ভারত বর্ষে খতমে নব্যুয়তের সর্ব প্রথম অস্বীকার কারী দেওবন্ধরা, এরাই কাদিয়ানির জন্ম দাতা
![]() |
দেওবন্ধী ও কাশেম নানুতুবী গংরা সর্ব প্রথম ভারত বর্ষে খতমে নব্যুয়ত অস্বীকার কারী, ভন্ড নবী কাদিয়ানীর জন্ম দাতা এবং নবী রাসূল ও সাহাবা কেরামদের সাথে ইতিহাসের জঘন্য তম বেয়াদবী গুলো তারাই করেছে। নানুতুবী বলেন, রশিদ আহাম্মদ গাঙ্গোহী বলেন আর মৌলভী ইসমাইল দেহলভী খারেজী বলেন সবাই নবী-রাসূল ও সাহাবাদের শানে চরম বেয়াদবী গুলো করেছে। আমি একটা একটা প্রমান দিয়ে দিচ্ছি, আপনারা শপষ পর্যন্ত পড়ে সূত্র ধরে ধরে এই দুশ্চরিত্র কওমী, দেওবন্দীদের প্রমান দিয়ে জিজ্ঞেস করবেন আর উতৃতর না দিতে পারলে জীভ টেনে ঝুলিয়ে রাখবেন।
বর্তমানে মুসলমানদের ছুরতে দ্বীন ইসলাম এর মধ্যে যে ফিতনাগুলো (শিয়া, ওহাবী, মাদখালি,বেরলভী, খারিজী ইত্যাদি) বিরাজমান তার মধ্যে চরম ভয়ঙ্কর ফিতনা হচ্ছে কাদিয়ানী ফিতনা। মূলত, পাঞ্জাবের ‘কাদিয়ান’ নামক গ্রামে ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশের দালাল মির্জা গোলাম আহামদকে যদিও কাদিয়ানী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়, কিন্তু তাকে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠায় প্ররোচিত করে ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা কাছিম নানুতবী।কেননা এই গোলাম আহাম্মদ কাদিয়ানী কাশেম নানুতুবীর ছাত্র ছিলো এবং দেওবন্ধ মাদরাসায় পড়ত।
এই গোলাম আহাম্মদ কাদিয়ানীর সর্বপ্রথম নব্যুয়ত দাবীকে আগেই বৈধতার ফতোয়া দিয়ে রেখেছিলো কাশেম নানুতুবী। কেননা এই কাছিম নানুতবী দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর ১৮৭৪ সালে ‘তাহ্যীরুন্নাছ’ নামক একটি গ্রন্থ রচনা করে; যার ২৫ তম পৃষ্ঠায় সে পবিত্র কুরআন শরীফ এর সূরা আহযাব শরীফ এর ৪০ নম্বর আয়াত শরীফ এর মধ্যে বর্ণিত ‘খাতামুন নাবিইয়ীন’ শব্দ মুবারকের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করে যে, “খাতামুন্ নাবিইয়ীন অর্থ হলো- ‘মূল নবী’। অন্যান্য নবীগণ ছিলেন সাময়িক নবী। যারা ‘খাতামুন নাবিইয়ীন’ শব্দের অর্থ ‘শেষ নবী’ বলে তারা জাহিল ও মূর্খ। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোনো ফযীলত নেই। ফযীলত হলো ‘মূল নবী’ হওয়ার মধ্যে। তার পরে যদি ১০০০ নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয়, তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খতমে নুবুওয়াত-এর কোনো রুপ তারতম্য হবে না।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!
এই মৌলভী একই বইয়ের ৩য় পৃষ্ঠার শুরুতেই লিখেন খতমে নব্যুয়ত অর্থ শেষ নবী এটা সাধারন শিক্ষিত মানুষের ধারনা, এটা কোন আলেমের ধারনা নয়। আলেমরা মনে করে খতমে নবযুয়ত মানে বড় নবী, বড় নবীর পরে আরো নবী আসা ও না আসার সাথে খতমে নব্যুয়তের কোন সম্পর্ক নাই(তাহীরুন্ন্যাস, পৃষ্ঠা-৩)
কাছিম নানুতবীর বাতলে দেয়া এই পথ ধরে ১৯০৫ সালে মির্জা গোলাম কাদিয়ানী নবী দাবি করে বসে। পরবর্তীতে গোলাম কাদিয়ানীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে তার উস্তাদ কাশেম নানুতুবীর বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বলে যে, “মাওলানা কাছিম নানুতবী ছাহেব তো তার ‘তাহ্যীরুন্নাছ’ গ্রন্থে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে ১০০০ নবীর আগমনের সম্ভাবনা স্বীকার করে নিয়েছে। সুতরাং আমি (কাদিয়ানী) একজন নবী দাবি করাতে দোষ কোথায়? আরো তো ৯৯৯ জন দাবি করতে পারে।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক!
