dr-bashir.blogspot.com এখানে কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, চিকিৎসা, ভৌত, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন যাবতীয় বিষয়ের সাথে ইসলামের যোগসূত্র রয়েছে। পবিত্র কুরআন থেকে জ্ঞান বিজ ‘কুরআনের প্রায় সাত হাজারেরও বেশি জ্ঞানের কথা সন্নিবেশিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’ তাছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, আরবী, ইসলাম শিক্ষা, যুক্তিবিদ্যা, রাষ্ট্রনীতি, লোকপ্রশাসন, লোকগীতি, প্রবাদসাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, গণিত, জ্যামিতি, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান,
Wikipedia
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার দরকার জামায়াতের
দাঙ্গা প্রতিহতের প্রস্তুতি নিন!!!
ফেসবুকে ছবি তোলা হারাম কেনো?
বায়ু নির্গত হলে শুধু ওযু করলেই পাক হয় কেমনে?
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
ইসকন একটি কাল্ট সংগঠন
ইসকন একটা কাল্ট সংগঠন।এরা জোর জবরদস্তি খাটিয়ে, লোকের মগজ ধোলাই করে নিজেদের দলে ভেরায়।ইসকন শুধু ইসলামের জন্যে নয় মূলধারার হিন্দুদের জন্যেও ক্ষতিকর। আমরা প্রকৃত হিন্দুরা এদের হিন্দু বলেই মনে করি না।
এরা একগুঁয়ে এবং আজ পর্যন্ত হাজার হাজার বাবা-মায়ের কোল খালি করে জোর করে ছেলে-মেয়েদের ইসকনে ঢুকিয়েছে। ছেলে ইসকনের সঙ্গে যুক্ত হলে পিতামাতার কাছ থেকে ছেলেকে বঞ্চিত করে ইসকনেররা , সেই মায়ের হাতের রান্না টুকু খেতে পাবে না।
একবার এদের পাল্লায় পড়লে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন।বেরিয়ে আসতে গেলে ভয় দেখায়, নির্যাতন করে। কারুর জাগতিক কাজকর্মে অগ্রগতি দেখলেই এদের মাথা খারাপ হয়ে যায়, এরা যেভাবে পারে তাকে মগজ ধোলাই করে।
এদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করুন।
ইসলাম ও তরবারির সম্পর্ক
"ইসলাম ও তরবারির সম্পর্ক"
আজকাল ইসলাম বিরোধিতা করার জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলাম তরবারির জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মানব সমাজে প্রোপাগান্ডা চালায়। আবার মুসলমানরা ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রপাগান্ডাকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত অস্বীকার করতে গিয়ে ইসলাম ও তরবারির সম্পর্কের মর্মার্থ না বুঝে ইসলামের সাথে তরবারির সম্পর্ক নাই বলে প্রচার করে। আসুন ইসলামের সাথে তরবারির কি সম্পর্ক তা আজ জানা যাক।
আমার এই প্রবন্ধ বুঝার আগে ইমান ও কালেমার অর্থটা একটু আগে মনে করিয়ে দিতে চাই, তা না হলে ভুল বুঝাবুঝির সমূহ সম্ভাবনা আছে।
আমরা জানি ঈমান আনায়নের মাধ্যমে ইসলামে দাখিল হয় মানুষ। আর ঈমান আনায়ন করে কালেমার মাধ্যমে।
আমাদের কালেমা হলো ' লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ। এখানে দেখুন কালেমায় লা+ইলাহা+ ইল্লাল্লাহু +মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ।
১। লা মানে নাই। অর্থাদ দুনিয়ার সব কিছু অস্বীকার করা।
২। ইলাহ, এটা পরে আলোচনা করব।
৩। ইল্লাল্লাহু, মানে আল্লাহ ছাড়া। মানে হলো একমাত্র আল্লাহ ছাড়া বাকী সব ইলাহকে(পরের আলোচনায় ইলাহ বুঝানো হবে) বাতিল ঘোষনা করা।
৪। এখানে বলা হয়েছে শুধু মাত্র হযরত মুুহাম্মদ সা: এর বর্নিত, পালনকৃত, আদেশ কৃত মত ও পথ অনুসারেই। বাকী পথে এই ইলাহকে মেনে নেওয়ার নামও ইমান নয়।
আসুন "ইলাহ" মানে কি জানা যাক। ইলাহ এক অর্থে আল্লাহকে বুঝানো। এই অর্থ বিস্তৃত করলে বুঝা যায় ইলাহ মানে শুধু সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ কে মেনে নেওয়ার নামই নয়। এখানে মহা বিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ তা'লার জারি কৃত সকল নিয়ম কানুন মেনে নেওয়ার কথাই বুঝানো হয়েছে।
আমার বলতে বা মানুষের তৈরী সকল কিছুই অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর দেওয়া বিধিবিধানকে নি:সংকোচে মেনে নেওয়াই বুঝানো হয় আর সেই সাথে বাকী সকল বিধানকে অস্বীকারের কথাই বুঝায়। এ অর্থে আত্মসমর্পণ বুঝায়।
আবার মানুষের তৈরী বিধান অস্বীকারের মানে হলো মানুষের তৈরী আইন, মানুষের তৈরী জীবন ব্যবস্থা, মানুষের তৈরী অর্থ ব্যবস্থা, মানুষের তৈরী রাষ্ট্র ব্যবস্থা অস্বীকারের নামই হলো ঈমান এবং এসকল ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে আল্লাহর তৈরী বিধান মেনে চলার নামই ইসলাম।
ইসলাম এর অর্থ বলতে কেউ বলে শান্তি আবার কেউ বলে আত্মসমর্পণ। শান্তি অথবা আত্মসমর্পন এই দুটি আলাদা আলাদা অর্থ যদি ধরা হয় তাইলে এখানে তরবারির কোন সম্পর্ক কি থাকে? থাকে না, আর তাই এই অর্থ আলাদা আলাদা ধরে অনেকে বলে ইসলামের সাথে তরবারির কোন সম্পর্ক নাই।
কিন্তু ইসলামের আসল অর্থ হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ, এই বাক্যকে মেনে নিয়ে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে মানুষের তৈরী সকল বিধিবিধানকে সমূলে উৎপাটনের মাধ্যমে আল্লাহর দেওয়া বিধান মতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও এই শান্তি বজায় রাখার নাম ইসলাম।
আর আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ পূর্বক ইসলামের শান্তি শুধু মুসলমানের জন্যই প্রতিষ্ঠিত করা নয়, বরং আল্লাহর সৃষ্টি সকল প্রানী, সকল মানুষ, সকল জীবের বেলায় প্রজোয্য। আর এটার নাম ইসলামের ইনসাফ। ইসলাম ও ইনসাফ একই বৃক্ষের অংশ, একটা মূল হলে অন্যটা কান্ড। এই ইনসাফ মানুষের স্বাভাবিক দৃষ্টির বাইরের জীবানু হতে বৃহৎ নীল তিমির বেলায়ও প্রয়োজনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা।
এবার আসুন ইসলাম ও তরবারির সম্পর্ক কি বুঝাই।
আপনি কালেমা পড়ে সারা দুনিয়ায় ইসনসাফের মাধ্যমে শন্তি প্রতিষ্ঠা করবেন আর বাতিল শক্তি ঘুমিয়ে যাবে এমন নয়। বাতিল শক্তি তিলে তিলে আপনাকে পীষে মারার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। বাতিলরা জল, স্থল ও আকাশ পথে আপনাকে আক্রমন করে আপনার প্রতিষ্ঠা করা শান্তিকে ব্যহত করে বাতিলকে টিকিয়ে রাখতে চাইবে। আর তখনই আপনি তাদের বাঁধাকে প্রতিহত করে আপনার প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের শান্তি বজায় রাখতে তরবারির ব্যবহার করতে হবে।
এই তরবারি হবে আত্মরক্ষার তরবারি, এটা হবে প্রতিরক্ষামূলক তরবারি, এই তরবারি ইসলামকে বিজয়ী রাখার তরবারি, এই তরবারি ইনসাফ প্রতিষ্ঠার তরবারি। আর এটাই জিহাদ।
মনে রাখবেন, এই জীহাদের তরবারি নাই যেখানে, ইসলাম কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবেনা সেখানে। ইসলামের প্রচার হবে দাওয়াতের মাধ্যমে, আর ইসলামের বাঁধা ডিঙ্গাতে হবে তারবারির মাধ্যমে।
তাই বলি ইসলাম ও তরবারি (জী*হা*দ) একে অন্যের সাথে জড়িত। তরবারি ছাড়া যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা,ইসলামের বিজয় ও ইসলাম টিকিয়ে রাখার কথা বলে তারা হয় নিত্যান্ত মূর্খ আর না হয় মুনাফেক।
লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
জুলাই স্বাধীনতার সুফল কি পাব?
