"সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের ধ্বংস ডেকে আনবে, এটা ভারতীয় দালালদের এজেন্ডা"
![]() |
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশের ধ্বংস ডেকে আনবে, এটা ভারতীয় দালালদের এজেন্ডা |
দয়া করে পাঠকগন আমার লেখা শেষ পর্যন্ত না পড়ে ভুল মন্তব্য করবেন না। আমার এই লেখাটি জাতীয় স্বার্থে ৷ ইদানীং বাংলাদেশে নির্বাচনের সচ্ছতার জন্য সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে খুব দাবী উঠেছে। বুঝে হোক আর না বুঝে হোক এই পদ্ধতির পক্ষে অনেক রাজনৈতিক দল জোড়ালো দাবী জানাচ্ছে, বিশেষ করে ইসলামি দল গুলো, কিন্তু এই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য কি ধরনের গজব বয়ে আনবে তা তারা উপলব্ধি করতে পারছে না। এই বিষয়ে বিস্তারিত বলার আগে চলুন এই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন বিষয়টা আগে খোলাসা করি।
সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন কিঃ
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা বা আনুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা বলতে এমন যেকোনো ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নির্বাচকমণ্ডলির উপগোষ্ঠীরা উপযুক্ত নির্বাচিত সংগঠনে আনুপাতিক হারে প্রতিফলিত হয়।এই ধারণাটি মূলত রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই ধরনের ব্যবস্থার সারকথা হলো যে এই পদ্ধতিতে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে, অর্থাৎ প্রদত্ত সকল ভোট বা প্রদত্ত প্রায় সকল ভোট একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ফলাফল গঠনে অবদান রাখে এবং কার্যকরভাবে কাউকে নির্বাচিত করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত অন্যান্য নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে একটি আপেক্ষিক বা স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে ব্যবহৃত হয়। অপরপক্ষে, সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন দলকে সুষম হারে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে প্রদত্ত ভোট কীভাবে প্রদান করা হয়েছে তা প্রতিফলিত হয়।
ভোটদান পদ্ধতির প্রেক্ষাপটে, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি আইনসভার প্রত্যেক প্রতিনিধি প্রায় সমান সংখ্যক ভোটার দ্বারা নির্বাচিত হয়ে থাকে। এর কারণ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রচলিত ক্ষেত্রে যেখানে কেবলমাত্রমাত্র একটি দলকে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকে, সেখানে এই পদ্ধতিতে প্রতিটি দলকে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বা ভোট বণ্টনের অনুপাতে আসন বণ্টন করা হয়।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (ইংরেজি: Proportional representation; পিআর) শব্দাবলি দ্বারা রাষ্ট্র, অঞ্চল ইত্যাদিতে প্রযোজ্য জনসংখ্যার দ্বারা আইনসভায় ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব বোঝাতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব কেবলমাত্র জনসংখ্যার আকারের সাথে সমানুপাতিক হওয়াতেই কোনো একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা "আনুপাতিক" হিসেবে বিবেচিত হয় না, যেভাবে শব্দটি সাধারণত ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে ৪৩৫ জন সদস্য রয়েছেন, যারা প্রত্যেকেই দেশটির প্রায় সমান সংখ্যক মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করেন; প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার আকার অনুযায়ী (একটি ন্যূনতম একক আসন যা একটি ক্ষুদ্রতম রাজ্যও পায় তা ব্যতীত) অনুযায়ী বেশ কিছু সদস্য বরাদ্দ করা হয়, এইভাবে জনসংখ্যা দ্বারা হাউজে সমান সংখ্যক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু হাউজের সদস্যরা সাধারণত একক-সদস্যের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট ভোটদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হন, এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন মাত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়, অতএব এটি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করে না। অন্যদিকে, পিআর নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে অর্জিত প্রতিনিধিত্ব সাধারণত একটি এলাকার জনসংখ্যার আকার (জনসংখ্যার প্রতি সেট পরিমাণ আসন), প্রদত্ত ভোট (প্রতিটি বিজয়ী ভোট) এবং দলীয় ভোট বণ্টনের (দলভিত্তিক ব্যবস্থায় যেমন নির্বাচনী তালিকাভিত্তিক পিআর) অনুপাতে হয়। ইউরোপীয় সংসদের প্রতিটি সদস্য নির্বাচনে রাষ্ট্রকে তার জনসংখ্যার আকারের উপর ভিত্তি করে মোটামুটিভাবে বেশ কয়েকটি আসন দেওয়া হয় এবং প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের নির্বাচনও একটি পিআর ব্যবস্থায় (ভোট বণ্টনের ভিত্তিতে আনুপাতিক ফলাফলসহ) অনুষ্ঠিত হতে হবে।
ইতিহাসঃ
১৮৯৯ সালে বেলজিয়ামে সর্বপ্রথম সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিটি প্রবর্তিত হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থার অর্ধেকের মতো রাষ্ট্রে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনী ব্যবস্থার সর্বাধিক ব্যবহৃত তিনটি ভোটদান পদ্ধতিগুলো হলো: তালিকাভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা [en] যা ৮৫টি দেশে ব্যবহৃত হয়, মিশ্র সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা [en] যা ৭টি দেশে ব্যবহৃত হয় এবং একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটদান [en] যা আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, অস্ট্রেলিয়ার সিনেট ও ভারতের রাজ্যসভা সদস্য নির্বাচনে ব্যবহৃত হয়। অনেক দেশে প্রচলিত অসংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিও আইনসভার কিছু সদস্য মনোনীত করা হয়, যেমন: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন যা ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পদ্ধতিতে নির্বাচিত দলসমূহের মাঝে আনুপাতিক হারে বণ্টন করে দেওয়া হয়। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা সরকারের সকল স্তরে ব্যবহৃত হয় এবং কর্পোরেট পর্ষদের মতো বেসরকারি সংস্থার নির্বাচনের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
সকল পিআর ব্যবস্থায় বহুসদস্যের নির্বাচনী দৌড়ের প্রয়োজন, অর্থাৎ একযোগে একাধিক প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য ভোট সংগ্রহ করা হয়। নির্বাচন আয়োজিত হতে পারে বিভিন্ন বহুসদস্যের নির্বাচনী এলাকায় (একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটদান ও অধিকাংশ তালিকার সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায়) বা একক দেশব্যাপী একটি মাত্র নির্বাচনী এলাকায় (মাত্র কিছু তালিকাভিত্তিক পিআর ব্যবস্থায়)। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাঙ্গোলায় একশরও বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য দেশব্যাপী ভোট সংগ্রহ করা হয়। যেখানে মিউনিসিপ্যাল (পৌর) পর্যায়ে পিআর ব্যবস্থা কাঙ্খিত হয়, সেখানে নগর-বিস্তৃত একটি অ্যাট-লার্জ (অসংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় শব্দটির ব্যবহার বিরল) এলাকা ব্যবহার করা হয়, যাতে যতটা সম্ভব বড় নির্বাচনী এলাকা তৈরি করা যায়।
