expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেওবন্দী আলেমদের যে ভুল আজও ভারতের মুসলমানদের রক্ত ঝরায়

 "দেওবন্দী আলেমদের যে ভুল আজও ভারতের মুসলমানদের রক্ত ঝরায়"



এখানে আপনাদের দেখাব দেওবন্দী আলেমদের কোন ভুলে আজও ভারতের মুসলমানরা এত নির্যাতিত হচ্ছে।

১। ভারত বর্ষের স্বাধীনতার পূর্বক্ষনে যখন মুসলিম নেতারা দেখল যে ভারতীয় কংগ্রেসের নিকট মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং হিন্দুরা আমাদের বোকা বানাচ্ছে তখন সকল মুসলমান স্কলার মুসলিম লীগ গঠন করে এবং মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র দাবী করে পাকিস্তান আন্দোলন শুরু করে। যদিও প্রথমেই অনেক আলেম পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা অনুমান করতে পেরেছিল আর তাই পাকিস্তান রাষ্টের বিরোধীতা করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে বৃহৎ স্বার্থের কথা ভেবে মোটামুটি সকল আলেম (একমাত্র দেওবন্দ বাদে) আপাতত পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন কিন্তু দেওবন্দ আলেমরা মুসলিম লীগে যোগদান না করে গান্ধী জী, বল্লভ ভাই পাতিল প্রমুখদের সাথে হিন্দু নেতৃত্বের জোট কংগ্রেসে যোগদান করে অখন্ড ভারত মাতার আন্দোলনে কাজ শুরু করে।

২। বরং তৎকালে যেসকল মুসলিম নেতারা পাকিস্তান আন্দোলনের পক্ষে কথা বলত তাদেরকে মানুষের নিকট বিভিন্ন ফতোয়া বানে জর্জরিত করে মুসলমানদের বিরাট একটা অংশকে বিভ্রান্ত করে ফেলে।( প্রমানের লিংক [[https://www.facebook.com/1608506651/posts/10225100179484142/?app=fbl](https://www.facebook.com/1608506651/posts/10225100179484142/?app=fbl))]

৩। যদিও এখনও দেওবন্দ ও তার সারগেদরা বলে যে তারা বস্তুবাদী রাজনীতি করে না আদতে তারা এখনো হিন্দুদের নেতৃতত্বের কংগ্রেস রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন বটে, নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় একাট্টা।

৩। ঐ দিন যদি এই ওলামায়ে দেওবন্দ অখন্ড ভারত মাতা নামক মিথ্যা, জোৎচুরি ও কুফুরী আন্দোলনের পক্ষে কাজ না করত তাইলে হয়তো মুসলমানরা আরো বড় স্বাধীন ভুমি ব্রিটিশদের হতে নিজেদের জন্য আদায় করতে পারত এবং আরো বেশী মুসলমান নিরাপদ দেশ পেত আর আজকে বিজেপি'র এত অত্যাচার সহ্য করতে হত না।

৪। ভারতে আজ লক্ষ লক্ষ মুসলমান হিন্দুদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে কিন্তু এর বিরুদ্ধে ওলামায়ে দেওবন্দের অদ্যবধি কোন বক্তব্য আমরা এমনকি ভারতের মুসলমানরাও শোনতে পায়নি।

৫। গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের সময় এক হিন্দু দাঙ্গা কালীন মুসলমানের হাতে মারা যায়, আর এই সুযোগে গান্ধীজি সুকৌশলে উগ্র হিন্দুদেরকে মুসলমানদের উপর লেলিয়ে দেয়, আর হিন্দুরা বর্তমানে বিজেপির মত মুসলমানদের কচুকাটা শুরু করে কিন্তু তখনও ওলামায়ে দেওবন্দ এ জুলুমের প্রতিবাদ করে নি বরং কংগ্রেসের সাথে থেকে দিল্লীর মসজিদের ইমাম অখন্ড ভারতের দোহাই দিয়ে হিন্দু-মুসলিম একজাতি তত্ব নামক কুফুরী মতবাদের পক্ষে জুমার খুতবায় বক্তব্য দেয়।

