দা*জ্জা*লীয় ফাঁদ সামাজিক যোতাযোগ মাধ্যম। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো পরিচয় করিয়ে দেই, তার পর বলব কিভাবে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কী কী? উত্তর আসবে ফেসবুক, টুইটার, গুগল ইত্যাদি। হ্যা আজকে এমনই ২০ টি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা জানব আমরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালানোর প্রধান উৎস। শুধু কি ব্যবসার প্রচারণা? না ব্যবসার প্রচারণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। বরং পৃথিবীর সকল কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছোট-বড় সবারই পছন্দের মাধ্যম এগুলো। কেননা এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা যায়। চোখের পলকে পাঠিয়ে দেওয়া যায় ছবি, ভিডিও বা লিখিত বার্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কি কি জেনে নিন।
ফেসবুক Facebook:
মোট ব্যবহারকারীর নাম অন্তর্ভুক্তকরণ ও সংখ্যা উভয়ের দিক থেকে ইন্টারনেটের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় যোগাযোগ মাধ্যমটি। সৃষ্টির শুরু থেকে এপর্যন্ত ১.৫৯ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ১ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটিকে ব্যবহার করেন তাদের ব্যবসার প্রচারের জন্য।
টুইটার - Twitterঃ
সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের ২য় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম টুইটারের সদর দপ্তর। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনার মনের কথাগুলো ১৪০ অক্ষরের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয় তাহলে এটি আপনাকে অবাক করে দিবে যে, টুইটার নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় ৩২০ মিলিয়নের বেশি মানুষ ১৪০ টি অক্ষরের মাধ্যমে তাদের মনের কথা বর্নণা করে চলেছেন। এই মাধ্যমের সাহায্যে আপনি ব্যবসার প্রচারও চালাতে পারেন, আবার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগও করতে পারেন। আর এই মাধ্যমটি তৈরি করা হয় ২০০৬ সালের ২১ মার্চ।
লিংকডইন Linkedin:
২০০২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর তৈরি করা হলেও বিশ্বের ৩য় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিংকডইন আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ২০০৩ সালের ০৫ মে। প্রায় ২৪ ভাষায় ব্যবহার করা যায় এই মাধ্যমটি, যার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০০ মিলিয়ন।
গুগল প্লাস - Google+
যখন ফেসবুক, টুইটার বা লিংইন কিছুই ছিলো না, তখন থেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুগল প্লাস। ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় এই মাধ্যমটির। প্রায় ৪১৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিবন্ধিত হয় মাধ্যমটিতে।
ইউটিউব - Youtube:
সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিও ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তিন প্রাক্তন পেপাল কর্মচারীর হাত ধরে। পরে ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানকে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয় গুগল। গুগলের পরে ২য় সর্বাধিক জনপ্রিয় এই মাধ্যমের রয়েছে প্রায় ১ বিলিয়নের বেশি দর্শক।
পিন্টারেস্ট Pinterest:
পিন্টারেস্ট এমন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পিন করে রাখে। ২০১০ সালে এই মাধ্যমটি তৈরি করা হয়। আর এরই মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় মাধ্যমটি।
ইনস্টাগ্রাম Instagram:
পিন্টারেস্টের জমজ ভাইখেত এই মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম চালু হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে। এর রয়েছে ৪০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। ফেসবুকের মালিকানাধীন এই মাধ্যমের ৯৫শতাংশ ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করে। অনেকেই এটিকে ফ্যাশন, শিল্প, ভ্রমন বিষয়ক তথ্য পোস্ট করতে ব্যবহার করেন।
টাম্বলার - Tumblr:
২০০৭ সালে ডেভিড কার্প দ্বারা তৈরি হয় টাম্বলার নামক এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটি একটি ব্লগ ভিত্তিক মাধ্যম, যাতে ২০০ মিলিয়নের বেশি ব্লগ রয়েছে। এটি ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হলেও এটি জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ফ্লিকার - Flickr:
ফ্লিকার হলো একটি অনলাইন ভিডিও হোস্টিং মাধ্যম। ২০০৪ সালে জন্ম নেয় এই মাধ্যম। ২০০৫ সালে ইয়াহুর অন্তর্ভুক্ত হয় এই মাধ্যম। ৬৩ টি দেশে মোট ১১২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রেডডিট - Reddit:
২০০৫ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় রেডডিট নামক এই বিনোদন ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এর রয়েছে ৩৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এবং ২৩১ মিলিয়ন দর্শক। এটি একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমও।
