expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

আব্দুল ওহাব নযদির কালো অধ্যায়

 "আব্দুল ওহাব নযদির কালো অধ্যায়"

মোনাফেক আ: ওহাব নযদি

ব্রিটিশ গোয়েন্দা অফিসার মিষ্টার হামফ্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এককভাবে ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা নিযুক্ত ছিল, তুরস্ক, ইরাক, ইরান ও অন্যান্য আরব দেশসমূহতে, আর তার ডাকবাংলা ছিল বসরার তরখানে তার গোয়েন্দা সংস্থার লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্মের উপর আঘাত হেনে মুসলিম জাতির মধ্যে বিভেধ সৃষ্টি করা । একদা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী মিঃ হামফ্রের ডাকবাংলার সন্মুখ দিয়ে যেতে থাকলে ইবনে ওহাবের সাথে উদ্দেশ্যমূলক বন্ধুত্ব স্থাপন করে তাকে ওহাবী মতবাদের বুনিয়াদ স্থাপনের পরামর্শ দেন ।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা মিঃ হামফ্রে বলেন, আমি একদিন মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীকে একটি মিথ্যা স্বপ্নের কথা বয়ান করলাম, তা হল এইঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামকে কুরসীর উপর বসা অবস্থায় দেখলাম । বড় বড় আলেম ও বুজুর্গানে দ্বীন যাঁদেরকে আমি চিনি না, তাঁর চারদিক থেকে তাঁকে তারা ঘিরে রেখেছেন । তখন আমি দেখলাম আপনি সেই মজলিশে প্রবেশ করছেন । আপনার চেহারা থেকে রৌশনী বের হচ্ছে । যখন আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এর সামনে পৌঁছলেন, তখন মাথা নাড়িয়ে আপনাকে সম্মান প্রদশর্ন করলেন । আপনার মাথায় চুমু খেলেন এবং বললেন হে আমার একই নামের অধিকারী মোহাম্মদ ! তুমি আমার এলেমের ওয়ারিশ মুসলমানদের দ্বীন দুনিয়াকে সামাল দেওয়ার জন্য তুমি আমার যথার্থ খলিফা । এ কথা শুনে আপনি বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ !! লোকের কাছে এলেম জাহির করতে আমার ভয় হয় । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম বললেন, মনের মধ্যে ভয়কে স্থান দিও না ।
মিঃ হামফ্রে বললেন, মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী আমার মনগড়া স্বপ্ন শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন । তিনি আমাকে বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন, ভাই ! তোমার স্বপ্ন কি সত্য হয় ? আমি তাকে এই ব্যাপারে সান্তনা দিতে থাকি । আমি লক্ষ্য করলাম স্বপ্নের আলোচনার পর তার মনোভাব এক নতুন মাযহাব সৃষ্টির জন্য দৃঢ় ইচ্ছা নিয়ে কাজ শুরু করে দিল ।

ব্রিটিশ উপনেবেশিক পুনবার্সন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারীর পরামর্শে ওহাবী মাযহাব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হলঃ-

মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর মাযহাবে যারা যোগদান করবে না তাদেরকে কাফের বলা এবং তাদেরকে গ্রেফতার করে পশুর হাটে নিয়ে দাস-দাসীর মত বিক্রি করা (বর্তমানে আই.এস. আই ইরাকে যা করতেছে ) ।
২ । মূর্তি পুজা বন্ধ করার বাহানায় যথাসম্ভব কাবাঘর ধ্বংস করা এবং মুসলমানদেরকে হজ্ব থেকে বিরত রাখা । হাজীদের জানমাল লুন্ঠনের জন্য আরব উপজাতিদের উত্তেজিত করা । ( বর্তমান সৌদী গোষ্ঠী যা করতেছে ) ।
৩ । আরব উপজাতিদের ওসমানিয়া খলিফার আদেশাবলী পালন থেকে বিরত থাকার উৎসাহ প্রদান করা । এই কাজ সমাধা করার জন্য কিছু সংখ্যক সশস্ত্র ফৌজ তৈরী করা ।
৪ । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এবং তাঁর মহান খলিফাদেরকে অবহেলা করা । শিরক ও মুর্তি পুজার চিহ্ন সমূহ মিটানোর বাহানায় মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের মাজারগুলো ধ্বংস করা ( সৌদি গোষ্ঠী ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর ভয়ংকর ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়ে মহান সাহাবায়ে কেরামের পবিত্র মাজার শরীফ ধ্বংস এবং অসংখ্য ছুন্নী ওলামায়ে কেরামদের হত্যা করে, রাজতন্ত্র কায়েম করে ফেরাউনের মত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ....... ) ।

