"হাদীসে আছে ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নাই,মেডিকেল সান্স বলে ছোঁয়াচে রোগ আছে, তাইলে নাস্তিকদের দাবী কি সত্য না ইসলাম সত্য?
![]() |
ইসলামে ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব |
এই প্রশ্নের জবাব পেতে চলুন আগে দেখি ছোঁয়াচে রোগ কি।
সংক্রমন/ রোগ আক্রান্তের কারনের উপর ভিত্তি করে রোগকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়।
১। কমিউনিকেবল ডিজিজ,
২। নন কমিউনিকেবল ডিজিজ।
এই কমিউনিকেবল রোগের মধ্যে একটা রোগ হলো ছেয়াচে রোগ বা সংক্রমন ব্যাধি।
এবার আসুন সংক্রমন ব্যাধি কি জানি।
সংক্রমন ব্যাধি হল যে সকল রোগ কোন জীবানু যেমন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি দ্বারা সৃষ্টি হয় তাকে বলে সংক্রমন ব্যাধি।
এই সংক্রমন ব্যাধি গুলোর একটি অংশ হলো যা কখনোই এক রোগী হতে অন্য মানুষে ছড়ায় না। যেমন লিভার এবসেস(Liver abscess)।
আরেক ধরনের সংক্রমন রোগ আছে যেগুলো একজন হতে অন্য জনে ছড়ায়। যেমন করোনা ভাইরাস(Covid-19)।
তাইলে ছোঁয়াচে রোগ বলতে বুঝা গেল যে সকল রোগের জীবানু একজন হতে অন্য জনে ছড়ায় তাকেই ছেঁয়াচে রোগ বলে। মনে রাখবেন ছোঁয়াচে রোগের জীবানু এক রোগী হতে অন্য সুস্থ মানুষের শরীরে গেলেই যে রোগ হবে এমনটা নয়, এমন হলে গ্রামে একজনের জ্বর হলে সবারই জ্বর হত, কিন্তু আমাদের এমনটা হয় না।
আসলে সংক্রমিত হলেই কার শরীরের রোগের উপস্বর্গ দেখা দেবে আর দেখা দেবে না তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারেন না তবে চিকিৎসকরা কিছু কিছু অবস্থার কথা বলতে পারে যে মানুষের শরীরের অমুক অমুক অবস্থা হলে বেশী আক্রান্ত হবে তবে কে বেশী আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হবে তা কেউ বলতে পারে না আল্লাহ ছাড়া।
এখানে বুঝা গেল কারো শরীরে কোন জীবানু ঢুকে পড়লেই সকলের রোগ তৈরী হবে জিনিসটা এমন নয়, মানে হলো রোগ জীবানুর সব গুলোই সমান পরিমান রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। এখানে দেখা গেল কার রোগ হবে আর হবে না তা প্রকৃতিই ভাল জানে।
এবার চলুন ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে ইসলাম কি বলে শুনি তার পর নাস্তিকদের জবাবটা দেব।
ছোঁয়াচে রোগের ব্যাপারে আমরা দুই প্রকার হাদীস পাই। প্রথম প্রকার হলো সংক্রমন ব্যাধি গুলো নিয়েঃ
(১) রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে পালাও, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে পালাও’ (বুখারী, হা/৫৭০৭)।
(২) রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘রোগাক্রান্ত উটপালের মালিক (অসুস্থ উটগুলোকে) সুস্থ উটপালের মালিকের (উটের) ধারে কাছে আনবে না’ (মুসলিম, হা/২২২১)।
(৩) নবী করীম (সাঃ) আরো বলেন, ‘যখন তোমরা কোনো অঞ্চলে প্লেগের প্রাদুর্ভাব শুনতে পাও, তখন তোমরা সেখানে যেও না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান করো, সেখানে প্লেগের বিস্তার ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না’ (বুখারী, হা/৩৪৭৩; মুসলিম, হা/২২১৮)।
দ্বিতীয় প্রকার হলো সংক্রমন হয়না এমন প্রকার হাদীস:
(১) রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘রোগের কোনো সংক্রমণ নেই’…। তখন এক বেদুঈন বলে উঠলেন , হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে উটের এ দশা কেন হয়? যখন সে চারণভূমিতে থাকে, তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল। এমতাবস্থায় তাদের সাথে চর্মরোগা উট এসে মিশে তাদেরকেও চর্মরোগা বানিয়ে ফেলে। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘আচ্ছা, তাহলে প্রথম উটটির চর্মরোগ কোথা হতে এসেছিল?’ (বুখারী, হা/৫৭১৭; মুসলিম, হা/২২২০)।
