"নাস্তিকরা কেনো ইসলাম বিরোধী হয়"
এটা বুঝার আগে প্রিয় পাঠক গন নাস্তিক ও নাস্তিকতা কি এটার বাস্তব ধারনা রাখতে হবে। নাস্তিকতা হলো সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্বের অস্বীকার করা। আর নাস্তিক হলো যারা নাস্তিকতা ধারন ও লালন করে। এখন বলার বিষয় হলো কেউ যদি নাস্তিক হয় আর নাস্তিকতা লালন করে এর মানে হলো সে কোন সৃষ্টি কর্তা বা ধর্ম মানবে না, ব্যস এতটুকুই, এরাই হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখি কি? নাস্তিকরা শুধু নাস্তিকই না তারা ধর্মের বিরোধিতা করে।
আদতে নাস্তিকরা জাতে মাতাল তালে ঠিক টাইপের এক ধরনের মানসিক অসুস্থ রোগী। এরা অতীতে ছিলো, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এদেরকে বর্তমানে লালন ও পালন করে গ্রীক দর্শনে প্রভাবিত শায়তানের পূজারী নাস্তিকরা। নাস্তিকতা শুধু সৃষ্টি কর্তাকে অস্বীকার নয়, বরং এটি সৃষ্টি কর্তার বিরুদ্ধে শয়তান পূজারীর এক ধরনের বিদ্রোহ।
যদি নাস্তিকতা কোন ধর্ম না হতো তাইলে নাস্তিকরা নিজেরা নিজেদের বিশ্বাস নিয়ে তারা তাদের মত থাকত। কিন্তু না, তারা এসে ধর্মের বিরুদ্ধে সারাক্ষন লেগে থাকে, আদতে এটা সৃষ্টি কর্তার সাথে তাদের এক ধরনের বিদ্রোহ। আপনারা যার ডেভিলস ডায়েরি কিংবা কিতাবুস শয়তান অথবা স্যাটনিক বুক এর যে কোন একটি পড়েছেন তারা জানেন যে শয়তান তার নিজের পূজারীদের নিকট ঘোষনা করেছে যে সে সৃষ্টি কর্তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এই বিশাল মহা বিশ্বে। আর এ জন্যই এই শয়তান সে তার পূজারী ও মানসিক বীকার গ্রস্থ নাস্তিকদের মাধ্যমে মানুষকে মদ,নারী, বেশ্যা বৃত্তি, সমকামিতা, মডেলিংয়ের নামে নগ্নতা, নীল চলচ্চিত্র ও মাদক দিয়ে মানুষকে ধর্ম থেকে সরিয়ে খোদা দ্রোহী করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আর নাস্তিকরা শুধু ইসলামের বিরোধিতা করে এমন নয়, এরা সকল ধর্মেরই বিরোধিতা করে৷ বল্লাম না যে ওরা জাতে মাতাল তালে ঠিক। নাস্তিকরা সাধারণত যে দেশে বসবাস করে সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মের সমালোচনা বেশি করে থাকে। কারণ সেই দেশের সমাজ ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মের প্রভাব বেশি থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা ইসলাম৷ভারতের ক্ষেত্রে সেটা সনাতন ধর্ম। আমেরিকার ক্ষেত্রে সেটা খ্রিষ্ট ধর্ম। তাদের কাজই হলো ধর্মের বিরোধিতার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করা, কারন এটা ওদের গুরু ইবলিস এর অঙ্গীকার।
মজার ব্যাপার হলো, প্রত্যেকটি দেশে যে ধর্ম সংখ্যগরিষ্ঠ সেই ধর্মের অনুসারীরা সেই দেশের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে তাদের দেশের নাস্তিকরা শুধু তাদের ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা এবং সমালোচনা করে। ভারতের হিন্দুরাও সেই দেশের নাস্তিক, বামপন্থী এবং স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তারা শুধু হিন্দু নিয়েই ব্যাঙ্গ করে। কিন্তু ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গ করে না। আবার অমেরিকার খ্রিস্টানরাও সেই দেশের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে নাস্তিকরা শুধু খ্রিস্ট ধর্ম নিয়েই ব্যাঙ্গ করে। আর কোন ধর্ম তারা খুঁজে পায় না।
আপনি কিছু ভারতীয় নাস্তিক অথবা আমেরিকার নাস্তিকদের ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপে গিয়ে check করুন। দেখবেন ভারতের নাস্তিকরা হিন্দু ধর্ম এবং আমেরিকার নাস্তিকরা খ্রিষ্ট ধর্মের সমালোচনা বেশি করছে।
এবার চলেন জানা যাক কোন সার্থে এরা ধর্মের বিরোধিতা করে?
