হিন্দুদের দোল পূজায় মুসলমানদের অংশ গ্রহন ও হোলি খেলার প্রকৃত ইতিহাস
আজকে হিন্দুরা তাদের হোলী পূজা পালন করেছে।হিন্দুরা করেছে তাদের ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে।
কিন্তু মুসলমান ঘরের ছেলে মেয়ে কি করে এই অশ্লীল পূজা পালন করতে পারে? যেখানে একজন মুসলমানের জন্য পূজা শিরক! যারা পালন করেছে তারা জানে কি এই পূজার অশ্লীল ইতিহাস ?
রাধা কৃষ্ণ লীলা সম্পর্কে ব্রক্ষ্ম বৈবর্ত পুরানে বর্নিত আছে ব্রক্ষ্মা বলছে ”
.... হে বৎস! আমার আজ্ঞানুসারে আমার নিয়োজিত কার্য করিতে উদযুক্ত হও।”
জগদ্বিধাতা ঈশ্বরের বাক্য শ্রবন করিয়া রাধা কৃষ্ণকে প্রণাম করত: নিজ মন্দিরে গমন করিল। ব্রক্ষ্মা প্রস্থান করিলে দেবী রাধিকা সহাস্যবদনে সকটাক্ষ নেত্রে কৃষ্ণের রদনমন্ডল বারংবার দর্শন করত: লজ্জায় মুখ আচ্ছাদন করিল।
অত্যান্ত কামবানে পীড়িত হওয়াতে রাধিকার সর্বাঙ্গ পুলকিত হইল। তখন সে ভক্তিপূর্বক কৃষ্ণকে প্রণাম করত: তাহার শয়নাগারে গমন করিয়া কস্তুরী কুম্কুম মিশ্রিত চন্দন ও অগুরুর পন্ক কৃষ্ণের বক্ষে বিলেপন করিল এবং স্বয়ং কপালে তিলক ধারন করিল।
তৎপর কৃষ্ণ রাধিকার কর ধারন করিয়া স্বীয় বক্ষে স্থাপন করত: চতুর্বিধ চুম্বনপূর্বক তাহার বস্ত্র শিথিল করিলেন। হে সুমে । রতি যুদ্ধে ক্ষুদ্র ঘন্টিকা সমস্ত বিচ্ছিন্ন হইল, চুম্বনে ওষ্ঠরাগ, আলিঙ্গনে চিত্রিত পত্রাবলী, শৃঙ্গারে করবী ও সিন্দুর তিলক এবং বিপরীত বিহারে অলন্কাঙ্গুর প্রভৃতি দূরীভুত হইল। রাধিকার সরসঙ্গম বশে পুলকিত হইল।
সে মুর্ছিতা প্রায় হইল। তার দিবা-রাত্রি জ্ঞান থাকিল না। কামশাস্ত্র পারদর্শী কৃষ্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা রাধিকার অঙ্গ-প্রতঙ্গ আলিঙ্গন করত: অষ্টবিধ শৃঙ্গার করিল, পুর্নবার সেই বক্রলোচনা রাধিকাকে করিয়া হস্ত ও নখ দ্বারা সর্বাঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করিল।
শ্রীকৃষ্ণ কর্তৃক নিষ্টুরভাবে শরীর ক্ষত-বিক্ষত হওয়ায় এবং সারা রাতভর যৌন নিপীড়নের কারণে প্রভাতকালে দেখা গেল রাধিকার পরিহিত বস্ত্র এত বেশী রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়েছে যে, লোক লজ্জায় রাধিকা ঘরের বাইরে আসতে পারছে না।
তখন চতুর শ্রীকৃষ্ণ দোল পুজার ঘোষনা দিয়ে হোলি খেলার আদেশ দেয়। সবাই সবাইকে রঙ দ্বারা রঞ্জিত করতে শুরু করে। তাতে রাধিকার বস্ত্রে রক্তের দাগ রঙের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সেই থেকে হোলি খেলার প্রচলন শুরু হয়।"
এখানে জেনে রাখা ভাল যে, রাধা সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের আপন মামী ছিলো, ঐ রাতে রাধা তার দৈহিক যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য যৌন কাজে পারদর্শী ভাগীনা কৃষ্ণের নিকট নিজ স্বামীর ঘৃহ ত্যাগ করত: কৃষ্ণের বাসস্থানে চলে আসে গভীর রজনীতে।
তখন কৃষ্ণ তার স্বীয় মামীর সাথে অনৈতিক যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে সারা রাত ব্যাপী রাস লীলা সাঙ্গ করে প্রাতে দেখে রাধা রক্তাক্ত, তখন রাধার এই অপরাধের চিহ্ন ঢাকতে বিচক্ষণ কৃষ্ণা সবাইকে রং মাখিয়ে হোলি খেলার আদেশ প্রদান করে, সবাই হোলি খেলা শুরু করে নিজেরা রক্ত বর্ন ধারন করে। এই সুযোগে আপন ভাগীনার সাথে স্বপত্মিক বিবাহিতা, জ্বেনা ও ব্যবিচারে রক্তাক্ত রাধা মন্দির ত্যাগ করে(সূত্র: রাধা কৃষ্ণে পৌরানিক ইতিহাস)
আজকে মুসলমান ঘরের সন্তান সেই অশ্লীল দিবস পালন করে! নাউযুবিল্লাহ
যে বা যারাই পালন করেছে তারা তওবা না করলে জাহান্নাম নিশ্চিত।
অতএব মুসলমানের যে সন্তানরা এই ধরনের জঘন্য ব্যাবিচারের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেছে বা করছে তার এক্ষনই খাঁটি ভাবে তাওবা করে আর কখনোই এ ধরনের নোংরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে, নতুবা দুনিয়া ও আখিরাত সবই হারাবে।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দাননকরুক(আমীন)
কেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