expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

আন্ত: ধর্মীয় বিশ্বাস ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম

 " আন্ত: ধর্মীয় বিশ্বাস ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম"



ইদানীং দেখা গেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের মাদখালি মতাদর্শের এক শিক্ষক ড.মঞ্জুরে এলাহি বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের সাথে নিয়ে টিভিতে আন্ত:ধর্মীয় বিশ্বাস বা ইন্টার ফেইথ নিয়ে আলোচনা করেছেন। হিন্দু ধর্মের পক্ষ থেকে উপস্থিত আলোচকের সাথে সুর মিলিয়ে ড.এলাহি আন্ত: ধর্মীয় বিশ্বাস জুমা'র খুতবায় আলোচনা করতে এবং পাঠ্য বইয়ে পাঠ্য করতে এক মত পোষন করেছেন। আমার বুঝে আসে না উনি যদি ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে থাকেন তাইলে আন্ত:ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে একমত হলো কোন যুক্তিতে? 

হিন্দু নেতা সূরা কাফেরুনের অনুবাদ করলো তোমার ধর্ম তোমার আর আমার ধর্ম আমার, মি.এলাহী তার সাথে সহমত পোষন করলেন।

আন্ত: ধর্মীয় বিশ্বাসের মানে হলো দুটি ধর্মের কমন জিনিস গুলোতে একমত হওয়া এবং বিশ্বাস পোষন করে মেনে চলা। ভালো কথা, কিন্তু এখন যে ধর্ম গুলো হিন্দু,ইহুদি, জৈন, বৌদ্ধ  নামে চলছে এগুলো কি ধর্ম, না ধর্মের বিকৃতি?

ইসলাম যদি একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ও সম্পূর্ণ দ্বীন হয়ে থাকে তাইলে আমরা কোন কারনে অন্য ধর্মের সাথে মিশে যাব? ওগুলা কি ধর্ম? আমার ধর্ম কি ওই ধর্ম গুলোকে স্বীকৃতি দেয়? 

আল কোরআনে আল্লাহ একমাত্র ইসলামকেই মনোনীত দ্বীন হিসাবে ঘেষনা করেছেন আর বাকী গুলোকে বাতিল করেছে। আমাদের কালেমার দাবীও তাই। কোন মুসলমান কালেমা তাইয়্যেবার দাবী অস্বীকার করতে পারে না। ওখানেই বলা হয়েছে নাই কোন ইলাহ, আল্লাহ ছাড়া এবং নাই কোন আদর্শ হযরত মুহাম্মদ সা: এর আদর্শ ছাড়া। তাইলে মুসলমানদের আবার আন্ত: ধর্মীয় বিশ্বাস কিসের? 

আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللّٰهِ الْاِسْلَامُ١۫ وَ مَا اخْتَلَفَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْیًۢا بَیْنَهُمْ١ؕ وَ مَنْ یَّكْفُرْ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ فَاِنَّ اللّٰهَ سَرِیْعُ الْحِسَابِ

ইসলাম আল্লাহ‌র নিকট একমাত্র দ্বীন–জীবন বিধান। যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারা এ দ্বীন থেকে সরে গিয়ে যেসব বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, সেগুলো অবলম্বনের এছাড়া আর কোন কারণই ছিল না যে, প্রকৃত জ্ঞান এসে যাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের ওপর বাড়াবাড়ি করার জন্য এমনটি করেছে। আর যে কেউ আল্লাহ‌র হেদায়াতের আনুগত্য করতে অস্বীকার করে, তার কাছ থেকে হিসেব নিতে আল্লাহ‌র মোটেই দেরী হয় না।(আলে ইমরান:১৯)


অর্থাৎ আল্লাহ‌র কাছে মানুষের জন্য একটি মাত্র জীবন ব্যবস্থা ও একটি মাত্র জীবনবিধান সঠিক ও নির্ভুল বলে গৃহীত ইসলাম। সেটি হচ্ছে, মানুষ আল্লাহ‌কে নিজের মালিক ও মাবুদ বলে স্বীকার করে নেবে এবং তাঁর ইবাদাত, বন্দেগী ও দাসত্বের মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সোপর্দ করে দেবে। আর তাঁর বন্দেগী করার পদ্ধতি নিজে আবিষ্কার করবে না। বরং তিনি নিজের নবী-রসূলগণের মাধ্যমে যে হিদায়ত ও বিধান পাঠিয়েছেন কোনো প্রকার কমবেশী না করে তার অনুসরণ করবে। আর আল্লাহ সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা: কে চুড়ান্ত প্রতিনিধি ও আল কোরআনকে পূর্ণাঙ্গ দলিল হিসাবে নাজিল করেছেন। এই চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির নাম “ইসলাম” আর বিশ্ব-জাহানের স্রষ্টার ও প্রভুর নিজের সৃষ্টিকুল ও প্রজা সাধারণের জন্য ইসলাম ছাড়া অন্য কোন কর্মপদ্ধতির বৈধতার স্বীকৃতি না দেয়াও পুরোপুরি ন্যায়সঙ্গত। মানুষ তার নির্বুদ্ধিতার কারণে নাস্তিক্যবাদ থেকে নিয়ে শিরক ও মূর্তিপূজা পর্যন্ত যে কোন মতবাদ ও যে কোন পদ্ধতির অনুসরণ করা নিজের জন্য বৈধ মনে করতে পারে কিন্তু বিশ্ব-জাহানের প্রভুর দৃষ্টিতে এগুলো নিছক বিদ্রোহ ছাড়া আর কিছুই নয়।