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের মূল প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে দেওবন্দের কাছিম নানুতবী, আর মির্জা গোলাম কাদিয়ানী তার ২৯ বছর আগেই দেওবন্ধী কাশেম নানুতুবী তাহীরুন্ন্যাস বইয়ের মাধ্যমে খতমে নব্যুয়ত অস্বীকার করে কাদিয়ানীর নবী দাবীর পথ সুগম করে রেখেছিলো।
এখন মির্জা গোলাম কাদিয়ানী যদি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ফতওয়া মুতাবিক যদি কাফির হয়, তাহলে কাছিম নানুতবীর ব্যাপারে ফায়ছালা কি হবে? এাটা সমগ্র দেওবন্ধী ও কওমী আলেমরা আশা করি ফতোয়া দিয়ে জানাবেন।
এখন বুঝ গেলো সর্ব প্রথম ভারত বর্ষে কাদিয়ানী নিজেকে নবী দাবী করলেও ২৯ বচর আগেই খতমে নব্যুত অস্বীকার করে ছিলো এই দেওবন্ধীরা।
শুধু তাই নয়, কাছিম নানুতবীর এই দেওবন্দ মাদরাসা হতে যে সমস্ত মাওলানা পয়দা হয়েছে তাদের অনেকেরই লিখিত গ্রন্থে কুফরী-শিরকীর অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়, যা কোনো মুসলমানের পক্ষে ধারণা করাও অসম্ভব। পরিশেষে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে দেওবন্দ মাদরাসার বার্ষিক অনুষ্ঠানে হিন্দু যোগী রামদেবের কাছে দীক্ষা নেয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের মুখোশ পরিপূর্ণরূপে উন্মোচিত হয়েছে এবং প্রকাশ পেল যে, দেওবন্দীরা মুশরিক।
দেওবন্দীরা চরম শ্রেণীর গুমরাহ ও বিভ্রান্ত তাদের কিছু ভয়ঙ্কর কুফরী আক্বীদা নিম্নে দেয়া হলো-
১। আল্লাহ (পাক তিনি) মিথ্যা বলতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ!
(রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ১ম খ-, পৃষ্ঠা ১৯, তালিফাত রশীদিয়া, কিতাবুল আক্বাঈদ অধ্যায় পৃষ্ঠা ৯৮, খলীল আহমদ আম্বেটী- তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫, মেহমুদ হাসান, আল জিহাদুল মুগিল- পৃষ্ঠা ৪১)
২। আল্লাহ (পাক তিনি) বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্ম সম্পাদনের পর আল্লাহ (পাক তিনি) তা জানতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)
৩। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (উনার) জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম (উনার) জ্ঞান বেশি। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৫১)।
৪. “আল্লাহর নবীর নিকট নিজের পরিণতি এবং দেয়ালের পেছনের জ্ঞানও নেই।”
[বারাহীন-ই ক্বাতি‘আহ্,পৃষ্ঠা ৫১,কৃত: খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]
৫. “হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্ তা‘আলা তেমনি জ্ঞান দান করেছেন,যেমন জ্ঞান জানোয়ার,পাগল এবং শিশুদের নিকটও রয়েছে।”
[হিফযুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৭,কৃত: মৌং আশ্রাফ আলী থানভী দেওবন্দী]।
৬. “নামাযে হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি শুধু খেয়াল যাওয়া গরু-গাধার খেয়ালে ডুবে যাওয়া অপেক্ষাও মন্দতর।”
[সেরাতে মুস্তাক্বীম,পৃষ্ঠা ৮৬,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]।
৭. “‘রাহমাতুল্লিল ‘আলামীন’ (সমস্ত বিশ্বের জন্য রহমত) রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাস উপাধি নয়।হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া অন্যান্য বুযুর্গকেও ‘রাহমাতুল্লিল ‘আলামীন’ বলা যেতে পারে।”
