expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের ধ্বংস ডেকে আনবে, এটা ভারতীয় দালালদের এজেন্ডা

 "সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের ধ্বংস ডেকে আনবে, এটা ভারতীয় দালালদের এজেন্ডা"

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের ধ্বংস ডেকে আনবে, এটা ভারতীয় দালালদের এজেন্ডা



দয়া করে পাঠকগন আমার লেখা শেষ পর্যন্ত না পড়ে ভুল মন্তব্য করবেন না। আমার এই লেখাটি জাতীয় স্বার্থে ৷ ইদানীং বাংলাদেশে নির্বাচনের সচ্ছতার জন্য সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে খুব দাবী উঠেছে। বুঝে হোক আর না বুঝে হোক এই পদ্ধতির পক্ষে অনেক রাজনৈতিক দল জোড়ালো দাবী জানাচ্ছে, বিশেষ করে ইসলামি দল গুলো, কিন্তু এই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য কি ধরনের গজব বয়ে আনবে তা তারা উপলব্ধি করতে পারছে না। এই বিষয়ে বিস্তারিত বলার আগে চলুন এই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন বিষয়টা আগে খোলাসা করি।


সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন কিঃ

 সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা বা আনুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা বলতে এমন যেকোনো ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নির্বাচকমণ্ডলির উপগোষ্ঠীরা উপযুক্ত নির্বাচিত সংগঠনে আনুপাতিক হারে প্রতিফলিত হয়।এই ধারণাটি মূলত রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই ধরনের ব্যবস্থার সারকথা হলো যে এই পদ্ধতিতে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে, অর্থাৎ প্রদত্ত সকল ভোট বা প্রদত্ত প্রায় সকল ভোট একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ফলাফল গঠনে অবদান রাখে এবং কার্যকরভাবে কাউকে নির্বাচিত করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত অন্যান্য নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে একটি আপেক্ষিক বা স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ব্যবহৃত হয়। অপরপক্ষে, সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন দলকে সুষম হারে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে প্রদত্ত ভোট কীভাবে প্রদান করা হয়েছে তা প্রতিফলিত হয়।

ভোটদান পদ্ধতির প্রেক্ষাপটে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি আইনসভার প্রত্যেক প্রতিনিধি প্রায় সমান সংখ্যক ভোটার দ্বারা নির্বাচিত হয়ে থাকে। এর কারণ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রচলিত ক্ষেত্রে যেখানে কেবলমাত্রমাত্র একটি দলকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে, সেখানে এই পদ্ধতিতে প্রতিটি দলকে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বা ভোট বণ্টনের অনুপাতে আসন বণ্টন করা হয়।


সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (ইংরেজি: Proportional representation; পিআর) শব্দাবলি দ্বারা রাষ্ট্র, অঞ্চল ইত্যাদিতে প্রযোজ্য জনসংখ্যার দ্বারা আইনসভায় ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব বোঝাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব কেবলমাত্র জনসংখ্যার আকারের সাথে সমানুপাতিক হওয়াতেই কোনো একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা "আনুপাতিক" হিসেবে বিবেচিত হয় না, যেভাবে শব্দটি সাধারণত ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে ৪৩৫ জন সদস্য রয়েছেন, যারা প্রত্যেকেই দেশটির প্রায় সমান সংখ্যক মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করেন; প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার আকার অনুযায়ী (একটি ন্যূনতম একক আসন যা একটি ক্ষুদ্রতম রাজ্যও পায় তা ব্যতীত) অনুযায়ী বেশ কিছু সদস্য বরাদ্দ করা হয়, এইভাবে জনসংখ্যা দ্বারা হাউজে সমান সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু হাউজের সদস্যরা সাধারণত একক-সদস্যের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট ভোটদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হন, এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন মাত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়, অতএব এটি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করে না। অন্যদিকে, পিআর নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে অর্জিত প্রতিনিধিত্ব সাধারণত একটি এলাকার জনসংখ্যার আকার (জনসংখ্যার প্রতি সেট পরিমাণ আসন), প্রদত্ত ভোট (প্রতিটি বিজয়ী ভোট) এবং দলীয় ভোট বণ্টনের (দলভিত্তিক ব্যবস্থায় যেমন নির্বাচনী তালিকাভিত্তিক পিআর) অনুপাতে হয়। ইউরোপীয় সংসদের প্রতিটি সদস্য নির্বাচনে রাষ্ট্রকে তার জনসংখ্যার আকারের উপর ভিত্তি করে মোটামুটিভাবে বেশ কয়েকটি আসন দেওয়া হয় এবং প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের নির্বাচনও একটি পিআর ব্যবস্থায় (ভোট বণ্টনের ভিত্তিতে আনুপাতিক ফলাফলসহ) অনুষ্ঠিত হতে হবে।