তাহলে সেটা আবার কেমন স্বার্থ, যার কারনে ধর্মের বিরুধীতা করতে হয়?
.
★ধরুন, ইসলাম বলে সুদমুক্তির কথা। মানে ইসলামে সুদ হারাম। এখন ঐ নাস্তিক শ্রেণিটার ইসলাম ভালো লাগেনা বা সেই সকল লোক ইসলামের বিরুদ্ধে বলবে যাদের হাতে পুঞ্জিভূত পৃথিবীর ৫০% সম্পদ, যা আরো বাড়ছে সুদের দ্বারা।
.
★ধরুন, ইসলাম বলে জবাবদিহি রাষ্ট্র পরিচালনার কথা। এখন দুর্নীতিবাজ শাসকরা জবাবদিহিতার ভয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে আঙুল তুলবে এটাই স্বাভাবিক।
.
★ইসলাম বলে প্রকৃত ন্যায় কিংবা স্বচ্ছ বিচার বিভাগের কথা, যেখানে কারো সাধ্য নেই ন্যায়কে পাশ কাটানোর। যেখানে বিচারক স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারবে। সেটা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে গেলেও। এইজন্যেই অপরাধপ্রবণ প্রশাসক কিংবা নীতিনির্ধারকদের ইসলাম ভাল্লাগবেনা, যারা অপরাধ করে পার পেতে চায় কিংবা পার পাইয়ে দিতে চায়।
.
★ইসলাম যখন সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা নিষেধ করে তখন ঐ সকল বিকৃতমনাদের টনক নড়ে যারা আর্ট-মিডিয়া-সিনেমা কিংবা বিভিন্ন উৎসবের নামে শ্রেফ নারীকে ভোগ্যপন্য বানিয়ে ভোগ করে।
.
★যখন নারীপুরুষ আলাদা আলাদা শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র আর পর্দার কথা বলে, তখন সেই সকল লোকদের ইসলাম ভাল্লাগবেনা যারা মেয়ে দেখলেই "মাল" বলে সম্বোধন করে। যারা শেয়ালরূপী জানোয়ারের মত বসে থাকে মুরগী ভোগ করার জন্য।(এই ভাষা গুলোর জন্য পাঠক গনের নিকট বিশপষ করে মায়ের জাতির নিকট মার্জনা কামনা করছি)
.
★ইসলাম চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ-হারাম করেছে বলেই, সেই সকল রাজনীতিবীদ কিবা অফিসারদের ইসলাম ভাল্লাগবেনা(!) যারা কিনা এইসব তাদের অধিকার মনে করে।
.
★ ইসলাম কথা বলে আলাদা এক সমাজ ব্যবস্থার জন্য।
যেখানে সম্রাটের নিযুক্ত বিচারক রায় দেবে সম্রাটের বিরুদ্ধেই।
যেখানে একটা নারী শালীনতা বজায় রেখে সব করতে পারবে, কোনো পুরুষের সাহস হবেনা, চোখ তুলে তাকাবার।
যেখানে দারিদ্রসীমার অবস্থা এমন হবে যে, যাকাত নেওয়ার জন্য খুঁজে খুঁজে লোক পাওয়া যাবেনা।
.
