expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫

নীল চলচ্চিত্র বা পর্ন ছবির দুনিয়া ও পরকালের ভয়াবহতা

 "নীল চলচ্চিত্র বা পর্ন ছবির ভয়াবহতা"





নীল চলচ্চিত্র বা নীল ছবি মানব জাতির জন্য শয়তানের তৈরী এক ভয়াবহ মরনাস্ত্র। এই ছবিই আধূনিক মানব সমাজকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে। এই ডিজিটাল কর্মযজ্ঞ মানুষকে নৈতকতাহীন, ধর্মহীন, পরিবার বিহীন, নারী-পুরুষের মহবৃবতের সম্পর্ক বিহীন, সমাজ বিহীন যৌন জীবপ পরিনত করে। সমাজে মাদক, জুয়া, সমকামীতা, বেশ্যাবৃত্তি, পরকিয়ার মত অপরাধে আসক্ত করছে।

 পর্ন- এক নীরব মহামারি, নির্দোষ আনন্দ, নীল অন্ধকার জগত ও ভয়ংকর মহামারী । তাই পর্ন এবং পর্ন আসক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো ;

১/ পর্ন একটা মুভি মাত্র । এখানে অভিনয়-ই হচ্ছে মূল । ১০ মিনিটের একটা ভিডিও ১০ দিন শ্যুট করা হয় । তারপর সেগুলো ইডিট করে লং টাইমে ক্যাপচার করা হয় । সবকিছুই ফেইক ।  এক্সপ্রেশনটাও ফেইক । 

২/ পর্নের নারীর শরীর সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম ভাবে তৈরী) । পুরো শরীর সার্জারি করে ফুলানো হয় বিশেষ অঙ্গগুলি । অপরদিকে বাস্তব জীবনে একজন নারী পড়াশুনা করে, চাকরি করে, সংসার করে, ছেলে-মেয়ের দেখা শুনা করে, কত হাজার দায়িত্ব পালন করে । 

একজন সাধারণ নারীর পক্ষে সার্জারি করে তার শরীরের অঙ্গগুলি পরিবর্তন করা সম্ভব?কখনই নাহ । তাছাড়া এটাতে হিউজ রিস্ক থাকে ।

 ক্যান্সারের প্রবল সম্ভাবনা থাকে । তাই যখন একজন পর্ন আসক্ত দেখে তার বউয়ের শরীর পর্নের নারীর শরীরের মতো নাহ, তখন আর বউকে ভালো লাগে নাহ ।  

পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, পতিতালয়ে যেতেও দ্বিধাবোধ করে নাহ । অথচ সে জানেই না পর্নের নারীর শরীর সার্জারি করা ফেইক একটা বডি । ❌

৩/ যখন একজন পর্ন আসক্ত ব্যক্তি তার বউয়ের শরীর পর্নের নারীর আর্টিফিশিয়াল & সার্জিকাল শরীরের সাথে তুলনা করে, তখন ঐ নারীর মন ভেঙ্গে যায় ।

৪/ পর্ন ইন্ডাস্ট্রির মেয়েদের কি পরিমাণ অত্যাচার করা হয় জানেন? ওদের পিটিয়ে বাধ্য করা হয় । ভিডিও শুরুর আগে ওদের ড্রাগ ইনজেক্ট করা হয় । ওদের যোনীপথ ও  পায়ুপথে কোকেইন ঢালা হয় যাতে কোন ব্যথা না পায় । 

ওদের জরায়ু কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে । ক্যান্সারে মারা যায় শেষ পর্যন্ত । তাদের স্বীকার করতে বাধ্য করা হয় যে, তারা নিজের ইচ্ছায় পর্নে কাজ করছে । নাহলে তো পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ধান্ধা বন্ধ হয়ে যাবে ।

৫/ অলমোস্ট সকল রেইপিস্ট স্বীকার করেছে তারা পর্ন দেখে রেইপ করার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছে ।

৬/ সিগারেট থেকে নেশার শুরু যেমন কোকেইনে গিয়ে শেষ হয়, তেমনি দীর্ঘদিন পর্ন দেখলে নরমাল পর্নে আর কাজ হয় না ।  আগের মতো ডোপামিন-অক্সিটোসিন ক্ষরণ হয় নাহ । তখন আরো কড়া ডোজ দরকার হয় । এক্সট্রিম ইনোভেটিভ পর্ণ দরকার হয় । ঐ কড়া ডোজের জন্য রেইপ পর্ন, শিশু পর্ন দেখতে শুরু করে ।

৭/ পর্ন আসক্ত ব্যক্তির সেল্ফ কনফিডেন্স থাকেনা । মেয়েদের সাথে ঠিকমতো কথাও বলতে পারে না । মেয়েদের চোখের দিকে তাকানোর বদলে অন্যান্য এবং আকর্ষিত অঙ্গগুলোর দিকে তাকায় । এমনকি নিজের মা বোনের দিকেও তাকাতে পারে না । লজ্জায় মাথা হেট হয়ে থাকে ।

৮/ একজন ড্রাগ এডিক্ট এর মস্তিষ্ক এবং একজন পর্ন এডিক্ট এর মস্তিষ্কের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই । 

৯/ একজন পর্ন আসক্ত পর্ন দেখার জন্য ক্লাস,আড্ডা,স্টাডি ট্যুর, ফ্যামিলি ট্রিপ সেক্রিফাইস করতে পারে ।

১০/ পর্নে আমাদের পরিচিত পরিবেশ-রুম-পেশা-ড্রেসআপ ব্যবহার করা হয় । যাতে আমরা যেকোন জায়গায় পর্নের দৃশ্য নিয়ে চিন্তা করতে থাকি ।

