expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মুসলমান ও মাদখালীদের আকীদার ৫২টি সুস্পষ্ট পার্থক্য

 "মুসলমান ও মাদখালীদের আকীদার ৫২টি সুস্পষ্ট  পার্থক্য"



১. মাদখলিরা কালেমা তাইয়্যেবা অস্বীকার করে:
সারা পৃথিবীর মানুষ কালিমার মধ্যে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে এক করে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে দুই ভাই বানিয়ে ফেলেছে।(তথ্যসূত্র-ইসলামের মূলমন্ত্র কালিমা তয়্যেবাহ লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, পৃষ্ঠা-৯, লেখক-আব্দুল্লাহ ফারুক বিন আব্দুর রহমান)।

★মুসলমানেরা কালেমা তাইয়েবা পবিত্র ও শাহাদা বাক্য মনে করে                                                                                               

২. মাদখলিরা শাহাদা বাক্যকে অপবিত্র মনে করে:
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ এটা কোন পবিত্র বাক্য নয়।(কালিমার মর্মকথা, পৃষ্ঠা-৩১৮, লেখক আকরামুজ্জান বিন আব্দুস সালাম)। 

★মুসলমানেরা এই বাক্যকে পবিত্র মনে করে।                            

 ৩. মাদখালিরা মুসলমানদের ইহুদি মনে করে, বিশেষ করে হানাফি মাযহাবকে:
হানাফী ইহুদীদের অভ্যাস হল তারা কুরআনের মাঝে কম-বেশি করে কুরআনের হুকুম অস্বীকার করে। (মাসায়েলে গাইরে মুকল্লিদীন, পৃষ্ঠা-৪৭, লেখক-মাওলানা আবুবকর গাজিপুরী)। 

★মুসলমানেরা সকল মাযহাবের মুমিনদের সমান চোখে দেখে।

৪. মাদখালিরা নবীদের কবর জিয়ারত হারাম মনে করে:
কোন নবী বা অন্যকোন সৎ আমলকারীর কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা জায়েজ নেই। (দ্বীন ইসলামের জানা অজানা, পৃষ্ঠা-১১৯, লেখক-ড. ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ)।

★মুসলমানেরা হযরত মুহাম্মদ সা: এর রওয়াজা জিয়ারত করে।

৫.মাদখলিরা সাহাবাদের সত্যের মাপকাঠি মানে না, বেদা'তিনবলে গালি দেয়:

 “সাহাবাগণের (রা.) কথা দলীল স্বরূপ পেশ করা যাবে না।” এবং তাদের বুঝ নির্ভরযোগ্য নয়। (আর রাওজাতুল নাদীয়া- পৃ.১/১৪১] [আর রাওজাতুল নাদীয়া-পৃ.১/১৫৪, লেখক-নবাব সিদ্দীক হাসান খান)

★মুসলমানেরা সাহাবাগনকে সত্যের মাপকাঠি মনে করে।

৬.মাদখালিরা সাহাবাদের কথা প্রমান যোগ্য মনে করে না:
 “সাহাবীদের কথা প্রমাণযোগ্য নয়”।( ফাতাওয়ায়ে নজীরিয়া-পৃ.১/৩৪০, লেখক মিয়া নজীর হুসাইন দেহলবী)

★মুসলমানেরা সাহাবাগনের কথাকে আমল যোগ্য দলিল মনে করেন।

৭.মাদখালিরা সাহাবাগনকে ফাসেকও মনে করে(নাউজুবিল্লাহ):
 “সাহাবাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক ফাসেক্বও ছিল, যেমন-ওয়ালিদ, তেমনি ভাবে মুয়াবিয়া, উমর, মুগীরা ও সামুরা (রা.) প্রমুখ সম্বন্ধেও অনুরূপ বলা যেতে পারে ”। (নুযুলুল আবরার, পৃ.২/৯৪, লেখক-নবাব ওহীদুজ্জামান খান)।