(২) রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোনো কিছুই অন্য কিছুকে সংক্রমণ করতে পারে না’।… (তিরমিযী, হা/২১৪৩, ছহীহ)।
এখানে বুঝার জন্য দুই প্রকার হাদীস একত্রিত করলাম।
তাইলে সচেতন পাঠকগন অবশ্যই বুঝতে পারছন যে চিকিৎসা বিজ্ঞান উভয় প্রকার হাদীসকেই সমর্থন করে। কিন্তু একচোখা দাজ্জালের বংশধর নাস্তিক নামক শয়তান গুলো শুধু একটি হাদীসকেই দেখিয়ে তা মিথ্যা প্রমানের ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ছুঁইলেই কেউ সংক্রমিত হবে একথা চিকিৎসাবিজ্ঞান বলেনি। বরং নাক, মুখ, চোখ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভাইরাস ভেতরে গেলে সংক্রমিত হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এটাও বলছে যে, কারো দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলেও সংক্রমণ বা উপসর্গ নাও ঘটাতে পারে। ইসলাম অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব জীবন ব্যবস্থার নাম নয়। সে কারণে আমরা দেখতে পাই, যে পাত্রে কুকুর মুখ দেয়, তা রাসূল (ছাঃ) ৭ বার ধুতে বলেছেন, যার প্রথম বার হবে মাটি দিয়ে (মুসলিম, হা/২০৮)।
রাসূল (ছাঃ) পেশাব-পায়খানা করার পর হাত মাটিতে ঘষে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে বলেছেন (মুসলিম, হা/৫১০)।
ঘুম থেকে উঠার পর হাতকে আলাদাভাবে না ধোয়া পর্যন্ত তিনি তা পানির পাত্রে চুবাতে নিষেধ করেছেন (বুখারী, হা/১৬২)।
পরিচ্ছন্নতার এরকম আরো বহু নির্দেশনা ইসলামে রয়েছে। সুতরাং ইসলাম ছোঁয়াচে রোগকে কখনোই অস্বীকার করে না।
এবার দেখুন আলেমদের কথাঃ
বিভিন্ন কারণে উপরে বর্নিত হাদিস গুলি বাহ্যিকভাবে স্ববিরোধী মনে হলেও আসলে কুরআন-হাদীছের বক্তব্য কখনই পরস্পর বিরোধী নয়।
তাহলে বাহ্যতঃ
পরস্পর বিরোধী উপর্যুক্ত হাদীছগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন হবে কীভাবে? এগুলোর মর্মার্থই বা কী? এ ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে বহু মতভেদ থাকলেও এখানে উল্লেখযোগ্য দু’টি মত তুলে করা হলো:
(১) একদল আলেমের মতে, ‘ছোঁয়াচে রোগ নেই’ এটা আকীদা ও ঈমানের অংশ। মানুষের বিশ্বাস অনুযায়ী যে রোগ ছোঁয়াচে, তাতে আক্রান্ত ব্যক্তি, প্রাণী বা এলাকা থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা যেসব হাদীছে এসেছে, সেগুলোর ব্যাখ্যায় তারা বলেন, ‘ছোঁয়াচে রোগ নেই’ এই বিশ্বাসকে ঠিক রাখার জন্যই এসব হাদীছে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কারণ কোনো সুস্থ ব্যক্তি ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি, প্রাণী বা এলাকায় যাওয়ার ফলে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তাক্বদীর অনুযায়ী সে যদি রোগাক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে তার এই চিন্তা আসতে পারে যে, এই ব্যক্তি, প্রাণী বা এলাকায় আসার কারণে সে আক্রান্ত হয়েছে, না আসলে হতো না। এই ধরনের বিশ্বাস তাক্বদীরের প্রতি তার ঈমানকে নষ্ট করে দেয়। ফলে মানুষের অন্তরে যেন এই ধরনের দুর্বল আক্বীদা জন্মাতে না পারে সে লক্ষ্যেই মূলতঃ হাদীছগুলোতে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এই শ্রেণীর আলেমের মতে, যাদের ঈমান ও আল্লাহর ভরসা এতো