[ফাতাওয়া-ই রশীদিয়া,২য় খণ্ড,পৃষ্ঠা-১২, কৃত মৌং রশীদ আহমদ গাঙ্গূহী দেওবন্দী]।
৮. “‘খাতামুন্নবিয়্যীন’ অর্থ ‘আখেরী বা শেষনবী’ বুঝে নেওয়া সাধারণ লোকদের খেয়াল মাত্র।জ্ঞানী লোকদের মতে এ অর্থ বিশুদ্ধ নয়।হুযূর আক্রামের যুগের পরও যদি কোন নবী পয়দা হয়, তবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী হওয়ায় কোন ক্ষতি হবে না।”
[তাহযীরুন্নাস,পৃষ্ঠা ৩ ও ২৫, কৃত দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মৌং কাসেম নানুতভী]।
৯. “হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেওবন্দের আলেমদের সাথে সম্পর্কের সুবাদে উর্দূ শিখতে পেরেছেন।”
[বারাহীন-ই ক্বাতি‘আহ্, পৃষ্ঠা ২৬,কৃত: মৌং খলীল আহমদ আম্বেটভী দেওবন্দী]।
১০. “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর সম্মান শুধু বড় ভাইয়ের মতই করা চাই।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৫৮,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১১. আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছা করলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমকক্ষ কোটি কোটি পয়দা করতে পারেন।
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ১৬,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]।
১২. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মরে মাটিতে মিশে গেছেন।
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৫৯, কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী]।
১৩. “নবী-রসূল সবাই অকেজো।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ২৯,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৪। নবী প্রতিটি মিথ্যা থেকে পবিত্র ও মাসুম হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
[তাক্বভিয়াতুল আকাঈদ পৃষ্ঠা ২৫ কৃত মৌং কাসেম নানুতবী]।
১৫. “নবীর প্রশংসা শুধু মানুষের মতই কর; বরং তা অপেক্ষাও সংক্ষিপ্ত কর।
( তাক্বভীয়াতুল ঈমান, পৃষ্ঠা-৬১, মৌ.ইসমাইল দেহলভী)
১৬. “বড় অর্থাৎ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আর ছোট অর্থাৎ অন্যসব বান্দা বেখবর ও অজ্ঞ।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৩,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৭. “বড় মাখলূক অর্থাৎ নবী, আর ছোট মাখলূক অর্থাৎ অন্যসব বান্দা আল্লাহর শান বা মর্যাদার সামনে চামার অপেক্ষাও নিকৃষ্ট।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ১৪,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
১৮. “নবীকে ‘তাগূত’ (শয়তান) বলা জায়েয।”
[তাফসীর-ই বুলগাতুল হায়রান, পৃষ্ঠা ৪৩, কৃত. মৌং হুসাইন আলী ওয়াঁভচরান ওয়ালা]
১৯. “নবীর মর্যাদা উম্মতের মধ্যে গ্রামের চৌধুরী ও জমিদারের মত।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৬১,কৃত: মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
২০. “যার নাম মুহাম্মদ কিংবা আলী তিনি কোন কিছুর ইখতিয়ার রাখেন না। নবী ও ওলী কিছুই করতে পারেন না।”
[তাক্ব্ভিয়াতুল ঈমান,পৃষ্ঠা ৪১,কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী ওহাবী]
২১. “উম্মত বাহ্যিকভাবে আমলের মধ্যে নবী থেকেও বেড়ে যায়।”
[তাহযীরুন্নাস,পৃষ্ঠা ৫,কৃত: মৌং কাসেম নানুতভী]
২২. “দেওবন্দী মোল্লা হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পুলসেরাত হতে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।”
