expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ও সত্যতা

 শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ও সত্যতা


শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয় বিতর্ক 



ইদানীং বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গৌরিবালা দাস  ইস্যু নিয়ে খুব বেশী কথা হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন তথ্য ও প্রমান সহ দাবী করা হচ্ছে যে শেখ মুজিবুর রহমান জা*র*জ সন্তান। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও যদি এটা সত্য হয় তবে এর চেয়ে বড় কলঙ্ক বাংলাদেশের মানুষের জন্য আর কিছু হতে পারে না, বিশেষ করে আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীদের জন্য। চলুন দেখ যাক গৌরিবালা ইস্যুটি সমন্ধে জানা যাক। 

ইন্টারনেটে "গৌরিবালা কে" এই কথা টি সার্চ দিলে যা পাওয়া যায়,

কলকাতা কোর্টের এফিডেভিড


অরন্য কুমার চক্রবর্তী ও গৌরীবালা দাসের জারজ সন্তান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

২ বছর বয়স পর্যন্ত শেখ মুজিবের নাম ছিলো দেবদাস চক্রবর্তী!

কলকাতা সিভিল কোর্টের উকিল মিঃ চন্ডিদাস। তার এক মেয়ে ছিল যার নাম গৌরিবালা দাস। চন্ডিদাসের সহকারী উকিল মিঃ অরন্য কুমার চক্রবর্তী চন্ডিদাসের কলকাতাস্থ বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতো। এই সুযোগে চন্ডিদাসের মেয়ে গৌরিবালার সাথে অরন্য কুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। তার ফলশ্রুতিতে এরই মধ্যে গৌরিবালা গর্ভবতী হয়ে পড়েন। গৌরিবালা যখন বুঝতে পারলেন তিনি গর্ভবতী হয়েছেন তখন গৌরিবালা অরন্য কুমার চক্রবর্তীকে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। অরন্য কুমার চক্রবর্তী ইহাতে রাজি না হয়ে অবৈধ সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেন। এদিকে চন্ডিদাস বিষয়টি জানার পর চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গৌরিবালা ১২/১২/১৯২০ ইং তারিখে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তী। চন্ডিদাস অরন্য কুমার চক্রবর্তীকে গৌরিবালাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু অরন্য কুমার রাজি হন না। এরই মধ্যে গৌরিবালার ছেলে দেবদাস বয়স ২ বছরে উন্নিত হয়। চন্ডিদাস হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েন এবং ভীষণ অসুস্থতা বোধ করেন। চন্ডিদাসের বিশ্বস্ত মহুরী শেখ লুতফুর রহমান ছিলেন একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। চন্ডিদাস মেয়েকে নিয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না এমন অবস্থায় গৌরীবালার ছেলে দেবদাসের বয়স যখন ৩ বছর, তখন চন্ডিদাসের মহুরী শেখ লুৎফর রহমান চন্ডিদাসের সমূহ সম্পত্তিসহ গৌরিবালাকে বিয়ে করেন। তখন এফিডেভিট করে গৌরিবালার নাম রাখা হয় ছাহেরা বেগম এবং ছেলের নাম রাখা হয় দেবদাস চক্রবর্তীর পরিবর্তে শেখ মজিবুর রহমান।

এফিডেভিট নং- ১১৮

তারিখ- ১০/১১/১৯২৩ ইং সাল

কোলকাতা সিভিল কোর্ট, পচিমবঙ্গ, ভারত।

সাক্ষীঃ-

(১) জনাব আব্দুর রহমান সাফায়াত, কোর্ট দারোগা, কলিকাতা, থানা+পোঃ- ভান্ডারিয়া, সাবেক জেলা- বরিশাল।

(২) শ্রী অনিল কুমার, কোর্ট দারোগা, সাবেক জেলা- বরিশাল।


বিতর্ক:
১। বিগত ১০০বছর এই গৌরীবালা দাস ও শেখ মুজিবুর রহমানের এই জন্ম পরিচয় নিয়ে যেহেতু বিতর্ক হয় নি সেহেতু উপরের রিপোর্টটি সত্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
২। বিভিন্ন বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নানার বাড়ির পরিচয়ও দেখানো আছে।

সত্যতার প্রমান:
১। বিএনপির সংরক্ষিত নারী এমপি রেহেনা বানু যখন সংসদে এই রিপোর্টটি পড়ে শোনিয়েছিলো তখন শেখ হাসিনা কিংবা তৎকালীন আওয়ামিলীগ সরকার তা চ্যালেঞ্জ করে নি, অর্থাদ মৌনতাই সম্মতির লক্ষন হিসাবে এই রিপোর্টের সত্যতার জোড় বেড়ে যায়।

২।কলকাতা কোর্টের রায়, এফিডেভিড নং এবং স্বাক্ষী সহ যেহেতু রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে সেহেতু যতক্ষন কলকাতা কোর্টে এটা মিথ্যা প্রমানিত না করা যাবে ততক্ষন এই রিপোর্ট মিথ্যা বলার সুযোগ নাই।

৩। শেখ হাসিনার ভারত প্রীতি,হিন্দু প্রীতি ও নিজের স্বামী রেখে হিন্দু পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক হাসিনা পরিবারে মজ্জাগত হিন্দুর বৈশিষ্ট আরো জোড়ালো করবে।


নিচের লিঙ্ক এমপি রানুর সংসদে দেয়া সেই বক্তব্য দেখুন।

Click This Link




আমাদের কর্তব্য: 
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো, আমরা সবাইকে যেনো কর্ম দিয়ে বিচার করি, তার জন্ম পরিচয় নিয়ে বাড়াবাড়ি যেনো না হয়।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...