ইতিহাসঃ

১৮৯৯ সালে বেলজিয়ামে সর্বপ্রথম সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিটি প্রবর্তিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থার অর্ধেকের মতো রাষ্ট্রে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনী ব্যবস্থার সর্বাধিক ব্যবহৃত তিনটি ভোটদান পদ্ধতিগুলো হলো: তালিকাভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা [en] যা ৮৫টি দেশে ব্যবহৃত হয়, মিশ্র সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা [en] যা ৭টি দেশে ব্যবহৃত হয় এবং একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটদান [en] যা আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, অস্ট্রেলিয়ার সিনেট ও ভারতের রাজ্যসভা সদস্য নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়। অনেক দেশে প্রচলিত অসংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিও আইনসভার কিছু সদস্য মনোনীত করা হয়, যেমন: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন যা ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পদ্ধতিতে নির্বাচিত দলসমূহের মাঝে আনুপাতিক হারে বণ্টন করে দেওয়া হয়। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা সরকারের সকল স্তরে ব্যবহৃত হয় এবং কর্পোরেট পর্ষদের মতো বেসরকারি সংস্থার নির্বাচনের জন্যও ব্যবহৃত হয়।


সকল পিআর ব্যবস্থায় বহুসদস্যের নির্বাচনী দৌড়ের প্রয়োজন, অর্থাৎ একযোগে একাধিক প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য ভোট সংগ্রহ করা হয়। নির্বাচন আয়োজিত হতে পারে বিভিন্ন বহুসদস্যের নির্বাচনী এলাকায় (একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটদান ও অধিকাংশ তালিকার সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়) বা একক দেশব্যাপী একটি মাত্র নির্বাচনী এলাকায় (মাত্র কিছু তালিকাভিত্তিক পিআর ব্যবস্থায়)। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাঙ্গোলায় একশরও বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য দেশব্যাপী ভোট সংগ্রহ করা হয়। যেখানে মিউনিসিপ্যাল (পৌর) পর্যায়ে ​​পিআর ব্যবস্থা কাঙ্খিত হয়, সেখানে নগর-বিস্তৃত একটি অ্যাট-লার্জ (অসংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় শব্দটির ব্যবহার বিরল) এলাকা ব্যবহার করা হয়, যাতে যতটা সম্ভব বড় নির্বাচনী এলাকা তৈরি করা যায়।

বৃহৎ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রায়ই তালিকাভিত্তিক পিআর ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এমনকি এই ব্যবস্থাও যখন ব্যবহার করা হয়, এলাকাগুলো থেকে কখনো কখনো ৪০ বা ৫০ জনের বেশি সদস্য সংগ্রহ করা যায় না। একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটদান একটি প্রার্থীভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা যেখানে একটি একক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১ জনের বেশি নির্বাচন করার জন্য খুব কমই ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় স্থানীয় একক-সদস্যের নির্বাচনী এলাকার পাশাপাশি অ্যাট-লার্জ বা স্থানীয় পরিসরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেমন নিউজিল্যান্ড মিশ্র সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ও স্কটিশ অতিরিক্ত সদস্য পদ্ধতি। অন্যান্য পিআর ব্যবস্থাগুলো বহুসদস্যের এলাকার পাশাপাশি অ্যাট-লার্জ নির্বাচন আয়োজন করে থাকে, যেমন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য সাধারণত প্রতিকূল। এর কারণ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিগুলো দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী আসন বণ্টনের জন্য তৈরি, নির্দিষ্ট প্রার্থীদের জন্য নয়। তবে কিছু ভিন্নধর্মী পদ্ধতিতে, যেমন মুক্ত তালিকাভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় ভোটাররা একটি দলের মধ্যেই নির্দিষ্ট প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে, যা তাত্ত্বিকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে পারে, তবে এটি খুব সাধারণ নয়।

তবে বিভিন্ন কারণে সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় নিখুঁত আনুপাতিতা খুব কমই অর্জিত হয়। আনুপাতিতায় অসামঞ্জস্য সৃষ্টিকারী কারণের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী থ্রেসহোল্ডের ব্যবহার (ন্যূনতম ভোট বণ্টন যা একটি দল প্রার্থীর প্রয়োজন আইনসভায় যেতে; তালিকাভিত্তিক বা মিশ্র পিআর ব্যবস্থায় ব্যবহৃত), প্রতিক্ষেত্রে অল্প কিছু আসনের ক্ষুদ্র নির্বাচনী এলাকা প্রবর্তন (একক স্থানান্তরযোগ্য বা তালিকাভিত্তিক ব্যবস্থায়) বা সমতলকরণ আসনের অনুপস্থিতি বা অপর্যাপ্তি (তালিকাভিত্তিক, মিশ্র বা অতিরিক্ত সদস্য পিআর ব্যবস্থায়)। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে কিছু নির্বাচনী কৌশল যা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন জয়ে ব্যবহার করে থাকে, যেমন কিছু মিশ্র-সদস্য ব্যবস্থায় দলবিভক্তি (তালিকাভিত্তিক পিআর পদ্ধতিতে বৃহৎ দলের আসন জয়ের সম্ভাবনা কম থাকলে জোটভুক্ত ছোট দলগুলোর মাঝে ভোট বিভক্তি)। তা সত্ত্বেও পিআর ব্যবস্থায় অর্জিত আনুপাতিতা অন্যান্য ব্যবস্থায় তুলনায় অনেক ভালো[১১] এবং গেরিম্যান্ডারিং ও অন্যান্য ধরনের নির্বাচনী কূটকৌশল প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।


বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন এর প্রথম দাবী কারা করেছিলো?