মযবুত যে, তারা ছোঁয়াচে রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে যদি অসুস্থও হয়ে যায়, তবুও তাদের অন্তরে সরিষা পরিমাণ সন্দেহ তৈরী হবে না যে, এই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারণে সে আক্রান্ত হয়েছে; বরং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস কাজ করবে যে, তাক্বদীরে ছিলো বলেই আল্লাহর ইচ্ছায় সে আক্রান্ত হয়েছে। আল্লাহর উপর মযবুত ভরসাকারীরা প্রয়োজন পড়লে ছোঁয়াচে আক্রান্ত ব্যক্তি, প্রাণী ও এলাকায় যেতে পারে বলে তারা মনে করেন।
(২) আরেক দল আলেমের মত হচ্ছে, ‘রোগের কোনো সংক্রমণ নেই’- একথা বলে নবী (ছাঃ) কিছুতেই ছোঁয়াচে রোগের অস্তিত্ব অস্বীকার করেননি। বরং জাহিলী আরবদের ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাসের অপনোদন করতে চেয়েছেন। জাহিলী যুগে আরবদের ধারণা ছিলো, রোগ নিজে নিজেই অন্য দেহে সংক্রমণ করে। সংক্রমণের পেছনে যে মহান আল্লাহর কোনো ইচ্ছা ও শক্তি আছে, তা তারা মনেই করতো না। এক্ষেত্রে তারা তাকদীরকে অস্বীকার করতো, মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতো না। সম্পূর্ণ বস্তুবাদী এ ভ্রান্ত বিশ্বাসের অপনোদনকল্পেই নবী (ছাঃ) উক্ত উক্তি করেছেন। অতএব, ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ নেই মানে ছোঁয়াচে রোগের নিজস্ব কোনো শক্তি ও প্রভাব নেই। প্রথম উটটি যেমন কারো ছোঁয়া ছাড়া কেবল আল্লাহর ইচ্ছাতেই আক্রান্ত হয়েছিলো, তার সংস্পর্শে আসা অন্য উটও তেমনি কেবল আল্লাহর ইচ্ছাতেই আক্রান্ত হতে পারে। সে কারণে ছোঁয়াচে রোগীর সংস্পর্শে গেলে কেউ আক্রান্ত হতে পারে, আবার কেউ নাও হতে পারে। আল্লাহ চাইলে সংক্রমিত হবে আর না চাইলে হবে না।
একটা বিষয় পরিস্কার যে হাদীস গুলো পরস্পর পরস্পরের বিরোধী না বরং এক প্রকার হাদীস হলো নন কমিউনিকেবল রোগের জন্য আরেক প্রকার হাদীস ছোঁয়াচে রোগের জন্য। কেউ প্রথম প্রকার হাদীস পড়ার পড় দ্বিতীয় প্রকার হাদীস গুলো অস্বীকার করা যেমন মূর্খতা তেমনি দ্বিতীয় প্রকার হাদীস পড়ার পর প্রথম প্রকার হাদীস অস্বীকার করাও বড় ধরনের গোঁড়ামি বটে। আল্লাহ সকল আলেম ও মুসলমানকে যেন সঠিক বুঝদান করেন সে দোয়াই করি।
এবার নাস্তিক গুলার বিষয়ে কিছু কথা বলি। নাস্তিকরা নিজেকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী মনে করে এবং নিজেদের বাদে সবাইকে মূর্খ মনে করে আর নিজেরা বিশ্বাসীদের নিয়ে সারাক্ষন ট্রোলড করে। তারা নিজেরা যা দেখে না, যা বুঝে না অথবা বিজ্ঞান দ্বারা যা ব্যাখ্যা করতে পারে না তার অস্তিত্ব মানে না। এটা তাদের একটা বড় মূর্খতা।অথচ নাস্তিকদের ৯৮% লোকই বিজ্ঞানের ছাত্র হয় না।
আবার কোন নাস্তিককে যদি বলেন যে তুইযে তোর বাবার প্রকৃত সন্তান তার ভিত্তি কি? উত্তরে বলবে আমার মা ই প্রমান, তখন বলে না যে কোন নাস্তিক তার মাকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে না, এখানে বিনা প্রমানেই নাস্তিকরা মায়ের কথা বিশ্বাস করে অথচ বলে আমরা না দেখে কারো কথা বিশ্বাস করি না,যদিও ডিএনএ পরীক্ষা দ্বারা পিতৃত্ব প্রমান সম্ভব। কিন্তু সারা দুনিয়ায় একজন নাস্তিকও দেখাতে পারবে না কেউ যে তার মায়ের কথায় অন্ধ বিশ্বাস না করে তাদের পিতৃত্ব পরীক্ষা করেছে কখনো। আসলে তারা স্ববিরোধী মিথ্যুক।
নাস্তিকদেী নিকট আমার কয়েকটি প্রশ্ন,
ক. বলেন তো আমাবস্যা কিংবা পূর্নিমায় মানুষের শরীর যে ব্যাথা করে কেন করে তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?