বিপ্লব ২০২৪ এর সুফল কি আগের স্বাধীনতা গুলোর মতই অন্য কেউ ভোগ করবে
বাংলাদেশের ইসলাম
বাংলাদেশের আলেম, ইসলাম ও বাস্তবতা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আপনি কেউকে জিজ্ঞেস করেন, আলেম কাকে বলে?
শতকরা ৯৯ জন উত্তর দিবেন, আলেম মানে তো হুজুর,মাদরাসায় পড়ুয়া, মাথায় বড় পাগড়ী,লম্বা কোর্তা ওয়ালারাই আলেম!
বলা বাহুল্য উত্তরটি নিঃসন্দেহে ভুল! মাদ্রাসায় পড়লেন, দাঁড়ি টুপি পড়লেই কেউ আলেম হয়ে যান না। আলেম মানে হচ্ছে জ্ঞানী। যিনি কোন বিষয়ে সঠিক ও সুক্ষ জ্ঞান ধারন করেন তিনিই আলেম। তবে শব্দিক অর্থ দিয়ে আলেমের পরিচয় সম্ভব না, পারিভাষিক অর্থ দ্বারা আলেমের পরিচয় পাওয়া যায়। আলেম হবার জন্য কারো মাদ্রাসায় পড়া জরুরী নয়। ধার্মিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ইসলামি প্রেক্ষাপটে যে ব্যক্তি কোরআন, হাদীস, ইজমা কিয়াস ও অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং যিনি পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থার সাথে প্রচলিত দ্বীনের সঠিক সমন্বয় ঘটানোর ব্যাপারে নিজ অবস্থানকে যৌক্তিকভাবে প্রমান করতে পারবেন, তিনিই একজন ধর্মীয় আলেম।বর্তমানে আমাদের দেশে প্রকৃত কোন ধর্মীয় আলেম আছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অন্য ধর্মের কথা জানি না, তবে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামিক আলেমদের সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে যে সকল তথাকথিত আলেম বিখ্যাত হয়েছেন বা শ্রোতা প্রিয়তা পেয়েছেন দুই একজন বাদ দিয়ে অধিকাংশ বিভিন্ন দল, আকীদা বা মতে বিভক্ত। সেই সাথে আছে আত্ম অহংকার, ক্ষমতার দাপট, একে অন্যের সাথে রেষারেষি ও গীবত। অথচ একজন প্রকৃত আলেম কখনই অহংকারী হবেন না। তিনি কখনই নিজের ক্ষমতার কথা, নিজের প্রভাবের কথা মানুষকে জোর গলায় জানাবেন না। কিন্তু আমরা ইউটিউব সহ বাস্তবে দেখেছি আমাদের বিখ্যাত সব আলেমরা কি পরিমান অহংকারী, গোঁয়াী, মূর্খ, অশালীন, অশ্লীল কথাবার্তায় পারদর্শী, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চায়, নিজ সুবিধার কারনে কোরান হাদীস ব্যবহার করে। আমাদের দেশের মানুষ এই সব জেনে বুঝেও এদেরকে অনুসরন করে। কারন অলস বাংলাদেশী মুসলমানরা নিজে কোরআন হাদীস পড়বে না, বুঝবে না। তারা শটকার্ট প্রিয়। অন্যের লেজ না ধরলে আমরা সাহস পাই না। অবশ্য তাদেরকে ধন্যবাদ কারন এত লেজ ধরে টানাটানির কারনে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে।
তবে ঢালাও ভাবে দায়ী কছি না, আলেম-উলামারাও মানুষ, তারা ফেরেশতা নন। সুতরাং তাদের দ্বারা অন্যায় হতে পারে না, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সুতরাং আলেমদের থেকে কোনো অপরাধ প্রকাশ পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমতাবস্থায় অপরাধীকে আড়াল না করে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। এ কথা অনস্বীকার্য যে, আলেম সমাজ আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এদেশে ইসলাম আবির্ভাবের সময় থেকেই কথিত আলেম সমাজের আবির্ভাব। এদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই আলেম সমাজ সামাজিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে প্রথম একশ বছর আলেম সমাজই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহ.)-এর প্রবর্তিত আন্দোলন, সৈয়দ আহমদ বেরেলভী (রহ.) ও শাহ ইসমাঈল (রহ.)-এর আন্দোলন, বাংলায় তিতুমীর (রহ.) ও হাজী শরিয়তুল্লাহ (রহ.) আন্দোলন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ধর্মীয়-সামাজিক ক্ষেত্রেও এসব আন্দোলন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। তবে ফেনীর সোনাগাজীতে একটি মাদ্রাসায় আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনাপ্রবাহ চারটি বিষয় সামনে এনেছে: এক নারীর যৌন নিপীড়ন, মাদ্রাসার ভেতরে অধ্যক্ষের দ্বারা ছাত্রীর যৌন নিপীড়ন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্বহীন ভূমিকা এবং স্থানীয় রাজনীতির কলুষিত বৃত্তচক্র যদিও অধ্যক্ষ পরে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছে। এর প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে আমাদের মনোযোগ দাবি করে। সম্প্রতি দু’জন মাদরাসার শিক্ষককে একাধিক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অহরহ এরকম ঘটনা ঘটেই চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েচ্ছেন। জয়পুরহাট শহরের আরাম নগর হাফেজিয়া মাদ্রসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক তার অপকর্মের খবর জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সংগত কারণেই উদ্বেগ ও আশঙ্কা আছে। সমাজের বড় একটি অংশের মধ্যে যদি মনুষত্বের চেয়ে পশুত্বের পরিমাণ বেশি দেখা যায়, তাহলে ওই সমাজের নাগরিকদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এমনিতেই বেড়ে যায়।
শীতকালে বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিল হয়। মানুষ ধর্মীয় নানা বিষয়ে জানতে পারেন, আলোচনা সভা হয়। এই ওয়াজ হচ্ছে গ্রামীন অঞ্চলে অন্যতম বিনোদন, ধর্মীয় দোহাই দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি। ছোট ছোট শিশুরা ভিক্ষা করে টাকা আদায় করে মাহফিলের আয়োজন করে আর ওয়ায়েজিন সেই ভিক্ষার টাকা দিয়ে নিজের উদর পূর্তি করে, অথচ ইসলামের দাওয়াতের বিনিময়ে অর্থ গ্রহন সম্পূর্ণ হারাম,তার পরও কথিত মাহফিল ব্যবসায়ী আলেম গুলো এই হারাম ব্যবসাটাই চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে ওয়াজের হট টপিক হচ্ছে - কোন হুজুর কে কি বলেছে, সেটার পক্ষে বিপক্ষে কথা বলা, অন্যের গীবত করা। দুই, আত্ম অহংকার করা, নিজের প্রচারনা করা, নিজের ক্ষমতা জাহির করা, কে কত ওয়াজ করেছেন, কিভাবে গিয়েছেন ইত্যাদি।
যে কয়টা ওয়াজে আমি গিয়েছে বা দেখেছি বা শুনেছি প্রায় সব ওয়াজের বক্তাদের কথা শুনলে মনে হয়- দেশে আন্তর্জাতিক চিৎকার প্রতিযোগিতা চলছে কিংবা তাদেরকে বলা হইছে ওয়ার ক্রাই বা প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরার জন্য যুদ্ধকালীন চিৎকার দেয়ার জন্য। ইয়া আল্লাহ! উনাদের কে বুঝাবে - ইসলাম শান্তির ধর্ম।
গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ্য করে আসছি, আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ছেলে-মেয়ে কারো রক্ষা নাই। কয়েকদিন আগে এক শিশু বালককে যৌন নির্যাতনের কারনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিলো। আজকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের থাকার কক্ষের ওয়ারড্রোব থেকে চার বছরের এক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমরা কি কেউ বলতে পারি, শুধুমাত্র মাদ্রাসায় কেন শিশুকামী এই সব জানোয়ারদের দেখা যায়? কেন এই চুড়ান্ত ভয়াবহতা, বিকৃতি? এর জবাব অনেকেরই ভালো লাগবে না। দেশের অনেক মাদ্রাসা আছে যেখানে নুন্যতম মানবিক সুযোগ সুবিধা নাই। দরিদ্র এতিম বাচ্চাদের নিয়ে চলছে অমানবিকতার চুড়ান্ত। পড়া শিখানোর নামে, মুখস্ত করার নামে চলে ভয়াবহ শারিরীক নির্যাতন। এই সব নির্যাতনের কোন কোন পর্যায়ে তা রূপ নেয় পাশবিক যৌন নির্যাতনেও। যে প্রচন্ড মানসিক চাপে এই ছোট বাচ্চাগুলোর শৈশব কাটে তাতে বড় হয়ে তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটা অস্বাভাবিক কিছু না। বরং সেটাই যৌক্তিক সম্ভবনা। মহিলা মাদরাসা গুলার অবথা একই, এদের উপরে আমি একটা স্টাডি প্রকাশ করেছিলাম গত মার্চে, ওখানে মাদরাসার মেয়েদের উপর কি পরিমান নির্যাতন হয় তা দেখানো হয়েছে অপারেশন ব্ল্যাক নাইফ নামে। ইদানীং আবার মাদরাসার হিজাবী মেয়েরা বোরকার ফাঁকে দুটি হরিনীর চোখ দেখিয়ে বিভিন্ন আেত্তিকর ভঙ্গীতে ছবি ও ভিডিও আপলোড করে বলে একজন দ্বীনদার জীবন সঙ্গী চায়, কি আশ্চর্য!!! এটা তো তার পরিবারের কাজ, ফেসবুক তো ইলুমিনাতি রুপের শয়তানদের তৈরী যা নারীদের ঘরের খবর মানুষের কাছে প্রকাশ করে দেয়। কত বড়"বাংলাদেশের আলেম ও ইসলামি শিক্ষার বাস্তবতা"।
