আমার আর খোমেনী এহসানের কথাই সত্য হচ্ছে
আমি সতর্ক করতাম আর পাঠকরা যাচাই না করেই গালিগালাজ করতেন,প্রমান চাইতেন, অথচ প্রমান দিলে দলের বড় ক্ষতি হতে পারে তাই প্রমান দিতাম না। আসেন কার কার বিষয়ে সতর্ক করতাম আর আপনারা কি কি গালিগালাজ করতেন তার প্রমান দিচ্ছি।
প্রথম যখন কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে জামায়াত-শিবিরের লোকজন সহ অনেক ইসলামিস্টরা প্রমোট করা শুরু করে তখন আমি সতর্ক করতাম তারা গালিগালাজ করত, কিন্তু এখন দেখুন এই বাঘা সিদ্দিকী বিড়ালের চামড়া গায়ে দিয়ে গর্তে লুকিয়ে গেল।
গোলাম মাওলা রনি যখন জামায়াতের পক্ষে একটু একটু কথা বলত তাকে নিয়ে যখন সতর্ক করতাম তখন কিছু না বুঝেই গালিগালাজ করত জামায়াত শিবিরের লোকেরা, এখন দেখেন সে নিজেই এক সময় আবার চরম জামায়াত বিরোধিতা শুরু করে, আর আমাকে যারা গালি গালাজ করত তারা এখন মুখে তালা দিয়েছে।
শায়েখ আহামাদুল্লাহ কে নিয়ে সতর্ক করেছিলাম ২০২৩ সালে, জামায়াত শিবিরের অনেক লোক আমার উপর গালাগালির বাক্স নিয়ে হামলে পড়ে ছিলেন, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রমান হলো আহামাদুল্লাহ মাদখালি চরম জামায়াত বিরোধী, অথচ এখনও অনেক জামায়াত-শিবিরের লোক এই আহামাদুল্লাহ মাদখালি তেলআবিবি শায়েখ কে প্রমোট করে আর আমাকে গালিগালাজ করে।
সময়ের সেরা বক্তা মিজান আজহারী, যুব সমাজের আইডল। কিন্তু সে কখনো ইক্বামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা কিংবা ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম নিয়ে কথা বলে না। আমি তখন তার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম, আমার কাছের লোকজন আমার সাথে বেঁকে বসে, একে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলে নাকি আমাকে তার সমর্থকরা মেরে ফেলবে। কিন্তু ৭ নভেম্বর হা*মা*.স-ইসরায়েল যুূ্দ্ধ শুরুর পর হঠাৎ আজহারী এক টুইট বার্তায় তার নিজের মুখোশ নিজেই খুলে দিলো, আমার আর প্রমান করা লাগে নি। কিন্তু আবেগী সমর্থকরা এখনও বুঝতে পারছে না যে প্যালেস্টাইনের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অর্থ হলো ইসরায়েলকে স্বীকার করা, অথচ ইসরায়েল আদতেই অবৈধ, কিন্তু মুসলমান স্কলারদের মুখ দিয়ে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের দাবী তুলতে পারলে তা বৈধতা পাবে সহজেই। এজন্যই ইসরায়েলিরা হাজার হাজার ইসলামিক স্কলার কিনে নিচ্ছে টাকার বিনিময়ে।কিন্তু জামায়াত-শিবির সহ এদেশের বেশির ভাগ ইসলামিস্ট গাধারা বুঝতেও পারছে না।
মাদখালিরা জামায়াতে প্রবেশ করে জামায়াতের ক্ষতি করছে,ওরা সরকারের দালাল, এ কথা বলার পর হতেই জামায়াতের লোকেরা এমন কোন গালিগালাজ নাই যা আমাকে করে নি। কিন্তু মাদখালি রহমতুল্লাহ এমপি যখন সংসদে ঘোষনা দিলো যে বাংলাদেশে ২কোটি আহলে হাদিসের ভোটার নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, অন্য দলকে তারা কখনও সমর্থন করে না তখন প্রমান হলো আমিই সঠিক ছিলাম।
মঞ্জু যখন দিগন্ত টিভির মডেলদের সাথে ডলাডলি করত তখন আমি ও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক এই বিষয়ে সতর্ক করা শুরু করলে উভয়কেই পাগল বলে গালিগালাজ শুরু করে, কিন্তু ২ বছর পরই তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়।
এখন আসুন মূল আলোচনায়। আমি বগুড়ার চেয়ারম্যান, আধুনিক প্রকাশনির মালিক, নূর মুহাম্মদ আবু তাহের ওরফে লেখক আরিফ আজাদ গ্রেফতার হওয়ার পরও যখন দেশের মানুষকে সতর্ক করছি তখন জামায়াত-শিবিরের আবেগী লোকজন আমাকে চরম হেনস্তা করছে, আমাকে পদে পদে সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হতে হচ্ছে। সবাই প্রমান চাচ্ছে যে আমি কেনো বললাম এই বাটপার নূর মুহাম্মদ চোর, ভিক্ষার টাকা আত্মসাৎ কারী, তার প্রকাশনায় ছাপার কাগজের ২৫% ডোনেশন দেয় বিদেশী কোন গোয়েন্দা সংস্থা। আমি এই প্রমানও দিতে পারব, কিন্তু এতে যদি জামায়াতের সম্মিলিত ভাবে দলের কোন ক্ষতি হয় তার দায় ভার কেউ বহন করতে রাজী হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে তবেই আমি প্রমান জনসমকক্ষে দেব, গোপনে প্রমান দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর যদি নিজেরাই প্রমান পেতে চান তাইলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন নিজেরাই প্রমান পাবেন, আমার প্রমান দেওয়া লাগবে না।
আমার আকুল আবেদন কেউ নিজের দলের কোন বিষয়ে পরামর্শ দিলে তা যদি আপনার মত কিংবা স্বার্থের বিপক্ষেও যায় আগে তা নিরপেক্ষ ভাবে যাচাই বাছাই ছাড়া সতর্ককারীকে প্রতিপক্ষ ভেবে বসবেন না দয়া করে, এমন করলে কখনোই আপনারা পথের দিশা পাবেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