★মুসলমানেরা সাহাবা গনকে সন্মান করে।                    

৮. মাদখলিরা তাক্বলীদকে শয়তানের কাজ মনে করে:
“তাক্বলীদ হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য শয়তানের সৃষ্ট বিভ্রান্তি।(কাটহুজ্জাতীর জওয়াব, পৃ.৮৩, লেখক- মাও. আবু তাহের বর্দ্ধমানী)।

★মুসলমানেরা শরীয়ত বুঝার জন্য তাক্বলীদ করে, তবে অন্ধ অনুকরন করে না।                                                                                                                                                            

 ৯. তাকলীদ কারীকে মাদখলিরা মুসলমান মনে করে না:
”মুক্বাল্লিদগণকে মুসলমান মনে করা উচিত নয়।(তাওহীদী এটম বোম, পৃ.১৫, লেখক- মাওলানা আব্দুল মান্নান সিরাজনগরী,বগুড়া)। 

★মুসলমানেরা দ্বীন বুঝার জন্য তাক্বলীদ করে। 

১০.মাযহাবীদের ওহাবীরা ইসলাম হতে বহিষ্কৃত মনে করে:
“মাযহাবীগণ ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত, তাদের মধ্যে ইসলামের কোন অংশ নেই।(তাম্বিহুল গাফেলীন, আব্দুল কাদির রচিত পৃ.৭)

★মুসলমানেরা সকল মাযহাবকে সমান মনে করে ও সন্মান করে। 


১১.মাদখালিরা চার ইমামকে মুশরক কাফের মনে করে:
”চার ইমামের মুক্বাল্লেদ এবং চার তরিকার অনুসারীগণ মুশরিক ও কাফির।(ইতেছামুস সুন্নাহ পৃ.৭-৮, লেখক- মাও. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদী)   

 ★মুসলমানেরা চার ইমামকে ইসালমের শরিয়তে ব্যাখ্যা দাতা মনে করে।                                                                                           

১২.মাদখালিরা টুপী পড়াকে সুন্নাত মনে করে না:
পাঞ্জাবী, টুপি এগুলো সুন্নতী পোশাক নয় বরং ভিক্ষা বৃত্তির পোশাক। ইসলামে সুন্নতী পোশাক বলতে কোন পোশাক নেই। বরং প্রত্যেক দেশের প্রচলিত পোশাকই সুন্নতী পোশাক এবং যে পোশাক যার কাছে ভাল লাগে তাই সুন্নতী পোশাক তবে শর্ত হল উক্ত পোশাক দেখতে সুন্দর হতে হবে। টুপি পাগড়ী পড়লে সুন্দর লাগে এতটুকুই কিন্তু এগুলোকে সুন্নতী পোশাক বলা যাবে না। কেননা, পাগড়ি হল সুদান, আফগানিস্তান, ইরান আর ভারতের শিখদের পোশাক। এটা কোন সুন্নতী পোশাক নয়।(দ্বীন ইসলামের জানা অজানা, পৃ-২১২-২১৩, লেখক-ড. ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ)

★ মুসলিমরা টুপী পড়াকে সুন্নত মনে করে।

১৩. মাদখালিরা মাযহাবকে বিনা কারনে অমুসলিম মনে করে :
হানাফীরা রাসূল সাঃ এর তরীকা অনুযায়ী নামায আদায় করে না, কেননা তাদের ধর্ম ইসলাম নয় বরং হানাফী, তাদের প্রভু আল্লাহ নয় বরং আবূ হানীফা, তাদের নবী মুহাম্মদ নয় বরং উলামায়ে আহনাফ।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন, পৃ-৪৯, লেখক-মাওলানা আবু বকর গাজিপুরী)

★মুসলিমরা চার মাজহাবকেই সঠিক মনে করে।                                                                                                                                                

১৪. মাদখালিরা লা ইলাহা ইল্লা আবু হানীফা ওয়া উলামাউল আহনাফ আরবাবুন মিন দুনিল্লাহ বাক্যকে কালেমা মনে করে:
হানাফীরা যদিও যাহেরীভাবে কালেমা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” বলে কিন্তু তাদের আসল কালিমা হলো “লা ইলাহা ইল্লা আবু হানীফা ওয়া উলামাউল আহনাফ আরবাবুন মিন দুনিল্লাহ”।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন, পৃ-৪৯, লেখক-মাওলানা আবু বকর গাজিপুরী)।