[তাফসীর-ই বুলগাতুল হায়রান,পৃষ্ঠা ৮, মৌং হুসাইন আলী]
২৩. “‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ আশরাফ আলী রসূলুল্লাহ্’ আর ‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা সায়্যিদিনা ওয়া নবীয়্যিনা আশরাফ আলী’ বলার মধ্যে সান্ত্বনা রয়েছে, কোন ক্ষতি নেই।”
[রিসালা-ই ইমদাদ,পৃষ্ঠা ৩৫,সফর – ১৩৩৬ হিজরি সংখ্যা]
[১।তথ্য সূত্র: আনজুমান-ই রহমানিয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া ট্রাষ্ট,
২।মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন। (বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা),
৩।(আবুল হাসান নাদভী, সীরাতে সাইয়েদ আহমাদ শহীদ এবং ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ,পিএইচ.ডি. থিথিস)। ]
মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী প্রাইভেটভাবে মাধ্যমিক ক্লাশ পর্যন্ত উর্দূ, ফারসী, আরবি ও কিছু ইংরেজি পড়াশোনা করেন। কয়েকবার মোক্তারী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে ব্যর্থ হন।অবশেষে শিয়ালকোট আদালতে কেরানীর চাকরি আরম্ভ করেন।
ফুট নোট: ১. তার পিতা ইংরেজ সরকারের একজন অনুগত ও কৃতজ্ঞ জমিদার তথা দালাল ছিলেন। এ সম্পর্কে স্বয়ং গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি দেখুন: 'আমার পিতা মরহুম এ দেশের বিশিষ্ট জমিদারের মধ্যে গণ্য ছিলেন। গভর্নরের দরবারে গেলে তিনি কুর্সি পেতেন। তিনি বৃটিশ সরকারের প্রকৃত কৃতজ্ঞ ও হিতাকাংখী ছিলেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- এযালাতুল আওহাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ৬৮।
২. এ সম্পর্কে স্বয়ং গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি: 'আমার ওয়ালেদ সাহেবের জীবনী হতে ঐসব খেদমত কিছুতেই পৃথক করা যায় না, যা তিনি আন্তরিকতার সাথে এই সরকারের কল্যানে আঞ্জাম দিয়েছিলেন। তিনি নিজ মর্যাদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বদা বৃটিশ সরকারের সেবাকার্যে নিয়োজিত ছিলেন। সরকারের বিভিন্ন অবস্থা ও প্রয়োজনের সময় তিনি এমন সততা ও অানুগত্য প্রদর্শন করেছেন যে, যতক্ষন কেউ কারো খাঁটি ও আন্তরিক হিতৈষী না হয়, ততক্ষন তেমন আনুগত্য প্রদর্শন করতে পারে না।' উদ্ধৃতি সূত্র- মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৩. এ সম্পর্কে মির্জা গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি: '১৮৫৭ সালের হাঙ্গামায় যখন উচ্ছৃংখল জনতা এ অনুগ্রহদাতা বৃটিশ গভর্নমেন্টের মোকাবেলা করে দেশে হৈচৈ সৃষ্টি করে, তখন আমার পিতা মরহুম নিজের টাকা দিয়ে পঞ্চাশটি ঘোড়া ক্রয় করে পঞ্চাশ জন অশ্বারোহী সংগ্রহ করে গর্ভমেন্টের খেদমতে পেশ করেন। আরও একবার চৌদ্দ জন অশ্বারোহী দিয়ে সরকারের খেদমত করেন। এসব আন্তরিকতাপূর্ন খেদমতের কারনে তিনি গভর্নমেন্টের প্রিয়পাত্র বলে গন্য হতেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- ক) এযালাতুল আওহাম, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১৬৮ এবং খ) মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৪. এ সম্পর্কে মির্জা গোলাম আহমদের স্বীকারোক্তি: 'এ অধমের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা মির্জা গোলাম কাদের যতদিন জীবিত ছিলেন তিনিও পিতা মরহুমের পদাঙ্ক অনুসরন করে