"ইসলামি আন্দোলন তথা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কর্মীদের উপর নির্যাতনের ফলাফল সম্পর্কে আল্লাহর কঠিন হুশিয়ারী "
![]() |
ইসলামী আন্দোলনের কর্মী |
আল কোরআনে আল্লাহ তা'লা ইসলামি আন্দোলনের কর্মী তথা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় জড়িতদের হত্যা ও নির্যাতনের বিষয়ে কঠিন হুঁশিয়ারি প্রদান করেছেন।
প্রিয় পঠক গন, আপনারা হয়ত জানেন কেয়ামত পর্যন্ত একদল মানুষ ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তথা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাবে। এটা চিরন্তন সত্য। হযরত আদম(আ:) থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবী সরদারে দু আ'লম হযরত মুহাম্মদ (সা:) পর্যন্ত সবাই সত্য,ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করে গেছে। খতমে নবুয়ত এর কারনে এখন আর নবী-রাসুল দুনিয়াতে আসবে না। হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর পরবর্তী উম্মতরা এই কাজ চালিয়ে যাবে।
এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কাজে সকল নবী রাসূলরাই তাদের জান- মাল দিয়ে প্রচেষ্টা করে গেছেন। এ কাজ করতে গিয়ে সকল নবী রাসুলরাই বাঁধা, বিপত্তি ও নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে। ইতিহাস দেখলে জানা যায় অনেক নবীকে বাতিল শক্তিরা হত্যা পর্যন্ত করেছে। এবং এই ধারা এখনও চলমান।
আমাদের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা: এর বেলায় এবং তাঁর সাহাবাগন, খোলাফায়ে রাশেদাগন, তাবেঈ, তাবে তাবেঈন ও পরবর্তী যারাই এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিয়োজিত করেছে সবাই চরম বাঁধা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
মিশর, সিরিয়া, আফগানিস্তান, হায়দারাবাদ, জুনাগড়, আলীগড়, কাশ্মির, ওইঘুর, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, তানজানিয়া, ফিলিস্তিন,ফিলিপাইন ও তুরস্ক সহ সারা দুনিয়ায় দেখুন আজ ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় যারা নিয়োজিত আছে তাদের উপর নির্যাতন চালু আছে। নিয়মিত জেল,জুলুম ও হত্যা চলছে। চলছে রাজনৈতিক ভাবে হেনস্তা।
এই জুলুম শুধু অমুসলিমরাই মুসলমানদের উপর করছে এমন না, মুসলমানরাও নিজেদের স্বার্থে করে যাচ্ছে। মিশরের হাসান আল বান্না, মূরসী, তুরস্কের কুতুব শহীদ, বাংলাদেশের আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী , আফগানিস্তানের মোল্লা ওমর সহ হাজার হাজার ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মীকে মুসলমানরাই হত্যা করেছে। আবার এখনও লক্ষ লক্ষ আলেম, ইসলামি আন্দোলনের কর্মী আজ মুসলিম জালেমদের কারাগারে।
আসুন এই মুসলিম তথা ইসলাম, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মীদের হত্যার ও নির্যাতনের বিষয়ে আল্লাহ কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তা জানা যাক।
اِنَّ الَّذِیْنَ یَكْفُرُوْنَ بِاٰیٰتِ اللّٰهِ وَ یَقْتُلُوْنَ النَّبِیّٖنَ بِغَیْرِ حَقٍّ١ۙ وَّ یَقْتُلُوْنَ الَّذِیْنَ یَاْمُرُوْنَ بِالْقِسْطِ مِنَ النَّاسِ١ۙ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِیْمٍ
যারা আল্লাহর বিধান ও হিদায়াত মানতে অস্বীকার করে এবং তাঁর নবীদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে আর এমন লোকদের প্রাণ সংহার করে, যারা মানুষের মধ্যে ন্যায়, ইনসাফ ও সততার নির্দেশ দেবার জন্য এগিয়ে আসে, তাদের কঠিন শাস্তির সুসংবাদ দাও।(সূরা আলে ইমরান,আয়াত:২১)
এই আয়াতের অর্থ হচ্ছে, যারা নিজেদের স্বার্থে ইসলামকে বাঁধা প্রদান করে, ইসলামী আন্দোলন তথা ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বাঁধা দেয়, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন করে আবার নিজেদের সে সমস্ত কীর্তিকলাপের দরুন তারা আজ আনন্দে ফুলে উঠেছে এবং মনে করছে যে তারা খুব ভালো কাজ করে বেড়াচ্ছে, তাদের জানিয়ে দাও, তোমাদের এ সমস্ত কাজের এই হচ্ছে প্রতিফল।
এটা শুধু যারা সরাসরি হত্যায় জড়িত তাদের বেলায়ই প্রযোয্য নয়, এই কাজে যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জারিত, যেমন জালিম সরকার প্রতিষ্ঠা, জালিমদের কর্মী-সমর্থক সবার বেলায়ই প্রযোয্য।
ডা:বশির আহাম্মদ, চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