★মুসলিমরা  এমন কালেমার কথা কখনোই শোনে নি।                                                 

১৫.মাদখালিরা সাহাবাদেরকে ফাসেক ৃনে করে:
সাহাবীদের মধ্যে আমর বিন আস, ওয়ালিদ বিন মুগীরা, মুআবিয়া বিন আবু সুফিয়ান, মুগীরা বিন শু’বাহ, সামুরা বিন জুন্দুব, এরা সকলেই ফাসেক ছিল। এদের নামের সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলা হারাম।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন, পৃ-৬০, লেখক-মাওলানা আবু বকর গাজিপুরী)। 

১৬.মাদখালিরা মাযহাব পন্থীদেরকে ইহুদি মনে করে:
 “ আহলে সুন্নাতের ইয়াহুদী হল রক্ষণশীল মাযহাবপন্থীরা, বিশেষতঃ কিছু হানাফী।(আদদেওবন্দিয়া , পৃ.৪৫০, লেখক শেখ সাইফুর রহমান) 

★ মুসলমানরা চার মাযহাবকেই সঠিক মনে করে।                   

১৭। মাদখালিরা মুসলমাদের মাসআলাকে কাফিরের ফতোয়া মনে করে:
“হানাফী মাযহাবের মাসআলা কাফির হিন্দুদের পঞ্চভ্রাতাদের মাসআলার চাইতেও জঘন্য-ঘৃণ্য। 
(তাওহীদী এটম বোম,পৃ. ৬৬, লেখক- মাও.আব্দুল মান্নান সিরাজনগরী (বগুড়া), অনুরূপ” আমি কেন মুসলিম হইলাম” সুজাউল হক, ৫-১৭)। 

★ মুসলমানরা আলেমদের ফতোয়াকে সন্মান করে।

১৮. মাদখালিরা হানাফি মাজহাবকে জাহান্নামি মনে করে:
মাযহাবীদের যুক্তির সন্ধান, বইয়ের লিখক মাও. আব্দুর রহমান লিখে- “ হানাফী মাযহাব ৭২টি জাহান্নামী দলের একটি দল।” (মাযহাবীদের যুক্তির সন্ধানে ভূমিকা)। 

★ মুসলমানরা সকল মাজহাবকেই জায়েজ মনে করে।         

১৯.মাদখালিরা ইমাম আবু হানিফার চরিত্র নিয়ে কুৎসা রটায়:
 মৌ. আব্দুল কাদের এবং কথিত নব মুসলিম সুজাউল হক লিখেছে-” আবু হানীফা মানুষের মন জয় এবং আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে হানীফা নামক সুন্দরী যুবতী মেয়েটির নাম অনুসারে মাযহাবের নামকরণ করেছে।(“তাম্বিহুল গাফেলীন” আঃ কাদির রচিত, পৃ. ১৯, সুজাউল হক নব মুসলিম রচিত “আমি কেন মুসলিম হইলাম” পৃ. ১৯) 

★ মুসলমানরা মাদখলিদের ঈমাম, কমনওয়েলথ ব্রিটিশ গোয়েন্দা ড হামফেরীর তৈরী আব্দুল ওহাব নযদিকে সফিয়া নাৃক নারীর সাথে জ্বপনা করেছে মর্মে প্রমান আছে বলে দাবি করে।