এইজন্যেই যারা সমাজে ন্যায়বিচার চায় না, চায় অপরাধ করে পার পেতে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে দরিদ্র রেখে অল্পতে শ্রম কিনে টাকার পাহাড় গড়তে, নেশা করতে, ব্যাবিচার করে, দুর্নীতি করতে, চায় নারীকে অবাদে ভোগ করতে- তারাই ইসলামের বিরুদ্ধে লাগে(!) কথা বলে, আঙ্গুল তোলে।
বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৬৫০ কোটি মানুষ বসবাস করছে( কমবেশি হতে পারে)। বেশিরভাগ মানুষেরই কোন না কোন ধর্ম বিশ্বাস রয়েছে। পৃথিবীতে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপরই রয়েছে ইসলাম ধর্মের অবস্থান। এরপর অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের অবস্থান। ধর্মীয় অনুসারির সংখ্যার দিক থেকে খ্রিস্টান ধর্ম এক নাম্বারে হলেও ধর্ম মানা ও ধর্ম চর্চার দিক থেকে ইসলাম এক নম্বরে অবস্থান করছে।
রেনেসাঁর যুগে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে খ্রিষ্টান ধর্ম ও পাদ্রীদের অবস্থান খর্ব হওয়ার পর খ্রিস্টান ধর্মের তৎপরতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। পরবর্তীতে জনগণের নিকট খ্রিস্টান ধর্ম পালন করাটা একটি ঐচ্ছিক বিষয় পরিণত হয়েছে। সাধারণ তারা তাদের ধর্ম নিয়ে মাতামাতি কিংবা গভীরভাবে চর্চা করে না তাই এটা নিয়ে তাদের সাথে নাস্তিকদের তেমন কোন বাঁধাবাঁধিও নেই। এবার হিন্দু ধর্মের কথা যদি বলি, হিন্দুদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ আর পবিত্র গ্রন্থ হল বেদ। নিম্নশ্রেণির হিন্দুদের বেদ স্পর্শ করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধুমাত্র পুরোহিতরাই স্পর্শ করতে পারে ও এটা পড়ার অনুমতি রয়েছে। নিম্ন শ্রেণীর হিন্দুরা যেহেতু এটা পড়তে পারে না তাই এর জ্ঞান সম্পর্কে অধিকাংশই জানে না। তাই অধিকাংশ সময় হিন্দুরা বিতর্ক এড়িয়ে চলে।
এবার আসি আসল কথায়, নাস্তিকরা কেন মুসলমানদের প্রতি এত বেশি বিদ্বেষী? আগেই বলেছি ধর্মচর্চার দিক থেকে এক নম্বরে রয়েছে ইসলাম। বিশ্বে প্রায় প্রতিটি মুসলিম কমবেশি কুরআন ও হাদীস চর্চা করেন। আর এসব নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু বলেছেন যে তোমরা যদি একটি আয়াতও জানো তাহলে সেটা অপরের কাছে পৌঁছে দাও। তাই সুযোগ পেলেই মুসলমানরা সেই কাজটাই করে। নাস্তিকরা যেহেতু আমাদের আশেপাশে থাকেন তাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুসলমানদের সাথে নাস্তিকদের তর্ক-বিতর্ক ভাব বিনিময় একটি নিত্যনৈমিত্তিক সাধারন বিষয়। অন্য ধর্মের অনুসারীরা বিতর্ক এড়িয়ে নাস্তিকদেরকে ছাড় দিয়ে চলার নীতি গ্রহণ করলেও মুসলমানরা সেটা করে না। এসব কারণেই হয়তো নাস্তিকরা মুসলিম আর ইসলামের প্রতি এত বিদ্বেষী হয়ে থাকেন।
ইসলামই হচ্ছে আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম। আর শয়তান আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছে সে মানুষকে তার থেকে দূরে রাখবে। এবার ইসলাম যদি আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম হয় তাহলে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের উপর কে ভর করে সেটা তো বোঝাই যায়!
