expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ইসলামিক লেডিস টিকটকারের নামে বেপর্দার ব্যবসা

 "ইসলামিক লেডিস টিকটকারের নামে বেপর্দার ব্যবসা"



আমি আগেই লিখেছিলাম যে টিকটক একটি ই*লু*মি*না*তি সৃষ্ট বেহায়াপনার কারখানা। এটা মুসলমান তথা ইসলামের কোন উপকারে আসে না,বরং ইসলাম ধ্বংশের নয়া কৌশল। এটার মাধ্যমে শয়তান টাকার লোভ দেখিয়ে নারী-পুরুষকে বেহায়া বানায় আর বিশেষ করে নারীদের বানায় নির্লজ্জ ও প্রকাশ্য বেশ্যা।

গতকাল হতে বাংলাদেশের ভাইরাল একজন লেডিস টিকটকার নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে যার নাম লিপিকা পারভিন বা লিপি পারভিন।সে ইসলামি শিল্প গোষ্ঠী কলরবের কন্ঠ শিল্পী আবু রায়হানের নাকি স্ত্রী, যদিও গতকালের আগে কেউ জানত না।

আবু রায়হান সম্পর্কে খুব বেশী কিছু লিখব না। আশা করি আপনারা নিজেরাই জানেন। আমি এতটুকুই বলব যে আবু রায়হানের অনেক গুলো যৌন কেলেঙ্কারীর ডকুমেন্টস আমার ইনবক্সে আছে, বিনা কারনে প্রকাশ করব না। আজ শুধু লিপিকা পারভিনের বিষয়ে লিখব শুধু কারন লিপিকা মুসলিম নারীদের আত্ম সন্মান পর্দা ও বোরকা নিয়ে অসন্মান করে ব্যবসা করছে।

এই লিপিকা পারভিন আহলে হাদিস পরিবারের সন্তান। লিপিকার বাড়ি জামালপুর জেলায়। এসএসসি ও এইসএসসি পড়েছে স্কলাস্টিকা স্কুল ও কলেজে এবং অনার্স করেছে সাউথইস্ট বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে। বেশ ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। তার পরিবার বহু আগ হতেই নিজেদেরকে আহলে হাদিস মানহাজের দাবী করে। আর আহলে হাদিস মানেই তো বুঝেন যে ইসলামের অনুশাসন গুলো পুরোপুরি মানে না। তাদের মাঝে খ্রিস্টানদের বহু বিতর্কের বিষয় বিদ্যমান। আমি তো বলি যে আহলে হাদিস মানেই মডিফাইড খ্রিস্টান, যার ভুঁড়ি ভুঁড়ি প্রমান আমি দিয়েছিও। তারা যা বলে তা করে না, যা করে তা কখনোই স্বীকার করে না।

এই লিপিকা পারভিনের স্কুল ও কলেজ জীবনে কখনো পর্দার বালাই ছিলো না। লিপি স্কুল জীবন হতেই তথা কথিত প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতি মনা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতি ৃমনা ও স্টেজ পারফরমার মানেই তো শায়তানের বেসাতি।যাই হোক তার প্রথম বিয়ে হয়েছিলো একজন আলেমের সাথে। বিয়ের পর সে বোরকা পড়তে বাধ্য হলেও সে মনে প্রানে পর্দাশীন ছিলো না। পর্দা, টিকটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ার কারনে এই মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তার পর সে ঢাকায় একটি পোশাকের ব্র্যান্ডশপ খোলে আর নিজের সাংস্কৃতির নামে বোরকা পড়ে টিকটক করা শুরু করে।

এই বোরকা পড়ে টিকটক করে সে বোরকা সহ নারীদের অনেক পোশাকের বিজনেস শুরু করে। এদিকে একদল আহলে হাদিস মানহাজের লোক ও কিছু মাথা মোটা কওমীর সন্ত্বানেরা প্রচার শুরু করে লিপিকাকে ইসলামি টিকটকার হিসাবে।

