ধর্ম কি?
ধর্ম হল একাধিক অর্থবাচক একটি শব্দ; সাধারণত এটি দ্বারা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার একটি পরিসরকে বোঝায়, যার মধ্যে রয়েছে মনোনীত আচরণ ও অনুশীলন, নৈতিকতা, বিশ্বাস, বিশ্বদর্শন, পাঠ্য, পবিত্র স্থান, ভবিষ্যদ্বাণী, নীতিশাস্ত্র বা সংগঠন, যা সাধারণত মানবতাকে অতিপ্রাকৃত, অতীন্দ্রিয় ও আধ্যাত্মিক উপাদানের সাথে সম্পর্কিত করে—যদিও ধর্ম সুনির্দিষ্টভাবে কীসের সমন্বয়ে গঠিত হয় তা নিয়ে পণ্ডিতদের মাঝে কোনো ঐক্যমত নেই। তবে ভারতীয় দর্শনে, ধর্ম বলতে সাধারণত প্রাকৃতিক ও মহাজাগতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আইন, শৃঙ্খলা, আচরণ, নৈতিক গুণাবলি ও কর্তব্য, অনুশীলন এবং জীবনযাত্রাকে বোঝায়।বিভিন্ন ধর্মে ঐশ্বরিকতা, পবিত্রতা, আধ্
ধর্মীয় অনুশীলনের মধ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, উপদেশ, স্মরণ বা উপাসনা (দেবতা বা সাধুদের), বলিদান, উৎ
এবার আপনাদের আসলে নাস্তিকতা কি তার ধারনা দেই:
নাস্তিকতা মানে নিরিশ্বরবাদ, নাস্তিকতাবাদ যাকে ইংরেজিতে Atheism নামের একটি দর্শনের নাম যাতে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অস্
এই সংজ্ঞা গুলো হতেই বুঝা যায় নাস্তিকতার মানে তারা কোন সৃষ্টি কর্তা বা অলৌকিক সত্ত্বায় নাকি বিশ্বাস করে না, এই অলোকিক কোন নিয়ম কানুনও তারা বিশ্বাস করে না।
কিন্তু আমরা বাস্তবে কি দেখছি? তারা নাস্তিকতার নামে শুধু মাত্র নিরিশ্বরবাদ নামে যে দর্শনের কথা বলে তারা কি তাতেই সীমাবদ্ধ? আদতে মোটেই না। এদের কাজই হলো সৃষ্টি কর্তা ও ধর্মের বিরোধিতা করা।
আসুন নাস্তিকদের বৈশিষ্ট্য ও কার্যক্রম গুলো জেনে নিই:
১। তারা কোন ধর্মের ধার ধারে না।
২।সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী না, তারা স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমান চায়।
৩। তাদের কাজই হলো ধর্মের বিরোধিতা করা।
৪।তারা কোন জবাবদিহীতায় বিশ্বাসী নয়, তাই তারা কোন নীতি নৈতিকতার ধারধারে না।
৫। যুগে যুগে ধর্ম গুলোর বিরুদ্ধে যত যুদ্ধ করেছে সবই নাস্তিকরা করেছে, ওহুদ,বদর,মহা ভারত, ১ম ও ২য় বিশ্ব যুদ্ধ প্রায় সবগুলোই।
৬। আসলে এরা জীবনটা চালাতে চায় মনে যে ভাবে চায় সে ভাবে, হোক এটা বৈধ কিংবা অবৈধ উপায়ে। এ যেন রশি ছেড়া এক পাগলা গরুর দল। তাদের বৈধতা আর অবৈধতার কোনবমাপ কাঠি নাই।
নাস্তিকতার খারাপ প্রভাবঃ
১। যুগে যুগে নাস্তিকরা তাদের মনের ইচ্ছামত মানব সভ্যতাকে শোষন করার জন্য বিভিন্ন ধর্ম ও ধর্মের প্রচারকদের বাঁধা সৃষ্টি করেছে।
২। সমাজকে শোষনের জন্য যুগে যুগে সুদি অর্থ ব্যবস্থার মত জালেমদের অর্থনীতি তারাই চালু করেছে।
৩। দুনিয়ার যত অনৈতিকতা আছে তার সব কিছুই এই নাস্তিকরা প্রচলন করেছে যেমন, নগ্নতা ও অবাদ যৌনতা।
৫। দুনিয়ায় যত অবৈধ সন্তান আছে তার সবাই এই নাস্তিকদের সন্তান, কেননা তারা বিয়ে, সংসার প্রভৃতির ক্ষেত্রে কোন নীতি নৈতিকতা ও নিয়মের ধার ধারে না।
৬। দুনিয়ার সকল সভ্যতার ধ্বংশের মূলে আছে এই নাস্তিকরা, ট্রয় নগরী, সামূদ জাতি, লূত জাতির সবাই ধ্বংশ হয়েছিলো এই নাস্তিকদের অবৈধ যৌনাচার ও জুলুমের শাস্তি হিসাবে। নমরএদ,ফেরাুন, আবুজেহেল, হামান কারুন সবাই ছিলো নাস্তিক ও জালিম।
৭। যত বড় বড় যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে তার সব গুলোর সাথেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই নাস্তিকরাই ছিলো।