কেউ কেউ বলে মানুষ বিজ্ঞান পড়ে মানুষ নাস্তিক হয়,
লোকমুখে শুনে, আন্দাজে কোন ধারনা করবেন না। বিশ্বের ইতিহাসে কেউ কোনদিন বিজ্ঞান পড়ে নাস্তিক হয়নি। যে নাস্তিক হয়, সে এমনিতেই নাস্তিক। বিজ্ঞান পড়ুক বা না পড়ুক ; সে এমনিতেই নাস্তিক। কারো নাস্তিক হবার সাথে বিজ্ঞান পড়ার কোন সম্পর্ক নেই। অনেকের ধারনা, নাস্তিকতা এক ধরনের অনুধাবন। বিজ্ঞান পড়তে পড়তে একসময় কারো মনে হয় - আল্লাহ বলে কিছু নেই। এমন অনুধাবনের পরে একজন নাস্তিক হয়।আদতে এই লিখা যে আমি লিখছি আমিও একজন বিজ্ঞানের ছাত্র, চিকিৎসা আমার পেশা। তাইলে তো সবার আগে আমি নাস্তিক হওয়ার কথা, কিন্তু আমি যতই বিজ্ঞান পড়ছি ততই সৃষ্টি করৃতার অস্তিত্ব খেঁজে পাচ্ছি। বরং যত নাস্তিক তৈরী হয় মানবিক ও কলা বিভাগে পড়েই হয়। নাস্তিকদের ৯৮% বিজ্ঞানে ছাত্র নয়। আপনি সারা দুনিয়ায় মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলোতে নাস্তিক খোঁজে রের করতে আপনার মাইক্রোস্কোপ লাগবে।
নাস্তিকতার ব্যাপারে মানুষের এই ধারনাটা সম্পুর্ন ভুল। নাস্তিকতা কোন অনুধাবন নয়। নাস্তিকতা হলো ইচ্ছা করে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করা। নাস্তিকতা হলো একটা গভীর বিশ্বাস। মনে রাখবেন - নাস্তিকরা ইচ্ছা করেই অস্বীকার করে। ইচ্ছা করে সৃষ্টিকর্তা অস্বীকার করলেও, নাস্তিকরা বিজ্ঞানের অজুহাত দেয়।
নাস্তিকরা যে বিজ্ঞানের অজুহাত দেয়, সেটা বুঝতে বিজ্ঞান-মনস্ক লোকজন দেখুন। দেশের যত বিজ্ঞান-মনস্ক নাস্তিক আছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন - কোন বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন? উত্তরে জানবেন, তারা সাহিত্য, শিল্পকলা, চারুকলা, ইতিহাস, সমাজ-কল্যান, ইত্যাদি লেখাপড়া করেছে। যারা নিজেকে বিজ্ঞানমনস্ক দাবী করে, তাদের মধ্যে একজনও বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেনি। বিজ্ঞান পড়ে বিজ্ঞান-মনস্ক হওয়া যায় না।
বিজ্ঞান পড়ে বিজ্ঞান মনস্ক হয় না। বিজ্ঞান পড়ে কেউ নাস্তিক হয় না। যেসব বিজ্ঞান জানা মানুষ নাস্তিক হয়েছে, তারা ইচ্ছা করেই সৃষ্টি কর্তাকে অস্বীকার করে। ওই অস্বীকার করার পেছনে বিজ্ঞানের কোন ভুমিকা নেই।
নাস্তিকদের ব্যাপারে ইসলামে কি বলা আছেঃ
কোরআনের ভুমিকা হলো সুরা ফাতিহা। ফাতিহা কথাটির অর্থ প্রারম্ভিকা (শুরু)। পরবর্তি সুরা বাকারা থেকেই কোরআনের মুল আলোচনা শুরু হয়েছে। সুরা বাকারার ৬-৭ নম্বর লাইনঃ
- নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য বরাবর, তারা ঈমান আনবে না (সুরা বাকারা -৬)।
- خَتَمَ اللّٰهُ عَلٰى قُلُوْبِهِمْ وَ عَلٰى سَمْعِهِمْ ؕ وَ عَلٰۤى اَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ ٘ وَّ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِیْمٌ۠
- আল্লাহ তাদের হৃদয়ে ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন। এবং তাদের চোখের ওপর আবরণ পড়ে গেছে। তারা কঠিন শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। (সুরা বাকারা - ৭)।
যারা সতর্কতার পরেও অস্বীকার করবে। যাদের চোখ, কান, অন্তর সবই বন্ধ হয়ে আছে। হ্যাঁ, ওরা হলো সেই নাস্তিক যারা ইচ্ছা করে অস্বীকার করে, বিজ্ঞানের অজুহাত দেয়।
লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