expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

জামায়াত ধ্বংশ করলো আহলে হাদিস

 "কাকের বাসায় কোকিলের ডিম আর জামায়াতের মাঝে আহলে হাদিস একই কথা"



কাথায় আছে কাকের বাসায় কোকিলের ডিম। কোকিল বসন্ত কালের গানের পাখি হলেও নিজে বাসা বানাতে পরে না, কাকের বাসায় চুরি করে ডিম পেড়ে যায়। আর কাক আপন মনে কোকিলের ডিমকে নিজের মনে করে ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায় আর লালন পালন করে এবং বাচ্চা বড় হয়ে কোকিলের কাছে গিয়ে কোকিলের সুরে গান গায় আর কাক হতাশ হয়। কাক নিজের ডিম আলাদা করে চিনতে না পারা আর নিজ বাসা রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার দরুন জামায়াত আর কাকের একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।


আজ মাদখলি,নযদি-ওহাবী,কথিত আহলে হাদিস ও জাল সালাফিরা কোকিলের ভূমিকায় এবং জামায়াত বোকা কাকের ভুমিকায় অবতীর্ণ। জামায়াতের আকিদা ও চাল চলন, বিশ্বাস ইত্যাদি নি:সন্দেহে বাংলাদেশের অন্যান্য যেকোন নামধারী ইসলামী দল হতে অপেক্ষাকৃত সহীহ এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই।


আর অপর দিকে কমন ওয়েলথের পালিত এবং ব্রিটিশ গোয়েদা হ্যামফারের তৈরী বিতর্কীত ফেরকা ওহাবী-নযদি,মাদখালি,জাল সালাফি ও কথিত সহীহ আকিদার বুলি ফুটানো আহলে হাদিসরা জন্মগত ভাবে মুনাফেক হলেও তারা মুখে মুখে সহীহ আকিদার অভিনয় করে যদিও বেতরে ভেতরে পেট্রো ডলারের পা চাটা গোলাম।


এই ভন্ড মাদখলিরা ভারত বর্ষে কওমী,বেরলবী,দেওবন্দী সহ সকল নামে বেনামে আকিদার দাবীদারদের নিকট লাত্থি খেয়ে খেয়ে অবশেষে ভীড় করেছে জামায়াতে ইসলামে। জামায়াতে তারা কৌশলে প্রবেশ করে কাদিয়ামী হত্যা কান্ডের মূল হোতা তারা হয়েও জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী (রাহ:) উপর দোষ চাপিয়ে নিজেরা ঠিকই নির্দোষ সেজে যায়। বাকী কথা নিয়ে আমার একটি আলাদা পোস্ট প্রমান সহকারে আছে, পাঠকরা দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইলো।


এবার আসেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে এই দালালদের ভূমিকা। পাকিস্তান জামায়াত যেমন মাদখলী মুনাফেকদের চিনতে ভুল করেছে ঠিক একই ভুল বাংলাদেশ জামায়াতও সৃষ্টির শুরু হতে করে এসেছে। আর এই সুযোগে তারা তাদের মুনাফেকি করেই যাচ্ছে।


বাংলাদেশ জামায়াত  মাওলানা মওদুদি রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষনার পদে আব্দুস শহীদ সোবহানকে আসীন করা থেকে শুরু করে বর্তমান আমিরে জামায়াত আহলে হাদিসের ডা:শফিকুর রহমামকেও আমীর করেছে। তাছাড়াও বর্তমানে জামায়াতের সূরা সদস্যদের বেশীর ভাগ লোকই এই ঘাপটিমারা মাদখলির দল, কেউ নিজের পরিচয় প্রকাশ করে না।


কিছু দিন আগেও আহলে হাদিসদের কোন প্রতিষ্ঠান তো দূরের কথা তাদের নামটাও ৯০% মুসলমান জানত না। এখন জামায়াতের আশ্রয়ে পশ্রয়ে এই সালাফি ও মাদখালিরা বাংলাদেশে তাদের হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।


আর এই প্রতিষ্ঠান গুলো কার টাকায় করে জানেন, ভাবছেন তাদের নিজেদের টাকায়?না না, মাদখালিরা এমন এক জাতি যারা নিজেদের টাকায় কিছু করে না। তারা করে করে সৌদি সরকারের ভিক্ষা,মুভ ফাউন্ডেশনের টাকা আর একটা নতুন ব্যবসার টাকা। এই ব্যবসাটা কি জানে? এটা হলো বিশেষ কালেকশন ব্যবসা। ২০১৩ সালের পর হতে যত জামায়াতের নেতা আটক হয়েছে সকল নেতাকে মুক্তির জন্য মামলা চালানোর খরচের নামে জামায়াতের জনশক্তি হতে বিশেষ কালেকশনের টাকা।


প্রশ্ন আসবে,এত কিছু করলে জামায়াতের নেতারা বুঝেনা কেন? কারন জামায়াতের মূল নেতারা প্রায় বেশিরভাগ শহীদ, অনেকে কারাগারে আর বাকী যেগুলো আছে সবগুলো আহলে হাদিসের জালে আটকা। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে চ্যালেঞ্জ করার সক্ষমতা থাকার পরও জামায়াত এখানে ব্যর্থতা দেখনোর মূলে রয়েছে মাদখালিরা।


তাদের আরেকটি মহা কৌশল হল সম্ভাবনাময় যেসকল শিবির নেতারা ছাত্র সংগঠন হতে বিদায় নেয় তাদের নিকট মাদখালিরা মেয়ে বিয়ে দেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে নতুন উদিয়মান ছাত্র নেতা গুলোকে কব্জা করে ফেলে

 যেমন কেন্দ্রের রেজাউল করিম, শিমূল সরকার, ড.মাসুদ বোকা, সেলিম বাটপার সহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮০% নেতা আজ এদের নিয়ন্ত্রনে। 


মনে রাখবেন, মাদখালিরা শেয়ালের চেয়ে ধূর্ত,কুকুরের চেয়েও চরিত্র হীন, গিরগিটির চেয়েও বর্ন চোরা ও কাল সাপের চেয়েও বিষাক্ত!


আমার একটাই দূ:খ,যেখানে দেওবন্দী,কওমী, মাজার পূজারী ও পীর ব্যবসায়ী বোদাইরা পর্যন্ত এই মাদখালিদের বিষয়ে সতর্ক সেখানে জামায়াতের মত অগ্রগামী একটি সংগঠন এই ভুলটা বার বার কেমনে করে?


এই জামায়াত কাকের বাসায় মাদখালি কোকিলদের ডিম পাড়া বন্ধ করতে না পারলে জামায়াত এক সময় পথ ভ্রষ্ট দলের তকমায় পড়তে হবে।


লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...