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রথম দাবী উঠে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ হিন্দু -বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের পক্ষ হতে।এ দাবী উত্থাপন করে রানা দাশ গুপ্ত, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক প্রমূখরা।

এই কট্টর হিন্দুত্ববাদি ভারতের দালালদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো এই সংখ্যা লঘু জনগনকে একত্রিত করে একটি সংসদীয় শক্তি অর্জন করে বাংলাদেশে জনগনের মধ্যে কৌশলে বিভাজন তৈরী করে অখন্ড ভারতের লক্ষ্য পূরন করা।


বাংলাদেশের ইসলামি দলের অনুরুপ দাবীর পেছনে কারা?

একটা জিনিস খুব খেয়াল করার অনুরোধ করছি। স্বৈরাচারী হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ইসকন, ভারতের "র " এর এজেন্ট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নামে ভারতীয় গুপ্তচররা অখন্ড ভারত মাতা নিয়ে খুব দাবী তুলতো। কিন্তু হাসিনা পতনের পর এসকল দালালরা আড়ালে চলে গেছে এবং ভর করছে ইসলামি দল গুলোর ঘাড়ে।


ভারতীয় এজেন্টরা কিভাবে ইসলামি দল গুলোর ঘাড়ে চাপলো?

হাসিনা পতনের পর দেখলো এই ভারতীয় দালাল রানা দাশ, গোবিন্দ চন্দ্ররা রীতি মত বাংলাদেশী জাতির নিকট ভিলেন হয়ে গেছে, তাদের মুখোশ খুলে গেছে। ওদিকে হাসিনাও নাই তাদের রক্ষার জন্য এবং আওয়ামিলীগের ফেরত আসার সম্ভাবনা ক্ষীন। আবার বি এন পির সাথে মিশলে তারদেরকে ইসলাম পন্থিরা চিহ্নিত করে ফেলবে। তারা বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশের পরবর্তী উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তি হলো ঐক্য বদ্ধ ইসলামি শক্তি। তখন তারা রাতা রাতি বোল পাল্টে ইসলামি দল গুলোর পক্ষে কথা বলতে শুরু করে, দলে দলে অমুসলিমদের ইসলামি দলে প্রবেশ করানো শুরু করলো। 

আর এদিকে ইসলামি দল গুলোর মাথা মোটা নেতা ও কর্তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে এই ভেবে, ওরে বাপরে!! আমাদের দলকে অমুসলিমরাও সমর্থন করছে, এটা অনেক বড় অর্জন। আমাদের দলে অমুসলিম নেতা কর্মী থাকলে তাদের দেখিয়ে আমরা বহি:বিশ্বে নিজেদের একটি লিবারেল ইসলামি দল বলে দাবী করতে পারবো। কেউ আমাদের জ*ঙ্গী কিংবা স*ন্ত্রাসী দল বলতে পারবে না। আমরা ক্ষমতায় গেলে তালেবানের মত বহিঃবিশ্বের চাপে পড়তে হবে না। ব্যাস এই আনন্দেই ইসলামি দল গুলো এই ভারতীয় দালাল গুলোকে নিয়ে মাতামাতি আর মাখামাখি শুরু করে। তাদের পূজামন্ডপ পাহাড়া হতে শুরু করে পূজায় গীতা পর্যন্ত পাঠ করতে ছাড়ে নি।

এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী বিষয়ে ২০১৮ সালে ভারতীয় এজেন্টরা হীন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে বিভাজিত করে ধ্বংশ করে ভারতের অংশ করার মনো বাসনায় জিকির তোললেও বর্তমানে তারাই ইসলামি দলগুলোর মাথায় সহজে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই মাথা মোটা ইসলামি দলের নেতাদের মুখ দিয়ে একই দাবী তোলাচ্ছে। কিন্তু ইসলামি দল গুলো বুঝতেও পারছে না যে বাংলাদেশে ১৮% অমুসলিমরা মিলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদের একটা বিশাল শক্তি নিয়ে সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কখনো যদি ইসলামি দল ক্ষমতায় যায়,অথবা ইসলামি শক্তি কখনো কোনো ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে যায় তখনই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচিত অমুসলিম এমপিরা এতে বাঁধা দিবে, বাঁধা না শোনলে এই পার্লামেন্ট সদস্যরাই বহি:বিশ্বে ইসলামি শক্তিকে সন্ত্রাসী শক্তি হিসাবে সহজে তুলে ধরবে এবং আফগানিস্তানের অবস্থা করে ছাড়বে। এজন্যই ইসলামি দলের আরেক সরল ও মাথা মোটা ফয়জুল করিমকে দিয়েই প্রথম দাবী তুলাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের জন্য।

সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবাঙ্গালীরা একক ভাবে সংসদে একটা বিশাল শক্তি হয়ে উদ্ভব হবে আর সুযোগ বুঝে সংসদে চট্রগ্রামের স্বায়ত্ব শাসনের দাবী তুলে প্রথমে সেনাবাহিনীকে সংসদীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে সরাতে বাধ্য করাবে তার পর পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।


এই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবী আদতে ভারতীয় এজেন্ট রানা দাশ আর গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিকদের দাবী,কিন্তু বাংলাদেশের অনেক মানুষ তার কুফল বুঝতে পারছে না। সাবধান! এই পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য রহমত নয় বরং গজব নিয়ে আসবে,জাতিকে বিভাজিত করবে এবং বাংলাদেশকে নব্য গাজায় পরিনত করবে।


লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

বিগত ৫৪ বছরের নির্বাচন হতে যা পেলো জাতি

 "বিগত ৫৪ বছরের নির্বাচন হতে যা পেলো জাতি"

নির্বাচনই কি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ?

রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের পর ইন্টারিম সরকারের সময়ে জাতি বাংলাদেশের আমুল পরিবর্তনের জন্য একটি সংস্কার দাবী করেছে। এই সংস্কার যেমন কঠিন তেমনই সময় স্বাপেক্ষ। কিন্তু এটা মানুষ বুঝার পরও কিছু বিদেশী এজেন্ট বিশেষ করে ভারতীয় দালাল বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে সরকারকে।তাদের যুক্তি হলো নির্বাচনই হলো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ। আমিও বলি অবশ্যই নির্বাচন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ।  কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় এই নির্বাচন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জাতিকে মুক্তির জন্য কতটুকু ফলপ্রসূ?


আসুন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস ও তার পরবর্তী ফলাফল একটু দেখি কি হয়েছিল।

১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে নির্বাচন হলো সে নির্বাচনে শয়ং দেশের রক্ষক, বাংলাদেশের স্বাধীনতার তথা কথিত মহা নায়ক শেখ মুজিব নিজেই ভোট ডাকাতি করে বসলো। তার পর নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বাকশাল কায়েম করলো। দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো, লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে মারা গেলো। এই ছিলো প্রথম নির্বাচনের ফলাফল।

এর পর বহু নাটক হলো, কিন্তু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মেজর জিয়ার আগমন পর্যন্ত মানুষকে অপেক্ষা করতে হলো। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতার বৈধতা পাকাপোক্ত করার পর সকল দলের জন্য গনতন্ত্র উম্মুক্ত করার পর তাকে আর বেশী দিন টিকতে দেওয়া হয় নি। চলে আসলো স্বৈরাচার এরশাদ।

এরশাদের আমলেও নির্বাচন হয়েছিলো,কিন্তু সে নির্বাচনও ছিলো পাতানো ও সাজানো, যেমন ছিলো হাসিনার আমলের নির্বাচন গুলো।

এই স্বৈরাচারী এরশাদকে হটিয়ে আবারো গনতন্ত্র উদ্ধারের জন্য ৯০ এর গন অভ্যুত্থান হল, নির্বাচন হলো,খলেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলো, শুরু হলো গনতান্ত্রিক চর্চা। 


১৯৯১ সালে সাময়িক ভাবে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হলেও সংবিধানে না থাকার কারনে খলেদা জিয়া নিজের হাতে ক্ষমতা রেখেই ১৯৯৬ সালে নির্বাচন করলো,ফলাফল হলো ৭৭ দিন দেশে হরতাল, দেশ ভিক্ষার থলে নিয়ে পথে বসল তার পর আনারও আসলো তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।  নির্বাচন হলো,ক্ষমতায় আসলো স্বৈরাচার হাসিনা। সে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আবার নির্বাচন হলো, আসলো আবার জোট সরকার। ক্ষমতায় ৫ বছর থাকলো এর মধ্যে ৩ বার দূর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হলো। এই ছিলো নির্বাচিত সরকারের অবদান।

তার পর এই সরকার এমন একটি তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করলো যাতে সহজেই ক্ষমতায় যাওয়া যায়, এমন কি স্বৈরাচার এরশাদকে চার দলীয় জোটে আনতে যে প্রধান বাঁধা ছিলো বিদীশা এরশাদ, তাকেও তালাক দিতে বাধ্য করলো নির্বাচন সামনে রেখে। দেশে আসলো অবৈধ ফখরুদ্দিন ও মঈনউদ্দীন সরকার। ২ বছর পর আবারও সাজানো নির্বাচন, আড়াইশোর বেশী আসনে স্বৈরাচার আওয়ামিলীগ জয় পেলো। আওয়ামিলীগ এসে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বসলো, ৩টি ভোটার বিহীন নির্বাচন হলো,জনগনের কপালে জুটলো নির্যাতন, অর্থ লুটপাট, ১৫০০টাকা কেজি কাঁচা মরিচ, আরো কত কি। গুম,খুন,অর্থ লুটপাট হেন কোনো নির্যাতন নাই যা বাংলাদেশের মানুষের চালায় নি হাসিনা। সেও নিয়মিত সময় পর পর নির্বাচন দিত। ফলাফল ছিলো শূন্য। জাতি কি পেয়েছে বিগত ৫৪ বছরের নির্বাচন গুলো হতে?


বওগত ৫৪ বছরে নির্বাচন ও গনতন্ত্রের চর্চার মাধ্যমে,

★ একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও জনগনের ভোটের নিশ্চিত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে নি।


★ এ পর্যন্ত একটি শিক্ষা নীতি চালু করতে পারে নি।


★ দূর্নীতি দূর করতে পারে নি বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে।


★ এই নির্বাচন ও গনতন্ত্র আমাদেরকে হাজার হাজার লাশ উপহার দিয়েছে।


★ চাঁদাবাজীকে অঘোষিত বৈধতা দিয়েছে।


তাইলে যারা নিট্বাচন নির্বাচন বলে গলাবাজি করছেন তাদেরও উদ্দেশ্য কি আবারও নির্বাচন নামক ছেলে ভুলানো গান শুনিয়ে বাংলাদেশের মানুষে কারাগারে আটক করা?

একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একটি জাতির মুক্তির অন্যতম উপায় হতে পারলেও বাংলাদেচের মত দেশের জন্য কতটুকু প্রজোয্য? এটিই একমাত্র উপায় নয়। নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ, যা জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠনের সুযোগ তৈরি করে। একটি জাতির মুক্তি ও অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন শুধু নির্বাচন নয়, বরং একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা, আইনের শাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার, এবং জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি। 


নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ: 

জনগণের ভোটাধিকার:

নির্বাচন জনগণের ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, যারা তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং তাদের জন্য কাজ করবে। কিন্তু বিগত ৫৪ বছরের নির্বাচন গুলো এসকল শর্ত পূরনে ব্যর্থ হয়েছে।


সরকারের জবাবদিহিতা:

নির্বাচন সরকারের কাজের ওপর জনগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখে। জনগণ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজের মূল্যায়ন করতে পারে এবং প্রয়োজনে তাদের পরিবর্তন করতে পারে।কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় তা সম্পূর্ণ বিপরীত। 


রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা:

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করে। যখন জনগণ তাদের পছন্দের সরকারকে নির্বাচিত করতে পারে, তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসে।বাংলাদেশে প্রত্যেক নির্বাচনের আগে ও পরে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরী হয়, মানুষ মরে অগনিত।


অর্থনৈতিক উন্নয়ন:

একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। যখন সরকার জনগণের সমর্থনে থাকে, তখন অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও দ্রুত হতে পারে। বাংলাদেশের বেলায় মির্বাচন চাঁদাবাজি ও টাকা পাচারের পথ সুগম করে।


সামাজিক ন্যায়বিচার:

নির্বাচন সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যখন জনগণ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয় এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের দাবি পেশ করে, তখন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়।বাংলাদেশের বেলায় তা পরিলক্ষিত হয় নি।


তবে, নির্বাচনই শেষ কথা নয়। একটি জাতির মুক্তি ও অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন: 


সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া:

নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, এবং নিরপেক্ষ হতে হবে। এতে জনগণের ভোটাধিকারের উপর কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক সরকার:

নির্বাচিত সরকার জনগণের জন্য কাজ করবে এবং তাদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে।


আইনের শাসন:

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আইনের ঊর্ধ্বে নয়।


অর্থনৈতিক উন্নয়ন:

অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।


সামাজিক ন্যায়বিচার:

সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

জনগণের ঐক্য ও সংহতি:

জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি থাকা প্রয়োজন।

কিন্তু বিগত ৫৪ বছরের নির্বাচন জাতির কোনো শর্তই পূরন করতে পারে নি বরং মানুষের অধিকার গুলো কেড়ে নিয়েছে। তাই বলি আগে সংস্কার নিশ্চিত হোক তার পর নির্বাচন। 


লেখকঃ চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

মুসলিম সম্রাজ্য ও ইসলাম ধ্বংশের ভয়ংকর পরিকল্পনা ফাঁস

মুসলিম সম্রাজ্য ও ইসলাম ধ্বংশের ভয়ংকর পরিকল্পনা ফাঁস 
ইসলাম ধ্বংসের পরিকল্পনা 





এই তথ্যটি জার্মানে ২য় বিশ্ব যুদ্ধ পরবর্তীতে কমনওয়েলথ ব্রিটিশ গোয়েন্দা ও সামরিক অফিসার ড. হামপেরীর নিজের হাতে লেখা একটি গোপন ডায়েরিতে লেখা ছিলো যা পরের জার্মানরা প্রকাশ করে, তার বক্তব্য হুবহু তোলে ধরা হলো।

"রথচাইল্ড,ব্রিটিশ ও পশ্চিমাদের ইসলাম ও খিলাফত ধ্বংশে ১৭'শ শতাব্দীতে নেয়া মহা পরিকল্পনা"


কর্মসূচিটিতে রয়েছে চৌদ্দটি অনুচ্ছেদ। মুসলমানরা যাতে জানতে না পারে সে জন্য এ কর্মসূচীটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এ কর্মসূচীতে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদগুলো রয়েছে।

১. আমাদেরকে বুখারা, তাজাকিস্তান, আরমেনিয়া, খোরামান এবং তার প্রতিবেশী অঞ্চলসমূহ অধিকার করার জন্য রাশিয়ান টিএস আর এর সাথে সুপ্রতিষ্ঠিত জোট গঠন করতে হবে এবং পারস্পরিক সহায়তার জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। রাশিয়ানদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তুর্কিস্থান দখল করার জন্যও তাদের সাথে যথাযথ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।

২. এখান থেকে কিংবা অন্যস্থান থেকেও ইসলামি বিশ্ব ধ্বংস করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ফ্রান্সকে সহায়তা করতে হবে।

৩. আমরা অবশ্য তুর্কি এবং ইরানী সরকারের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য এবং বিতর্কের বীজ বপন করব যা উভয় পক্ষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী, জাতীয়তাগোষ্ঠীগত ধারনার প্রতি গুরুত্ব তৈরি করবে। এছাড়াও সকল মুসলিম গোত্র, জাতি এবং এদের প্রতিবেশী দেশ সমূহকে অবশ্যই একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে হবে। যেগুলো বিলুপ্ত হয়েগেছে সেগুলোসহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং এ সম্প্রদায়গুলোকে একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে হবে।