দেশের আলেম-উলামা, মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খানকার পীরদের প্রতি সাধারণ মানুষের অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমিও তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখি। তারপরও কিছু লেবাসধারীদের শিশু নির্যাতন, স্ত্রী নির্যাতন ও যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হন গোটা আলেম সমাজ। বলতেও লজ্জা লাগে, ভাবলেও ঘৃণা হয়। মাদরাসায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। যখন শুধু ছেলে মাদরাসা ছিল তখন অনেক ছেলে নির্যাতনের শিকার হতো আর এখন মেয়েরা দানবরূপী শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি খুবই লজ্জার ও ঘৃণার। যেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ জাতীয় কেলেঙ্কারির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, এটা থেকে পরিত্রাণের জন্য নেতৃস্থানীয় আলেমদের ভাবতে হবে। নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে, ভরসার জায়গাটুকুও শেষ হয়ে যাবে।
আফসোসের বিষয়, এই বিকৃত অনাচার নিয়ে আমাদের হুজুররা বা আলেমরা তেমন সোচ্চার নন। আজকে আপনি অনুগ্রহ করে ইউটিউবে একটু সার্চ দিয়ে দেখবেন দেশের মাদ্রাসায় এই ধরনের ঘটনার ব্যাপারে কয়টি ওয়াজ পান, প্রকাশ্যে কে কি বলেছেন। আমি হয়ত খারাপ মানুষ, শয়তান ( এই লেখা পড়লে প্রিয় হুজুররা আমাকে হয়ত এই নামেই ডাকবেন) তাই হুজুরদের ভালো কথা খুঁজে পাই নি, খুঁজে পেয়েছি মাদ্রাসার সাথে বাংলা ও ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অসুস্থ তুলনা। আমাদের আলেমরা, আমাদের হুজুররা বাংলা বা ইংরেজি মাধ্যমের খারাপ দিক দিয়ে মাদ্রাসায় সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়ের তুলনা করে ভালো মন্দের বিচার করেন। অথচ একটা খারাপ বা অন্যায় দিয়ে আরেকটি খারাপ বা অন্যায় জাস্টিফাইড হয় না। এটাই প্রকৃত আলেম আর তথাকথিত আলেমদের মধ্যে পার্থক্য। আমি খুব আশাবাদী মানুষ, আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় আমাদের কোন না কোন আলেম, এই বিষয়ে ওয়াজ করেছেন, কথা বলেছেন, কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে তিনি কোন ভয় করেন নি, দ্বিধা করেন নি।
আরেকটি বিষয় - বাংলাদশে ধর্ম চর্চা এখনও খুব প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে আছে। একটা প্রচন্ড কামুম, বর্বর, হিংসুট এবং জেলি ফিস মস্তিস্কের জাতিকে ধর্ম দিয়ে জোর করে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার চটি পেইজ, পর্ণগ্রাফিক পেইজে দেখবেন সব কিছু দেখে শুনে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়, লাইক দিয়ে কাউন্ট করা হয় কে আল্লাহকে ভালোবাসে, কে নবীকে ভালোবাসে। ধার্মিকতার নামে কি প্রচন্ড বিকৃতি! পার্ভাসন কোথায় গেছে যে- চটি পেইজে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে লাইক দিয়ে আসতে হবে।
যাইহোক, যদি আপনি ধার্মিক হন, তাহলে মনে রাখবেন - যে জাতির আলেমমা মিথ্যে নিয়ে পড়ে আছে, গীবত নিয়ে পড়ে আছে, অহংকার করে, মিথ্যে অপব্যাখ্যা করে কোরান ও সুন্নাহের সেই জাতীর অবস্থা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। আর যদি অধার্মিক হন তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতির বিচার বলে একটা ব্যাপার আছে। এই বিচার খুবই সুক্ষ এবং ভয়াবহ!
দেশের আলেম-উলামা, মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খানকার পীরদের প্রতি সাধারণ মানুষের অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমিও তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখি। তারপরও কিছু লেবাসধারীদের শিশু নির্যাতন, স্ত্রী নির্যাতন ও যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হন গোটা আলেম সমাজ। বলতেও লজ্জা লাগে, ভাবলেও ঘৃণা হয়। মাদরাসায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। যখন শুধু ছেলে মাদরাসা ছিল তখন অনেক ছেলে নির্যাতনের শিকার হতো আর এখন মেয়েরা দানবরূপী শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি খুবই লজ্জার ও ঘৃণার। যেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ জাতীয় কেলেঙ্কারির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, এটা থেকে পরিত্রাণের জন্য নেতৃস্থানীয় আলেমদের ভাবতে হবে। নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে, ভরসার জায়গাটুকুও শেষ হয়ে যাবে।
আফসোসের বিষয়, এই বিকৃত অনাচার নিয়ে আমাদের হুজুররা বা আলেমরা তেমন সোচ্চার নন। আজকে আপনি অনুগ্রহ করে ইউটিউবে একটু সার্চ দিয়ে দেখবেন দেশের মাদ্রাসায় এই ধরনের ঘটনার ব্যাপারে কয়টি ওয়াজ পান, প্রকাশ্যে কে কি বলেছেন। আমি হয়ত খারাপ মানুষ, শয়তান ( এই লেখা পড়লে প্রিয় হুজুররা আমাকে হয়ত এই নামেই ডাকবেন) তাই হুজুরদের ভালো কথা খুঁজে পাই নি, খুঁজে পেয়েছি মাদ্রাসার সাথে বাংলা ও ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অসুস্থ তুলনা। আমাদের আলেমরা, আমাদের হুজুররা বাংলা বা ইংরেজি মাধ্যমের খারাপ দিক দিয়ে মাদ্রাসায় সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়ের তুলনা করে ভালো মন্দের বিচার করেন। অথচ একটা খারাপ বা অন্যায় দিয়ে আরেকটি খারাপ বা অন্যায় জাস্টিফাইড হয় না। এটাই প্রকৃত আলেম আর তথাকথিত আলেমদের মধ্যে পার্থক্য। আমি খুব আশাবাদী মানুষ, আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় আমাদের কোন না কোন আলেম, এই বিষয়ে ওয়াজ করেছেন, কথা বলেছেন, কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে তিনি কোন ভয় করেন নি, দ্বিধা করেন নি।
আরেকটি বিষয় - বাংলাদশে ধর্ম চর্চা এখনও খুব প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে আছে। একটা প্রচন্ড কামুম, বর্বর, হিংসুট এবং জেলি ফিস মস্তিস্কের জাতিকে ধর্ম দিয়ে জোর করে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার চটি পেইজ, পর্ণগ্রাফিক পেইজে দেখবেন সব কিছু দেখে শুনে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়, লাইক দিয়ে কাউন্ট করা হয় কে আল্লাহকে ভালোবাসে, কে নবীকে ভালোবাসে। ধার্মিকতার নামে কি প্রচন্ড বিকৃতি! পার্ভাসন কোথায় গেছে যে- চটি পেইজে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে লাইক দিয়ে আসতে হবে।
যাইহোক, যদি আপনি ধার্মিক হন, তাহলে মনে রাখবেন - যে জাতির আলেমমা মিথ্যে নিয়ে পড়ে আছে, গীবত নিয়ে পড়ে আছে, অহংকার করে, মিথ্যে অপব্যাখ্যা করে কোরান ও সুন্নাহের সেই জাতীর অবস্থা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। আর যদি অধার্মিক হন তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতির বিচার বলে একটা ব্যাপার আছে। এই বিচার খুবই সুক্ষ এবং ভয়াবহ!
