expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালিরাই আদিবাসী,পাহাড়িরা উদ্বাস্তু নৃগোষ্ঠী

 "পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালিরাই আদিবাসী,পাহাড়িরা উদ্বাস্তু  নৃগোষ্ঠী "




ইদানিং বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কে আদিবাসী ঘোষনা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা চলছে। চলুন এদেশের আদিবাসী কারা জানা যাক।


আদিবাসীর সংজ্ঞা


১. সমাজতাত্ত্বিকভাবে আদিবাসী বলতে তাদেরকেই বোঝায় যারা প্রাগ-ঐতিহাসিককাল থেকে নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাসিন্দ বা ভূমিজ সন্তান। অর্থাৎ যারা নির্দিষ্ট জনপদের সৃষ্টিলগ্ন থেকে সেই জনপদের বাসিন্দা এবং যারা আদিম সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। আদিম সংস্কৃতির কোনো কিছু তারা ত্যাগ করেনি। আদিবাসীদের কাছে সভ্যতার আলোকবর্তিকা পৌঁছায়নি এবং তারা অনগ্রসর এবং পশ্চাৎপদ।


২. জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলওর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মেলনে আদিবাসী চিহ্নিত করা হয়েছে এভাবেÑআদিবাসী বা দেশজ মানবসমাজ, জনগোষ্ঠী 

অথবা জাতিসত্তার পরিচিতি পাওয়ার অধিকারী তারাই, যাদের প্রাক-আগ্রাসন ও প্রাক-সাম্রাজ্যবাদী অধিকারের আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা আছে, যা তারা নিজ বাসভূমিতে তৈরি করেছিল। যারা তাদের বাসভূমিতে অথবা কিয়দংশে পাশাপাশি বসবাসকারী অন্যান্য মানবকুল থেকে নিজের একটি বিশেষত্বময় পৃথক সত্তার অধিকারী মনে করে। যারা আজ সমাজের প্রতিপত্তিশালী না হয়েও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য তাদের নিজস্ব গোষ্ঠীসত্তা, সাংস্কৃতিক কাঠামো, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও বিধিব্যবস্থা রেখে যেতে চায় একটি বিশেষ মানবসমাজের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য। 


আদিবাসী সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দুটি বিশ্লেষণ করতে অনুধাবন করা যায়, বাংলাদেশের উপজাতিরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নাকি আদিবাসী।


প্রথম সংজ্ঞাতে আমরা দেখতে পাই আদিবাসী হতে হলে প্রাগ-ঐতিহাসিককাল থেকে অর্থাৎ যখন থেকে ইতিহাস লিপিবদ্ধ শুরু হয়নি তখন থেকে সে অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবার বলা হয়েছে জনপদের সৃষ্টিলগ্ন থেকে সেখানকার বাসিন্দা হতে হবে।


কিন্তু বাংলাদেশের উপজাতিদের বাংলাদেশে আগমনের ইতিহাস আমরা জানি। তারা তিব্বত, লুসাই পাহাড়, মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত চিন, কাচিন, রাখাইন, আরাকান ও মিয়ানমার বা বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে বসতি স্থাপন করেছিল ১৭০০ সালের পরে। ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত বৃহৎ পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ, উপজাতীয় লেখকদের নিজস্ব গ্রন্থ পর্যালোচনায় প্রমাণিত যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ সব নৃগোষ্ঠী আরাকান, ত্রিপুরা, মিজোরাম ইত্যাদি অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে এ দেশে এসেছে। চাকমারা বিজয়গিরি নামক একজন যুবরাজের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আরাকান ও চট্টগ্রামের একটি অংশ দখল করে। এ দেশের চাকমারা মনে করে, তারা বিজয়গিরির সেই আরাকান বিজয়ী সৈন্যদের বংশধর। ১৭১৫ সালে চাকমা রাজা জলিল খান বা জালাল খান (১৭১৫-১৭২৪) সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে মোগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ১১ মণ কার্পাস তুলা উপহার দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করেন। ১৭৩৭ সালে সেরগুস্ত খান (১৭৩৭-৫৮) আরাকানের পক্ষ ত্যাগ করে মোগলদের বশ্যতা স্বীকার করেন এবং দেওয়ান পদ লাভ করেন। মারমারা ১৭৫৬ সালে আরাকানে আশ্রয় লাভ করে। ১৭৭৪ সালে রামু, ঈদগড়, মাতামুহুরী এবং সর্বপ্রথম ১৮০৪ সালে বান্দরবান শহরে বসতি স্থাপন করে। ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা বোদপায়ার সেনাবাহিনী স্বাধীন আরাকান রাজ্য দখল করলে হাজার হাজার শরণার্থী কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালীতে পালিয়ে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে। দ্বিতীয় বৃহৎ উপজাতি সাঁওতালসহ অন্যান্য গোষ্ঠী এ দেশে এসেছে সাঁওতাল বিদ্রোহের পর। অনেকে এসেছে ব্রিটিশ আমলে মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে।


বর্তমানে উপজাতি সমাজে আদিম কোনো রীতি নেই বললেই চলে। তারা মডার্ন জীবনযাপন করছে, শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক এগিয়েছে এবং সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করছে অর্থাৎ আদিম সমাজের কিছুই তাদের মধ্যে নেই।


তা হলে তারা কীভাবে আদিবাসী হয়!


