expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভারত বর্ষের মিথ্যুক আকাবীরদের অন্ধ অনুকরনই মুসলিমদের ধ্বংশের কারন"

 " ভারত বর্ষের মিথ্যুক আকাবীরদের অন্ধ অনুকরনই মুসলিমদের ধ্বংশের কারন"




কয়েকদিন যাবত দেওবন্ধী ঘরানার আলেম সমাজ ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থকদের মধ্যে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে আর এই বিতর্কের মূল কারন কওমী ঘরানার আলেম ও আকাবীরদের কর্তৃক মাওলানা মওদূদী সাহেবকে সাহাবা বিদ্বেষী মর্মে মিথ্যা তোহমত দেওয়া নিয়ে।

মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা তোহমত বিগত ৮৩ বছর যাবত এই কওমী ও দেওবন্ধী সম্প্রদায় দিয়ে আসছে। কিন্তু দেওবন্ধীদের মাওলানা মওদূদীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গুলো যে সর্ববৈ মিথ্যা তা কুমিল্লার ঐতিহাসিক আফতাব স্মরনিকা মামলায় প্রমানিত হয়েছে। সেখানে ৭ বছর যাবত ইসলামি ফাউন্ডেশন গবেষনা করে এই অভিযোগ গুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায় নিএবল সে সাথে কওমী আকাবীরদের আইনী ভাবে মিথ্যুক সাব্যস্ত করেছে। এতেই প্রমান হয় এই কওমী আকাবীররা আগাগোড়া মিথ্যায় জড়িত।

দেওবন্ধী আকাবীররা যে সর্ববৈ মিথ্যায় জড়িত তা একটু গোড়া হতে আলোচনা করলে সহজেই বোধগম্য হবে।

এই দেওবন্ধের প্রতিষ্ঠাতা কাশেম নানুতুবী হঠাৎ একদিন নাকি স্বপ্নে দেখেছেন যে আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) তাঁকে বলছেন তিনি যেন অমুক জায়গায় মাদরাসা করে, তাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে নাকি একটা ডালিম গাছের নীচে দাগ দিয়েছিলো, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সেই দাগ তিনি দেখেছেন। 

আচ্ছা, কোন সচেতন মানুষ এই স্বপ্নের কথা বিশ্বাস করবে? স্বপ্ন না হয় বিশ্বাস করলো, কিন্তু স্বপ্নে ছড়ি দিয়ে দাগ দেওয়া আবার সকালে তা হুবহু দেখতে পাওয়া এটাও বিশ্বাস যোগ্য? এতেই প্রমান হয় এই কাশেম নানুতুবী আকাবীর শুরুটাই মিথ্যা দিয়ে করেছেন।

নানুতুবী সাহেব তার এক বইয়ে লিখেছেন যা তার অনুসারীরা বিভিন্ন মাহফিলে বলে থাকেন যে হযরত মুহাম্মদ সা: নাকি নানুতুবী সাহেব হতে স্বপ্নে উর্দূ শিখেছেন।(নাউজুবিল্লাহ) 

কাশেম নানুতুবী বেঁচে থাকলে এই বেয়াদবকে আমি প্রশ্ন করতাম যে আপনি কি ওহী প্রাপ্ত হযরত মুহাম্মদ(সা:) এর চেয়ে জ্ঞানী যে আপনার কাছে উর্দূ শিখতে আসবে? হযরত মুহাম্মদ সা: তাঁর নবুয়তের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করে গেছেন, এখন আবার আপনার কাছে কেনো উর্দু শিখতে আসবে? আপনি কি ওহীর জ্ঞানের চেয়েও বেশী জ্ঞানী?

