"মাদখালিরা বাতিল ফেরকা, মুসলমান হতে আলাদা"
![]() |
মাদখলিরা অমুসলিম |
যারা দলকানা, অন্ধ ভক্ত, দলকে দলিল, প্রমান ও যুক্তির দিয়ে বিচার করে না, দলিল, প্রমান ও যুক্তিকে কোন মুল্যই দেয় না এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়।
মাদখলিরা কেন মুসলমান হতে সম্পূর্ণ আলাদা দল লেখার শেষের দিকে সুষ্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এখন আমি আপনাদেরকে কিছু কথা বলে নেই।
এই মাদখালি মানহাজিরা নিজেদের ব্যতিত সকল মুসলমানকে বেদা'তি বলে এমন কি সাহাবা গনকেও এই তোকমা দিতে ছাড়ে না।
ওরা বলে এজতেমা বেদা'ত, এজতেমা শব্দ হাদিসে নাই, কিন্তু ওরা গতকালই বাংলাদেশের বংশালে আহলে হাদিস এজতেমা সমাপ্ত করলো। মানহাজীরা আখেরী মুনাজাতকে বিদা'ত ফতোয়া দিলেও নিজেরা আখেরি মোনাজাত করছে এবং সম্মিলিত মোনাজাতও করছে।
এদের কথা আর কাজে মিল নেই। মুসলমানরা করলে নাকি বিদাত, নিজেরা করলে কিন্তু বিদাত হয় না, এ হলো মাদখালিদের চরিত্র।
◾নতুন ধর্মঃ
কাদিয়ানী, হিজবুত তাওহীদ, কাদিয়ানী, আহলে কোরআন ও ঈসায়ী জামায়াত ধর্মের মত কথিত আহলে হাদিস মাদখালিজমও সম্পুর্ণ একটি নতুন ধর্ম। তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, ইসলাম ধর্ম হওয়ার জন্য যেসমস্ত শর্ত অবশ্য পুরণ করতে হয়, কোন একটি শর্তও কিন্তু তাদের মধ্যে পাওয়া যায় না, এটা লেখার শেষের দিকে প্রমান পাবেন।
যেমন, মুসলিম হওয়ার জন্য প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো, নিজের ঈমান রাসুল সঃএর ঈমানের সাথে শত ভাগ ১০০% মিল থাকতে হবে। এক সুতাও এদিক সেদিক হতে পারবে না। যদি এদিক সেদিক হয় তাহলে প্রমান হবে আপনি মুসলিম না।
© মাদখালিদের বিচ্যুতি:
কথিত আহলে হাদিস নামক মাদখালিদের ঈমান কিন্তু রাসুল সঃএর ঈমানের সাথে মোটেই মিলে না। যেমন দেখুন, রাসুল সঃ এর ঈমান হলো, যারা ইসলাম মানে তারা মুসলিম। কবরে, হাশরে তাদেরকে মুসলিম হিসেবে সম্বোধন করা হবে। রাসুল সঃ জীবনেও নিজেকে সালাফী বা আহলে হাদিস পরিচয় দেন নি।
আহলে হাদিসের ঈমান হলো, তারা মুসলিম নয়, তারা হলো কথিত সালাফী, বা আহলে হাদিস। তারা আহলে হাদিস হয়ে মরবে, কবরে, হাশরে তাদেরকে আহলে হাদিস নামে ডাকা হবে।
কথিত আহলে হাদিসরা কিন্তু এ নিয়ে সমাজে যত সব ফিতনা আছে ছড়াচ্ছে। এমন কি মুসলিমদেরকে কাফির ফতওয়া পর্যন্ত দিচ্ছে। এ হলো, কথিত আহলে হাদিস আর রাসুল সঃ এর ঈমানের মধ্যে মুল পার্থক্য। এমনি আরো হাজারো প্রমান দেয়া যাবে, তাদের ঈমান আর রাসুল সঃ এর ঈমান এক নয়।
◾সুগভীর ষড়যন্ত্রঃ
মুসলিম সমাজ হতে ঈমান শব্দটি চির দিনের জন্য মুছে ফেলার জন্য এক সুগভীর ষড়যন্ত্র হলো, "সহী আকীদা" বা "সহী মানহাজ" শব্দের বাহারী কথা সমুহ। এসব কথার আড়ালে তারা ঈমান শব্দ মুছে ফেলার এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এরা নতুন ফেরকা বিধায় মুসলিম জাতি এদের বিষয়ে সর্বদা সাবধান থাকতে হবে।