মিষ্টার হামফ্রে বলেন, শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর দাওয়াতী পরিবেশ তৈরী করে তাকে চক্করে ফেলতে আমাদের দু’বছর সময় লেগে গেছে । ১১৪৩ হিজরী সনের মাঝামাঝি সময়ে মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী আল আরবে শেখের দাওয়াত প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে তার শত্রু ও বিরোধীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে । যেমনঃ ব্যভিচার ও শরাব পানের বিষয় প্রচারিত হয়েছিল ।
মিষ্টার হামফ্রে বলেন, আমি মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীকে বললাম, নবুয়তের প্রাথমিক দিনগুলোতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এর দুশমন আপনার দুশমনের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ছিল । কিন্তু তিনি তাদের সুষ্ঠু সমস্যা এবং বিপদাপদগুলোকে অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে সহ্য করতে থাকেন ।

একবরা শেখের বিরোধী পক্ষের ১২৬ ব্যক্তি তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে । আমি দ্রুততার সাথে হস্তক্ষেপ করে তাদের চক্রান্তে নস্যাত করে দেই । এমন কি তাদের এমনিভাবে লজ্জিত করি যে, তারা মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর অনুকূল হয়ে যায় । আর অনেকেই চক্রান্তকারীদের সহযোগিতা পরিত্যাগ করে ।
মিষ্টার হামফ্রে বলেনঃ আমি মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীকে ইবনে ওহাব নজদীর সাথে মিলে মিশে কাজ করার নির্দেশ করি, তিনি সৌদী বংশের প্রথম বংশধর ছিলেন । তিনি ১১৪৬ হিজরী সনে ওহাবী মাযহাব গ্রহণ করেন । আর তিনি ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ হতে নজদের শাসনকর্তাও ছিলেন । তিনি ১১৭৯ হিজরী সনে ইন্তেকাল করে । এরা উভয়েই নজদের নিকট “দরইয়া” শহরকে নিজেদের কর্মস্থল করে নেন । এইভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ব্রিটিশ সমস্ত আরবে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে কামিয়াব হয় । তৎকাল থেকে নজদী বংশীয় ও খৃষ্টান মৌলবাদী জাতির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে । আজও উভয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে ।

প্রকাশ থাকে যে, মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী শাসন ক্ষমতার ভার গ্রহণ করে এজিদ চক্রের বদ আদর্শগুলোকে এক এক করে অনসরণ করে । এজিদ ক্ষমতা ধারণ করে সর্ব প্রথম কারবালার তৃষ্ণর্ত রক্তাক্ত প্রান্তরে মহান ইমাম “ইমামে আকবর” রাদ্বিআল্লাহু আনহু ও তার সহযোগীদের শহীদ করে । শুধু তাই নয়, মহান সাহাবায়ে কেরামের মাযার শরীফ ধ্বংস করে ফেলে, এমন কি সে মহান প্রিয়নবীর রওজা শরীফের উপর কালো থাবা বিস্তার করেছিল । বহু হাজী হজ্ব কর্ম ছেড়ে দিয়ে মক্কা-মদীনা শরীফ হতে পলায়ণ পূর্বক পাহাড় পর্বতে আশ্রয় গ্রহণ করেন । সে তার জ্ঞাতি ভাই ইবনে সৌদের সহযোগীতায় এক শক্তিশালী যাযাবর বাহিনী গঠন পূর্বক সর্ব প্রথম নজদ প্রদেশের ক্ষমতা দখল করে । অতঃপর সে বাগদাদ শরীফ আক্রমণ করে এবং ইরাকের কিছু অংশ দখল করে নেয় । এর পর ক্রমান্বয়ে শক্তি সষ্ণয় করে প্রায় লক্ষাধিক সৈন্য নিয়ে সে হেজাজের রাজধানী আক্রমণ করে । এখানে কাবা শরীফের ইমাম তার বাহিনীর হাতে নাজেহাল হন এবং বহু আলেম ওলামা শহীদ হন । তার বর্বরচিত আচরণ ও লুন্ঠন ও নারী ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুর্কী সালতানাতে ।

মোহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর নৃশংসতায় ও জুলুমে মদীনাবাসী আর্তনাদ করে উঠে । হাজার হাজার মদীনাবাসীকে হত্যা করে । মা ও শিশুরা পর্যন্ত তার হাত হতে রক্ষা পায়নি । এ ব্যক্তি এজিদ হতে বহু গুণে চরমপন্থী ছিল । বাহ্যিকভাবে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ না করলেও তার কর্মকান্ড ধর্মচ্যুত ও ধর্মদ্রোহী সাব্যস্ত হয় । এই ব্যক্তিকে মুসলমান বলা মানে ধর্ম অবমাননা করা । হিন্দুস্থানের উর্দু পড়া দেওবন্দী আলেম ছাড়া এই বদ মাযহাবীকে অন্য কেউ সমর্থন দেয়নি ।
সূত্রঃ ( ফতোয়ায়ে শামী ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠ ) ।


ওয়াইনা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে এবং ১২৮৮ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করে
(ওনওয়ারুল মাজদ ফিতারী তারিখে নজদ ১ম খন্ড ৬ষ্ট পৃষ্ঠা রিয়াদে ছাপা)।
*মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীর ধর্মীয় সংস্কারের নামে রাজনৈতিক ততপরতার অকৃত্রিম ইতিহাস* । মুক্তি সংগ্রাম ঢাকা- বাংলা একাডেমী
৩১/০১/৮৬ইং ১৭ই মাঘ ১৩৯২ বাং দৈনিক ইত্তেফাক প্রকাশিত ।
ডকটর এ, আর মল্লিক “ব্রিটিশ নীতি” গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন যে, ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে কয়েক দশক দরে যে ওহাবী আন্দোলন ভারত উপমহাদেশের বংগীয় এলাকা থেকে শুরু করে সুদুর উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সমস্ত এলাকা
ছড়িয়ে পড়ে এখনই আলোচনার সুবিধার্থে সেই
ওহাবী আন্দোলনের গোড়ার কথা বলতে হয় ।
ওহাবী আন্দোলনের প্রবর্তক ছিল মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব । তার জন্মতারিখ সম্বন্ধে মতভেদ রয়েছে । তিনি ইসলাম সম্পর্কে ব্যাপকভাবে অধ্যয়নের পর বিভিন্ন এলাকা পরিভ্রমণ কালে ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যাদান করেন এবং তীব্র
ভাষায় শাসক কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় মুখর হন । এ সময় আল-আরবের অধিকাংশ এলাকাই তুরস্কের সুলতানের অধীনে ছিল । তাই স্বাভাবিক ভাবেই মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের এই সব বক্তব্য তুর্কী সুলতানের জন্য খুবই বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায় এবং অচিরেই তাকে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয় । শুধু তাই নয়, তুর্কী শাসক কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নজদীকে সরকার বিরোধী অবস্থানের অভিযোগে সিরিয়ার দামেস্ক শহর থেকে বহিস্কার করে দেন ।