আচ্ছা তাদের প্রতি আমার একটা প্রশ্ন টিকটকার আবার ইসলামি হয় কেমনে? এক তো এটা বিজাতিদের পাতানো একটা ফাঁদ অপর দিকে ইসলামি লেডিস টিকটকার?  আমি বলি আপনারা যারা টিকটককে ইসলামি বানাতে চাচ্ছেন তারা সব হারামের উপরই ইসলামি লেভেল লাগিয়ে হালাল করতে অভ্যস্ত। আচ্ছা কখনো কি ইসলামি বলিউড ফিল্ম, ইসলামি পতিতা( যাদিও আহলে হাদিস ও শিয়ারা মুতা' বিয়ের নামে এটা হালাল করেছে) এবং ইসলামি পর্নো ছবি কিংবা ইসলামি পর্নো নায়িকা কি কখনো সম্ভব? তা সম্ভব না হলে ইসলামি লেডিস টিকটকার কিভাবে হয়? বুঝাতে পারবেন? যেখানে মেয়েদের একটি চুলের পর্যন্ত পর্দা করতে হয় সেখানে শরীরের কিছু অংশ প্রদর্শন করে স্কিন টাইট বোরকা পড় দেহের বিভিন্ন অংশের ভাঁজ দেখিয়ে আপত্তিকর অঙ্গ ভঙ্গি করে টাকা কামানোর ধান্ধা কিভাবে ইসলামিক হয়? তাইলে কি মাদের সাথে হালাল মধু মিশিয়ে খেলেই হালাল হয়ে যাবে? এ ক্ষেত্রে আহলে হাদিসের যে সকল লোকেরা মদকে পবিত্র বস্তু মনে করে সেটা আলাদা আলোচনার দাবী রাখে।

আপনারা হারাম টিকটক সাংস্কৃতিকে ইসলামি টিকটক ও বেপর্দা টিকটকারকে বোরকা পড়িয়ে যে ইসলামি টিকটাকার বানালেন আমি আজ তার কিছু বেপর্দা ছবি এই পোস্টে আপলোড দেব দেখি কারা কারা এই ছবি গুলারে ইসলামিক বলেন দেখি।

এই লিপিকাই নষ্টামির কারনে প্রথম সংসার ছেড়ে পরবর্তীতে আবু রায়হান নামক আরেক নষ্টা নাশীদ শিল্পীকে বিয়ে করেছে তাও আবার এই রায়হানের সংসার ভাঙ্গিয়ে।চরিত্রহীন রায়হান বাটপারের স্বত্বী স্বাধ্ববী স্ত্রীকে লিপিকা ডিভোর্স করিয়ে সংসার ভেঙ্গে তাকে বিয়ে করেছ। কোন বোরকা পড়া মেয়ে যদি আরেকটি মেয়ের সংসার ভাঙ্গে তাইলে কি আর সে বোরকার কারনে আউলিয়া হয়ে যায়? লিপিকার বোরকা তো পর্দার জন্য নয়, মুসলমানদের বোকা বানিয়ে ব্যবসা করার জন্য। আবু রায়হানের মত নাশীদ শিল্পীকেও সে বিয়ে করেছে ব্যবসার জন্য আর আবু রায়হানও লিপিকাকে বিয়ে করেছে ব্যবসা ও নষ্টামির জন্যই। বানর যেমন বুড়া হলেও গাছে উঠা ছাড়ে না তেমনি আবু রায়হান ও লিপিকারাও মাথায় পাগড়ী আর গায়ে বোরকা পড়লেই ইসলামিক হয়ে যায় না।শয়তান শয়তানই থাকে।

আর আপনারা যারা এই চিরিত্রহীন গুলারে ইসলামিক বানাতে চান তারা হয় মাথা মোটা মুসলিম, না হয় তাদের মত চরিত্রের লোক। গোবরের সাথে যতই গুড় মেশানো হোকনা কেন গোবর যেমন গোবর থাকে তেমনি এসকল লিপিকা-রায়হানরা যতই বোরকা পড়ুক আর লম্বা দাঁড়ি রাখুক নষ্টা নষ্টাই থাকবে,এরা ইসলামের সম্পদ হতে পারে না।টাকার জন্য এরা সবই করতে পারে।

অতএব হারাম জিনিসের উপর টাকার লোভে ইসলামের লেভেল লাগানো বন্ধ করুন। হালাল-হারাম আলাদা করতে শিখুন। কোন শয়তান এসে যদি বলে আমি তাওবা করেছি বলে কোরআনের আয়াত দিয়ে কথা বলে তাকে পীর সাহেব মনে করা বন্ধ করুন। এটা ফেতনার যুগ, এসব কিছু বুঝতে ভুল করলে কখন যে ঈমান হারাবেন বুঝতেও পারবেন না।

লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...