৪. মুসলিম দেশের অংশগুলোকে অমুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে সমর্পণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, মদিনা অবশ্যই ইহুদীদের কাছে, আলেকজান্দ্রিয়া খৃস্টানদের হাতে, ইমারা সাইবারদের কাছে, কেরামানশাহ নুসাইরিয়া গ্রুপের কাছে যারা আলিকে বিভক্ত করেছে, মসূল ইয়াজিদীদের কাছে, ইরানিয়ান গলফ হিন্দুদের হাতে, ত্রিপলি ডুজদের কাছে, কার্স আলউসদের কাছে, মাসকাট খারেজী গ্রুপের কাছে সমর্পণ করতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে এ সকল গ্রুপের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে হবে ফলে এর প্রতিটি গ্রুপ হবে ইসলামের গায়ের কাটা স্বরূপ। ইসলামের বিনাশ বা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এর আওতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৫. মুসলমান এবং উসমানিয়া খিলাফত যথা সম্ভব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্থানীয় রাষ্ট্রে বিভক্ত করতে অবশ্যই একটি সিডিউল তৈরি করতে হবে। এবং নজর রাখতে হবে যেন রাষ্ট্রগুলো পারস্পারিক ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকে। বর্তমানের ভারতবর্ষ হচ্ছে এর একটি উদাহরণ। এজন্য সাধারণ নিয়ম হচ্ছে “ভেঙ্গে ফেল ও প্রভূত্ব কায়েম কর” এবং “ভেঙ্গে ফেল ও গুড়িয়ে দাও।”

৬. ইসলামিক সত্তাকে কলুষিত করতে বিভিন্ন মেকী রচনা এবং ধর্মীয় দল উপদল তৈরি করা জরুরী। আমাদিগকে অবশ্যই অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করতে হবে, আমরা যে নতুন ধর্মমতটি তৈরি করতে যাচ্ছি তার ইন্দ্রিয় যেন তৃপ্তিদায়ক হয় এবং যারা প্রচার করবে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলে চারটি আলাদা ধর্মমত তৈরি করতে হবে।

একটি ধর্মমত হযরত হুসাইনকে বিভক্ত করবে,

• একটি ধর্মমত জাফর সাদিককে বিভক্ত করবে।

একটি ধর্মমত ইমাম মাহদী আ. কে বিভক্ত করবে।

একটি ধর্মমত হযরত আলি রেজাকে বিভক্ত করবে। প্রথমটি কারবালার জন্য প্রযোজ্য।



দ্বিতীয়টির জন্য ইস্পাহান। তৃতীয়টির জন্য সামারা এবং চতুর্থটির জন্য খোরাসান। এ সময়ে আমরা অবশ্যই বর্তমান চারটি সুন্নি মাযহাবকে লক্ষ্য বিচ্যুত করে চারটি স্বয়ং সম্পূর্ণ ধর্মে প্রতিষ্ঠা করে তুলে ধরব। এটা করার পরে আমারা নাজদে একটি সর্বোপরি নতুন ইসলামিক সম্প্রদায় তৈরি করব এবং এ সকল দলের মধ্যে একটি রক্তক্ষয়ী ধারা তৈরি করার জন্য প্ররোচিত করবো। আমরা চার মাযহাবের বইগুলোকে ধ্বংস করবো, যেন এদের প্রতিটি দল তাদের নিজেদেরকেই একমাত্র খাটি মুসলমান হিসেবে মনে করে এবং অন্যদেরকে ঘায়েল করে।

৭. মুসলিম সমাজের মধ্যে অপকর্ম এবং বিদ্বেষ যেমন, ব্যাভিচার, মাতলামী, জুয়া, ইত্যাদির বীজ ছড়াতে হবে। দেশে বসবাসরত অমুসলিমদের এ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে হবে। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর মধ্য থেকে ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোকদের সংগ্রহ করতে হবে।

৮. মুসলমান দেশে দুধর্ষ নেতা এবং নির্দয় কমান্ডারদের আমরা প্রশিক্ষণ প্রদান করব। আমরা তাদের ক্ষমতায় আনয়ন করা এবং শরিয়তের নির্দেশ পালন করা থেকে বিরত রাখার আইন প্রণয়ন করার চেষ্টায় কোন ত্রুটি করব না। আমরা তাদের এমনভাবে ব্যবহার করব যেন কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয় থেকে যা করতে বলা হয় তা করার জন্য তারা সদা অনুগত থাকে। তাদের মাধ্যমে আমরা আমাদের ইচ্ছেগুলো প্রচলিত আইনের মাধ্যমে মুসলমান এবং মুসলিম দেশে আরোপ করতে সমর্থ হব। আমরা এমন এক সামাজিক জীবন ব্যবস্থা এবং পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করব যেখানে ইসলামি শরিয়ার আইন-কানুন পালন করাকে অন্যায়ের দৃষ্টিতে দেখা হবে। এবং ইবাদাতকে মনে করা হবে অনগ্রসর কাজের শামিল। অমুসলিমদের মধ্য থেকে তাদের নেতা নির্বাচন করার কৌশল অবলম্বন করব। এটা করার জন্য আমাদের কতিপয় এজেন্টকে ইসলামিক অথরিটির ছদ্মবেশে রাখতে হবে। এবং তাদের উচ্চ পদে আসীন করাতে হবে। যাতে তারা আমাদের এ ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে পারে।