ডা.বশির আহাম্মদ।
বাংলাদেশে ইসলাম ও বাস্তবতা
বাংলাদেশের আলেম, ইসলাম ও বাস্তবতা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আপনি কেউকে জিজ্ঞেস করেন, আলেম কাকে বলে?
শতকরা ৯৯ জন উত্তর দিবেন, আলেম মানে তো হুজুর,মাদরাসায় পড়ুয়া, মাথায় বড় পাগড়ী,লম্বা কোর্তা ওয়ালারাই আলেম!
বলা বাহুল্য উত্তরটি নিঃসন্দেহে ভুল! মাদ্রাসায় পড়লেন, দাঁড়ি টুপি পড়লেই কেউ আলেম হয়ে যান না। আলেম মানে হচ্ছে জ্ঞানী। যিনি কোন বিষয়ে সঠিক ও সুক্ষ জ্ঞান ধারন করেন তিনিই আলেম। তবে শব্দিক অর্থ দিয়ে আলেমের পরিচয় সম্ভব না, পারিভাষিক অর্থ দ্বারা আলেমের পরিচয় পাওয়া যায়। আলেম হবার জন্য কারো মাদ্রাসায় পড়া জরুরী নয়। ধার্মিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ইসলামি প্রেক্ষাপটে যে ব্যক্তি কোরআন, হাদীস, ইজমা কিয়াস ও অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং যিনি পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থার সাথে প্রচলিত দ্বীনের সঠিক সমন্বয় ঘটানোর ব্যাপারে নিজ অবস্থানকে যৌক্তিকভাবে প্রমান করতে পারবেন, তিনিই একজন ধর্মীয় আলেম।বর্তমানে আমাদের দেশে প্রকৃত কোন ধর্মীয় আলেম আছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অন্য ধর্মের কথা জানি না, তবে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামিক আলেমদের সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে যে সকল তথাকথিত আলেম বিখ্যাত হয়েছেন বা শ্রোতা প্রিয়তা পেয়েছেন দুই একজন বাদ দিয়ে অধিকাংশ বিভিন্ন দল, আকীদা বা মতে বিভক্ত। সেই সাথে আছে আত্ম অহংকার, ক্ষমতার দাপট, একে অন্যের সাথে রেষারেষি ও গীবত। অথচ একজন প্রকৃত আলেম কখনই অহংকারী হবেন না। তিনি কখনই নিজের ক্ষমতার কথা, নিজের প্রভাবের কথা মানুষকে জোর গলায় জানাবেন না। কিন্তু আমরা ইউটিউব সহ বাস্তবে দেখেছি আমাদের বিখ্যাত সব আলেমরা কি পরিমান অহংকারী, গোঁয়াী, মূর্খ, অশালীন, অশ্লীল কথাবার্তায় পারদর্শী, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চায়, নিজ সুবিধার কারনে কোরান হাদীস ব্যবহার করে। আমাদের দেশের মানুষ এই সব জেনে বুঝেও এদেরকে অনুসরন করে। কারন অলস বাংলাদেশী মুসলমানরা নিজে কোরআন হাদীস পড়বে না, বুঝবে না। তারা শটকার্ট প্রিয়। অন্যের লেজ না ধরলে আমরা সাহস পাই না। অবশ্য তাদেরকে ধন্যবাদ কারন এত লেজ ধরে টানাটানির কারনে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে।
তবে ঢালাও ভাবে দায়ী কছি না, আলেম-উলামারাও মানুষ, তারা ফেরেশতা নন। সুতরাং তাদের দ্বারা অন্যায় হতে পারে না, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সুতরাং আলেমদের থেকে কোনো অপরাধ প্রকাশ পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমতাবস্থায় অপরাধীকে আড়াল না করে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। এ কথা অনস্বীকার্য যে, আলেম সমাজ আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এদেশে ইসলাম আবির্ভাবের সময় থেকেই কথিত আলেম সমাজের আবির্ভাব। এদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই আলেম সমাজ সামাজিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে প্রথম একশ বছর আলেম সমাজই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহ.)-এর প্রবর্তিত আন্দোলন, সৈয়দ আহমদ বেরেলভী (রহ.) ও শাহ ইসমাঈল (রহ.)-এর আন্দোলন, বাংলায় তিতুমীর (রহ.) ও হাজী শরিয়তুল্লাহ (রহ.) আন্দোলন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ধর্মীয়-সামাজিক ক্ষেত্রেও এসব আন্দোলন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। তবে ফেনীর সোনাগাজীতে একটি মাদ্রাসায় আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনাপ্রবাহ চারটি বিষয় সামনে এনেছে: এক নারীর যৌন নিপীড়ন, মাদ্রাসার ভেতরে অধ্যক্ষের দ্বারা ছাত্রীর যৌন নিপীড়ন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্বহীন ভূমিকা এবং স্থানীয় রাজনীতির কলুষিত বৃত্তচক্র যদিও অধ্যক্ষ পরে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছে। এর প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে আমাদের মনোযোগ দাবি করে। সম্প্রতি দু’জন মাদরাসার শিক্ষককে একাধিক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অহরহ এরকম ঘটনা ঘটেই চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েচ্ছেন। জয়পুরহাট শহরের আরাম নগর হাফেজিয়া মাদ্রসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক তার অপকর্মের খবর জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সংগত কারণেই উদ্বেগ ও আশঙ্কা আছে। সমাজের বড় একটি অংশের মধ্যে যদি মনুষত্বের চেয়ে পশুত্বের পরিমাণ বেশি দেখা যায়, তাহলে ওই সমাজের নাগরিকদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এমনিতেই বেড়ে যায়।
শীতকালে বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিল হয়। মানুষ ধর্মীয় নানা বিষয়ে জানতে পারেন, আলোচনা সভা হয়। এই ওয়াজ হচ্ছে গ্রামীন অঞ্চলে অন্যতম বিনোদন, ধর্মীয় দোহাই দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি। ছোট ছোট শিশুরা ভিক্ষা করে টাকা আদায় করে মাহফিলের আয়োজন করে আর ওয়ায়েজিন সেই ভিক্ষার টাকা দিয়ে নিজের উদর পূর্তি করে, অথচ ইসলামের দাওয়াতের বিনিময়ে অর্থ গ্রহন সম্পূর্ণ হারাম,তার পরও কথিত মাহফিল ব্যবসায়ী আলেম গুলো এই হারাম ব্যবসাটাই চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে ওয়াজের হট টপিক হচ্ছে - কোন হুজুর কে কি বলেছে, সেটার পক্ষে বিপক্ষে কথা বলা, অন্যের গীবত করা। দুই, আত্ম অহংকার করা, নিজের প্রচারনা করা, নিজের ক্ষমতা জাহির করা, কে কত ওয়াজ করেছেন, কিভাবে গিয়েছেন ইত্যাদি।
যে কয়টা ওয়াজে আমি গিয়েছে বা দেখেছি বা শুনেছি প্রায় সব ওয়াজের বক্তাদের কথা শুনলে মনে হয়- দেশে আন্তর্জাতিক চিৎকার প্রতিযোগিতা চলছে কিংবা তাদেরকে বলা হইছে ওয়ার ক্রাই বা প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরার জন্য যুদ্ধকালীন চিৎকার দেয়ার জন্য। ইয়া আল্লাহ! উনাদের কে বুঝাবে - ইসলাম শান্তির ধর্ম।
গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ্য করে আসছি, আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ছেলে-মেয়ে কারো রক্ষা নাই। কয়েকদিন আগে এক শিশু বালককে যৌন নির্যাতনের কারনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিলো। আজকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের থাকার কক্ষের ওয়ারড্রোব থেকে চার বছরের এক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমরা কি কেউ বলতে পারি, শুধুমাত্র মাদ্রাসায় কেন শিশুকামী এই সব জানোয়ারদের দেখা যায়? কেন এই চুড়ান্ত ভয়াবহতা, বিকৃতি? এর জবাব অনেকেরই ভালো লাগবে না। দেশের অনেক মাদ্রাসা আছে যেখানে নুন্যতম মানবিক সুযোগ সুবিধা নাই। দরিদ্র এতিম বাচ্চাদের নিয়ে চলছে অমানবিকতার চুড়ান্ত। পড়া শিখানোর নামে, মুখস্ত করার নামে চলে ভয়াবহ শারিরীক নির্যাতন। এই সব নির্যাতনের কোন কোন পর্যায়ে তা রূপ নেয় পাশবিক যৌন নির্যাতনেও। যে প্রচন্ড মানসিক চাপে এই ছোট বাচ্চাগুলোর শৈশব কাটে তাতে বড় হয়ে তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটা অস্বাভাবিক কিছু না। বরং সেটাই যৌক্তিক সম্ভবনা। মহিলা মাদরাসা গুলার অবথা একই, এদের উপরে আমি একটা স্টাডি প্রকাশ করেছিলাম গত মার্চে, ওখানে মাদরাসার মেয়েদের উপর কি পরিমান নির্যাতন হয় তা দেখানো হয়েছে অপারেশন ব্ল্যাক নাইফ নামে। ইদানীং আবার মাদরাসার হিজাবী মেয়েরা বোরকার ফাঁকে দুটি হরিনীর চোখ দেখিয়ে বিভিন্ন আেত্তিকর ভঙ্গীতে ছবি ও ভিডিও আপলোড করে বলে একজন দ্বীনদার জীবন সঙ্গী চায়, কি আশ্চর্য!!! এটা তো তার পরিবারের কাজ, ফেসবুক তো ইলুমিনাতি রুপের শয়তানদের তৈরী যা নারীদের ঘরের খবর মানুষের কাছে প্রকাশ করে দেয়। কত বড়"বাংলাদেশের আলেম ও ইসলামি শিক্ষার বাস্তবতা"।
