"মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ ও প্রতিকার"
প্রথমে কারণ সমূহ বলছিঃ
★ মুসলমানরা ধার্মিক হলেও জীবনে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ইনসাফ না থাকা।
★ মুসলমানদের মধ্য ধর্মীয় অনুভুতি না থাকা বা কমে যাওয়া।
★ ধর্মীয় নেতাদের মনের সংকীর্নতা ও স্বার্থপরতা।
★ আলেমদের মাঝে অহংকার ও অতিরিক্ত গোঁরামী।
★মুসলমানদের মাঝে সততার অভাব।
★মাযহাব-তরীকার ভিন্নতাকে প্রাধান্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যকার অনৈক্য সৃষ্টি।
★একজন নির্দিষ্ট ইসলামী নেতা কে,শায়েখকে বা নিজের পীরকে সঠিক মনে করে বাকীদের বাতিল মনে করা।
★ জায়োনিষ্টদের পাল্লায় পড়ে পশ্চিমা নগ্ন সাংস্কৃতির লোভে পরাশক্তির দালালী করা।
★আরবের ধনী দেশগুলোর বিলাসবহুল জীবন যাপন ও অনর্থক অপচয়।
★জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকা, মাদরসা গুলোকে বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে দূরে রাখা।
★প্রযুক্তিকে অধিক গুরুত্ব না দেওয়া, শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম না থাকা এবং মুসলমানরা মিডিয়া জগত থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা।
★নারীর প্রতি চরম আসক্তি ও নারীদের প্রতি যে ইসলাম অধিকার দিয়েছে তা থেকে ময়ের জাতিকে বঞ্চিত করা।
★জঙ্গিদের তান্ডব বুঝতে না পারা এবং ক্ষমতার লোভে মুসলিমদের সামরিক ও অর্থনৈতিক দিকে পিছিয়ে পড়া।
★ই*হু*দি*বাদের চক্রান্ত বুঝতে না পারা।
★ ক্ষমতা ও অর্থের লোভে সর্বোপরি অনৈক্য।
★ইসলামী চিন্তাবিদদের পরস্পরের হিংসা ও প্রকাশ্য হানাহানি।
★ শিয়া, বেরলভি'র, ব্রিটিশদের দালাল আহলে হাদিস,আহলে কোরআন,ঈসায়ী জামায়াত ও কাদিয়ানীদের বর্নচোরা ফেতনা ও ষড়যন্ত্র বুঝতে ও মোকাবেলা করতে সম্পূর্ন ব্যর্থ হওয়া।
★ সর্বোপরি মানব সৃষ্টির লক্ষ ও উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে ব্যর্থ হওয়া।
এই দূরাবস্থার প্রতিকার হতে পারে-
১। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৎ থাকা।
২।প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।
৩। সঠিক ইসলামী জ্ঞানার্জন ও সততাকে আঁকড়ে ধরা।
৪। জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে ও প্রতিটি স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা।
৫। মাযহাব-তরীকার ভিন্নতাজনিত কারণে বিরাজমান অনৈক্যের মাত্রা কমিয়ে আনা।
৬।'মুসলিম/ ইসলামী জাতিসংঘ' নামে মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণের জন্য ওআইসির চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও কার্যকরী আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তোলা।
৭। ৫৬-৫৮ টা মুসলিম দেশ থেকে বেছে বেছে সামরিক বাহিনীর সদস্য নিয়ে ন্যাটোর মতো একটা মুসলিম সামরিক জোট গঠন করা।
৮।মুসলিম দেশগুলোতে সামাজিক পর্যায়ে যাকাতের প্রচলন এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
৯। আরব ধনী দেশগুলো কর্তৃক দরিদ্র মুসলিম দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা অধিক হারে প্রদান করা।
১০। নিজ দেশে জ্ঞান-বিজ্ঞান,প্রযুক্তি এবং মানব-সম্পদ উন্নয়ন এই বিষয়গুলোতে মুসলিম দেশগুলোর সরকারকে অধিক গুরুত্ব দেয়া।
১১। পরাশক্তির প্রতি নির্ভরতা ও দাসত্বের মনোভাব কমিয়ে আনা।
১২। সামরিক উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
১৩। মুসলিম দেশগুলোতে সুদমুক্ত ব্যবসা ও লেনদেন চালুকরা।
১৪। বিশ্ব ব্যাংক এবং ডব্লিউটিও এর মতো শক্তিশালী বিশ্ব ইসলামী ব্যাংক ও মুসলিম ট্রেড অর্গানাইজেশন তৈরি করা।
১৫। জঙ্গিবাদ কে কঠোর হস্তে দমন করা।
১৬। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুসলিম দেশগুলো কর্তৃক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করতে হবে।
১৭। নিজস্ব শক্তিশালী প্রচার মিডিয়া করতে
হবে।
১৮। মোসাদের মত শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা থাকতে হবে।
১৯।।সবাই মিলে একজন নেতা নির্বাচিত করতে হবে যাকে সর্বোচ্চ পরামর্শদাতা ও সমন্বয়ক মনে করা হবে।
২০। সর্বোপরি বিশ্ব মুসলিম ভাতৃত্ব বৃদ্ধি করা।
সারা পৃথিবীতে ভুখন্ড বা সীমান্ত বিহীন মুসলমানদের একটি রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক,চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