expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঈমানদারদের জন্য আখিরাতে পুরস্কার

 "ঈমানদারদের জন্য আখিরাতে পুরস্কার"

ঈমানদারদের পুরষ্কার 



আমি একটি আলোচনায় "ইসলামে ঈমানের মর্মকথা" নিয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং সেখানে ঈমানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম,এই আলোচনায় ঈমানদারদের আখিরাতে পুরষ্কার নিয়ে শেয়ার করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।  আমরা পূর্ণাঙ্গ রুপে ঈমান এনে ইসলামে প্রবেশ করলে আল্লাহ আমাদের কি পুরস্কার দিবেন তা নি আল্লাহ তা'লা নিজেই কি বলেছেন দপখা যাক।

আল্লাহ বলেন,

وَ بَشِّرِ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَهُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ١ؕ كُلَّمَا رُزِقُوْا مِنْهَا مِنْ ثَمَرَةٍ رِّزْقًا١ۙ قَالُوْا هٰذَا الَّذِیْ رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ١ۙ وَ اُتُوْا بِهٖ مُتَشَابِهًا١ؕ وَ لَهُمْ فِیْهَاۤ اَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ١ۙۗ وَّ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ

আর হে নবী, যারা এ কিতাবের ওপর ঈমান আনবে এবং (এর বিধান অনুযায়ী) নিজেদের কার্যধারা সংশোধন করে নেবে তাদেরকে এ মর্মে সুখবর দাও যে, তাদের জন্য এমন সব বাগান আছে যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে ঝর্ণাধারা। সেই বাগানের ফল দেখতে দুনিয়ার ফলের মতই হবে। যখন কোন ফল তাদের দেয়া হবে খাবার জন্য, তারা বলে উঠবেঃ এ ধরনের ফলই ইতিপূর্বে দুনিয়ায় আমাদের দেয়া হতো। তাদের জন্য সেখানে থাকবে পাক-পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে থাকবে চিরকাল।

(সূরা বাক্বারা:২৫)

সেখানে মানে বেহেশতে ঈমানদারদের মেহমানদারিত্বের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে পুরস্কার সরূপ যে ফলগুলো দেওয়া হবে এ ফলগুলো নতুন ও অপরিচিত হবে না। দুনিয়ায় যেসব ফলের সাথে তারা পরিচিত ছিল সেগুলোর সাথে এদের আকার আকৃতির মিল থাকবে। তবে হ্যাঁ এদের স্বাদ হবে অনেক গুণ বেশী ও উন্নত পর্যায়ের। যেমন ধরুন আম, কমলা ও ডালিমের মতো হবে অনেকগুলো ফল। জান্নাতবাসীরা ফলগুলো দেখে চিনতে পারবে – এগুলো আম, এগুলো কমলা এবং এগুলো ডালিম। কিন্তু স্বাদের দিক দিয়ে দুনিয়ার আম, কমলা ও ডালিমকে এর সাথে তুলনাই করা যাবে না।


মূল আরবী বাক্যে ‘আযওয়াজ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বহুবচন। এর একবচন হচ্ছে ‘যওজ’। এর অর্থ হচ্ছে ‘জোড়া’। এ শব্দটি স্বামী ও স্ত্রী উভয় অর্থে ব্যবহার করা হয়। স্বামীর জন্য স্ত্রী হচ্ছে ‘যওজ’। আবার স্ত্রীর জন্য স্বামী হচ্ছে ‘যওজ’। তবে আখেরাতে ‘আযওয়াজ’ অর্থাৎ জোড়া হবে পবিত্রতার গুণাবলী সহকারে। যদি দুনিয়ায় কোন সৎকর্মশীল পুরুষের স্ত্রী সৎকর্মশীলা না হয় তাহলে আখেরাতে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। আবার যদি দুনিয়ায় কোন স্ত্রী হয় সৎকর্মশীলা এবং তার স্বামী হয় অসৎ তাহলে আখেরাতে ঐ অসৎ স্বামী থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেবেন আল্লাহ। যদি দুনিয়ায় কোন স্বামী-স্ত্রী দু’জনই সৎকর্মশীল হয় তাহলে আখেরাতে তাদের এই সম্পর্কটি চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সম্পর্কে পরিণত হবে।

