টক্সিক মাদার!
অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সি*ক হয়ে থাকে। হ্যাঁ, জন্মদাত্রী মা! এসব মায়েরা হয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে কিংবা দুই মেয়ে/দুই ছেলের ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন।
এক সন্তান থাকে চোখের মনি, অন্য সন্তান যেন দুই চোখের বিষ। একজনের একশটা ভুল অনায়াসে মাফ, অন্যজনের একটি মাত্র ভুলকে দশগুণ বড় করে তোলে মানসিক অত্যাচার!
টক্সিক মায়েরা অবলীলায় সন্তানদের দূর্নাম করে বেড়ান আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের নিকটে। এমনকি তাদের সামনে সন্তনকে তুচ্ছতা*চ্ছিল্য করতেও ছাড়েন না। এমন ভাব দেখান, এ যেন তার সন্তান-ই নয়।
এর সীমালঙ্ঘনের জন্য দায়ী পরিবারের পুরুষ, অর্থাৎ সন্তানের পিতা। প্রায় সময় দেখা যায়, স্বামী তার টক্সিক স্ত্রীকে সমর্থন করে যাচ্ছে। কেবল, নিজে বাঁচার জন্য। সন্তান তার মায়ের ট**ক্সিক আচরণের শীকার হয়ে ভয়ে পাং**শু মুখে অধীর আগ্রহে পিতার ঘরে ফিরার অপেক্ষা করে যখন দেখে, পিতাও তাল মিলিয়ে অপ্রী*তিকর আচরণ করছে, তখন সে-ই সন্তানের আশার প্রদীপ এমনিও নিভে যায়।
সে তখন ভাবতে শুরু করে, পৃথিবীর বুকে সে এক নিঃস*ঙ্গ জীব। যার কেউ নেই, কিছুই নেই।
একটি শিশুর শৈশব নষ্ট হওয়ার জন্য টক্সিক বাবা-মা-ই যথেষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে শুধু শৈশব নয়, পুরো জীবনটাও বরবাদ হয়ে যায়। এটা আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। কেবল পরিস্থিতির শীকার হওয়া সন্তানরা বুঝে তাদের জীবন কতটা নিরানন্দ হয়ে গেছে।
আপনার সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ দিন। স্ত্রী/স্বামীর টক্সিক আচরণের প্রতিবাদ করুন। স্ত্রী/স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে তাল মিলিয়ে সন্তানকে আক্রমণ করবেন না। সন্তানকে বুঝার চেষ্টা করুন, সবসময় বাবা-মা-ই সঠিক হয় না। আপনার সঙ্গী/সঙ্গীনী যখন সন্তানের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করে, তখন বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে সমাধানের চেষ্টা করুন। একটি সন্তানকে শৈশব থেকে নেতিবাচক প্রভাবে বেড়ে তুলবেন না।
সময় ঠিকই একদিন আপনার সব হিসেব চুকিয়ে দিবে। যে-ই দূ*র্বল ছোট্ট শিশুর প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে মানসিক অত্যাচার করছেন, একদিন সে-ও সম*গ্র শক্তি নিয়ে বড় হবে। সেদিন যেন আপনার করা আচরণ আপনাকে ফিরিয়ে না দেয়!
সংকলিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