মুসলিম সম্রাজ্য ও ইসলাম ধ্বংশের ভয়ংকর পরিকল্পনা ফাঁস
এই তথ্যটি জার্মানে ২য় বিশ্ব যুদ্ধ পরবর্তীতে কমনওয়েলথ ব্রিটিশ গোয়েন্দা ও সামরিক অফিসার ড. হামপেরীর নিজের হাতে লেখা একটি গোপন ডায়েরিতে লেখা ছিলো যা পরের জার্মানরা প্রকাশ করে, তার বক্তব্য হুবহু তোলে ধরা হলো।
"রথচাইল্ড,ব্রিটিশ ও পশ্চিমাদের ইসলাম ও খিলাফত ধ্বংশে ১৭'শ শতাব্দীতে নেয়া মহা পরিকল্পনা"
কর্মসূচিটিতে রয়েছে চৌদ্দটি অনুচ্ছেদ। মুসলমানরা যাতে জানতে না পারে সে জন্য এ কর্মসূচীটির ব্যাপারে সম্পূর্ণ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এ কর্মসূচীতে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদগুলো রয়েছে।
১. আমাদেরকে বুখারা, তাজাকিস্তান, আরমেনিয়া, খোরামান এবং তার প্রতিবেশী অঞ্চলসমূহ অধিকার করার জন্য রাশিয়ান টিএস আর এর সাথে সুপ্রতিষ্ঠিত জোট গঠন করতে হবে এবং পারস্পরিক সহায়তার জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। রাশিয়ানদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তুর্কিস্থান দখল করার জন্যও তাদের সাথে যথাযথ চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
২. এখান থেকে কিংবা অন্যস্থান থেকেও ইসলামি বিশ্ব ধ্বংস করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ফ্রান্সকে সহায়তা করতে হবে।
৩. আমরা অবশ্য তুর্কি এবং ইরানী সরকারের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য এবং বিতর্কের বীজ বপন করব যা উভয় পক্ষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী, জাতীয়তাগোষ্ঠীগত ধারনার প্রতি গুরুত্ব তৈরি করবে। এছাড়াও সকল মুসলিম গোত্র, জাতি এবং এদের প্রতিবেশী দেশ সমূহকে অবশ্যই একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে হবে। যেগুলো বিলুপ্ত হয়েগেছে সেগুলোসহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং এ সম্প্রদায়গুলোকে একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে হবে।
৪. মুসলিম দেশের অংশগুলোকে অমুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে সমর্পণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, মদিনা অবশ্যই ইহুদীদের কাছে, আলেকজান্দ্রিয়া খৃস্টানদের হাতে, ইমারা সাইবারদের কাছে, কেরামানশাহ নুসাইরিয়া গ্রুপের কাছে যারা আলিকে বিভক্ত করেছে, মসূল ইয়াজিদীদের কাছে, ইরানিয়ান গলফ হিন্দুদের হাতে, ত্রিপলি ডুজদের কাছে, কার্স আলউসদের কাছে, মাসকাট খারেজী গ্রুপের কাছে সমর্পণ করতে হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে এ সকল গ্রুপের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে হবে ফলে এর প্রতিটি গ্রুপ হবে ইসলামের গায়ের কাটা স্বরূপ। ইসলামের বিনাশ বা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এর আওতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৫. মুসলমান এবং উসমানিয়া খিলাফত যথা সম্ভব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্থানীয় রাষ্ট্রে বিভক্ত করতে অবশ্যই একটি সিডিউল তৈরি করতে হবে। এবং নজর রাখতে হবে যেন রাষ্ট্রগুলো পারস্পারিক ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকে। বর্তমানের ভারতবর্ষ হচ্ছে এর একটি উদাহরণ। এজন্য সাধারণ নিয়ম হচ্ছে “ভেঙ্গে ফেল ও প্রভূত্ব কায়েম কর” এবং “ভেঙ্গে ফেল ও গুড়িয়ে দাও।”