বৃহৎ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রায়ই তালিকাভিত্তিক পিআর ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এমনকি এই ব্যবস্থাও যখন ব্যবহার করা হয়, এলাকাগুলো থেকে কখনো কখনো ৪০ বা ৫০ জনের বেশি সদস্য সংগ্রহ করা যায় না। একক স্থানান্তরযোগ্য ভোটদান একটি প্রার্থীভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা যেখানে একটি একক নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১ জনের বেশি নির্বাচন করার জন্য খুব কমই ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় স্থানীয় একক-সদস্যের নির্বাচনী এলাকার পাশাপাশি অ্যাট-লার্জ বা স্থানীয় পরিসরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেমন নিউজিল্যান্ড মিশ্র সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ও স্কটিশ অতিরিক্ত সদস্য পদ্ধতি। অন্যান্য পিআর ব্যবস্থাগুলো বহুসদস্যের এলাকার পাশাপাশি অ্যাট-লার্জ নির্বাচন আয়োজন করে থাকে, যেমন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য সাধারণত প্রতিকূল। এর কারণ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিগুলো দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী আসন বণ্টনের জন্য তৈরি, নির্দিষ্ট প্রার্থীদের জন্য নয়। তবে কিছু ভিন্নধর্মী পদ্ধতিতে, যেমন মুক্ত তালিকাভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় ভোটাররা একটি দলের মধ্যেই নির্দিষ্ট প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে, যা তাত্ত্বিকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে পারে, তবে এটি খুব সাধারণ নয়।
তবে বিভিন্ন কারণে সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় নিখুঁত আনুপাতিতা খুব কমই অর্জিত হয়। আনুপাতিতায় অসামঞ্জস্য সৃষ্টিকারী কারণের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী থ্রেসহোল্ডের ব্যবহার (ন্যূনতম ভোট বণ্টন যা একটি দল প্রার্থীর প্রয়োজন আইনসভায় যেতে; তালিকাভিত্তিক বা মিশ্র পিআর ব্যবস্থায় ব্যবহৃত), প্রতিক্ষেত্রে অল্প কিছু আসনের ক্ষুদ্র নির্বাচনী এলাকা প্রবর্তন (একক স্থানান্তরযোগ্য বা তালিকাভিত্তিক ব্যবস্থায়) বা সমতলকরণ আসনের অনুপস্থিতি বা অপর্যাপ্তি (তালিকাভিত্তিক, মিশ্র বা অতিরিক্ত সদস্য পিআর ব্যবস্থায়)। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে কিছু নির্বাচনী কৌশল যা রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন জয়ে ব্যবহার করে থাকে, যেমন কিছু মিশ্র-সদস্য ব্যবস্থায় দলবিভক্তি (তালিকাভিত্তিক পিআর পদ্ধতিতে বৃহৎ দলের আসন জয়ের সম্ভাবনা কম থাকলে জোটভুক্ত ছোট দলগুলোর মাঝে ভোট বিভক্তি)। তা সত্ত্বেও পিআর ব্যবস্থায় অর্জিত আনুপাতিতা অন্যান্য ব্যবস্থায় তুলনায় অনেক ভালো[১১] এবং গেরিম্যান্ডারিং ও অন্যান্য ধরনের নির্বাচনী কূটকৌশল প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন এর প্রথম দাবী কারা করেছিলো?
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রথম দাবী উঠে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ হিন্দু -বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের পক্ষ হতে।এ দাবী উত্থাপন করে রানা দাশ গুপ্ত, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক প্রমূখরা।
এই কট্টর হিন্দুত্ববাদি ভারতের দালালদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো এই সংখ্যা লঘু জনগনকে একত্রিত করে একটি সংসদীয় শক্তি অর্জন করে বাংলাদেশে জনগনের মধ্যে কৌশলে বিভাজন তৈরী করে অখন্ড ভারতের লক্ষ্য পূরন করা।
বাংলাদেশের ইসলামি দলের অনুরুপ দাবীর পেছনে কারা?
একটা জিনিস খুব খেয়াল করার অনুরোধ করছি। স্বৈরাচারী হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন ইসকন, ভারতের "র " এর এজেন্ট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নামে ভারতীয় গুপ্তচররা অখন্ড ভারত মাতা নিয়ে খুব দাবী তুলতো। কিন্তু হাসিনা পতনের পর এসকল দালালরা আড়ালে চলে গেছে এবং ভর করছে ইসলামি দল গুলোর ঘাড়ে।
ভারতীয় এজেন্টরা কিভাবে ইসলামি দল গুলোর ঘাড়ে চাপলো?
