expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

 
"থার্টি ফার্স্ট নাইট হলো দ্বিমুখী জানুস দেবতার পূজা"
জানুস দেবতা



"




মুসলমানরা সাবধান!!! থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন যাতে জানুস দেবতার পূজা হয় তাই ইহা পালন হারাম,নিজের অজান্তই হারাবেন ঈমান"


নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে কে এই জানুস? প্রাচীন রোমান পুরাণ অনুসারে জানুস ছিলেন শুরু আর শেষের দেবতা। নানা বিষয়ে আশ্চর্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই জানুস। সময়, দিক, গতি, পথের দেবতাও ছিলেন তিনি। সেসময়কার রোমদেশের যেকোনো স্থাপত্যের প্রবেশপথের দরজার উপরেই রাখা হত জানুসের মূর্তি। 

কেন? বাহ রে! সৃষ্টির গোড়া থেকেই তিনিই যে দাঁড়িয়ে আছেন স্বর্গের দরজা পাহারার দায়িত্বে! রোমানরা মনে করতেন স্বর্গের পথে প্রথমেই যার মুখোমুখি হতে হবে তিনিই দেব জানুস। তাই তাকে খুশি করতে না পারলে দরজা থেকেই ফিরতে হবে খালিহাতে প্রবেশাধিকার মিলবে না। 

চেহারার দিক থেকে দুমুখো দেবতা জানুস যেন এক শান্ত সমাহিত যোগীপুরুষ। পুরোনো স্থাপত্যের গায়ে কিংবা প্রাচীন রোমান মুদ্রায় জানুসের যেসব ছবি পাওয়া যায়, তাতে দেখা যায় তার একমাথা কোঁকড়া কোঁকড়া চুল, ঋজু টিকোলো নাক, অন্তর্ভেদী চোখ আর একগাল সযত্নলালিত দাড়ি। ঘাড়ের উপর দুদিকে বসানো দুই মুখ কোনো কোনো স্থাপত্যে আবার এই দুই মুখের একটি মুখ যুবকের অন্যটি বৃদ্ধের। বৃদ্ধের মাথায় মেষের মতো পাকানো শিং।

পুরোনো পূর্ণাবয়ব মূর্তিগুলোতে দেখা যায় দেবতা জানুস তার ডানহাতে ধরে আছেন একটা বেশ বড় চাবি বা চাবির গোছা। স্বর্গের দরজা ও ধনসম্পত্তির রক্ষক যিনি, তার হাতে চাবি থাকবে, এ আর আশ্চর্য কী! তবে প্রাচীন রোমে 'চাবি ' একটা রূপক, যা দিয়ে অনেকসময় ভ্রাম্যমাণ বণিকদেরও বোঝানো হত।

নিরাপদ বন্দর বা পণ্যের সন্ধানে দূরদেশ থেকে আসা বণিকেরা সেসময় চাবির প্রতীক ব্যবহার করতেন। সেদিক দিয়ে ভাবতে গেলে রোমের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক লেনদেনের দেবতাও ছিলেন সম্ভবত এই দু-মুখো আদিদেব জানুসই।

প্রায় ৩৩ কোটি দেবদেবীর পুজো করতেন প্রাচীন রোমের মানুষ। সমুদ্রের দেবতা পসেডিওন, প্রেম আর সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস, সূর্যের দেবতা অ্যাপেলো তো ছিলেনই, এছাড়াও ছিলেন মার্কারি, মার্স , জুনো, নেপচুনের মতো সুপরিচিত দেবতারা। এদের তুলনায় জানুস কিছুটা কম পরিচিত হলেও গুরুত্বের দিক থেকে তার দাবি কোনো অংশে কম তো নয়ই, বরং বেশ উপরে। 

রোমান শাস্ত্র অনুসারে জানুস ছিলেন পথ, দরজা এবং দিশা নির্ণয়কারী দেবতা। দুদিকে দুটো মুখ থাকার জন্যই সম্ভবত তিনি হয়ে উঠেছিলেন সমস্ত পরস্পর বিরোধী শক্তির দেবতা। বাস্তব আর অবাস্তব, সত্যি আর কল্পনার ঠিক মাঝখানে যেন দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। জীবন-মৃত্যু, যৌবন-বার্ধক্য, শুরু-শেষ, যুদ্ধ-শান্তি , বর্বরতা সভ্যতা, এই সমস্ত কিছুই ছিল জানুসের অধিকারে। মরজীবন থেকে অমরলোকে যাওয়ার পথে দিশা দেখাতেন তিনিই।

শুধু তাই নয়, প্রাচীন রোমের লোকজন বিশ্বাস করতেন যেকোনো শুভকাজের আগে জানুসের পুজো করতে হয়। যেকোনো শুভকাজ, তা বিয়ে হোক বা শিশুর জন্ম, চাষের বীজ রোপন, ঋতুপরিবর্তন বা নতুন বছরের শুরু যেকোনো কিছুর আগেই তুষ্ট করতে হত দুমুখো দেবতা জানুসকে। এই জন্যেই প্রাচীন রোমের যেকোনো ধর্ম অনুষ্ঠানে সবার আগে জানুসের আহ্বান করা হত। 

দেবতাদের মধ্যে প্রথম পুজো পাওয়ার অধিকারীও ছিলেন তিনি। অন্যান্য দেবতার পুজো করার আগে জানুসের নামে নৈবেদ্য দিতে হত  প্রথম বলিও উৎসর্গ করা হত তাকে। নতুন বছরের প্রথম মাসটির অধিকারী দেবতাও তিনি। জানুসের মাস, তাই তার নাম অনুসারেই সেই মাসের নাম হয় জানুয়ারি। গ্রীক সভ্যতার পতন ঘটিয়ে রোমের উত্থানের সময় থেকেই গ্রীকদের শিল্প-সংস্কৃতির পাশাপাশি তাদের দেবদেবীর উপরেও থাবা বসিয়েছিল রোমানরা।


খুঁজে দেখলে বোঝা যাবে প্রায় সমস্ত রোমান দেবদেবীই কোনো না কোনো গ্রীক দেবতার আদলে তৈরি। তবে জানুসের আদলে গ্রীকপুরাণের কোনো দেবতার দেখা মেলে না। গ্রেকো-রোমান সংস্কৃতিতে জানুস সত্যিই এক উজ্জ্বল উদ্ধার। তবে সত্যিই কি তিনি অযোনিসম্ভূত? সম্ভবত না। গ্রীক পুরাণের উপকথাগুলোতে ওর্থাস বলে এক দুমুখো কুকুরের গল্প পাওয়া যায়। 

এই ওর্থাসের একটা মাথা ছিল অতীতের দিকে আর অন্যটা ভবিষ্যতের দিকে ঘোরানো। জানুসের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন নিশ্চয়ই। তবে এই বাহ্যিক মিলটুকুর বাইরে আর কোনো সাদৃশ্য নেই এই দুই পৌরাণিক চরিত্রের। সবচেয়ে বড় কথা রোমান সভ্যতায় জানুসের যে গুরুত্ব, তার তিলমাত্রও ছিল না গ্রীক উপকথার কুকুর ওর্থাসের।


অতএব মুসলমানদের আরো সচেতনতা দরকার, পশ্চিমা সাংস্কৃতিক চর্চা করতে গিয়ে যেনো দেবতার পূজা না হয়ে যায়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...