উপরের আলোচনা মনযোগ সহকারে যারা পড়েছেন তারা বুঝতেই পারছেন যে তারা নাস্তিকতার নামে আদতে কার স্বার্থ হাসিল করছে? আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে মকরম শয়তান আল্লাহর হুকুম অমান্যের মাধমে নাফরমানি করে লা'নত প্রাপ্ত হয়ে কি অঙ্গীকার করে ছিলো? শয়তান বলেছিলো যে মানুষকে সে খোদা বিরোধী করে তুলবে। শয়তান এই মর্মে শপথও করেছিলো বটে। আর বর্তমানে শয়তান এই নাস্তিকদের দিয়েই তার উদ্দেশ্য হাসিল করছে। খেয়াল করে দেখবেন ধর্ম গ্রন্থে উল্ল্যেখিত শয়তানের চরিত্রের সাথে নাস্তিকদের চরিত্রের হুবহু মিল।
তাইলে আল্লাহর অস্তিত্ব মেনে, তাকে স্বীকার পূর্বক মানব জীবন পরিচালনা করার নাম যদি ধার্মিকতা হয়, তাইলে আল্লাহর হুকুম ও অস্তিত্ব অস্বীকার করে শুধু শয়তানের অনুসরন করাও নিশ্চয়ই একটা ধর্ম। আর এ ধর্মের প্রবক্তা নাস্তিকদের গুরু মি: ইবলিশ।
এখন নাস্তিকরা বলবে আমরা কুসংস্কার বিশ্বাস করি না, আমি বলি বরং ওরাই বড় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্মের পালনকারী।
আসুন তাদের নিজেদের কুসংস্কারের প্রমান দেই। তারা বলে আমরা প্রমান ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করি না, বাস্তবে তার এর বিপরীত। তাদের প্রত্যেককে যদি জিজ্ঞেস করেন যে আপনি যেহেতু না দেখে কিছু বিশ্বাস করেন না, তাইলে আপনি যে আপনার মায়ের গর্বের পিতার বৈধ সন্তান তার প্রকৃত প্রমান কি আপনার কাছে আছে? সে বলবে মা-বাবার বিয়ের স্বক্ষীই প্রমান,কিন্তু যদি আবার বলেন আপনার মা তো আপনার মত নাস্তিক, তারা তো এক স্বামী, সংসার কিংবা বিয়েতে আদতে বিশ্বাসী নয়, যৌনতার বিষয়ে উদার, পশু পাখির মত যখন যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে প্রয়োজন মিটায়, তাইলে আপনার মা আপনার পিতার সাথেই যে বৈধ মিলনের ফলে আপনার জন্ম তা কি আপনি পরীক্ষা করে দেখেছেন? তখন তারা ক্ষেপে যাবে। আমার প্রশ্ন হলো নাস্তিকরা তো বিয়ে, যৌনতা ইত্যাদির বিষয়ে উদার এবং যেহেতু তারা ধর্মের কোন রীতি নীতি মানতে নারাজ সেহেতু তাদের সংবিধান কিংবা নীতিতে তো জন্মের বৈধতা কিংবা অবৈধতা বলতে কিছু নাই, তাইলে তাদেরকে জা*র*জ সন্তান প্রমান করলে ক্ষেপে যাবে কেনো? কেননা তারা তো কোন নারী এক পুরুষে আবদ্ধ থাকা, কোন পুরুষ এক নারীতে আবদ্ধ থাকা, বিয়ে ও পবিত্রতা ইত্যাদিতে বিশ্বাসী নয়, মানেও না, তাইলে তাদের সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে বৈধতা ও অবৈধতার কেনো প্রশ্ন আসে এবং কেনই বা এই প্রশ্নে বিরক্ত হয়?
দ্বিতীয়ত তারা মাহা বিশ্বের সৃষ্টি কর্তা আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করে এবং বিনা প্রমানে বিশ্বাস করেন না, কিন্তু তার সৃষ্টি কারী পিতা মাতার যৌন সঙ্গমের বৈধতা কিংবা তার পিতৃ পরিচয়ের বৈধতা কেনো বিনা প্রমানে তারা বিশ্বাস করে? এ পর্যন্ত দুনিয়া শুরু হতে আজ পর্যন্ত কোন নাস্তিককে দেখবেন না যে তার পিতৃ পরিচয়ের প্রমান চায় কিংবা কেউ পিতার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট করেছে কিংবা এই পরীক্ষা করতে রাজি হয়েছে,এমন কি তার পিতা মাতার কথা সন্দেহ প্রকাশ করেছে। দুনিয়ার সকল ক্ষেত্রেই তারা অন্যের কথা বিশ্বাস করলেও শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের বেলায়ই যত প্রশ্ন, আর এই প্রশ্ন গুলো হলো তাদের অবতার শয়তানের শিখানো প্রশ্ন। নাস্তিকরা জাতে মাতাল তালে তালে ঠিক। এজন্যই বলি নাস্তিকতা একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন, নৈতিকতা বিবর্জিত ভন্ডামীর ধর্ম।
আশা করি নাস্তিকদের আর কোন প্রশ্ন থাকার কথা না।
লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