দিন যতই যাচ্ছে কথিত আহলে হাদিসের প্রতারণা ততই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে সমাজের কাছে। এদের ঈমান মুসলিমদের ঈমানের সাথে মিলে না।
মাদখালি ও মুসলিমদের মধ্যে পার্থক্যঃ
★ মাদখালিরা কালেমা তাইয়্যেবা অস্বীকার করে,কালেমা তাইয়্যেবাকে অপবিত্র বাক্য মনে করে, মুসলমানরা কালেমা তাইয়্যেবাকে পবওত্র বাক্য হিসাবে স্বীকার করে ও মেনে চলে।
★মুসলমান কোরআনকে ১০০% সহীহ মনে করে, মাদখালিরা কোরআনেও জাল অংশ আছে বলে মনে করে।
★ মাদখালিরা নিজেকে আহলে হাদিস পরিচয় দেয়, মুসলমানরা নিজেকে মুমিন পরিচয় দেয়।
★ মাদখালিরা, ইহুদিরা শিরক করে মনে করে না যদিও আল্লাহ বলেছেন ইহুদি খ্রিস্টান শিরক করে, মুসলমানরা ইহুদিদেরকে মুশরিক মনে করে।
★ মাদখালিরা সূরা ফাতেহাকে কোরআনের অংশ মনে করে না, মুসলমানরা সুরা ফতেহাকে কোরআনের অংশ মনে করে।
★ মাদখালিরা সূরা বুরুজ শিয়াদের তৈরী জাল সূরা মনে করে, মুসলমানরা কোরআনকে ১০০% সহীহ মনে করে।
★ মাদখালিরা মদকে পবিত্র বস্তু মনে করে, মুসলমানরা মদকে হারাম ও অপবিত্র বস্তু মনে করে।
★ মাদখলিরা মানুষের বীর্যকে পবিত্র মনে করে, এই বীর্য খাওয়া জায়েজ মনে করে, মুসলমানরা মানুষের বীর্যকে নাপাক বস্তু মনে করে।
★ মাদখালিরা সাহাবাগনকে বেদা'তি মনে করে, মুসলমানরা সাহাবাদের সত্যের মাপ কাঠি মনে করে।
★মাদখালিরা নারী পুরুষের নামাজে পার্থক্য করে না, মুসলমানরা শতকরা ১৫% ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের নামাজের মধ্যে পার্থক্য আছে মনে করে।
মাদখালিরা নিজেকে মুসলিম দাবী করলেও তারা প্রকৃত মুসলমান নয়, মুসলমাদেরকে ঈমান হতে সরিয়ে দেয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। সহী আকীদা নামক শয়তানী মন্ত্র আওড়িয়ে মুসলমানদের ঈমানকে বিলুপ্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আর আমরা তাদেরকে মুসলমান মনে করে ফেতনা ছড়াতে সহযোগীতা করছি।
তাদের মুখ হতে আপনি কখনোই ঈমান শব্দটি শুনতে পাবেন না। ভুলেও তারা ঈমান শব্দটি ব্যবহার করবে না, ঈমান ঠিক করো, ঈমান মোতাবেক আমল করো এমন কথা তাদের মুখ হতে কখনোই বের হবে না। কারণ তারা ঈমানকে পছন্দ করে না।
এদের কাজকর্ম প্রমান করে এরা নিশ্চয় কারো এজেন্ট হয়ে কাজ করে এদের আকীদা শয়তানী আকীদা, এদের হতে সাবধান।
আর যারা দলকানা, অন্ধ ভক্ত, দলকে দলিল, প্রমান ও যুক্তির দিয়ে বিচার করে না। দলিল, প্রমান ও যুক্তিকে কোন মুল্যই দেয় না এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়। এই পোস্ট দ্বারা তাদের কোন উপকার হবে না।
লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