৬. ইসলামিক সত্তাকে কলুষিত করতে বিভিন্ন মেকী রচনা এবং ধর্মীয় দল উপদল তৈরি করা জরুরী। আমাদিগকে অবশ্যই অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পনা করতে হবে, আমরা যে নতুন ধর্মমতটি তৈরি করতে যাচ্ছি তার ইন্দ্রিয় যেন তৃপ্তিদায়ক হয় এবং যারা প্রচার করবে তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে তৈরি করতে হবে। শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চলে চারটি আলাদা ধর্মমত তৈরি করতে হবে।
একটি ধর্মমত হযরত হুসাইনকে বিভক্ত করবে,
• একটি ধর্মমত জাফর সাদিককে বিভক্ত করবে।
একটি ধর্মমত ইমাম মাহদী আ. কে বিভক্ত করবে।
একটি ধর্মমত হযরত আলি রেজাকে বিভক্ত করবে। প্রথমটি কারবালার জন্য প্রযোজ্য।
দ্বিতীয়টির জন্য ইস্পাহান। তৃতীয়টির জন্য সামারা এবং চতুর্থটির জন্য খোরাসান। এ সময়ে আমরা অবশ্যই বর্তমান চারটি সুন্নি মাযহাবকে লক্ষ্য বিচ্যুত করে চারটি স্বয়ং সম্পূর্ণ ধর্মে প্রতিষ্ঠা করে তুলে ধরব। এটা করার পরে আমারা নাজদে একটি সর্বোপরি নতুন ইসলামিক সম্প্রদায় তৈরি করব এবং এ সকল দলের মধ্যে একটি রক্তক্ষয়ী ধারা তৈরি করার জন্য প্ররোচিত করবো। আমরা চার মাযহাবের বইগুলোকে ধ্বংস করবো, যেন এদের প্রতিটি দল তাদের নিজেদেরকেই একমাত্র খাটি মুসলমান হিসেবে মনে করে এবং অন্যদেরকে ঘায়েল করে।
৭. মুসলিম সমাজের মধ্যে অপকর্ম এবং বিদ্বেষ যেমন, ব্যাভিচার, মাতলামী, জুয়া, ইত্যাদির বীজ ছড়াতে হবে। দেশে বসবাসরত অমুসলিমদের এ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে হবে। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর মধ্য থেকে ভয়ঙ্কর প্রকৃতির লোকদের সংগ্রহ করতে হবে।
৮. মুসলমান দেশে দুধর্ষ নেতা এবং নির্দয় কমান্ডারদের আমরা প্রশিক্ষণ প্রদান করব। আমরা তাদের ক্ষমতায় আনয়ন করা এবং শরিয়তের নির্দেশ পালন করা থেকে বিরত রাখার আইন প্রণয়ন করার চেষ্টায় কোন ত্রুটি করব না। আমরা তাদের এমনভাবে ব্যবহার করব যেন কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয় থেকে যা করতে বলা হয় তা করার জন্য তারা সদা অনুগত থাকে। তাদের মাধ্যমে আমরা আমাদের ইচ্ছেগুলো প্রচলিত আইনের মাধ্যমে মুসলমান এবং মুসলিম দেশে আরোপ করতে সমর্থ হব। আমরা এমন এক সামাজিক জীবন ব্যবস্থা এবং পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করব যেখানে ইসলামি শরিয়ার আইন-কানুন পালন করাকে অন্যায়ের দৃষ্টিতে দেখা হবে। এবং ইবাদাতকে মনে করা হবে অনগ্রসর কাজের শামিল। অমুসলিমদের মধ্য থেকে তাদের নেতা নির্বাচন করার কৌশল অবলম্বন করব। এটা করার জন্য আমাদের কতিপয় এজেন্টকে ইসলামিক অথরিটির ছদ্মবেশে রাখতে হবে। এবং তাদের উচ্চ পদে আসীন করাতে হবে। যাতে তারা আমাদের এ ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে পারে।
৯. আরবি ভাষা শিক্ষা বন্ধ করার জন্য সব কিছু করতে হবে। আরবি ব্যতীত অন্য ভাষা যেমন, ফার্সি, কুর্দী পশতু এগুলো জনপ্রিয় করতে হবে। আরব দেশ সমূহে বিদেশী ভাষার প্রচলন করতে হবে। এবং শিক্ষার মূল উৎপাদন করার জন্য কুরআন ও সুন্নাহর যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে এবং সাহিত্য ও বাগ্মিতা ধ্বংস করার জন্য আঞ্চলিক ভাষাকে জনপ্রিয় করতে হবে।
