expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মাথা মোটা ধার্মিক মুসলমানদের দূর্দশার মূল"

 "মাথা মোটা ধার্মিক মুসলমানদের দূর্দশার মূল"



বিশ্ব যখন এগিয়ে চলছে আমরা তখনও বসে, বিবি তালাকের ফতোয়া খোঁজি হাদিস কোরআন চষে...।

কবি নজরুলে কবিতার এই মহান পংক্তিটি বার বার আজ উপলব্ধি করছি। যতই জিও পলিটিক্স আর মুসলমানদের বর্তমান করুন অবস্থা নিয়ে পড়াশেনা করছি ততই আশ্চর্য হচ্ছি। বর্তমান মুসলমানদের দূর্দশার জন্য মুসলমানরাই দায়ি বলে আমি মনে করি।

একটা জিনিস খেয়াল করুন, আমেরিকা যখন অত্যাধুনিক HAARP টেকনোলজি নিয়ে গবেষনা করে পৃথিবীর আবহাওয়া মিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছে তখনই মুসলিম দেশ সৌদি আরব বেশ্যাখানা তৈরীর জন্য কোটি কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় বাজেট ঘোষনা দিচ্ছে।

অমুসলিম ইসরায়েলিরা যখন সফটওয়ার তৈরীর গবেষনার জন্য কোটি টাকা বাজেট ঘোষনা করছে তখনই আরেক মুসলিম দেশ আরব আমিরাত প্রকাশ্যে যৌন কর্মের জন্য আরব সাগরের সমুদ্র সৈকত ঢেলে সাজাতে বিলিয়ন টাকা খরচ করছে। 

বাংলাদেশেই দেখেন না, পাশের দেশ ভারত যখন চন্দ্র যান পাঠাচ্ছে তখন এদেশের সরকার অন্য দেশের গোলামী করতে ব্যস্ত এবং বাংলাদেশের আলেমরা গোলাম সরকারের গোলামী আর পা চাটায় ব্যস্ত, তারা আছে নামাজে আস্তে আমীন আর জোরে আমীন বলার ফতোয়া নিয়ে। 

মুসলমানদের না আছে বাস্তব মূখী শিক্ষা আর না আছে গবেষনা। তারা মনে করে নামাজ-রোজা, হজ্ব-যাকাত ইত্যাদি করলে আর ফতোয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই আল্লাহর পক্ষ হতে তাদেরকে ফেরেশতারা এসে তাদেরকে খবর দিয়ে যাবে। অথচ হযরত মুহাম্মদ সা: দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কতই না কষ্ট করেছেন তার ইতিহাসও তাদের অজানা নয়।

আজ বিশ্বে ফিলিস্তিন, ওইঘুর, মায়ানমার ও ভারতের কাশ্মিরের মুসলমানরা অস্ত্র আর টেকনোলজির অভাবে মার খাচ্ছে। দুনিয়ার একটি ধর্মের সকল মুসলমান যখন শত শত ভাগে বিভক্ত তখন ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের লোকেরা বিশ্ব ব্যাপী কমলওয়েল্থ  ও ন্যাটো গঠন করে মুসলমানদের শাসন করছে।

পৃথিবীর গবেষণায় জিডিপির সবচেয়ে বেশি গবেষনা খাতে খরচ করে ইসরায়েল।ইসরায়েল জিডিপির প্রায় ৬% গবেষণায় খরচ করে এই খাতে।এতে ইসরায়েলের ছাত্ররা উদ্ভাবনী খাতে সফলতা পাচ্ছে।ফলে ইসরায়েল হয়ে উঠেছে জ্ঞান তৈরির কেন্দ্রে।পৃথিবীর বড় বড় কর্পোরেট হাউজের ঘাঁটি হল ইজরায়েল।আর মুসলমনরা আছে ফতোয়া নিয়ে। 


এছাড়া ঐতিহাসিকভাবে ব্যবসা ভাল বুঝে আর তাদের নীতি হল এক ইহুদি আরেক ইহুদিকে ব্যবসায় সহায়তা করবে।

এছাড়া ইসরায়েল অভ্যন্তরীন ভাবে মুক্ত ও স্বাধীন রাষ্ট্র।আপনি দেখবেন ইসরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিন নীতির প্রচুর সমালোচনা হয়।সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম নোয়া হারিরি ও গেডিয়ন লেভি অন্যতম।তাদের কিন্তু ইসরায়েল সরকার গ্রেফতার করছে না।জ্ঞান তৈরির জন্য মুক্ত পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।