 আল্লাহ‌র পক্ষ থেকে দুনিয়ার যে কোন অঞ্চলে যে কোন যুগে যে নবীই এসেছেন, তাঁর দ্বীনই ছিল ইসলাম। দুনিয়ার যে কোন জাতির ওপর যে কিতাবই নাযিল হয়েছে, তা ইসলামেরই শিক্ষা দান করেছে। এই আসল দ্বীনকে বিকৃত করে এবং তার মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে যেসব ধর্ম মানুষের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে, তাদের জন্ম ও উদ্ভবের কারণ ও ছাড়া আর কিছুই ছিল না যে, লোকেরা নিজেদের বৈধ সীমা অতিক্রম নিজেদের খেয়াল খুশী মতো আসল দ্বীনের আকীদা-বিশ্বাস, মূলনীতি ও বিস্তারিত বিধান পরিবর্তন করে ফেলেছে। যত দুন আসল দ্বীন বলবত ছিলো তত দিন কোরআন নাজিল করেন নি এবং হযরত মুহাম্মদ সা:কে নবুয়্যত দেন নি। এখন হযরত মুহাম্মদ সা: এর প্রচারিত দ্বীন ও আলকোরআনই একমার বিধান, বাকী সব বাতিল।


 অর্থাৎ মানব জাতির আল্লাহ্‌ এক, কিতাব এক এবং রসূল এক ৷ এ ব্যাপারে প্রকৃত মোমেনদের অবস্থান কী এবং আল্লাহর কেতাব ও তার আয়াতসমূহ নিয়ে যারা বক্রতা ও গোমরাহীতে লিপ্ত, তাদেরই বা পরিণাম কী তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে। তারপর যে সকল জিনিস জন্মগতভাবেই মানুষকে তার আখেরাতের কথা ভুলিয়ে দেয়, তার বর্ণনা দিয়েছে এবং মোত্তাকী ও পরহেযগার বান্দাদের পরিচয় তুলে ধরেছে। 


এই আন্ত:ধর্মীয় বিশ্বাসের একটাই কথা মুসলমানদেরকে ঈমান হারা করা। দুনিয়ার সকল ধর্মের লোক মিলে যদি একটি জগাখিচুরি ধর্ম বানিয়ে তা পালন করে তাতে তাদের কোন ক্ষতি নাই, যত ক্ষতি ইসলামের, কেননা ইসলাম একমাত্র সঠিক ধর্ম আর বাকি গুলো বাতিল ও বিকৃত ধর্ম। এদের ধর্ম গ্রন্থ গুলোও চুড়ান্ত বিকৃত। এখন কথা হলো মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্যই আন্ত:ধর্মীয় বিশ্বাসের টোপ দিচ্ছে বাতিলরা কারন ওরা একে অন্যের সহযোগী। 

আল্লাহ বলে,

اِنَّهُمْ لَنْ یُّغْنُوْا عَنْكَ مِنَ اللّٰهِ شَیْئًا١ؕ وَ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ١ۚ وَ اللّٰهُ وَلِیُّ الْمُتَّقِیْنَ

আল্লাহর মোকাবিলায় তারা কোন কাজেই আসতে পারে না।  জালেমরা একে অপরের বন্ধু এবং মুত্তাকীনদের বন্ধু আল্লাহ।(সূরা: আল-জাসিয়া:১৯)

অর্থাৎ যদি তোমরা তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য দ্বীনের মধ্যে কোনো প্রকার রদবদল করো তাহলে তারা আল্লাহর সামনে জবাবদিহি থেকে তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না।


অতএব এই ইন্টারফেইথ নামক শয়তানের ওসওয়াসা হতে আল্লাহ সবাইকে হেফাজন্ত করুন(আমীন)।


লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...