দেশের আলেম-উলামা, মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খানকার পীরদের প্রতি সাধারণ মানুষের অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমিও তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখি। তারপরও কিছু লেবাসধারীদের শিশু নির্যাতন, স্ত্রী নির্যাতন ও যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হন গোটা আলেম সমাজ। বলতেও লজ্জা লাগে, ভাবলেও ঘৃণা হয়। মাদরাসায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। যখন শুধু ছেলে মাদরাসা ছিল তখন অনেক ছেলে নির্যাতনের শিকার হতো আর এখন মেয়েরা দানবরূপী শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি খুবই লজ্জার ও ঘৃণার। যেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ জাতীয় কেলেঙ্কারির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, এটা থেকে পরিত্রাণের জন্য নেতৃস্থানীয় আলেমদের ভাবতে হবে। নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে, ভরসার জায়গাটুকুও শেষ হয়ে যাবে।
আফসোসের বিষয়, এই বিকৃত অনাচার নিয়ে আমাদের হুজুররা বা আলেমরা তেমন সোচ্চার নন। আজকে আপনি অনুগ্রহ করে ইউটিউবে একটু সার্চ দিয়ে দেখবেন দেশের মাদ্রাসায় এই ধরনের ঘটনার ব্যাপারে কয়টি ওয়াজ পান, প্রকাশ্যে কে কি বলেছেন। আমি হয়ত খারাপ মানুষ, শয়তান ( এই লেখা পড়লে প্রিয় হুজুররা আমাকে হয়ত এই নামেই ডাকবেন) তাই হুজুরদের ভালো কথা খুঁজে পাই নি, খুঁজে পেয়েছি মাদ্রাসার সাথে বাংলা ও ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অসুস্থ তুলনা। আমাদের আলেমরা, আমাদের হুজুররা বাংলা বা ইংরেজি মাধ্যমের খারাপ দিক দিয়ে মাদ্রাসায় সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়ের তুলনা করে ভালো মন্দের বিচার করেন। অথচ একটা খারাপ বা অন্যায় দিয়ে আরেকটি খারাপ বা অন্যায় জাস্টিফাইড হয় না। এটাই প্রকৃত আলেম আর তথাকথিত আলেমদের মধ্যে পার্থক্য। আমি খুব আশাবাদী মানুষ, আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় আমাদের কোন না কোন আলেম, এই বিষয়ে ওয়াজ করেছেন, কথা বলেছেন, কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে তিনি কোন ভয় করেন নি, দ্বিধা করেন নি।
আরেকটি বিষয় - বাংলাদশে ধর্ম চর্চা এখনও খুব প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে আছে। একটা প্রচন্ড কামুম, বর্বর, হিংসুট এবং জেলি ফিস মস্তিস্কের জাতিকে ধর্ম দিয়ে জোর করে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার চটি পেইজ, পর্ণগ্রাফিক পেইজে দেখবেন সব কিছু দেখে শুনে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়, লাইক দিয়ে কাউন্ট করা হয় কে আল্লাহকে ভালোবাসে, কে নবীকে ভালোবাসে। ধার্মিকতার নামে কি প্রচন্ড বিকৃতি! পার্ভাসন কোথায় গেছে যে- চটি পেইজে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে লাইক দিয়ে আসতে হবে।
যাইহোক, যদি আপনি ধার্মিক হন, তাহলে মনে রাখবেন - যে জাতির আলেমমা মিথ্যে নিয়ে পড়ে আছে, গীবত নিয়ে পড়ে আছে, অহংকার করে, মিথ্যে অপব্যাখ্যা করে কোরান ও সুন্নাহের সেই জাতীর অবস্থা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। আর যদি অধার্মিক হন তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতির বিচার বলে একটা ব্যাপার আছে। এই বিচার খুবই সুক্ষ এবং ভয়াবহ!
দেশের আলেম-উলামা, মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খানকার পীরদের প্রতি সাধারণ মানুষের অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমিও তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখি। তারপরও কিছু লেবাসধারীদের শিশু নির্যাতন, স্ত্রী নির্যাতন ও যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হন গোটা আলেম সমাজ। বলতেও লজ্জা লাগে, ভাবলেও ঘৃণা হয়। মাদরাসায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। যখন শুধু ছেলে মাদরাসা ছিল তখন অনেক ছেলে নির্যাতনের শিকার হতো আর এখন মেয়েরা দানবরূপী শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি খুবই লজ্জার ও ঘৃণার। যেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ জাতীয় কেলেঙ্কারির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, এটা থেকে পরিত্রাণের জন্য নেতৃস্থানীয় আলেমদের ভাবতে হবে। নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে, ভরসার জায়গাটুকুও শেষ হয়ে যাবে।
আফসোসের বিষয়, এই বিকৃত অনাচার নিয়ে আমাদের হুজুররা বা আলেমরা তেমন সোচ্চার নন। আজকে আপনি অনুগ্রহ করে ইউটিউবে একটু সার্চ দিয়ে দেখবেন দেশের মাদ্রাসায় এই ধরনের ঘটনার ব্যাপারে কয়টি ওয়াজ পান, প্রকাশ্যে কে কি বলেছেন। আমি হয়ত খারাপ মানুষ, শয়তান ( এই লেখা পড়লে প্রিয় হুজুররা আমাকে হয়ত এই নামেই ডাকবেন) তাই হুজুরদের ভালো কথা খুঁজে পাই নি, খুঁজে পেয়েছি মাদ্রাসার সাথে বাংলা ও ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অসুস্থ তুলনা। আমাদের আলেমরা, আমাদের হুজুররা বাংলা বা ইংরেজি মাধ্যমের খারাপ দিক দিয়ে মাদ্রাসায় সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়ের তুলনা করে ভালো মন্দের বিচার করেন। অথচ একটা খারাপ বা অন্যায় দিয়ে আরেকটি খারাপ বা অন্যায় জাস্টিফাইড হয় না। এটাই প্রকৃত আলেম আর তথাকথিত আলেমদের মধ্যে পার্থক্য। আমি খুব আশাবাদী মানুষ, আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় আমাদের কোন না কোন আলেম, এই বিষয়ে ওয়াজ করেছেন, কথা বলেছেন, কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে তিনি কোন ভয় করেন নি, দ্বিধা করেন নি।
আরেকটি বিষয় - বাংলাদশে ধর্ম চর্চা এখনও খুব প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে আছে। একটা প্রচন্ড কামুম, বর্বর, হিংসুট এবং জেলি ফিস মস্তিস্কের জাতিকে ধর্ম দিয়ে জোর করে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার চটি পেইজ, পর্ণগ্রাফিক পেইজে দেখবেন সব কিছু দেখে শুনে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়, লাইক দিয়ে কাউন্ট করা হয় কে আল্লাহকে ভালোবাসে, কে নবীকে ভালোবাসে। ধার্মিকতার নামে কি প্রচন্ড বিকৃতি! পার্ভাসন কোথায় গেছে যে- চটি পেইজে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে লাইক দিয়ে আসতে হবে।
যাইহোক, যদি আপনি ধার্মিক হন, তাহলে মনে রাখবেন - যে জাতির আলেমমা মিথ্যে নিয়ে পড়ে আছে, গীবত নিয়ে পড়ে আছে, অহংকার করে, মিথ্যে অপব্যাখ্যা করে কোরান ও সুন্নাহের সেই জাতীর অবস্থা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। আর যদি অধার্মিক হন তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতির বিচার বলে একটা ব্যাপার আছে। এই বিচার খুবই সুক্ষ এবং ভয়াবহ!