“অতপর যারা (এই কেতাবের ওপর) ঈমান এনেছে এবং (সে মোতাবেক) ভালো কাজ করেছে, তাদের তুমি (হে নবী) সুসংবাদ দাও ৷ এমন এক জান্নাতের- যার নীচ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত যখনই তাদের (এ জান্নাতের) কোনো একটি ফল দেয়া........... তাদের জন্যে সেখানে থাকবে পবিত্র সহধর্মী ও সহধর্মিনী এবং তারা সেখানে তাদের সাথে অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে। ল

বেহেশতের দৃশ্য : 
ঈমান হীনদের সাজার সৃথান দোযখের চরম কষ্টের ভয়াবহ দৃশ্যের বিপরীতে বেহেশতে রয়েছে মোমেনদের জন্যে আপেক্ষমান নেয়ামতসমূহ ৷ পবিত্র সংগীনী ছাড়া তাদের জন্যে সেখানে রয়েছে আরাম আয়েশের বিচিত্র উপকরণ। সেসব নেয়ামতের বৈচিত্র দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে । তার মধ্যে রয়েছে দুনিয়ার ফলমূলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ফলমূল । দেখে তাদের মনে হবে যে, ওগুলো আগেই তারা পেয়েছে। হয় পৃথিবীতে এ ধরনের নাম ও আকৃতির ফলমূল তারা পেয়েছে, নয় তো বেহেশতেই তারা আগে এ ধরনের ফলমূল পেয়েছে । সম্ভবত প্রতিবার প্রাপ্ত ফলমূল দেখতে আগের ফলমূলের মত হবে কিন্তু স্বাদে ও গন্ধে ভিন্ন রকমের হবে। এটা এক ধরনের আনন্দ-মধুর পরিবেশ সৃষ্টি করবে। প্রতিবার তারা নতুন নতুন বিস্ময়ের সম্মুখীন হবে। প্রতিবারই দেখবে, দেখতে এক রকম হলেও প্রতিটি ফল ভিন্ন স্বাদের ।আকৃতিতে সাদৃশ্য এবং প্রকৃতিতে বিভিন্নতা ও বৈচিত্র আল্লাহর সৃষ্টির একটা উজ্জ্বল বৈশিষ্ট। এ বৈশিষ্টের কারণে গােটা সৃষ্টিজগতই আকৃতিতে যেমন, প্রকৃতিতে তার চেয়ে বিরাট। এই বিরাট সত্যটি বুঝার জন্যে আমরা শুধুমাত্র মানুষের নমুনা ও উদাহরণ হিসাবে গ্রহণ করতে পারি। সৃষ্টির দিক থেকে সকল মানুষই মানুষ। তাদের একটা মাথা, শরীর ও অংগ প্রত্যংগ রয়েছে। তাদের। শরীরে রয়েছে গােশত, রক্ত, হাড় ও শিরাসমূহ। আছে দু'টো চোখ, দু'টো কান, মুখ ও জিহবা। 'আরাে রয়েছে জীবন্ত কোষসমূহ। এভাবে বাহ্যিক আকৃতিতে তাদের গঠন প্রক্রিয়ায় কোনাে পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য নেই। অথচ গুণ ও বৈশিষ্ট স্বভাব প্রকৃতিতে, যােগ্যতা ও প্রতিভায় একজন মানুষের সাথে আরেক জনের রয়েছে আকাশ পাতাল ব্যবধান। এভাবে আল্লাহর সৃষ্টির বৈচিত্র নিয়ে ভাবলে আমাদের হতবাক হয়ে যেতে হয়। আকৃতিতে, প্রকৃতিতে ও গুণবৈশিষ্টে তার বিভিন্নতা প্রচুর। অথচ সূচনায় তা ছিলাে একই আকৃতির একটি মাত্র জীবকোষ। আল্লাহর সৃষ্টি বৈচিত্র ও অপার ক্ষমতার এত সব লক্ষণ দেখার পর কে আছে যে, একমাত্র আল্লাহর এবাদাত করবে না? কে আছে যে, আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক ও সমকক্ষ মানবে? অথচ আল্লাহর অলৌকিক শক্তি দৃশ্য জগতে যেমন, অদৃশ্য জগতেও তেমনি দিবালােকের মত পরিষ্কার।

লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...