চলেছেন এবং বৃটিশ গভর্নমেন্টের আন্তরিক খেদমতে মনে-প্রানে নিয়োজিত থেকেছেন। অত:পর তিনিও মুসাফিরখানা হতে বিদায় গ্রহন করেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৫. এ সম্পর্কে মির্জা গোলাম আহমদ বলেন: 'আমার পিতা আমার ভ্রাতাকে একমাত্র গভর্নমেন্টের খেদমতের জন্য কোন কোন যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। সর্বক্ষেত্রেই গভর্নমেন্টের মনতুষ্টি অর্জন করেছেন।' উদ্ধৃতি সূত্র- মাসনাফাহ, মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, পৃষ্ঠা ১।
৬. কাদিয়ানী ধর্মমত, মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী। প্রাগুক্ত ৫০-৫১ পৃষ্ঠা থেকে সংক্ষেপিত।
৭।তার পারিবারিক: ১৮৫৩-৫৪ সনের দিকে গোলাম আহমেদ পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন হুরমত বিবিকে। এই স্ত্রী ছিলেন তার জ্ঞাতিগুষ্ঠিরই একজন। তার গর্ভে দু’টি সন্তান (মির্জা সুলতান আহমেদ ও মির্জা ফজল আহমেদ) জন্মলাভ করে। ১৮৯১ সনে গোলাম আহমেদ তার এই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। অবশ্য ইতিপূর্বে তিনি ১৮৮৪ সনে দিল্লীর নবাব মীর নাসির উদ্দিনের কন্যা নূসরত জাহান বেগমকে বিবাহ করেছিলেন। এই স্ত্রীর গর্ভে গোলাম আহমেদ তিনটি পুত্রসন্তান লাভ করেন। এরা হলেন যথাক্রমে-মির্জা বশির উদ্দিন মাহমুদ, মির্জা বশির আহমেদ ও মির্জা শরীফ আহমেদ।
৮। নারীখোর, চরিত্রহীন কাদিয়ানী তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানকে নিজের মিথ্যা ধর্মে আকৃষ্ট করতে না পেরে তার প্রথম স্ত্রীকে ত্যাগ করে, এতেই বুঝ যায় যে তার ভন্ডামী সম্পর্কে তার পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরেছিল।
৯। ভন্ড কাদিয়ানী দেখতে খুই সুন্দর ছিল আর সেই সৌন্দর্যের কারিশমায় প্রথম স্ত্রীর সাথে থাকা কলীন নুসরত জাহান নামে আরেক জমিদারের ধনী দুলালীকে বিয়ে করে।
১০। ভন্ড কাদিয়ানী যে ব্রিটিশের দালাল ছিল তা তার বিভিন্ন বক্তব্যে প্রমান মেলে, যেমন সে বলে ইংরেজদের আনুগত্য করা ওয়াজিব, তার বাবা ইংরেজদের ৪০টি ঘোড়া দিয়ে সহায়তা ইত্যাদি।
১১। এই ভন্ড কাব্বালিস্ট রক্ত ধারা কাদিয়ানীর লোকজন পাকিস্তানেও বিভিন্ন ঝামেলা পাকিয়ে অনেক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।(ইতিহাস দেখলে সবাই নুঝতে পারবেন)
১৬। এই কাদিয়ানীরা বাংলাদেশেও বিভিন্ন ভাবে সরকার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে বিদেশী শক্তির সহায়তায় নিয়ন্ত্রন করে তাদের মর্জি মত প্রভাবিত করছে বর্তমানে।
১২। কাদিয়ানীদের আর.এফ.এল, প্রান ইত্যাদি কোম্পানীর মাধ্যমে এদেশের অর্থনীতিকে তাদের কব্জায় নেয়ার চেষ্টা করছে ঠিক জায়োনিস্ট ষরযন্ত্রের আদলে।
১৩। বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ রক্ষায় 'র' এর যত এজেন্ট আছে তাদের মধ্যে কাদিয়ানীরা একটি গুরুত্ব পূর্ন এজেন্ট।
১৪। কাদিয়ানীরা তাদের কোম্পানীর সকল পন্য ভারতে বিনা বাঁধায় প্রবেশ করাতে পারলেও আর কোন কোম্পানী ভারতে এত সহজে কোন পন্য ভারতে বিক্রয় ও বিপনন করতে পারে না কেন একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় কাদিয়ানীরা কতটা ভারতের কত বড় দালাল।
১৫। বাংলাদেশে মুসলিম নাম ধারন করে যত অপকর্ম হয় সব কিছুর নাটের গুরু এই কাদিয়ানী নামক কাবিলের অনুসারীরা।
সংকলন:ডা.বশির আহাম্মদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