expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

কওমীরা মারাত্মক সাহাবা বিদ্বেষী

 "কওমীরা মারাত্মক সাহাবা বিদ্বেষী ও খতমে নব্যুয়ত অস্বীকার কারী"




কওমীরা জামায়াতকে সাহাবা বিদ্বেষী বলে গালি দেয় অথচ কওমীরাই সবচেয়ে বেশী সাহাবা বিদ্বেষী ও খতমে নব্যুয়ত অস্বীকার কারী।

★কওমী মাদরাসার জনক, দেওবন্ধ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কাশেম নানুতুবী তার তাহিয্যুনন্নাস নামক বইয়ের ৩য় ও ২২ তম পৃষ্ঠায় বলেছেন খতমে নব্যুয়ত মানে শেষ নবী এটা মূর্খ ও জাহেলদের ধারনা, আদতে খতমে মব্যুয়ত মানে প্রধান নবী, হযরত মুহাম্মদ সা: এর পর আরো ১০০০ নবী আসলেও খতমে নব্যুয়তের কোন ক্ষতি নাই।

★ কাশেম নানূতুবীর তিহিরুন্যাস বইয়ের রেফরেন্স দিয়েই তার সুযোগ্য শিষ্য গোলাম আহাম্মদ কাদিয়ানি নিজেকে নবী বলে দাবী করে।কাদিয়ানী নানূতুবীর ছাত্র ছিলো।

অথচ জামায়াতকে বলা হয় নবী বিদ্বেষী। 


আসল সাহাবা বিদ্ধেষী হলো কথিত কওমী চরমোনাই গোষ্ঠীরা। যারা সাহাবাদের আমল আনুসরন করে না। 

কথায় কথায় জামায়াতে ইসলামীর ভাইদেরকে কথিত চরমপন্থী কওমী চরমোনাই গোষ্ঠী সাহাবা বিদ্ধেষী বলে গালি দেয়। অথচ সাহাবাদের পক্ষে জামায়াতের ভাইদের চাইতে উত্তম আর কে আছে ? 

আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখুন, এদেশে আল্লামা সাঈদী থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার জামায়াতের আলেম রয়েছে। তারা ময়দানে কথা বলতেছে। তাদের একটা বক্তব্যও বের করতে পারবেন সাহাবাদের বিরুদ্ধে? পারবেন না । 

বরং জামায়াতে ইসলামীর সকল ভাইয়েরা সাহাবাদেরকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসে। তাদেরকে জান্নাতি মনে করে। 

অপরদিকে দেখুন, যারা জামায়াতে ইসলামীকে সাহাবা বিদ্বেষী বলে গালি দেয়,তাদের অসংখ্য সাহাবা বিদ্বেষী বক্তব্য নেট দুনিয়া এখনো ভাসছে। 

তাদের একজন 
★ চরমোনাইর ফয়জুল করীম - ওনি বলেছে, হযরত ওসমান রা. এর দূর্বলতা খেলাফত ধংসের অন্যতম কারন। 

★ফয়জুল করীম আরো বলেন "সাহাবারদের অনেকে নাকি মূরদাত হয়ে গেছে(নাউজুবিল্লাহ)।

★ফজু আরো বলে, হযরত আদম আ: কে নাকি দুনিয়াতে মল মূত্র ত্যাগ করতে পাঠানো হয়েছে। 

★ এরপরে রেজাউল করিম আবরার, ওনি বলেছে, আল্লাহ ইচ্ছা করে সাহাবাদের দিয়ে জেনা করিয়েছেন।(নাউজুবিল্লাহ)। 

★ এরপরে মাওলানা হাসান জামিল = ওনি বলেছেন, হযরত আবু বকরের চৌদ্দ গুষ্ঠির আমলের চাইতে ওনার আমল বেশি। 

নাউজুবিল্লাহ, 
অথচ এরাই জামায়াতে ইসলামীকে সাহাবা বিদ্ধেষী বলে গালি দেন। 

# দ্বিতীয় পয়েন্টে সাহাবাদের অনুসরণ এবং আমল লক্ষ্য করে দেখুন। 

এদেশে সব চাইতে বেশি সাহাবায়ে কেরামের অনুসরণ করে জামায়াতে ইসলামীর ভাইয়েরা। তারা প্রতিনিয়ত সাহাবাদের জীবনী পড়াশোনা করে এবং শিক্ষা নেয়। আপনি জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের বাড়ি খোজ করলে সাহাবাদের জিবনী তাদের ঘরে পাবেন। 

কারন, জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা প্রতিনিয়ত সাহাবাদের জীবনি পড়ে তদের মতো জীবন গড়তে উদ্ভুদ্ধ হয়। এবং সাহাবাদের জীবনি অনুসরণ করেই জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা ঘর ছাড়ে, বাড়ি ছাড়ে, জেলে যায়, রিমান্ডে যায়, ফাসির মঞ্চে যায়, শহীদ হয়। আলহামদুলিল্লাহ। 

এরপরে জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা, সাহাবাদের মতো আমল করে। সাহাবারা যা করছে, এগুলো তারাও করে। আর সাহাবারা যা করেনি, এগুলো তারাও করে না। 

যেমন, জামায়াত শিবিরের লোকেরা সাহাবাদের অনুসরণ করে। কারন, সাহাবারা এটা করেছে। 

* তারা জোরে আমিন বা আস্তে আমিন নিয়ে বারাবাড়ি করে না কারন, সাহাবারা অনেকে এমনটা করেছেন বলে প্রমান আছে।

* তারা তাবিজ ব্যবহার করে না। কারন, সাহাবারা এটা করে নাই। 

* তারা জিকিরের নামে লাফালাফি এস্ক ইল্লাল্লাহ জিকির ইত্যাদি করে না। কারন, সাহাবারা এগুলো করেন নাই। 

*জামায়াত কোন ধর্ম ব্যবসায়ীর নিকট মূরীদ হয় না, এটা সাহাবাগন করেন নি।

অপরদিকে তাকান যারা সাহাবীদের খুব ভক্ত বলে দাবি করে সেই কওমী চরমোনাইর দিকে। দেখুন তাদের সাহাবা বিদ্ধেষী আমল গুলো। 

১। সাহাবীরা রফিয়াদাইন করেছে। কিন্তু কওমী চরমোনাইরা করে না। বরং অন্যরা করলেও কটাক্ষ্য করে। 

২। সাহাবীরা জোরে আমিন বলেছে। অথচ ওরা বলে না। আর অন্যরা বললেও কটাক্ষ্য করে। 

৩। সাহাবীরা ইল্লাল্লাহ জিকির করেন নাই। অথচ ওরা করে। 

৪। সাহাবারা জিকিরের নামে এভাবে বাঁশে উঠে নি, গাছে উঠেনি, লাফায়নি, চুমাচুমি করে নি। অথচ ওরা এগুলো করে। 

৬। সাহাবীরা তাবিজ ব্যবহার করেন নি। অথচ ওরা করে। 

এভাবে লক্ষ্য করে দেখুন, সাহাবীদের ভালোবাসি বলে গলা ফাটানো কওমি চরমোনাই গোষ্ঠীরা সবচেয়ে বেশি সাহাবাদের বিরুদ্ধে আমল করে। আর যাদেরকে সাহাবা বিদ্ধেষী বলে গালি দেয়, সেই জামায়াতে ইসলামীই সর্বত্র সাহাবাদের অনুসরণ করে। সুবহানাল্লাহ। 

আমি বলি এই কওমী সম্প্রাদায়ই আদতে নবী-রাসূল ও সাহাবা বিদ্বেষী।

লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...