২০. মাদখলিরা হানাফিদের মুরদাত মনে করে:
“আমি কেন মুসলিম হইলাম” বইয়ের লিখক সুজাউল হক নব মুসলিম, হানাফী ছিলেন। লা-মাযহাবী মতবাদ অবলম্বন করতঃ উক্ত বিতর্কিত বই রচনা করে। এ বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল ইমাম আবু হানীফা ও হানাফী মাযহাবের প্রতি অপবাদ, অপপ্রচার ও কুৎসা রটানোর চুক্তিতেই লাগামহীনভাবে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করেছে। এ বইয়ের ৩,৪,৯ ও ১৩ পৃষ্ঠায় লিখেছে, হানাফীরা মুরতাদ, ৪ ও ৮ পৃষ্ঠায় লিখেছে- হানাফীরা নাস্তিক। ৫ও১৮নং পৃষ্ঠায় লিখেছে, হানাফীরা ধর্মের দালাল ও প্রতারক, ইমাম আবু হানীফা (রহ.) সম্বন্ধে উক্ত বইয়ের ১৭ পৃষ্ঠায় লিখেছে- “ ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, ইসলামদ্রোহী শত্রুদলসমূহের মধ্যে অন্যতম ইমাম আবু হানীফার নগ্ন ভূমিকার কুৎসিত ইতিহাস। 

★মুসলমানরা চার ইমামকেই সত্য মনে করে।


২১. মাদখালরা ফিকহ কে শয়তানি কাজ মনে করে:

প্রমান:
 “ইমাম আবু হানীফা ও ফিক্বহের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানীফা এক নয় কারণ ফিক্বহের উদ্দেশ্য সৎ ছিল না, ফিক্বহের উদ্দেশ্য হলো মানুষের শয়তানী ইচ্ছাকে পূর্ণ করা এবং সরকারী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের রায়কে বাস্তবায়িত করা।(ইমাম আবু হানীফ বনাম আবু হানীফা, পৃষ্ঠা-২, লেখক- মাওলানা আব্দুর রউফ, আমীর আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম)।

★ মুসলমানরা ফিকহ কে শরীয়তের ব্যাখ্যা মনে করে।

২২.মাদখালিরা ঈমাম আবু হানিফাকে বেইমান মনে করে:

প্রমান:
 কথিত মাওলানা আব্দুর রউফ সাহেব তার “ইমাম আবু হানীফা বনাম আবু হানীফা” নামক বইয়ের ৭ম পৃষ্ঠায় লিখেছে- “ আবু হানীফা বে-ঈমান হয়ে মারা গেছে” , ৮ম পৃষ্ঠায় লিখেছে-” ইমাম আবু হানীফা কাফির হয়ে মারা গেছে”, ১০ম পৃষ্ঠায় লিখেছে- “মুসলিম জাতির মধ্যে আবু হানীফার চাইতে বড় সর্বনাশা সন্তান আর কোনটি জন্মায়নি।” একই পৃষ্ঠায় আরো লিখে-” ইসলামের প্রতি আবু হানীফার কোন শ্রদ্ধাই ছিল না"।

★মুসলমানরা ঈমাম আবু হানিফাকে ঈমানূার মনে করে।

২৩. মাদখলিরা মুসলমানদেরকে হাদিস অস্বীকার কারী মনে করে:

প্রমান:
“পর্যালোচনা ও চ্যালেঞ্জ” নামে আকরামুজ্জান বিন আব্দুস সালাম বাইতুল মুকাররমের সম্মানিত খতীব উবায়দুল হক রহঃ এর ব্যাপারে চরম বিষোদগার করে। ৩য় পৃষ্ঠায় লিখেছে, তাক্বলীদপন্থীরা হাদীস অবলম্বন ছাড়া যা ইচ্ছা তা-ই বলে। ৬ষ্ট পৃষ্ঠায় লিখেছে, খতীব সাহেবের উক্ত বক্তব্য হাদীস অস্বীকারকারীদের কথারই সাদৃশ্য। ১৩নং পৃষ্ঠায় লিখেছে, বল্গাহীনতা ও দলীল প্রমাণের বালাই না থাকার কারণে হানাফী মাযহাবের লোক সংখ্যা বেশী।” 

★ মুসলমানরা হাদিস মানে।                                           

২৪. মাদখলিরা কাফেরের ঈমামতিতে নামাজ পড়া জায়েজ মনে করে:

প্রমান:
কাফের ব্যক্তির ইমামতিতে মুসলমানের নামায সহীহ হয়ে যাবে। এমনকি কাফের ব্যক্তি যদি বলেও আমি কাফের তবুও নামায হয়ে যাবে।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৩৮২, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)। 