স্ন্যাপচ্যাট - Snapchat:
স্ন্যাপচ্যাট একটি ইমেজ ম্যাসেজিং মাধ্যম। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন রেজি ব্রাউন, ইভান স্পিগেল ও ববি মারফি তৈরি করেন এই মাধ্যমটি। এটি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী সংগ্রহ করে।
হোয়াটসঅ্যাপ Whatsapp:
হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেঞ্জার হলো স্মার্ট ফোন, পিসি ও ট্যাবলেটগুলোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। ২০১০ সালের জানুয়ারি তে এটি চালু হয়। বন্ধুদের কাছে ছবি, ম্যাসেজ কিংবা কাস্টমারদের কাছে পন্যের ছবি পাঠাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
কুয়োরা Quora:
মানুষের কৌতুহলকে পুজি করে তোলা একটি উদ্ভাবনী ধারণা যা ২০০৯ সালে বাস্তবায়িত করা হয় কুয়োরা নামে। চার্লি শেভার এর তৈরি এই মাধ্যমের ৮০ মিলিয়ন ব্যাবহারকারীর মধ্যে অর্ধেকই আমেরিকার নাগরিক।
ভাইন Vine:
ভাইন একটি ভিডিও প্রকাশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর রয়েছে ৪০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। এটি তৈরি করা হয় ২০১২ সালে। কিন্তু তৈরি করার পর প্রকাশের আগে টুইটার এই প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেয়।
পেরিস্কোপ Periscope:
পেরিস্কোপ সাধারনত একটি আয়নাযুক্ত যন্ত্রবিশেষ যার সাহায্যে দেয়ালের ওপারের দৃশ্য অনায়াসে দেখা যায়। কিন্তু পেরিস্কোপ এখন একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। এটি একটি ভিডিও ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০১৪ সালে কেভন বেকপুর এবং জো বার্ননস্টেইন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি তৈরি করেন। ২০১৫ সালে টুইটার এই প্রতিষ্ঠানকে কিনে নেয় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। পরে তারা উন্নতি করে এই মাধ্যম আবার চালু করে এবং দাবি করে তাদের মাধ্যমের ব্যবহারকারী ১০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাপল এই মাধ্যমটিকে সেরা মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করে।
বিজসুপর Bizsugar:
বিজসুগর ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীদের জন্য সেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটি ২০০৭ সালে তৈরি করা হয়। এবং অনেক বড় বড় পুরষ্কার অর্জন করে নেয় তার প্রকাশনা সরবরাহের জন্য।
স্টাম্বল আপন - StumbleUpon:
স্টাম্বল আপন একটি অনলাইন শপ ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মধ্যে ৮০০০০ এর বেশি ব্রান্ড এবং প্রকাশক রয়েছে। এটি মানুষকে বিভিন্ন পন্য খুজে পেতে এবং কিনতে সাহায্য করে। এটি পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি হয়ে যায়।
ডেলিসিয়াস Delicious:
ওয়েব বুকমার্ক তৈরি, ভাগ করে দেয়ার জন্য বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডেলিসিয়াস। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে পিটার গ্যাডজোকভ এবং জোওয়া শ্যাচটার এর হাত ধরে। পরে ২০০৫ সালে টুইটার এটিকে কিনে নেয়। ডেলিসিয়াস দাবি করে তাদের ৫.৩ মিলিয়ন ব্যাবহারকারী আছে এবং ১৮০ মিলিয়ন বুকমার্ক রয়েছে।
ডিগ - Digg:
প্রায় এক দশক আগে বা ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ডিগ নামক সংবাদ সংগ্রাহকারী এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এটি দাবি করে যে, এর ১১ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে।
ভাইবার - Viber:
ভাইবার হলো বার্তা প্রেরণকারী একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটি ভয়েস ওভার আইপি বা
ভিওআইপি মাধ্যমে তৈরি। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে অডিও, ভিডিও চিত্র, স্থির
চিত্র পাঠানো যায় মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে।
এই সবগুলোই ই*হু*দি-খ্রিস্টান দা*জ্জা*লূয়রা, যারা ইলুমিনাতির সাথে জড়িত ও মানব জাতির শেষনকারী।
এই সামাজিক মাধ্যম গুলোর মধ্যে মানুষ এখন সর্বক্ষণ পড়ে থাকে আর তার জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সব কিছুই শেয়ার করে, ফলে ইলুমিনাতিরা মানব জাতির সকল তথ্য অগ্রীম জেনে যাচ্ছে আর মানুষকে তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে ইলুমিনাতি যা করছে:
★মানুষকে নিজেদের মত করে ব্যস্ত রাখছে।
★সময় অপচয় করাচ্ছে।
★মানুষের ক্রিয়েটিভ চিন্তার ধ্বংশ করছে।
★ অশ্লীলতার ছড়াচ্ছে।
★মানুষকে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বাসৃতবায়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
★প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
★সামাজিক অবক্ষয় বাড়াচ্ছে।
আল্লাহ মানব জাতিকে এসকল ফেতনার ক্ষতি হতে রক্ষা করুন(আমীন)।
লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