১১/ স্ট্রেসের ঠুনকো বাহানা দিয়ে একটু শান্তির জন্য পর্নের দুনিয়ায় হারিয়ে যায় । কোন কারণে মন খারাপ হলে দ্রুত মন ভালো হওয়ার জন্য পর্ন দেখে । এতে পর্ন আসক্ত ব্যক্তি তার স্বাভাবিকভাবে খুশি হওয়ার যে ক্ষমতা সেটা হারিয়ে ফেলে ।

১২/ পর্ন আসক্তদের স্মৃতিশক্তি লোপ তো পায়ই, বুদ্ধিমত্তাও কমে যায় । মেজাজ খিটখিটে থাকে সবসময় । সুন্দর কিছু চিন্তাও করতে পারে নাহ । ব্রেইন আর ভালো কাজে ইউজ করতে পারে নাহ । অকালে বুড়ো হয়ে যায় । [আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি]

১৩/ অনেকেই মনে করছেন বিয়ে করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে । ভুল চিন্তা । একটু ইন্টারনেটে পর্ন এডিক্টদের সাক্ষাৎকার দেখুন । বিয়ের পরেও পর্ন এডিক্টদের উত্তেজিত হওয়ার জন্য পর্ন দেখতে হয় । কারণ তারা ঐ কৃত্তিমভাবে ফুলানো বডিটা দেখেই উত্তেজিত হয় । রক্ত মাংসে গড়া বউয়ের শরীরে আর কাজ হয় নাহ তখন ।

১৪/ পর্ন-মাস্টারবেশন সম্পর্কটা চা-বিস্কুটের মতো । একটা ছাড়া আরেকটা জমে নাহ । মাস্টারবেশনে উত্তেজিত হওয়ার জন্য পর্ন দেখে । আর পর্ন দেখার পর মাস্টারবেশন করে ।

১৫/ যখন পর্ন দেখে মাস্টারবেশন করে তখন চেষ্টা করে কতো দ্রুত অরগাজম করে চরম সুখ পাওয়া যায় । কেও দেখে ফেলার আগে কত দ্রুত অরগাজম করা যায় । এভাবে দ্রুত অরগাজম ব্রেইনে সেট হয়ে যায় । একসময় গিয়ে দেখে সে  ১ সেকেন্ডও পারফর্ম করতে পারছে না । এটাই অকালস্থলন (Premature Ejaculation) । এছাড়া আপনি আপনার পুরুষত্ব পর্যন্ত হারিয়ে ফেলতে পারেন ।

১৬/ আপনি যত বেশি পর্ন দেখছেন ততবেশি মেয়ে কিডন্যাপ হচ্ছে । হবেই তো । আপনার চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন মেয়ে লাগবে নাহ? এক মেয়ের ভিডিও দেখে তো আপনি আর উত্তেজিত হচ্ছেন না ।

১৭/ রক্ত মাংসের পার্টনার থেকেও কৃত্তিম এবং সার্জিকাল  আর্টিফিশিয়াল বডিই বেশি ভালো লাগে । পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, চাকরি জীবন, সংসার জীবন, ব্যক্তিগত জীবন সব গোল্লায় যাবে ।
১৮/ বউকে পর্ন দেখিয়ে বাধ্য করে পর্নের নারীর মতো সেক্স করতে । পর্ন আসক্ত চিন্তা করে এভাবেই হয়তো তার বউ সুখ পাবে । হয়ে উঠে হিংস্র জানোয়ার ।

১৯/ যে ছেলেটা রাতে ছাত্র-শিক্ষিকা পর্ন দেখে পরেরদিন স্কুলে যায়, সে তার স্কুলের ম্যাডামের দিকে স্বাভাবিক চোখে তাকাতে পারবে?

২০/ এই নীল চলচ্চিত্রের কারনে যুবকরা বেশী বেশী হস্তমৈথুনের কারনে অল্প বয়সে যৌবন হারিয়ে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে যার ফলে দিন দিন পশ্চিমা সমাজে নারীরা সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয়ে মানুষের জন্মহার কমছে। 

২১/ এই নীল ছবি মানুষের মনকে স্রষ্টার নিকট হতে দূরে সরিয়ে নিয়ে দেয়, ফলে মানুষ আরো পাপে ডুবে ধ্বংশ হয়ে যায়।

২২।নীল চলচ্চিত্র দেখার সময় যখন নগ্ন নারী পুরুষের ছবি স্ক্রিনে ভেসে উঠে এবং দর্শক নিজেই কামরসে নাপাক হয় তখন ঐব্যক্তির নিকট হতে রহমতের ফেরেশতারা চলে যায় এবং দুষ্ট শয়তানরা কাছে ভিড়ে। এ সময়ে কেউ তার উপর কুফুরী করলে সে কুফুরীতে সহজেই কাবু হয়।

২৩/ আমাদের জেনারেশনের উপর পর্ন একটা এক্সপেরিমেন্ট মাত্র । সরকার নয়, নিজেরাই পর্ন ব্যান করতে হবে । কিভাবে? উত্তর খুবই সহজ : আপনি সেচ্ছায় পর্ণ দেখা বন্ধ করুন । কারন যদি কেওই পর্ন না দেখে তাহলে ওদের ধান্ধা বন্ধ হয়ে যাবে । হারিয়ে যেও না ভাই, ভালবাসা নাও । পর্ন-মাস্টারবেশন থেকে বাঁচার উপায় অবশ্যই আছে । এসমস্ত অন্ধকার জগত থেকে মহান আল্লাহ আমাদের সকল যুবক-যুবতীদের হেফাজত করুন, আমীন । 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...