১০. আমাদের লোকজনকে সরকারী উচ্চ পদস্ত লোকদের কাছে বসাতে হবে এবং ধীরে ধীরে আমরা তাদেরকে সহকারী হিসেবে উন্নীত করব। এবং তাদের মাধ্যমে কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করব। দাস ব্যবসার মাধ্যমে তা সহজেই করা যায়। প্রথমে আমরা গোয়েন্দাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেব। এবং দাস বা উপ-পত্নীর ছদ্মবেশে তাদেরকে উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা বা তার নিকট আত্মীয় যেমন তাদের ছেলেমেয়ে তাদের স্ত্রী অথবা তারা যাকে পছন্দ করে বা শ্রদ্ধা করে তাদের কাছে বিক্রয় করব। বিক্রয় করার পর এ সকল স্ত্রী দাসেরা পর্যায়ক্রমে সরকারী পদস্থ কর্মকর্তাদের নিকটবর্তী হতে থাকবে। কখনো তাদের মায়ের ভূমিকায় বা কখনো গৃহ শিক্ষিকার ভূমিকায় তার মুসলিম সরকারী কর্মকর্তাদের হাতে শাখার মতো ঘিরে থাকবে ।
মিশনারীর আওতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে যেন তা সমাজের সকল শ্রেণীর, পেশার, বিশেষত চিকিৎসা পেশা, প্রকৌশল, হিসাব-রক্ষক ইত্যাদির মধ্যে প্রবেশ করাতে পারে। আমরা অবশ্য এসকল নামে যেমন, চার্চ, স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরী দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে মুসলিম দেশসমূহের নিকট এবং দূরবর্তী স্থানসমূহে প্রচার ও প্রকাশনা কেন্দ্র খুলব। আমরা খৃস্টবাদ সম্পর্কিত লক্ষ লক্ষ বই বিনা মূল্যে বিতরণ করব। অবশ্য ইসলামি ইতিহাসের সাথে মিল রেখে খৃস্টানদের ইতিহাস এবং আন্তঃসরকারী আইন প্রকাশ করব। আমরা সন্নাসী ও সন্নাসিনির ছদ্মবেশে আমাদের গুপ্তচরদের গীর্জা এবং আশ্রমে অবস্থান করাবো। এরা একই সাথে ইসলামিক বিশ্বের সকল চাঞ্চল্য এবং কর্মধারা সনাক্ত করবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে অবহিত করবে। আমরা অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, গবেষক এ সকল নামে একটি সেনা সংস্থা তৈরি করব। তারা মুসলমানদের সকল ঘটনা, তাদের পদ্ধতি, আচরণ এবং ধর্মীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত হবে এবং তাদের ইতিহাসের ভিন্ন অপব্যাখ্যা প্রদান করবে এবং কলুষিক করবে। তাদের সকল বই পুস্তক ধ্বংস করবে এবং ইসলামিক মূল্যবোধ নষ্ট করবে।
১২. আমরা অবশ্যই মুসলমান যুবক, ছেলে এবং মেয়েদের মন এমন ভাবে বিভ্রান্ত করব যাতে ইসলামের প্রতি তাদের মনে সন্দেহ এবং ইতস্ততার উদ্রেক তৈরি হয়। আমরা স্কুল, বই, পুস্তক, পত্র-পত্রিকা, খেলা ধুলা ক্লাব, প্রকাশনা, চলচিত্র, টেলিভিশন এবং এ কাজের জন্য আমাদের নিজস্ব প্রশিক্ষিত এজেন্ট দ্বারা একে একে তাদের নৈতিক মূল্যবোধ অপহরণ করব। এটা করার পূর্বশর্ত হচ্ছে যে, একটি গোপন সম্প্রদায় তৈরি করতে হবে যারা ইহুদি, খৃস্টান এবং অন্য অমুসলিম যুবকদের শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং তাদের দ্বারা মুসলিম যুবক যুবতিদের ফাঁদে ফেলার জন্য প্রলুব্ধ করবে।
১৩. গণঅভূত্থান ও গৃহ যুদ্ধের জন্য উস্কানী দিতে হবে। মুসলমানরা অবশ্যই সব সময় নিজেরা এবং অমুসলিমদের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকবে। এভাবে শক্তির অপচয় ঘটবে এবং তাদের পক্ষে উন্নতি করা এবং একতাবদ্ধ হওয়া অসম্ভব হবে। তাদের মানসিক অন্তর্নিহিত শক্তি এবং আর্থিক উৎস বিনাশ করতে হবে। ফলে যুবক এবং সক্রিয় লোকজনকে তাদের কর্ম থেকে দূরে সরাতে হবে। তাদের প্রথা বা রীতিনীতিকে অবশ্যই সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যে পরিণত করতে হবে।
১৪. সকল ক্ষেত্রে তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিতে হবে। তাদের আয়ের উৎস এবং কৃষি জমি বিনষ্ট করতে হবে, তাদের সেচ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত করতে হবে। নদী শুকিয়ে ফেলতে হবে। মানুষদেরকে এমনভাবে তৈরি করতে যেন তারা নামায আদায় করা এবং কাজ করাকে ঘৃণা করে, আলস্য বা কুড়ামি যতদূর সম্ভব ছড়িয়ে দিতে হবে। অলস লোকদের জন্য খেলার মাঠ উন্মুক্ত করে দিতে হবে। নেশা এবং মাদক দ্রব্য সহজ লভ্য করতে হবে।