হাসিনা পতনের পর দেখলো এই ভারতীয় দালাল রানা দাশ, গোবিন্দ চন্দ্ররা রীতি মত বাংলাদেশী জাতির নিকট ভিলেন হয়ে গেছে, তাদের মুখোশ খুলে গেছে। ওদিকে হাসিনাও নাই তাদের রক্ষার জন্য এবং আওয়ামিলীগের ফেরত আসার সম্ভাবনা ক্ষীন। আবার বি এন পির সাথে মিশলে তারদেরকে ইসলাম পন্থিরা চিহ্নিত করে ফেলবে। তারা বুঝতে পেরেছে যে বাংলাদেশের পরবর্তী উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তি হলো ঐক্য বদ্ধ ইসলামি শক্তি। তখন তারা রাতা রাতি বোল পাল্টে ইসলামি দল গুলোর পক্ষে কথা বলতে শুরু করে, দলে দলে অমুসলিমদের ইসলামি দলে প্রবেশ করানো শুরু করলো।
আর এদিকে ইসলামি দল গুলোর মাথা মোটা নেতা ও কর্তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে এই ভেবে, ওরে বাপরে!! আমাদের দলকে অমুসলিমরাও সমর্থন করছে, এটা অনেক বড় অর্জন। আমাদের দলে অমুসলিম নেতা কর্মী থাকলে তাদের দেখিয়ে আমরা বহি:বিশ্বে নিজেদের একটি লিবারেল ইসলামি দল বলে দাবী করতে পারবো। কেউ আমাদের জ*ঙ্গী কিংবা স*ন্ত্রাসী দল বলতে পারবে না। আমরা ক্ষমতায় গেলে তালেবানের মত বহিঃবিশ্বের চাপে পড়তে হবে না। ব্যাস এই আনন্দেই ইসলামি দল গুলো এই ভারতীয় দালাল গুলোকে নিয়ে মাতামাতি আর মাখামাখি শুরু করে। তাদের পূজামন্ডপ পাহাড়া হতে শুরু করে পূজায় গীতা পর্যন্ত পাঠ করতে ছাড়ে নি।
এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী বিষয়ে ২০১৮ সালে ভারতীয় এজেন্টরা হীন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে বিভাজিত করে ধ্বংশ করে ভারতের অংশ করার মনো বাসনায় জিকির তোললেও বর্তমানে তারাই ইসলামি দলগুলোর মাথায় সহজে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই মাথা মোটা ইসলামি দলের নেতাদের মুখ দিয়ে একই দাবী তোলাচ্ছে। কিন্তু ইসলামি দল গুলো বুঝতেও পারছে না যে বাংলাদেশে ১৮% অমুসলিমরা মিলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদের একটা বিশাল শক্তি নিয়ে সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কখনো যদি ইসলামি দল ক্ষমতায় যায়,অথবা ইসলামি শক্তি কখনো কোনো ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে যায় তখনই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচিত অমুসলিম এমপিরা এতে বাঁধা দিবে, বাঁধা না শোনলে এই পার্লামেন্ট সদস্যরাই বহি:বিশ্বে ইসলামি শক্তিকে সন্ত্রাসী শক্তি হিসাবে সহজে তুলে ধরবে এবং আফগানিস্তানের অবস্থা করে ছাড়বে। এজন্যই ইসলামি দলের আরেক সরল ও মাথা মোটা ফয়জুল করিমকে দিয়েই প্রথম দাবী তুলাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের জন্য।
সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবাঙ্গালীরা একক ভাবে সংসদে একটা বিশাল শক্তি হয়ে উদ্ভব হবে আর সুযোগ বুঝে সংসদে চট্রগ্রামের স্বায়ত্ব শাসনের দাবী তুলে প্রথমে সেনাবাহিনীকে সংসদীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে সরাতে বাধ্য করাবে তার পর পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।
এই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের দাবী আদতে ভারতীয় এজেন্ট রানা দাশ আর গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিকদের দাবী,কিন্তু বাংলাদেশের অনেক মানুষ তার কুফল বুঝতে পারছে না। সাবধান! এই পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য রহমত নয় বরং গজব নিয়ে আসবে,জাতিকে বিভাজিত করবে এবং বাংলাদেশকে নব্য গাজায় পরিনত করবে।
লেখক: চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।