ডা.বশির আহাম্মদ
শয়তান কার প্ররোচনায় বিদ্রোহ করলো?
কবি কা'ব বিন আশ্রাফকে হত্যার কারন
জবাবঃকা‘ব বিন আশরাফ। মদিনার প্রসিদ্ধ ইহুদী নেতা। কবিতা লেখায় সিদ্ধহস্ত। কাব্যে তার পারদর্শিতা। ইহুদীদের মধ্যে এমনই এক ব্যক্তি তিনি, যিনি ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি অত্যন্ত শত্রুতা ও হিংসা পোষণ করতেন। তিনি নাবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিতেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বেড়াতেন। ‘বনু তাঈ’ গোত্রের শাখা বনু নাবাহান এর সাথে তার পিতা সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। আর তার মাতা বনু নাযীর গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কা‘ব বিন আশরাফ ছিলেন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি পুঁজিপতিও ছিলেন। আরবে তার সৌন্দর্য্যের খ্যাতি ছিল। মদীনার দক্ষিণে বনু নাযীর গোত্রের আবাদী ভূমির পেছনের দিকে ছিল তার বসবাসের সুরম্য দূর্গ।ইসলাম এবং ইসলামের নবীর প্রতি তিনি যে কি পরিমান শত্রুতা পোষন করতেন তা অনুমান করা যায় মুসলমানদের সাথে তার শত্রুতামূলক বিভিন্ন কথা, কাজ ও আচরণে। ইসলামের বিরুদ্ধে তার অব্যাহত ষড়যন্ত্র, মুসলিম সতীসাধ্বী নারীদের নামে মিথ্যে অপবাদ প্রদান করে তাদের নামে কুৎসা রটনা, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যার প্রকাশ্য হুমকিসহ তার ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কিছু নমুনা উপস্থাপন করছি-বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় তিনি মেনে নিতে পারেননিঃউদাহরণতঃ বদর যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয় লাভ এবং নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের নিহত হওয়ার প্রথম খবর শুনে তিনি অকস্মাৎ বলে ওঠেন- ‘সত্যিই কি ঘটনা এটাই? এরা ছিল আরবের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি এবং জনগণের বাদশাহ। যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে হত্যা করে থাকে তবে পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ ওর উপরিভাগ হতে উত্তম হবে; অর্থাৎ আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই উত্তম হবে।ধরা পড়ে যায় কা বের গোপন চিঠিঃইবনে ইসহাকের বর্ণনা উদ্ধৃত করে কা বকে হত্যা করার পেছনে কারণ হিসেবে উইকিপিডিয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাবের প্রেরিত একটি চিঠি বদর যুদ্ধের পর মক্কায় পৌঁছেছিলো এবং তা মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে কুয়াইশদেরকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছিল। সে চিঠির বিষয় ফাঁস হয়ে গেলে কা বের গোপন ষড়যন্ত্র সম্মন্ধে মুসলিমরা নিশ্চিত হন।বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নাম কা বঃঅঙ্গীকার ভঙ্গকারীদেরকে ক্ষমা করার বিধান পৃথিবীর কোথাও নেই। মক্কাবাসীদের সাথে মদিনার চুক্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি মদিনাবাসী লোক হয়ে মদিনার বিরুদ্ধে মক্কার কুরাইশদেরকে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায়ে উষ্কানি দিয়ে আসছিলেন। তার এই বিশ্বাসঘাতকতা নজিরবিহীন। যে কোনো দেশ, রাষ্ট্র ও জনপদের নিরাপত্তা ও অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে এই ধরণের বিশ্বাসঘাতককে উচিত শিক্ষা দেয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।কুরাইশদের সাথে মুসলিমদের স্বার্থ বিরোধী লিখিত চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হন কা বঃবিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্র দাবি করে যে, কাবকে হত্যা করার কারণ ছিল যে, তিনি মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যার জন্য একদল ইহুদির সঙ্গে গোপন পরিকল্পনা করেছিলেন। বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা যারুল্লাহ যামাখাশারি, আল-তাবারসি, আল-রাযি এবং আল-বায়দাভির মত পরবর্তী ভাষ্যকারদের কাছ থেকে আরেকটি পৃথক মত পাওয়া যায় যে, কাবকে হত্যা করা হয়েছিল কারণ ফেরেশতা জিবরাইল আলাইহিস সালাম মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাবের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে কাব তার মক্কা সফরের সময় কুরাইশ এবং চল্লিশজন ইহুদির মধ্যে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সন্ধিচুক্তিতে আবু সুফিয়ানের সাথে সাক্ষর করেন।সূত্রঃ উইকিপিডিয়াঅধ্যাপক ইউরি রবিনের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক উৎসগুলোতে কুরাইশ এবং ইবনে আশরাফের মাঝে স্বাক্ষরিত একটি মুসলিমবিরোধী সন্ধির অস্তিত্বের বিষয়ে বর্ণনা পাওয়া যেতে পারে।সূত্রঃ উইকিপিডিয়া।পৃথিবী থেকে মুসলিমদের অস্তিত্ব মিটিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনিঃপরে যখন তিনি নিশ্চিতরূপে জানতে পারলেন যে, বদরের যুদ্ধের ফলাফলের যে খবর তিনি শুনেছেন তা সত্য, তখন আল্লাহর এ দুশমন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলিমদের নিন্দা এবং ইসলামের শত্রুদের প্রশংসা করতে শুরু করলেন এবং তাদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতে লাগলেন। কিন্তু এতেও তার বিদ্বেষবহ্ণি প্রশমিত না হওয়ায় তিনি পৃথিবী থেকে মুসলিমদের অস্তিত্ব মিটিয়ে ফেলার গভীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি পথ খুঁজতে থাকেন।যুদ্ধের আগুন জ্বালাতে তিনি ছুটে গেলেন সুদূর মক্কায়ঃঅবশেষে অন্য কোনো উপয়ান্তর না পেয়ে তিনি মক্কার কুরাইশদের সাথে যোগ দেয়াকেই অধিক উপযুক্ত মনে করলেন। তার ধারণা ছিল, একমাত্র কুরাইশদের বৃহত শক্তিই নতুন ধর্মবিশ্বাস ইসলাম এবং এর অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করতে সক্ষম হবে। তাই তিনি কুরাইশদের সাথে হাত মেলানোর উদ্দেশ্যে অশ্বে আরোহণ করে প্রায় পাঁচশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সুদূর মক্কায় উপনীত হলেন এবং মুত্তালিব ইবনু আবী অদাআ সাহমীর অতিথি হলেন। তারপর তিনি কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সামনে নিজের কাব্যপ্রতিভার প্রকাশ ঘটালেন। তিনি কুরাইশদের মর্যাদাবোধ তুলে ধরে তাদের উত্তেজিত করতে, তাদের প্রতিশোধাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করতে এবং তাদেরকে নাবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে উৎসাহিত করতে কবিতা বলে বলে ঐ কুরাইশ নেতাদের জন্য বিলাপ করতে লাগলেন যাদের বদর প্রান্তরে হত্যা করার পর কূপে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।তিনি যে মিথ্যাবাদী এবং শঠ তার প্রমানঃমক্কায় তার অবস্থানকালে আবূ সুফিয়ান ও মুশরিকরা তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নিকট আমাদের দ্বীন বেশী পছন্দনীয়, না মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীদের দ্বীন? আর উভয় দলের মধ্যে কোন্ দলটি বেশী হিদায়াতপ্রাপ্ত?’উত্তরে কা‘ব বিন আশরাফ বললেন- ‘তোমরাই তাদের চেয়ে বেশী হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং উত্তম।তার এই মিথ্যাচারের অপনোদনেই আল্লাহ তা‘আলা নিম্নের আয়াত নাযিল করেন-(أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ أُوْتُوْا نَصِيْبًا مِّنَ الْكِتَابِ يُؤْمِنُوْنَ بِالْجِبْتِ وَالطَّاغُوْتِ وَيَقُوْلُوْنَ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا هَؤُلاء أَهْدَى مِنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا سَبِيْلاً النساء.