(উপরের আলোচ্য অনুচ্ছেদগুলো ম্যাপ, ছবি এবং চার্ট দ্বারা পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করা ছিল) এ চমৎকার ডকুমেন্টটির একটি কপি আমাকে দেয়ার জন্য আমি সেক্রেটারিকে ধন্যবাদ জানালাম।
একমাস লন্ডনে থাকার পর মন্ত্রণালয় থেকে একটি ম্যাসেজ পেলাম, তাতে ইরাকের নজদের মুহাম্মাদ ওহাবের সাথে আবার দেখা করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যখন আমি
আমার মিশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম, সেক্রেটারী বলল, “নজদের মুহাম্মাদ ওহাবের ব্যাপারে কখনো হেলা করো না। এখন পর্যন্ত আমাদের অন্যান্য গুপ্তচর যে সকল রিপোর্ট প্রদান করছে তাতে বোঝা যাচ্ছে নজদের মুহাম্মাদ ওহাব একটি বোকা জাতীয় লোক, সে আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য খুব উপযোগী।”
“খোলাখুলিভাবে নজদের মুহাম্মাদের ওহাবের সাথে কথা বল। আমাদের এজেন্টরা ইস্পাহানে খোলাখুলিভাবে তার সাথে কথা বলেছে এবং সে আমাদের ইচ্ছেগুলোকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছে। তার শর্তগুলো হচ্ছে আদর্শ এবং মতামত প্রচার করার পর রাষ্ট্র এবং আলেমগণ অবশ্যই তাকে আক্রমণ করবে, তা থেকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ এবং অস্ত্র দ্বারা সমর্থন যোগাতে হবে ।
একটি নৃপতির শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, হতে পারে তা ক্ষুদ্র। মন্ত্রণালয় তার শর্তে সম্মত হয়েছে।”
এ সংবাদ শুনার পর আমার মনে হচ্ছিল যেন আমি আনন্দে উড়ছি। আমি সেক্রেটারীকে জিজ্ঞাসা করলাম এ সম্পর্কে আমাকে কি করতে হবে? তার জবাব ছিল নজদের মুহাম্মাদ ওহাব কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তা নিম্নরূপ:
১. সে অন্য সকল মুসলমানদের কাফের ঘোষণা করবে এবং তাদের হত্যা করা, তাদের সম্পদ দখল করা, তাদের সতীত্ব হরণ করা, তাদেরকে দাসে পরিণত করা, তাদের মহিলাদের উপপত্নী হিসেবে ব্যবহার করা এবং তাদেরকে দাস হিসেবে বাজারে বিক্রয় করার কথা প্রচার করবে।
২. সে প্রচার করবে যে, কাবা হচ্ছে একটি প্রতিমূর্তি এবং এটা অবশ্যই ভেঙ্গে ফেলতে হবে। হজ্জ করা থেকে বিরত রাখার জন্য বিভিন্ন গোত্রের লোকেরা হাজীদের দলকে আক্রমণ করবে। এবং তাদের জিনিসপত্র কেড়ে নিবে এবং তাদের হত্যা করবে।
৩. উপদেশ প্রদানের দ্বারা খলিফার অনুগত না হওয়ার জন্য সে প্রাণপণ চেষ্টা করবে। খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য প্রচারণা করবে। এ উদ্দেশ্যে সে সৈন্যদল গঠন করার জন্য প্রস্তুতি নিবে। সে হেজাজের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সকল সুযোগ ব্যবহার করবে।
৪. সে যুক্তি উত্থাপন করবে যে, মুসলমান দেশসমূহে সমাধিক্ষেত্র, গম্বুজ এবং পবিত্র স্থানসমূহ এগুলো বহুদেবদেবীর প্রতীক বহন করে। তাই এগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হবে। সে নবী, তার খলিফাগণ এবং মাজহাবের প্রখ্যাত মনীষীগণের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার জন্য সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।
৫. সে মুসলিম দেশসমূহে বিদ্রোহ, নিপীড়ন, নৈরাজ্য সৃষ্টির উৎসাহ প্রদান করার জন্য সর্বশক্তি ব্যয় করবে।
৬. সে মেকী রচনা সম্বলিত কুরআনের একটি কপি এবং হাদিসের কপি তৈরি করার চেষ্টা করবে।
সূত্র:হ্যাম্ফারের ডায়েরী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