৬। এখন আসেন গুজরাটের দাঙ্গার ব্যাপারে, ঐ দাঙ্গায় হাজার হাজার মুসলমানকে পুড়িয়ে মারলো, কিন্তু এদের জন্য প্রতিবাদ তো দূরের কথা, মায়া কান্নাটুকুও দেওবন্দ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।

৭। ভারতে এন.আর.সি ও নাগরিকত্ব আইনে  মুসলমানদের বাস্তু চ্যুত করার ব্যবস্থা করেছে, কিন্তু এ ব্যাপারেও তাদের কোন স্পষ্ট বক্তব্য আমরা শোনতে পাই নি।

৮। সম্প্রীতি ভারতে হিজাব আন্দোলন নিয়েও ওলামায়ে দেওবন্দ কোন প্রতিবাদ করেন নি।

৯। কাশ্মীরের উপর ভারত সরকার এমন কোন অত্যাচার নাই যে করে না, কাশ্মীরের সবাই মুসলমান হলেও ওলামায়ে দেওবন্দ তাদের জন্য একটি প্রতিবাদী বক্তব্যও প্রদান করে নি।

১০। বর্তমানে ভারতে অসম প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার গরু জবাই নিষিদ্ধ সহ মুসলমানদের বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে বাস্তুহারা করছে, কিন্তু এ ব্যাপারে দেওবন্দের ওলামাদের কোন প্রতিবাদ দূরে থাক বক্তব্য টুকুও দেয় নাই।

১১। যারা ইতিহাস পড়েন তারা জানেন যে ১৯৪৮ সালে ভারত মুসলমানদের স্বাধীন ও স্বার্বভৌম হায়দারাবাদ রাষ্ট্র হঠাৎ করে দখল করে নেয়। ঐদিন ৪০,০০০(চল্লিশ হাজার) মুসলমানকে মেরে ভারতীয় হানাদার বাহিনী হায়দরাবাদের নদীতে ফেলে দিয়েছিল(প্রমান দেখুন আমার লেখা ”উপ মহাদেশে হিন্দু ধর্মের ভীতিকর ইতিহাস ও আধুনিক ভারতের সম্রাজ্যবাদীতা, ১ম থেকে পর্ব ৮”)। যাদের মেরেছিল তাদের সবাই মুসলমান হলেও এই দেওবন্দীদের চোখে জল আসে নি, বরং ঐ খুনী কংগ্রেস সরকারের সাথে বহাল তবিয়্যতেই কংগ্রেসের অংগ সংগঠন হিসেবে চুপ ছিল, আজও আছে।( আমার লেখা "  উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের ভীতিকর ইতিহাস ও আধুনিক ভারতের সম্রাজ্যবাদিতা, ৬ষ্ঠ পর্ব নেটে সার্চ দিয়ে পড়লে ডকুমেন্টারী সহ দেখতে পাবেন)।

১২। জুনাগর ও আলীগড় নামেও দুটি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ স্বাধীন দেশ ভারত জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে, আর তখনো ঐ কংগ্রেসে অংগ সংগঠনই ছিল এই ওলামায়ে দেওবন্দ( কমেন্টে লিংক দেব, প্রমান দেখে নিবেন)।

১৩। বর্তমান বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত ইসলামী স্কলার ডা. জাকির নায়েককে ভারত সরকার সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে দেশ ছাড়া করে তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে, তিনি মুসলমান হলেও তার উপর করা অত্যাচারের প্রতিবাদতো দূরে থাক বরং ডা. নায়েককে আলেম নয়, ইহুদির দালাল ইত্যাদি কুফুরী ফতোয়া দিয়ে তাকে বিতর্কীত করার চেষ্টা করেছে এই দেওবন্দী আলেমগন।

আল্লাহ মুসলমানদেরকে মুনাফেক হতে হেফাজত করুক(আমীন)।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...