৯. আরবি ভাষা শিক্ষা বন্ধ করার জন্য সব কিছু করতে হবে। আরবি ব্যতীত অন্য ভাষা যেমন, ফার্সি, কুর্দী পশতু এগুলো জনপ্রিয় করতে হবে। আরব দেশ সমূহে বিদেশী ভাষার প্রচলন করতে হবে। এবং শিক্ষার মূল উৎপাদন করার জন্য কুরআন ও সুন্নাহর যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে এবং সাহিত্য ও বাগ্মিতা ধ্বংস করার জন্য আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয় করতে হবে।

১০. আমাদের লোকজনকে সরকারী উচ্চ পদস্ত লোকদের কাছে বসাতে হবে এবং ধীরে ধীরে আমরা তাদেরকে সহকারী হিসেবে উন্নীত করব। এবং তাদের মাধ্যমে কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করব। দাস ব্যবসার মাধ্যমে তা সহজেই করা যায়। প্রথমে আমরা গোয়েন্দাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেব। এবং দাস বা উপ-পত্নীর ছদ্মবেশে তাদেরকে উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা বা তার নিকট আত্মীয় যেমন তাদের ছেলেমেয়ে তাদের স্ত্রী অথবা তারা যাকে পছন্দ করে বা শ্রদ্ধা করে তাদের কাছে বিক্রয় করব। বিক্রয় করার পর এ সকল স্ত্রী দাসেরা পর্যায়ক্রমে সরকারী পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকটবর্তী হতে থাকবে। কখনো তাদের মায়ের ভূমিকায় বা কখনো গৃহ শিক্ষিকার ভূমিকায় তার মুসলিম সরকারী কর্মকর্তাদের হাতে শাখার মতো ঘিরে থাকবে ।


মিশনারীর আওতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে যেন তা সমাজের সকল শ্রেণীর, পেশার, বিশেষত চিকিৎসা পেশা, প্রকৌশল, হিসাব-রক্ষক ইত্যাদির মধ্যে প্রবেশ করাতে পারে। আমরা অবশ্য এসকল নামে যেমন, চার্চ, স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরী দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে মুসলিম দেশসমূহের নিকট এবং দূরবর্তী স্থানসমূহে প্রচার ও প্রকাশনা কেন্দ্র খুলব। আমরা খৃস্টবাদ সম্পর্কিত লক্ষ লক্ষ বই বিনা মূল্যে বিতরণ করব। অবশ্য ইসলামি ইতিহাসের সাথে মিল রেখে খৃস্টানদের ইতিহাস এবং আন্তঃসরকারী আইন প্রকাশ করব। আমরা সন্নাসী ও সন্নাসিনির ছদ্মবেশে আমাদের গুপ্তচরদের গীর্জা এবং আশ্রমে অবস্থান করাবো। এরা একই সাথে ইসলামিক বিশ্বের সকল চাঞ্চল্য এবং কর্মধারা সনাক্ত করবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে অবহিত করবে। আমরা অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, গবেষক এ সকল নামে একটি সেনা সংস্থা তৈরি করব। তারা মুসলমানদের সকল ঘটনা, তাদের পদ্ধতি, আচরণ এবং ধর্মীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত হবে এবং তাদের ইতিহাসের ভিন্ন অপব্যাখ্যা প্রদান করবে এবং কলুষিক করবে। তাদের সকল বই পুস্তক ধ্বংস করবে এবং ইসলামিক মূল্যবোধ নষ্ট করবে।

১২. আমরা অবশ্যই মুসলমান যুবক, ছেলে এবং মেয়েদের মন এমন ভাবে বিভ্রান্ত করব যাতে ইসলামের প্রতি তাদের মনে সন্দেহ এবং ইতস্ততার উদ্রেক তৈরি হয়। আমরা স্কুল, বই, পুস্তক, পত্র-পত্রিকা, খেলা ধুলা ক্লাব, প্রকাশনা, চলচিত্র, টেলিভিশন এবং এ কাজের জন্য আমাদের নিজস্ব প্রশিক্ষিত এজেন্ট দ্বারা একে একে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ অপহরণ করব। এটা করার পূর্বশর্ত হচ্ছে যে, একটি গোপন সম্প্রদায় তৈরি করতে হবে যারা ইহুদি, খৃস্টান এবং অন্য অমুসলিম যুবকদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং তাদের দ্বারা মুসলিম যুবক যুবতিদের ফাঁদে ফেলার জন্য প্রলুব্ধ করবে।

১৩. গণঅভূত্থান ও গৃহ যুদ্ধের জন্য উস্কানী দিতে হবে। মুসলমানরা অবশ্যই সব সময় নিজেরা এবং অমুসলিমদের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকবে। এভাবে শক্তির অপচয় ঘটবে এবং তাদের পক্ষে উন্নতি করা এবং একতাবদ্ধ হওয়া অসম্ভব হবে। তাদের মানসিক অন্তর্নিহিত শক্তি এবং আর্থিক উৎস বিনাশ করতে হবে। ফলে যুবক এবং সক্রিয় লোকজনকে তাদের কর্ম থেকে দূরে সরাতে হবে। তাদের প্রথা বা রীতিনীতিকে অবশ্যই সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যে পরিণত করতে হবে।