★ মুসলমানরা কাফেরের ঈমামতিতে নামাজ পড়া হারাম মনে করে।

২৫. মাদখালিরা মহিলাদের ঈমামতিতে নামাজ পড়া জায়েজ মনে করে:

প্রমান:
মহিলারা পুরুষের ইমামতী করতে পারবে।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৩০৯, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)।

★মুসলমানরা মহিলার ঈমামতিতে নামাজ ও মারী নেতৃত্বকে হারাম মনে করে।

২৬. মাদখলিরা তাবলীগ জামায়াতকে বাতিল বলে:

প্রমান:
তাবলীগ জামাত শিরক জনিত আক্বীদার জালে আবদ্ধ এক ফেরকা, এদের নিসাবী কিতাব কুরআন ও সহীহ হাদীস পরিপন্থী জাল ও জঈফ হাদীসে ভরপুর। তাবলীগী নিসাবের কিতাবে জাল হাদীস ও কিচ্ছা কাহিনী এবং বিভিন্ন শিরকি কথা ছাড়া আর কিছুই নেই। কুরআন ও সহীহ হাদীসের দু একটা থাকলেও তা অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। (সহীহ আক্বীদার মানদন্ডে তাবলীগী নিসাব-লেখক মুরাদ বিন আমজাদ)। 

তাবলীগ জামায়াত নিয়ে মুসলমানদের বাড়াবাড়িও নাই, ছাড়াছাড়িও নাই।

২৭. মাদখলিরা কথিত আহলে হাদিস ছাড়া বাকী সব মুসলমানদের বাতিল মনে করে:
পৃথিবীতে যত মাযহাব আছে এদের মধ্যে আহলে হাদীসই সঠিক পথ প্রাপ্ত বাকি সব মাযহাব জাহান্নামী একথা সুষ্পষ্ট সুতরাং আহলে হাদীসের জন্য ওয়াজিব হলো ঐ সমস্ত বাতিল ফেরক্বার সাথে চলাফেরা, লেনদেন এবং ধর্মীয় সম্পর্ক বর্জন কর। এমনকি তাদের পিছনে নামায পড়বে না, তাদের জানাযায় শরীক হবে না, তাদের সালাম দিবে না, তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেবে না এবং তাদের মেয়ে আনবেও না। (মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৫১২, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)।

★মুসলমানরা এমন কোন আজগুবী মতবাদে বিশ্বাস করে না।

২৮.মাদখালিরা হানাফি মাজহাবের অনুসারীদের কাফির মনে করে:

প্রমান:
হানাফীরা শরীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কাফির,.সুতরাং আহলে হাদীসের জন্য তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া তাদের মেয়ে বিয়ে করা হারাম। (মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৫১২, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)। 

★ মুসলমানরা কোন মাজহাবের অনুসারীকেই কাফের মনে করে না।

২৯. মাদখলিরা কালেমা তাইয়েবা অস্বীকার কারী:

প্রমান:
প্রচলিত কালিমা তাইয়্যিবাহ তথা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ভুল। (মাযহাবীদের গুপ্তধন-৩৩, লেখক- মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম.)।

★ মুসলমানরা কালেমা তাইয়্যেবা শাহাদা বাক্য ও ঈমানের ভিত্তি মনে করে।

৩০. মাদখলিরা ইজমাকে হারাম মনে করে:

প্রমাণ:
হানাফী মাযহাবের আলেম/ওলামাগণের ইজমা একমত  মান্য করা হলে তারা বিদআত হানাফী মাযহাব পালনকারী জনগণ বিদআতী কাজ করে চলেছেন তাদের পরিণাম জাহান্নাম। (ফিক্বহে ইসলাম বনাম দ্বীন ইসলাম-১৭৯, লেখক- ইঞ্জিনিয়ার শামসু)।

★মুসলমানরা ইজমাকে জায়েজ মনে করে।


৩১,মাদখলিরা রাম চন্দ্র,লক্ষন,কিশান জী, ঝারাতুশত গৌতম বুদ্ধকে তারা নবী মানে:

প্রমান:
আহলে হাদীস আলেম ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী তার হাদইয়াতুল মাহদী কিতাবে লিখেছে,আমাদের জন্য অন্যান্য নবীদের নবুওয়াত অস্বীকার করা উচিৎ নয়, যাদের কথা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়নি, কিন্তু তাওয়াতুর বা অসংখ্য লোকের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, তারা নেককার নবী ছিলো; যদিও এসব বর্ণনাকারী কাফের হয়। যেমন, হিন্দুদের রামচন্দ্র, লক্ষণ, কিশান জী, পারস্যের ঝারাতুশত, চীন ও জাপানের গৌতম বুদ্ধ ও কনফুসিয়াস। গ্রিকদের সক্রেটিস, পিথাগোরাস (এরা সবাই নবী ছিলো)। (হাদইয়াতুল মাহদী, পৃ.৮৫, মাতবুয়া শাওকাতুল ইসলাম, বেঙ্গলোর)।

★ মুসলমানরা এসকল ব্যক্তিকে নবী মানে না যেহেতু তাদের নবী হওয়ার বিষয়ে দলিল প্রমান নাই।

৩২.মাদখালীরা হারাম প্রানীর রক্ত পাক মনে করে:

প্রমান:
হায়েজ নেফাসের রক্ত ছাড়া মানুষ ও সকল প্রাণীর রক্ত পাক।(দলীলুত তালেব-২৩০, বুদুরুল আহিল্লাহ-১৮,উরফুল জাদী-১০)       

★ মুসলমানরা হারাম প্রানীর রক্ত নাপাক মনে করে।

৩৩।  মাদখালিরা ব্যবসায়িক মাল ছাড়া কোন সম্পদের যাকাত দেয় না:

প্রমান:

ব্যবসায়িক সম্পদে কোন জাকাত নেই। (বুদুরুল আহিল্লাহ-১০২)।

★ মুসলমান রা নির্দিষ্ট পরিমান সম্পদের বেশী হলো সলক সম্পদের যাকাত দেওয়া বাধ্যতামূলক মনে করে।

৩৪.মাদখালিরা সুদকে হালাল মনে করে:

প্রমান:
 হাদীসে বর্ণিত ছয়টি বস্তু ছাড়া বাকি সকল বস্তুতে সুদ নেয়া জায়েজ। (দলীলুত তালেব, উরফুল জাদী, আল বুনয়ানুল মারসূস, বুদূরুল আহিল্লাহ ইত্যাদি গ্রন্থ)। 

★ মুসলমানরা সকল প্রকার সুদকেই হারাম মনে করে।                                                        

৩৫.মাদখলিরা নাপাক অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করে:

প্রমান:
গোসল ছাড়াই নাপাক ব্যক্তি কুরআন কারীম স্পর্শ করা, উঠানো, রাখা, হাত লাগানো জায়েজ। (দলীলুত
তালেব-২৫২, উরফুল জাদী, আল বুনইয়ানুল মারসূস)।

★ মুসলমানরা অপবিত্র অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করা জায়েজ মনে করে না।

৩৬. স্বর্নের যাকাত মাদখালিরা দেয় না:

প্রমান:
স্বর্ণ রোপার অলংকারে যাকাত আবশ্যক নয়। (বুদুরুল আহিল্লাহ-১০১)।

★মুসলমানরা স্বর্ন ও রৌপ্যের যাকাত দেয়।

৩৭. মাদখালিরা মদকে পবিত্র বস্তু মনে করে:

প্রমান:
মদ নাপাক ও অপবিত্র নয়, বরং তা পাক। (বুদূরুল আহিল্লাহ-১৫, দলীলুত তালেব-৪০৪, উরফুরজাদী-২৪৫)।

★ মুসলমানরা মদকে নাপাক ও হারাম বস্তু মনে করে।

৩৮. মাদখালিরা সুদকে জায়েজ মনে করে:

প্রমান:
স্বর্ণ রোপার অলংকারে কোন সূদ নেই। তাই যেভাবে ইচ্ছে কম- বেশি করে তা ক্রয়- বিক্রয় জায়েজ। (দলীলুত তালেব-৫৭৫)।

★মুসলমানরা সর্বাবস্থায় সুদকে হারাম মনে করে।

৩৯. মাদখালিরা মানুষের বীর্যকে পাক মনে করে, খেতে চাইলে খাওয়াও জায়েজ মনে করে(ওয়াক** ওয়াক*** থু থু.....)।

প্রমান:
মানুষের বীর্য পাক। (বুদূরুল আহিল্লাহ-১৫), আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফে মদ পাক, আপনি রুচি হলে খেতে পারেন মর্মে বক্তব্য।

★মুসলমানরা মানুষের বীর্যকে নাপাক বস্তু মনে করে।

৪০ -মাদখালিরা সূর্য মাথার উপর থাকা অবস্থায় নামাজ পড়াকে জায়েজ মনে করে:

প্রমান:
সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ার আগেই জুমআর নামায পড়া জায়েজ। (বুদূরুল আহিল্লাহ-৭১)।

★ মুসলমানরা এই সময়ে নামাজ পড়াকে হারাম মনে করে।


৪১-মাদখালিরা জুমা'র নামাজের জন্য জামা'ত জরুরী মনে করে না;

প্রমান:
জুমআর নামাযের জন্য জামাত হওয়া জরুরী নয়। যদি দুইজন ব্যক্তিও হয়, তাহলে একজন খুতবা পড়বে, তারপর উভয়ে মিলে জুমআর নামায পড়ে নিবে। (বুদূরুল আহিল্লাহ-৭২)।

★মুসলমানরা জুমা'র নামাজের জন্য জামায়াত জরুরি মনে করে।

৪২-  মাদখালিরা জুমা'র খুতবায় খোলাফায়ে রাশেদার নাম নেওয়া  জরুরী মনে করে না;

প্রমান:
“জুমার খুতবায় খোলাফায়ে রাশেদার নাম নেয়া বিদয়াত।” (নাউযুবিল্লাহ) ।(আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদিয়াতুল মাহদি‘ পুস্তকের ১১০ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানরা জুমা'র খুদবায় খোলাফায়ের রাশেদার নাম নিতে সমস্যা মনে করে না।

৪৩-মাদখালিরা সকল সাহাবাদেরকে অসন্মান করে;

প্রমান:
“খোলাফায়ে রাশেদা অর্থাৎ হযরত আবু বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান এবং হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) উনারা শরীয়তের খেলাফ হুকুম জারি করতেন।” (নাউযুবিল্লাহ)। ‘(তানবীরুল আফা-ক‘ পুস্তকের ১০৭ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানরা সাহাবাদেরকে আকাশের তারা মনে করে।

৪৪-মাদখালিরা হযরত ব্আলী(রা:) কে মুরদাত মনে করে(নাউজুবিল্লাহ);

প্রমান:
“হযরত আয়েশা (রা) আলীর সাথে যুদ্ধ করে মুরতাদ হয়ে গেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ)।‘(কাশফুল হিজাব‘ পুস্তকের ২১ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানরা সকল সহাবাদের সমান সন্মান করে।

৪৫- মাদখালিরা মূলত; শীয়াদের অনুসারী;

প্রমান:
 “আইম্মায়ে ইছনা আশারা যারা শীয়াদের ইমাম, আমরা তাদের অনুসারী।‘(হাদিয়াতুল মাহদি‘ পুস্তকের ১০৩ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানরা নিজেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারী মনে করে।

৪৬- মাদখালিরা মনে করে হযরত উমর(রা:) কোরআন বিকৃত করেছেন(নাউজুবিল্লাহ);

প্রমান:
“হযরত উমর কুরআনের হুকুম পরিবর্তন করে ফেলেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ) । (‘তানবীরুল আফা-ক‘ পুস্তকের ৪৯৮-৪৯৯ নং পৃষ্ঠা)