(আইএলওর) সংজ্ঞার শর্তই হলো- যাদের প্রাক-আগ্রাসন ও প্রাক-সাম্রাজ্যবাদী অধিকারের আগে থেকেই একটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা আছে, যারা প্রতিপত্তিশালী ও শাসকগোষ্ঠীর সদস্য নয়। কিন্তু ইসলাম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ, হিন্দু ধর্ম বা ধর্মের মানুষ অবশ্যই প্রতিপ্রত্তিশালী বা শাসকগোষ্ঠী। সুতরাং কোনো প্রকৃতি-উপাসক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ যখনই ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্টান-হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম হবে তখন সে শাসকগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হবে এবং আদিবাসী সংজ্ঞার আওতায় পড়বে না।


উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছি বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই। এখন আগের প্রশ্নে আসি উপজাতিরা হঠাৎ করে কেন নিজেদের আদিবাসী দাবি করছে?


আদিবাসী দাবি বাস্তবায়ন করতে পারলে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী উপজাতিরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাবে-


১. আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং অভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় বিষয়ে স্বায়ত্তশাসন।

২. ভূমি ও ওই স্থানের ওপর পূর্ণ অধিকার।

৩. নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও তা নিয়ন্ত্রণের অধিকার।

৪. আদিবাসীদের অনুমতি ব্যতিরেকে বা যৌক্তিক না হলে ওই অঞ্চলে সামরিক কার্যক্রম পরিহার।

৫. জাতিসংঘ বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ প্রয়োগের নিমিত্তে জনমত গঠন, নিজেদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার হিসেবে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বা কারিগরি সহায়তা প্রদান।


উল্লেখিত অনুচ্ছেদগুলো কেবল আদিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য। আর এমন লোভনীয় অনুচ্ছেদগুলোর সুবিধা নিতেই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো নিজেদের আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারী ও বৈদেশিক কিছু এনজিও এবং মিশনারির খপ্পরে পড়েই আদিবাসী স্বীকৃতি দাবি করে। চুক্তি করেছে উপজাতি হিসেবে। সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে উপজাতি কোটায়, দাবি করে নিজেদের আদিবাসী। এমন দাবি হাস্যকর।


জাতিসংঘের এই অনুচ্ছেদগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নিজস্ব আইনে নিজস্ব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মুষ্টিমেয় চিহ্নিত উপজাতিরা দাবি করছে ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকার বলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ভূমির মালিক তারা। একই অধিকার বলে সমতলের উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকার সকল ভূমির মালিকানা সেখানকার উপজাতীয়রা দাবি করবে। সেখানে যেসব ভূমি সরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় বাঙালীরা রয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে যেহেতু ঐ গোষ্ঠী সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে, সে কারণে সেখান থেকে সকল সামরিক স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। ইউএনডিপিসহ কিছু বৈদেশিক সংস্থা ইতোমেধ্যে প্রকাশ্যে এ দাবি তুলেছে।


যখন দেখি দেশের কিছু মানুষ (বিশেষ করে বাম রাজনীতিধারা) উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর আদিবাসীর ভিতর পার্থক্য বুঝতে চায় না তখন নিজেকে খুব অসহায় লাগে! রাজনীতি তো দেশকে নিয়ে, আমার কাজ যদি দেশ বিরোধী হয়ে যায় তাহলে কিসের রাজনীতি করা?


মেজর জিয়া ভূমিহীন বাঙ্গালিদের তিন পার্বত্য জেলায় বসতি স্থাপন করেন। সেখানে এখন বাঙালী আর উপজাতি সম পরিমান আছে। না হয় এতদিনে পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ থেকে ছুটে যেত।মেজর জিয়ার পরিকল্পনার কাছে উপজাতিরা ব্যর্থ হলে তখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় তারা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হলো আদিবাসী থিউরি।


মেজর জিয়া ভূমিহীন বাঙ্গালিদের তিন পার্বত্য জেলায় বসতি স্থাপন করেন। সেখানে এখন বাঙালী আর উপজাতি সম পরিমান আছে। না হয় এতদিনে পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশ থেকে ছুটে যেত।মেজর জিয়ার পরিকল্পনার কাছে উপজাতিরা ব্যর্থ হলে তখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয় তারা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হলো আদিবাসী থিউরি।


ভুখন্ডের মূল অধিবাসী যারা ভূমিপুত্র তারাই আদিবাসী। এই কন্সেপ্ট অষ্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড এবং আমেরিকার জন্য প্রযোজ্য যেখানে দখলদার অভিবাসীগণ মেইনস্ট্রিম পিপল। সেখানে ভূমির মূল অধিবাসীরা হলো আদিবাসী। বাংলাদেশে আমরাই আদিবাসী এবং অন্যরা উপজাতি কিংবা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। আজ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ বছর আগে চাকমারা বার্মা থেকে ধাওয়া খেয়ে এদেশের পার্বত্য চট্রগ্রামে আশ্রয় নেয়। অথচ এ ভুখণ্ডে হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে বাঙালীদের। আর এখন উপজাতিরা হইলো আদিবাসী! আদিবাসী হইলে পূর্ব তীমুরের মত তাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে দিতে হবে।


২০০৫ সালে বিএনপি সরকার প্রথম জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই ধারাবাহিকতা আওয়ামি লীগ ধরে রেখেছে।


সূত্র:উইকিপিডিয়া। 


লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...