খ. ধানের প্রাথমিক শীষে যে সোনা প্রবেশ করে যা প্রবেশ না করলে ধান চিটা হয় তার মেকানিজম আপনার বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারবে?
গ. শুক্রানু-ডিম্বানু মিলে জাইগোট গঠনের সময় কোন শুক্রাণুটা ডিম্বানুতে প্রবেশ করবে এবং একটি অনির্দিষ্ট শুক্রানু প্রবেশের পর কিভাবে এবং কেন ডিম্বানুর প্রাচীর চিরস্থায়ী অভেদ্য হয়ে যায় তা আপনার বিজ্ঞানীরা বলতে পারবে?
যদি আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর না হয় তবে আপনাদের জ্ঞান অসমাপ্ত মানে অন্ধের হাতি দেখার মতই, খমোখা অহঙ্কার করবেন না। আপনারা অন্ধ, কিছু জ্ঞান দিয়ে মহাজ্ঞানকে অস্বীকার করছেন।
শেষ কথাঃ
(১) ইসলামের বক্তব্যসমূহ পরস্পর বিরোধী নয়।
(২) ছোঁয়াচে রোগ মানে ছুঁলেই হবে এমনটা নয়। এটা না ইসলাম বলে, না বিজ্ঞান বলে।
(৩) ইসলাম অবৈজ্ঞানিক ও অবাস্তব জীবন ব্যবস্থার নাম নয়।
(৪) ইসলামে ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক ব্যাধি প্রমাণিত, তবে তার নিজস্ব কোনো শক্তি ও প্রভাব নেই। এটা রোগ ছড়ানোর একটা কারণ মাত্র।
(৫) মহান আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছুই ঘটে না। সেজন্য তার উপর মযবূত ঈমান ও অগাধ তাওয়াক্কুলই ইসলামে মুখ্য বিষয়।
(৬) ছোঁয়াচে রোগ মহান আল্লাহর সৃষ্টি। মহান আল্লাহ চাইলে এর মাধ্যমে কাউকে আক্রান্ত করবেন এর স্পর্শ ছাড়া বা স্পর্শ দ্বারা আর না চাইলে আক্রান্ত করবেন না শরীরে ভাইরাস প্রবেশের পরও।
(৭) ইসলামে শুধু অসতর্কতাও নিন্দনীয়। সতর্কতাবিহীন আল্লাহভরসাও নিন্দনীয়।
তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসের দুর্বলতা আনতে পারে এমন কথা ও বিশ্বাসও নিন্দনীয়।
সুতরাং সবগুলোর সমন্বয় থাকতে হবে। যেমন থাকবে সতর্কতা, তেমন থাকবে আল্লাহভরসা, তেমন থাকবে তাকদীরে বিশ্বাস। ফলে ইসলামী নির্দেশনার পরিপন্থী নয় এমন সকল উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।
(৮) জাহিলীযুগের মানুষের মতো নিরেট বস্তুবাদী চিন্তা-চেতনা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরী।
(সমাপ্ত)
ডা.বশির আহাম্মদ, চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