★ মুসলমানেরা কোরআনকে অবিকৃত কিতাব মনে করেন।

৪৭-মাদখালিরা অপবিত্র অবস্থায় কোরআন স্পর্শ করে;

প্রমান:
 ‘দলীলুত ত্বলিব‘ পুস্তকের ৫২ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ।” (নাউযুবিল্লাহ) ।

★ মুসলমানেরা অযু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করে না।

৪৮- মাদখলিরা সমস্ত জানোয়ারের পেশাব পবিত্র মনে করে;

প্রমান:
“সমস্ত জানোয়ার তথা জন্তুর পেশাব পবিত্র।” (নাউযুবিল্লাহ)। (‘বদূরুল আহিল্লাহ‘ পুস্তকের ১৪-১৫ নং পৃষ্ঠা).

★ মুসলমানেরা সকল প্রকার জীবের পেশাবকে নাপাক মনে করে।

৪৯-মাদখলিরা অপবিত্র কাপড় নওয়ে নামাজ পড়াকে সহীহ মনে করে;

প্রমান:
“নামাযের জন্য কাপড় পাক হওয়া জুরুরি নয়।” (নাউযুবিল্লাহ)।(‘দলীলুত ত্বালিব‘ পুস্তকের ২৬৪ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানেরা শরীর ও কাপড়ের পবির্তা নামাজের পূর্ব শর্ত মনে করে।

৫০-মাদখালিরা মহিলাদের মুয়াজ্জেন হওয়া জায়েজ মনে করে;

প্রমান:
“মহিলাও মুয়াজ্জিন হতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)। (‘হাদিয়াতুল মাহদি‘ পুস্তকের ২৩ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানেরা মহিলাদের কন্ঠের পর্দা আছে বলে মনে করে এবং মহিলাদের মুয়াজ্জেন হওয়া নাজায়েজ মনে করে।

৫১। মাদখলিরা ১ পশুতে ১০০ লোক শরীকদার হয়ে কোরন্বানিমকরা জায়েজ মনে করে;

প্রমান:
“এক বকরীতে ১০০ মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানি হতে পারে।” (নাউযুবিল্লাহ)।( ‘বদূরুল আহিল্লাহ‘ পুস্তকের ৩৯১ নং পৃষ্ঠা)।

★মুসলমানেরা এরকম মনে করে না।

৫২।মাদখালিরা একই সময়ে একজন পুরুষ যতটি ইচ্ছা বিয়ে করতে পারে বলে ফতোয়া দেয়;

প্রমান:
 “পুরুষ একই সময় যত ইচ্ছে বিয়ে করতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)।‘যফরুল কাযী‘ পুস্তকের ১৪১, ‘উরুফুল জাবী‘ পুস্তকের ১১৫ নং পৃষ্ঠা)।

★ মুসলমানরা ৪ টির বেশী বিয়ে জায়েজ মনে করে না।

উল্লেখিত মতবাদ - আকিদা দ্বারা পুরোপুরিভাবে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মাযহাবের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডাকারী ও আহলে হক্বের সাথে আলোচনার টেবিলে যোগদানে অস্বীকারকারী ক্রমাগত পালিয়ে বেড়ানো আহলে হাদিস নামধারি কথিত ছহিহ হাদিসের অনুসারীরা মূলত ইয়াহুদীদের মদদপুষ্ট শীয়াদেরই একটি অঙ্গ সংগঠন।তাদের উদৃদেশ্যই হলো পর্যায়ক্রমে শীয়াদের পাল্লা ভারি করা। যা দেরিতে হলেও আজ দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার।

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা! 
সহিহ হাদিসের মোড়কে শীয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কথিত আহলে হাদিসদের এরকম হাজারো উল্টাপাল্টা ফতোয়াবাজির ডকুমেন্ট আমাদের নিকট রয়েছে। যা সুস্পষ্টভাবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ফেরকা শীয়া কুফফারদের সাথে মিল। আল্লাহ তায়ালা এ আখেরি যামানায় এ জাতীয় নতুন ফেরকাগুলো হতে আমাদের রক্ষা করুন, আমীন।

(সমাপ্ত)।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...