১৪. সকল ক্ষেত্রে তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিতে হবে। তাদের আয়ের উৎস এবং কৃষি জমি বিনষ্ট করতে হবে, তাদের সেচ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত করতে হবে। নদী শুকিয়ে ফেলতে হবে। মানুষদেরকে এমনভাবে তৈরি করতে যেন তারা নামায আদায় করা এবং কাজ করাকে ঘৃণা করে, আলস্য বা কুড়ামি যতদূর সম্ভব ছড়িয়ে দিতে হবে। অলস লোকদের জন্য খেলার মাঠ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। নেশা এবং মাদক দ্রব্য সহজ লভ্য করতে হবে।

(উপরের আলোচ্য অনুচ্ছেদগুলো ম্যাপ, ছবি এবং চার্ট দ্বারা পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করা ছিল) এ চমৎকার ডকুমেন্টটির একটি কপি আমাকে দেয়ার জন্য আমি সেক্রেটারিকে ধন্যবাদ জানালাম।

একমাস লন্ডনে থাকার পর মন্ত্রণালয় থেকে একটি ম্যাসেজ পেলাম, তাতে ইরাকের নজদের মুহাম্মাদ ওহাবের সাথে আবার দেখা করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যখন আমি 
আমার মিশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম, সেক্রেটারী বলল, “নজদের মুহাম্মাদ ওহাবের ব্যাপারে কখনো হেলা করো না। এখন পর্যন্ত আমাদের অন্যান্য গুপ্তচর যে সকল রিপোর্ট প্রদান করছে তাতে বোঝা যাচ্ছে নজদের মুহাম্মাদ ওহাব একটি বোকা জাতীয় লোক, সে আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য খুব উপযোগী।”

“খোলাখুলিভাবে নজদের মুহাম্মাদের ওহাবের সাথে কথা বল। আমাদের এজেন্টরা ইস্পাহানে খোলাখুলিভাবে তার সাথে কথা বলেছে এবং সে আমাদের ইচ্ছেগুলোকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছে। তার শর্তগুলো হচ্ছে আদর্শ এবং মতামত প্রচার করার পর রাষ্ট্র এবং আলেমগণ অবশ্যই তাকে আক্রমণ করবে, তা থেকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ এবং অস্ত্র দ্বারা সমর্থন যোগাতে হবে ।

একটি নৃপতির শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, হতে পারে তা ক্ষুদ্র। মন্ত্রণালয় তার শর্তে সম্মত হয়েছে।”

এ সংবাদ শুনার পর আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি আনন্দে উড়ছি। আমি সেক্রেটারীকে জিজ্ঞাসা করলাম এ সম্পর্কে আমাকে কি করতে হবে? তার জবাব ছিল নজদের মুহাম্মাদ ওহাব কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তা নিম্নরূপ:

১. সে অন্য সকল মুসলমানদের কাফের ঘোষণা করবে এবং তাদের হত্যা করা, তাদের সম্পদ দখল করা, তাদের সতীত্ব হরণ করা, তাদেরকে দাসে পরিণত করা, তাদের মহিলাদের উপপত্নী হিসেবে ব্যবহার করা এবং তাদেরকে দাস হিসেবে বাজারে বিক্রয় করার কথা প্রচার করবে।

২. সে প্রচার করবে যে, কাবা হচ্ছে একটি প্রতিমূর্তি এবং এটা অবশ্যই ভেঙ্গে ফেলতে হবে। হজ্জ করা থেকে বিরত রাখার জন্য বিভিন্ন গোত্রের লোকেরা হাজীদের দলকে আক্রমণ করবে। এবং তাদের জিনিসপত্র কেড়ে নিবে এবং তাদের হত্যা করবে।

৩. উপদেশ প্রদানের দ্বারা খলিফার অনুগত না হওয়ার জন্য সে প্রাণপণ চেষ্টা করবে। খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য প্রচারণা করবে। এ উদ্দেশ্যে সে সৈন্যদল গঠন করার জন্য প্রস্তুতি নিবে। সে হেজাজের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সকল সুযোগ ব্যবহার করবে।

৪. সে যুক্তি উত্থাপন করবে যে, মুসলমান দেশসমূহে সমাধিক্ষেত্র, গম্বুজ এবং পবিত্র স্থানসমূহ এগুলো বহুদেবদেবীর প্রতীক বহন করে। তাই এগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হবে। সে নবী, তার খলিফাগণ এবং মাজহাবের প্রখ্যাত মনীষীগণের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার জন্য সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।

৫. সে মুসলিম দেশসমূহে বিদ্রোহ, নিপীড়ন, নৈরাজ্য সৃষ্টির উৎসাহ প্রদান করার জন্য সর্বশক্তি ব্যয় করবে।

৬. সে মেকী রচনা সম্বলিত কুরআনের একটি কপি এবং হাদিসের কপি তৈরি করার চেষ্টা করবে।

সূত্র:হ্যাম্ফারের ডায়েরী।

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...