expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রকৃত বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী নিজামী নয় আওয়ামিলীগ, তাদের বিচার চাই

 প্রকৃত বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী নিজামী নয় আওয়ামিলীগ, তাদের বিচার চাই




শিরোনাম দেখে চোখ কপালে উঠলো? আসুন প্রমান দেই শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার কেস স্টাডি থেকে।
বুদ্ধিজীবী" ডা. আলিম চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে নাকি নিজামী জড়িত ছিলো। এই দাবীটা করেন আলিম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।

নিজামীর নামে যখন হাসিনার কোর্টে মামলা চলছিল তখন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী স্বাক্ষ্য নিজামীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয়।

শ্যামলী দাবী করে আল বদরের লোকজন পরিচয় ঢাকতে মুখে কাপড় পরে তাদের বাসায় এসেছিল। কিন্তু শ্যামলী জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই তারা নিজেদের দলের নাম এবং দলের কমান্ডারের নাম বলে দেয়!প্রশ্ন হলো যে মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে আসবে সে আবার নিজের পরিচয় জানাতে গিয়েছিলো কেনো? ওরা কি এতই বোকা ছিলো? পাগলেও বিশ্বাস করবে?

শ্যামলী নাকি এই ঘটনা ৪০ বছর নানান মানুষকে বলেছেন কিন্তু কেউ নাকি নিজামীর ভয়ে এটা পাবলিকলি বলে নাই।এমন কি ১৯৯৬-২০০১ সময়ে আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীনও। হাহা হা,আর কত হাসাবি হাসু?

শ্যামলী এই ঘটনা নিয়ে বইও নাকি লিখেছে। কিন্তু সেই বইয়েও নিজামীর নাম নেয় নি। দোষ দিয়েছেন ডা. আলিমের বন্ধু মাওলানা মান্নানকে।

যখন শ্যামলীকে জিজ্ঞেস করা হয় যে কেন নিজামীর নাম সে বইয়ে প্রথমে উল্লেখ করে নাই, তখন শ্যামলী উত্তর দেয়, লেখার বিষয়বস্তু যেহেতু তার স্বামী ছিল তাই সে নিজামীর প্রসঙ্গ আনে নাই। আরেকবার বলে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় প্রকাশক নিজামীর নাম বাদ দিয়ে দেয়।

তখন আইনজীবীরা দেখায় এক্সে বইটার দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৯৬ সালে আসে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। শ্যামলী কোন উত্তর দিতে পারে নাই।জারন ঘটনাটাই মিথ্যা।

এরপর শ্যামলী দাবী করে সে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নাকি নিজামীর ইনভলভমেন্টের ব্যাপারে বলেছেন। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তার কোর্টের জবানবন্দীতে বলে শ্যামলী তাকে এই ব্যাপারে কিছুই জানায় নাই।

এরপর শ্যামলীকে জিজ্ঞেস করা হয় নিজামী আল বদরের কমান্ডার এটা শ্যামলী কিভাবে জানলো। শ্যামলী জানায় যে দৈনিক সংগ্রামে সে পড়েছে ১৯৭১ সালে।

সরকার কোর্টে ১৯৭১ সালের দৈনিক সংগ্রামের সব কপি জমা দিয়েছিল। কিন্তু ঘেঁটে দেখা যায় কোথাও আল বদর কমান্ডার হিসাবে নিজামীর উল্লেখ নাই।তবুও শ্যামলীদের কথায় নিজামী আলবদর হয়ে যায়।

 এই স্বাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করেই হাসিনার কোর্ট রায় দেয় যে নিজামী বুদ্ধিজীবী হত্যার মাস্টারমাইন্ড। এই স্বাক্ষ্যের ওপর ভিত্তিতে মাওলানা নিজামীর ফাঁসি হয়।

কোর্ট শ্যামলীর কথাকে বিশ্বাস করেছে কেন জানেন? কারণ শ্যামলী একজন সম্মানিত ব্যক্তি, তাই তিনি মিথ্যা বলছেন এটা বিশ্বাসযোগ্য না! উনি যেহেতু বলেছেন যে সংগ্রামে আল বদরপ্রান্তর  কমান্ডার হিসাবে নিজামীর নাম এসেছে তাই এসেছে। কোন পেপার কাটিং পর্যন্ত জমা দেওয়ার দরকার নাই। শ্যামলী নাসরিন বললেই হবে-

"The P.W. 13 [Shamoly Nasrin Chowdhury] is a most respectable person of the society. We find no reason to disbelieve her. We accept her evidence that during the Liberation War in 1971 news were published in different newspapers mentioning the accused appellant Motiur Rahman Nizami as leader/commander of Al-Badr Bahini."

শ্যামলী নাসরিন গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের সমর্থন করেছেন। তার মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী গণতন্ত্রহীনতার জাস্টিফিকেশন দিয়েছেন।

অথচ স্বাধীন দেশে আমরা নিজামী হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারছি না। একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টপ রেজাল্ট করা পলিটিশিয়ানকে মেরে ফেলল শ্যামলী-নুজহাতরা এটা কি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড না?

যারা আজও নিজামী হত্যাকাণ্ডের পক্ষে আছেন, তারা যেন জেনে রাখেন কালকে হয়ত তাদের শত্রুরাও এরকম মিথ্যাচারের মাধ্যমে তাদের হত্যা করতে পারে।

আমাদের লড়াইটা শুধু হাসিনার বিরুদ্ধে না। খুনী মিথ্যুক শ্যামলী-নুজহাতদের বিরুদ্ধেও। হাসিনা পালালেও শ্যামলী-নুজহাতরা পালায় নাই। আমাদের লড়াইও তাই জারি আছে।

আজ ১৪ই ডিসেম্বর শ্যামলী-নুজহাতদের শাস্তি না চাইলে আমরা কোনদিন বাংলাদেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারব না। আলীম চৌধুরীর যেমন বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। নিজামীরও আছে। আলীম চৌধুরী ডাক্তার এ জন্য সে বুদ্ধিজীবী আর নিজামী ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র ছিল,ডাকসুর নেতা ছিলো সে জন্য তিনি বুদ্ধিজীবী না তাই তাকে অপবাদ দিয়ে মেরে ফেলা জায়েজ এমন মনোভাব নিয়ে তো জাতি হিসাবে আমরা আগাতে পারব না।

তাই আওয়ামিলীগ সরকারের বুদ্ধিজীবি হত্যার বিচার চাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...