উপরের দুটি ঘটনা প্রমান করে যে নানুতুবীরা শুধু আগাগোড়া মিথ্যুকই ছিলো না, চরম আহাম্মক এবং বেয়াদব ও নবী বিদ্বেষীও ছিলো।

এবার আসেন এই কাশেম নানুতুবীর সারগেদরা কেনো এত মূর্খ হয় এবং গোঁয়ার হয়। এই কওমী -দেওবন্ধী অনুসারী কাশেম নানুতুবীর সারগেদদেরকে মাদরাসা গুলোতে এত এত সিলেবাস ভিত্তিক হিংসা ও আর গীবত পড়ানো হয় তারা ছোট বেলা হতেই ব্রেইন ওয়াশ হয়ে থাকে, যতই প্রমান দেন ততই তারা বিশ্বাস করতে রাজি না।

হযরত মুহাম্মদ সা: এর সাথে বেয়াদবী কারী নানুতুবীর সকল অনুসারীকে দেখবেন তারা যে মাওলানা মওদূদীর সমালোচনা করে তা মওদূদীর বই পড়ে সমালেচনা করে না, তারা তাদের আকাবীরদের লেখা বই হতে দেখে দেখে সমালোচনা করে, আকাবীরদের রেফারেন্স দেয়, কিন্তু হাতের কাছে থাকা মওদূদীর বই টা স্পর্শ করেও দেখে না তাদের আকাবীররা সত্য বলেছে না মিথ্যা বলেছে।

কওমী আকাবীররা যে ১০০% মিথ্যুক তা আফতাব স্মরনিকা মামলার রায় প্রমান করেছ। নানুতুবী সয়ং নিজে মিথ্যুক ছিলো এবং তার পরবর্তী জেনারেশনও নিজের স্বার্থে তার মত মিথ্যা কথা বলে থাকে তার প্রমানও আফতাব স্মরনিকা মামলার রায় প্রমান করে।

এই নানুতুবীরাই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ও অহংকার বজায় রাখার জন্য মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশের বিরোধীতা করে হিন্দু-মুসলিম একজাতি তত্ত্বের মত কুফুরী আকিদার জন্ম দাতা এবং তারাই মহাত্মা গান্ধীর হিন্দুত্ববাদি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে এখনও তাদের পা চাটছে এবং বলছে এটা নাকি রাজনৈতিক কৌশল। আমি বলি কৌশল নয়, নিজে বাঁচার ধান্ধা ও বাটপারি। 

নিজের লাভে প্রতিষ্ঠানে তৈরীর জন্য যারা মিথ্যা স্বপ্ন সাজাতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠত্ব দেখনোর জন্য যারা হযরত মুহাম্মদ সা: এর নামেও মিথ্যা তোহমত দিতে পারে তাদের জন্য যে কাউকেই নিজের স্বার্থে মিথ্যা তোহমত দিতে পারাটাই স্বাভাবিক।  কেননা তাদের জন্মটাই মিথ্যা দিয়ে।

তাদের এদেশীয় সারগেদ নির্লজ্জ ও দুশ্চরিত্র কওমী সম্প্রদায় যারা কিনা ছোট ছোট শিশু বাচ্চা গুলারে মাদরাসায় ব*লা*দ*কার করে তাদেরকে আর যেই যা বলুক আমি আলেম মানতে পারছি না।

আজ দুশ্চরিত্র কওমী সম্প্রদায়ের আলেম রেজাউল করিম আবরার ও রাস্তার মুফতি উসামা মওদূদীর লেখার সমালোচনা করে, বাহাস ডাকে, অথচ এই মুফতি গুলা কোন দিন মাওলানা মওদূদীর বই গুলো হাতে নিয়ে বসতে চায় না, তারা তাদের আকাবীরদের লেখা বই নিয়ে বসতে চায়। অথচ আফতাব স্মরনিকা মামলার রায় এই আকাবীরদেরকে আইনী ভাবে মিথ্যুক ঘোষনা দিয়েছে। তার পরও এই মূর্খ আলেম গুলা তাদের আকাবীরদের বই নিয়ে মওদূদীর লেখার সমালোচনা করে।

আর তাদের এই অন্ধ ভাবে আইনী ভাবে মিথ্যুক সাব্যস্ত আকাবীরদের অনুকরনের কারনে উম্মতের মধ্যে বিরাট বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে যা কিনা মুসলমানদের ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...