সাহিত্যিক “ওলীউল্লাহর” মতে তিনি এই স্থান সেই
স্থান পরিভ্রমণে বহুদিন অতিবাহিত করে অবশেষে
দেরইয়ার সরদার মোহাম্মদ বিন সৌদের আশ্রয় গ্রহণ করেন । তারই সাহায্যে তিনি বেদুঈনদের সমন্বয়ে একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে প্রথম
সুযোগে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা
করেন । এইরূপে অতি অল্প কালের মধ্যে মরু অঞ্চলে বিশেষ করে নজদ প্রদেশে আবদুল ওহাব নজদীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় । মোহাম্মদ বিন
সৌদের সহিত তার এক ভগনিকে বিবাহ দিয়ে
মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব সমগ্র নজদের শাসন ক্ষমতা তার হাতে অর্পণ করে শুধু ধর্মীয় ব্যাপারে নিজে সকল কর্তা হয়ে রইলেন ।(মুক্তি সংগ্রাম
বাংলা একাডেমী ঢাকা ১৯৭৮)
বাগদাদের তুর্কী শাসনকর্তা নজদের মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবকে দমন করার লক্ষে ১৭৫৮
খ্রিষ্টাব্দে বিরাট সেনাবাহিনীর দল প্রেরণ করেন । কিন্তু যুদ্ধে তুর্কীবাহিনী পরাজিত হলে মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব একটি নিয়মিত সৈন্যবাহিনী
গঠন করেন । ১৭৯১ সালে ওহাবীরা পবিত্র
মক্কা শরীফ আক্রমণ করে । কিন্তু সম্পূর্ণ সফল হতে পারে নি । ১৭৯৭ সালে তারা বাগদাদ
আক্রমণ করে ইরাকের একটি এলাকা নজদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় । প্রসংগতঃ উল্লেখ্য তুর্কী
সুলতান এই ওহাবীদের কর্মকান্ডে এতোদূর
বিরাগভাজন হয়েছিলেন যে, এদের হজ্জ পালনে
নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন । এখানে আরো
একটি ব্যাপার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের অনুসারীরা সব সময়েই ইসলামের নামে নিজেদরকে মুবাল্লেগ মুজাহিদ হিসেবে পরিচয় দিতেন । 

অন্যদিকে
গোপনে গোপনে নিজেদের ভ্রান্ত মাযহাব প্রচারে রত থাকতেন । ১৮০১ সালে আবার প্রায় লক্ষাধিক ওহাবী মুজাহিদ পবিত্র মক্কা শরীফ আক্রমণ করে। কয়েক মাস ব্যাপী এই যুদ্ধে মক্কা শরীফ ওহাবীদের দখলে আসে এবং সে সময়ে তুর্কী শাসনের বিলুপ্তি ঘটে । ১৮০৩ সাল নাগাদ ওহাবীরা পবিত্র মদীনা শরীফের উপর আক্রমণ পরিচালিত করে উহার উপর কর্তৃত্ব বিস্তার করে ।
সাহাবা, আওলিয়া ও ওলামা কেরামদের মাজার শরীফ ও সৌধ ভেঙ্গে দেয় । এমনকি প্রিয় নবীর রওজা পাকের একাংশও তাদের হাত হতে
রক্ষা পায়নি । এদিকে পবিত্র মক্কা ও মদীনা শরীফ দুটি হস্তচ্যুত হওয়ায় তুর্কী খলিফা খুবই রাগান্বিত
ছিলেন । এছাড়া ওহাবীরা প্রিয় নবীর রওজা শরীফের অংশবিশেষ ভেঙ্গে দিয়েছে, এ কথাটা এবং অন্যান্য কয়েকটি অভিযোগ তুর্কীরা সমগ্র বিশ্বে বিশেষতঃ মুসলিম দেশগুলোতে রটিয়ে দিল । যার ফলে ১৮০৩ থেকে ১৮০৬ খৃষ্টাব্দের ভিতরে বহিরাগত হজ্জযাত্রীদের সংখ্যা খুব
কমে গিয়েছিল । এই রকম এক পরিস্থিতিতে
মিশরের শাসনকর্তা (খেদিব) মোহাম্মদ আলী পাশা
তুরস্কের সুলতানের সাহায্যে এগিয়ে আসেন । ওহাবীদের সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইস্তাম্বুলের নিকটবর্তী এলাকায় সংঘটিত লড়াইয়ে ওহাবীগণ চরমভাবে পরাজিত হয় । ১৮১২ খৃষ্টাব্দে মিশরীয়
বাহিনীর সেনাপতি “স্কটিশ টমাস কীর্থ” এক বিরাট
বাহিনী নিয়ে মদীনা শরীফ দখল করে । ১৮১৩ খৃষ্টাব্দে সেনাপতি কীর্থ মক্কা শরীফও অধিকার করে নেয় । পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্য ওহাবীদের সামরিক শক্তি একেবারেই শূন্যের কোটায় এসে যায় । অতঃপর বাদবাকী ওহাবীরা ইসলামী মোবাল্লেগ নাম ধারণ করে ধীরে ধীরে গোপনে গোপনে ওহাবী মাযহাব পালন করতে থাকে । যা বিশেষ ভাবে প্রাধান্য পায় ভারতের দেওবন্দ নামক স্থানে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...