‘যাদেরকে কিতাবের জ্ঞানের একাংশ প্রদত্ত হয়েছে, সেই লোকেদের প্রতি তুমি কি লক্ষ্য করনি, তারা অমূলক যাদু, প্রতিমা ও তাগূতের প্রতি বিশ্বাস করে এবং কাফিরদের সম্বন্ধে বলে যে, তারা মু’মিনগণের তুলনায় অধিক সঠিক পথে রয়েছে।’ -আন-নিসা ৪ : ৫১মদিনায় প্রত্যাবর্তন এবং সতিসাধ্বী মুসলিম নারীদের চরিত্রহননঃকিছু দিন মক্কায় অবস্থান করে মক্কাবাসী কুরাইশ নেতৃবৃন্দের অন্তরে যুদ্ধের লেলিহান আগুনের শিখা প্রজ্বলিত করে দিয়ে, মদিনার মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করার অভিযানে গমন করলে তাদেরকে সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দিয়ে কা‘ব ফিরে এলেন মাদিনায়। কিন্তু মদিনায় ফিরে এসেও তিনি যেন শান্তি পাচ্ছিলেন না। ইসলাম ও মুসলিমদের তার কোনোভাবেই সহ্য হচ্ছিল না। এ পর্যায়ে নব উদ্যমে তিনি ভিন্ন এক ন্যাক্কারজনক কাজে হাত বাড়ালেন। সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুমগণের স্ত্রীদের ব্যাপারে বাজে কবিতা বলতে শুরু করলেন এবং কটুক্তির মাধ্যমে তাঁদেরকে ভীষণ কষ্ট দিতে থাকলেন।আল্লাহর এই দুশমনকে হত্যার ঘটনাঃতার ধারাবাহিক এসব জঘন্য অপকর্ম, সতিসাধ্বী মুসলিম নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও কলঙ্ক রটানো, ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে মক্কার কুরাইশদের সাথে ষড়যন্ত্রে শামিল হয়ে তাদেরকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে পরামর্শ প্রদানসহ সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া, সর্বোপরি আল্লাহ তাআলা এবং রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নানাবিধভাবে দুর্ব্যবহারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করায় এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,من لى بكعب إبن الأشرف فإنه قد أذى الله و رسولهঅর্থ: কে এমন আছে? যে কাব ইবনে আশরাফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে! কেননা সে আল্লাহ এবং তার রাসূলকে কষ্ট দিচ্ছে।রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এ প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, আব্বাদ বিন বিশর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, হারিস বিন আউস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু, আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু যার আরেক নাম সিলকান বিন সালামাহ এবং যিনি ছিলেন কা’বের দুধ ভাই, তিনি এবং আবূ আবস বিন হিবর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু এ অভিযানে পথপ্রদর্শকের দায়িত্ব পালনের জন্যে এগিয়ে আসেন। ক্ষুদ্র এ বাহিনীর নেতা ছিলেন মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু।কা‘ব বিন আশরাফের হত্যার ব্যাপারে যেসব বর্ণনা রয়েছে তার সারমর্ম হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বললেন, ‘কা‘ব বিন আশরাফকে কে হত্যা করতে পারে? সে আল্লাহ এবং তার রাসূল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিয়েছে।’তখন মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু উঠে আরয করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি প্রস্তুত আছি। আমি তাকে হত্যা করব এটা কি আপনি চান?’রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বললেন, ‘হ্যাঁ’।তিনি বললেন, ‘তাহলে আপনি আমাকে অস্বাভাবিক কিছু বলার অনুমতি দিচ্ছেন কি?’রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি বলতে পার।’এরপর মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু কা‘ব ইবনু আশরাফের নিকট গমন করলেন এবং তাকে বললেন, ‘এ ব্যক্তি অর্থাৎ, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে সাদাকাহ চাচ্ছে এবং প্রকৃত কথা হচ্ছে সে আমাদেরকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।একথা শুনে কা‘ব বলল, ‘আল্লাহর কসম! তোমাদের আরো বহু দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আমরা যখন তার অনুসারী হয়েই গেছি তখন হঠাৎ করে এখনই তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত মনে করছি না। পরিণামে কী হয় দেখাই যাক। আচ্ছা, আমি আপনার কাছে এক অসাক বা দু’ অসাক (এক অসাক =১৫০ কেজি) খাদ্য শস্যের আবেদন করছি।’কা‘ব বলল ‘আমার কাছে কিছু বন্ধক রাখো।’মুহাম্মাদ বিন মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আপনি কী জিনিস বন্ধক রাখা পছন্দ করেন?’কা‘ব উত্তর দিলো, ‘তোমাদের নারীদেরকে আমার নিকট বন্ধক রাখো।’মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আপনি আরবের মধ্যে সর্বাপেক্ষা সুদর্শন পুরুষ, সুতরাং, আমরা আমাদের নারীদেরকে কিরূপে আপনার নিকট বন্ধক রাখতে পারি?’সে বলল, ‘তাহলে তোমাদের পুত্রদেরকে বন্ধক রাখো।’মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আমরা আমাদের পুত্রদেরকে কী করে বন্ধক রাখতে পারি? এরূপ করলে তাদেরকে গালি দেয়া হবে যে, এক অসাক বা দু অসাক খাদ্যের বিনিময়ে তাদেরকে বন্ধক রাখা হয়েছিল। এটা আমাদের জন্যে খুবই লজ্জার কথা হবে। আমরা অবশ্য আপনার কাছে অস্ত্র বন্ধক রাখতে পারি।’এরপর দুজনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো যে, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু অস্ত্র নিয়ে তার কাছে আসবেন। এদিকে আবূ নায়িলাও রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু অগ্রসর হলেন অর্থাৎ কা‘ব বিন আশরাফের কাছে আসলেন। কিছুক্ষণ পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন দিকের কবিতা শোনা ও শোনানোর কাজ চললো। তারপর আবূ নায়িলা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘ভাই বিন আশরাফ! আমি এক প্রয়োজনে এসেছি। এটা আপনাকে আমি বলতি চাচ্ছি এই শর্তে যে, আপনি কারো কাছে এটা প্রকাশ করবেন না।’কা‘ব বলল, ‘ঠিক আছে, আমি তাই করব।’আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘এ ব্যক্তির অর্থাৎ, মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর আগমন তো আমাদের জন্যে পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা আরব আমাদের শত্রু হয়ে গেছে। আমাদের পথ ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে, পরিবার পরিজন ধ্বংস হতে চলেছে। সন্তান-সন্ততির কষ্টে আমরা চৌচির হচ্ছি।’এরপর তিনি ঐ ধরণেরই কিছু আলাপ আলোচনা করলেন, যেমনটা মুহাম্মাদ বিন মাসলামা করেছিলেন। কথোপকথনের সময় আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু এ কথাও বলেছিলেন যে, আমার কয়েকজন বন্ধু বান্ধব রয়েছে যাদের চিন্তাধারা ঠিক আমারই মত। আমি তাদেরকেও আপনার কাছে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। আপনি তাদের হাতেও কিছু বিক্রি করুন এবং তাদের উপর অনুগ্রহ করুন।’মুহাম্মাদ বিন মাসালামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু এবং আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু নিজ নিজ কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে সফলকাম হন। কেননা, ঐ কথোপকথনের পরে অস্ত্রশস্ত্র বন্ধু বান্ধবসহ এ দুজনের আগমনের কারণে কা‘ব বিন আশরাফের সতর্ক হয়ে যাওয়ার কথা নয়।জোছনাস্নাত রাতে কা ব বিন আশরাফের পরকাল যাত্রাঃহিজরি ৩য় সনের রবিউল আওয়াল মাসের ১৪ তারিখ জোছনাস্নাত এক রাতে এ ক্ষুদ্র বাহিনী রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট একত্রিত হন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকীয়ে গারকাদ অর্থাৎ, জান্নাতুল বাকী কবরস্থান পর্যন্ত তাঁদের অনুসরণ করেন। তারপর বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে যাও। বিসমিল্লাহ। হে আল্লাহ! এদেরকে সাহায্য করুন।’