অপর দিকে সৌদির রাজা, কুয়েতের রাজা, আমীরাতের শেখদের বিষয়ে কেউ টু শব্দ করলে শিরছেদ করা হয়, বাংলাদেশে একজন নেতা ব্যতিত অন্য কোন নেতার নাম মুখে আনলে কিংবা প্রশংসা করলে জেল-জুলুম কিংবা গুমের স্বীকার হতে হয়। পারমানু শক্তিধর পাকিস্তানে নিজেদের হানাহানির কারনে প্রতি বছরে স্যান্ডেল পাল্টানোর মত নিয়মিত প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হয়। অথচ্ পরমানু অস্রধারী পুরা বিশ্ব পাকিস্তানের ভয়ে থর থর করে কাঁপার কথা ছিলো।


এইটাই মূলত ইসরায়েলের শক্তিশালী হওয়ার মূল কারন এবং মুসলমানদের দূর্বল হওয়ার আসল কারন।তারা জ্ঞান তৈরি করেছে যে জ্ঞান তাদের শক্তিশালী করছে, আর মুসলমানরা জনগনের মতপ্রকাশ ও নিজস্বতাকে নিয়ন্ত্রন করার নীতিতে অটল থেকে মানুষ গুলোকে প্রতিবন্ধী হিসাবে গড়ে তুলছে।

অন্য মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক প্রযুক্তিতে মোটামুটি উন্নত।তুরস্ক গবেষণাখাতে জিডিপির ১.১৩% খরচ করে, ইরান ০.৮% খরচ করে।

অপর দিকে আমাদের বাংলাদেশ গবেষণাখাতে খরচ করে জিডিপির ০.০৩%।এই ০.০৩% অর্থ গবেষকদের হাতে আসার আগেই আমলারা ৫০% মেরে দেয়।ঠিক এই কারনেই পদ্মাসেতু চীনা প্রকৌশলীরা তৈরি করে, মেট্রোরেল জাপান ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাশিয়ানরা তৈরি করে দেয় বাংলাদেশে বুয়েটের মত প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয় থাকার পরও।বাংলাদেশের বুয়েটের পোলাপাইনদের ডেক্সে এখন পাওয়া যায় খায়রুল এডভান্স, মাস্টর্স, MP3 সাধারণ জ্ঞানের বই, তারা চাকরীর জন্য পড়তে হয় বঙ্গবন্ধুর জীবনী, সেক্সপিয়ারের সাহিত্য সমগ্র, মৌর্য যুগের রাজাদের কাহিনী।বুয়েটের অধিকাংশ পোলাপাইন এইগুলাই পড়ে আর দর্শন বুঝতে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী ও আবু তোহা আদনানের ভিডিও দেখে যেইখানে তারা জানতে পারে ইসরায়েল এতটা শক্তিশালী হওয়ার পেছনে রয়েছে দাজ্জাল। দাজ্জাল জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে করা হচ্ছে ধার্মিক,কিন্তু হওয়ার কথা ছিলো ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস ও ইসলামি দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের সংমিশ্রণের কারনে মহামগ্রন্থ আল কোরআনের মাধ্যমে মানুষকে ইসলামে আকৃষ্ট করা।

বুয়েটের ইসলাম মনস্ক ছাত্ররা গবেষনার কথা ছিলো সমর নীতি, আবিস্কার, কম্পিউটার,  সফটওয়ার, এরোনোটিকেল সাইন্স এবং তাদের চাকুরীর পরীক্ষা গুলোও এই আলোকে বিষয় ভিত্তিক।যিনি মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করবেন তিনি সেক্সপিয়রের সহিত্য কিংবা রাজা রাম মোহন রায়ের জীবনী পড়ে কি লাভ হবে? সে এই বিষয়ে জেনে এগুলো মহাকাশে কোন কাজে লাগাবে?

তাই মুসলমান দেশগুলোর গঠনগত সমস্যার কারনে ইজরায়েল এখনো টিকে আছে।মুসলমান দেশগুলো যদি ইজরায়েল মত গবেষনাতে খরচ করে তাহলে ইজরায়েল থেকে অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

পৃথিবীর সবচেয়ে মাথা মোটা ধার্মিক জাতির নাম হলো মুসলমান। এই ধর্মের লোকেরা নিজ ধর্মের আসল শিক্ষা বুঝে না, বুঝতে চায়ও না, নিজেদের ইচ্চাকৃত ভুলের দায় চাপায় আল্লাহর হুকুমের উপর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...