expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইহুদিরা শিরক করে না মর্মে আবু বকর জাকারিয়ার বক্তব্যের জবাব

 " ইহুদিরা শিরক করে না মর্মে আবু বকর জাকারিয়ার বক্তব্যের জবাব"



গতকাল আহলে হাদিস ধর্মের মডিফাইড খ্রিস্টান মৌলভী, তাফসীর নকল কারী শায়েখ আবুবকর জাকারিয়ার একটা বক্তব্যে বলতে শোনলাম তিনি বলেছেন যে ই*হু*দীরা নাকি শিরক করে না। আমি বলি উনি এ কথাটা সত্য বলেন নি, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। আমার মনে হয় তিনি জেনে শোনে সত্য গোপন করে থাকতে পারে অথবা এটা কারো প্রেশক্রিপশন করা টোকেন প্রকাশ করেছেন মাত্র যা তাঁহার নিজস্ব কথা নয়।


তিনি বলেছেন ই*হু*দি*রা শিরক করে না। ই*হু*দীরা শিরক করে কি না তা কোরআন হতে জানা যাক। সূরা আত-তাওবাহ এর ৩০ নং আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন:


وَ قَالَتِ الْیَهُوْدُ عُزَیْرُ اِ۟بْنُ اللّٰهِ وَ قَالَتِ النَّصٰرَى الْمَسِیْحُ ابْنُ اللّٰهِ١ؕ ذٰلِكَ قَوْلُهُمْ بِاَفْوَاهِهِمْ١ۚ یُضَاهِئُوْنَ قَوْلَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَبْلُ١ؕ قٰتَلَهُمُ اللّٰهُ١٘ۚ اَنّٰى یُؤْفَكُوْنَ


ইহুদীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং খৃস্টানরা বলে, মসীহ আল্লাহর পুত্র। এগুলো একেবারেই আজগুবী ও উদ্ভট কথাবার্তা। তাদের পূর্বে যারা কুফরিতে লিপ্ত হয়েছিল তাদের দেখাদেখি তারা এগুলো নিজেদের মুখে উচ্চারণ করে থাকে। আল্লাহর অভিশাপ পড়ুক তাদের ওপর, তারা কোথা থেকে ধোকা খাচ্ছে!

(সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত-৩০)।


অর্থাদ এখানে উযাইর বলা হয়েছে “আযরা"কে (EZRA) ইহুদীরা তাঁকে নিজেদের ধর্মের মুজাদ্দিদ বা পুনরুজ্জীবনকারি বলে মানে। তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের কাছাকাছি সময়ের লোক ছিলেন বলে মনে করা হয়। ইসরাঈলী বর্ণনা অনুযায়ী হযরত সুলাইমান (আ) এর পরে বনী ইসরাঈলের ওপর যে কঠিন দুর্যোগ নেমে আসে তার ফলে শুধু যে তাওরাত দুনিয়া থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল, তা নয়, বরং বেবিলনের বন্দী জীবন যাপন ইসরাঈলী জনগণকে তাদের শরীয়াত ঐতিহ্য এবং জাতীয় ভাষা ইবরানীর সাথে পর্যন্ত অপরিচিত করে দিয়েছিল। অবশেষে এ উযাইর বা আযরা বাইবেলের আদি পুস্তক সংকলন করেন। তিনি শরীয়াতকে পুনরুজ্জীবিত করেন এ কারণেই বনী ইসরাঈল তাকে অত্যধিক ভক্তি করে। এ ভক্তি এতদূর বেড়ে যায় যে, কোন কোন দল তাকে আল্লাহর পুত্র পর্যন্ত বানিয়ে দেয়। কুরআন বলতে চায় ইহুদীদের আল্লাহ‌ সম্পর্কিত বিশ্বাসের এত বেশী গলদ দেখা দেয় যে, ই*হু*দীরা আযরাকে আল্লাহর পুত্র গণ্য করার মতো শিরক করে।


তৎকালে মিসর, গ্রীস, রোম, ইরান এবং অন্যান্য দেশে যেসব জাতি আগেই পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাদে পৌরিনিক ধ্যান-ধারণা ও অলিক চিন্তা-ভাবনায় প্রভাবিত হয়ে তারাও তেমনি ধরনের ভ্রষ্ট আকীদা-বিশ্বাস তৈরী করে নিতো।


এখন আমার কথা হলো ই*হু*দী*রা শিরক করেনা এমন বক্তব্য জনাব আবুবকর জাকারিয়ার একদিকে জ্ঞানের স্থুলতা প্রকাশ করেছে আর অপর দিকে এই আহলে হাদিস নামক মডিফাইড খ্রিস্টানরা যে আদতেই মুসলমান বেশধারী চরম মুনাফেক তাও প্রকাশ হয়ে গেলো। কেননা তারাই ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের কার্যক্রমকে হারাম বলেছে।  তারাই নূপূর শর্মা যখন মহানবীকে কটাক্ষ করেছিলো তখন ফতোয়া দিয়েছিল যে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করা নাকি ইসলামে হারাম।


আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক(আমীন)।


লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...