তারপর তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর বাড়িতে তিনি সালাত ও মুনাজাতে লিপ্ত হয়ে পড়েন।এদিকে এ বাহিনী কা‘ব বিন আশরাফের দুর্গের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার পর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু উচ্চৈঃস্বরে ডাক দেন। ডাক শুনে কা‘ব তাদের নিকট আসার জন্যে ঘর হতে বের হতে উদ্ধত হলে তার স্ত্রী তাকে বললেন, ‘এ সময় কোথায় যাচ্ছেন? আমি এ ডাকের ভেতরে এমন শব্দ শুনতে পাচ্ছি, যেন তা হতে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়ছে।’স্ত্রীর এ কথা শুনে কা‘ব বলল, ‘এটা তো আমার ভাই মুহাম্মাদ বিন মাসলামা এবং দুধ ভাই আবূ নায়িলাহ। সম্ভ্রান্ত লোককে যদি তরবারী যুদ্ধের দিকে আহবান করা হয় তবে সে ডাকেও সে সাড়া দেয়।’এরপর তিনি বাইরে এলেন। তার দেহ থেকে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল এবং তার মাথায় যেন খোশবুর ঢেউ খেলছিল।আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তাঁর সঙ্গীদেরকে বলে রেখেছিলেন যে, ‘যখন তিনি আসবেন তখন আমি তার চুল ধরে শুঁকবো। যখন তোমরা দেখবে যে, আমি তার মাথা ধরে তাকে ক্ষমতার মধ্যে পেয়ে গেছি তখন ঐ সুযোগে তোমরা তাকে হত্যা করবে।’সুতরাং, যখন কা‘ব এলেন তখন দীর্ঘক্ষণ ধরে আলাপ আলোচনা ও গল্পগুজব চললো। তারপর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘বিন আশরাফ! আজুয ঘাঁটি পর্যন্ত চলুন। সেখানে আজ রাতে কথাবার্তা বলাবলি হবে।তিনি বললেন, ‘তোমাদের ইচ্ছা হলে চলো।’ তারপর তাদের সাথে তিনি চললেন।পথিমধ্যে আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তাকে বললেন, ‘আজকের মতো এমন উত্তম সুগন্ধি আপনাকে ইতোপূর্বে ব্যবহার করতে দেখিনি।’একথা শুনে কা বের বক্ষ গর্বে ফুলে উঠল। তিনি বললেন, ‘আমার পাশে আরবের সর্বাপেক্ষা অধিক সুগন্ধি ব্যবহারকারিণী মহিলা রয়েছে।’আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘আপনার মাথাটি একটু শুঁকবো, এ অনুমতি আছে কি?’তিনি উত্তরে বললেন ‘হ্যা, হ্যাঁ’।আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তখন কা‘বের মাথায় হাত রাখলেন। তারপর তিনি নিজেও তার মাথা শুঁকলেন এবং সঙ্গীদেরকেও শুঁকালেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন, ‘ভাই আর একবার শুঁকতে পারি কি?’কা‘ব উত্তর দিল ‘হ্যাঁ হ্যাঁ। কোন আপত্তি নেই।’আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু আবার শুঁকলেন। সুতরাং, তিনি নিশ্চিত হয়ে গেলেন।আরো কিছুদূর চলার পর আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু পুনরায় বললেন, ‘ভাই আর একবার শুঁকবো কি?’এবারও কা‘ব উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ, শুঁকতে পারো।এবার আবূ নায়িলাহ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তার মাথায় হাত রেখে ভালভাবে মাথা ধরে নিলেন এবং সঙ্গীদেরকে বললেন, ‘আল্লাহর এ দুশমনকে হত্যা করে ফেল।’ইতোমধ্যেই তার উপর কয়েকটি তরবারী পতিত হলো, কিন্তু কাজ হলো না। এ দেখে মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু নিজের কোদাল ব্যবহার করে তার দুনিয়ার স্বাদ চিরতরে মিটিয়ে দিলেন। আক্রমণের সময় কা ব এত জোরে চিৎকার করেছিলেন যে, চতুর্দিকে তার চিৎকারের শব্দ পৌঁছে গিয়েছিল এবং আশপাশে এমন কোন দূর্গ বাকী ছিল না যেখানে বিপদ সংকেত স্বরূপ অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করা হয়নি। কিন্তু এতদসত্বেও মুসলিমদের ক্ষুদ্র এ বাহিনী কোনোরূপ বাধার সম্মুখিন না হয়ে সফলতার সাথে অভিযান সমাপ্ত করে প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম হন।আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘আফলাহাতিল উজূহু’কা‘বকে আক্রমণ করার সময় হারিস ইবনু আউস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুকে তাঁর কোন এক সাথীর তরবারীর কোণার আঘাত লেগেছিল। ফলে তিনি আহত হয়েছিলেন এবং তাঁর দেহ হতে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। কা‘বকে হত্যা করে ফেরার সময় যখন এ ক্ষুদ্র মুসলিম বাহিনী হররায়ে আরীয নামক স্থানে পৌঁছেন তখন দেখেন যে, হারিস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু অনুপস্থিত রয়েছেন। সুতরাং, তারা সেখানে থেমে যান। অল্পক্ষণ পরে হারিস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুও সঙ্গীদের পদচিহ্ণ ধরে সেখানে পৌঁছে যান। সেখান হতে তাঁরা তাঁকে উঠিয়ে নেন এবং বাকীয়ে গারকাদে পৌঁছে এমন জোরে তাকবীর ধ্বনি দেন যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও তা শুনতে পান। তিনি বুঝে নেন যে, কা‘ব নিহত হয়েছে। সুতরাং, তিনিও আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করেন। তারপর যখন এ মুসলিম বাহিনী তাঁর খিদমতে উপস্থিত হন তখন তিনি বলেন, ‘আফলাহাতিল উজূহু’ অর্থাৎ এ চেহারাগুলো সফল থাকুক।তখন তারা বললেন, ‘অ অজুহুকা ইয়া রাসূলুল্লাহ’ অর্থাৎ হে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার চোহরাও সফলতা লাভ করুক। আর সাথে সাথেই তাঁরা তাগূতের (কা‘বের) কর্তিত মস্তক তাঁর সামনে রেখে দেন। তিনি তখন আল্লাহ পাকের প্রশংসা করেন এবং হারিস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু -এর ক্ষত স্থানে স্বীয় পবিত্র মুখের লালা লাগিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আরোগ্য লাভ করেন এবং পরে আর কখনো তিনি কষ্ট অনুভব করেন নি। -এ ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ ইবনু হিশাম ২য় খন্ড ৫১-৫৭ পৃঃ, সহীহুল বুখারী ১ম খন্ড ৩৪১-৪২৫ পৃঃ, ২য় খন্ড ৫৭৭ পৃঃ, সুনানে আবূ দাউদ আউনুল মা’বূদ সহ দ্রষ্টব্য ২য় খন্ড ৪২-৪৩ পৃঃ এবং যা’দুল মাআ’দ ২য় খন্ড ৯১ পৃঃ, এ সব হাদীস গ্রন্থ হতে গৃহীত হয়েছে।কা ব হত্যার ফলাফলঃএদিকে ইহুদীরা যখন কা‘ব বিন আশরাফের হত্যার খবর জানতে পারে তখন তাদের শঠতাপূর্ণ অন্তরে ভীতি ও ত্রাসের ঢেউ খেলে যায়। তারা বুঝতে পারে যে, রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অনুধাবন করবেন যে, শান্তি বিনষ্টকারী, গন্ডগোল ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী এবং প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকার ভঙ্গকারীদেরকে উপদেশ দিয়ে কোন ফল হচ্ছে না, তখন তিনি তাদের উপর শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবেন না। এ জন্যেই তারা এই বিশ্বাসঘাতককে হত্যার প্রতিবাদে কোন কিছু করার সাহস করেননি, যদিও তাদের এ যুগের উত্তরসূরীদের কেউ কেউ আগপাছ না ভেবে ইতিহাসের সত্যকে ঢেকে রেখে হাহাকার রব তুলে শোরগোল করতে চান মাঝে মাঝেই, বস্তুতঃ কা বের খুনের ঘটনার পরে মদিনা এবং আশপাশ অঞ্চলের বাদবাকি ইহুদিদের মধ্যে যারা তার পথে হাটছিলেন, তাকে অনুসরণ করছিলেন তারাও একে একে সকলে মুনাফিকির এই পথ থেকে ফিরে আসেন। তারা অঙ্গীকার পূরণের স্বীকৃতি দান করেন এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধাচরণের দুঃসাহস সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেন।এভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের দুশমন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এবং রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দুশমন দুর্বৃত্ত কা ব বিন আশরাফকে উচিত শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার বিরুদ্ধে বহিরাক্রমণের সম্ভাবনা বিদূরিত করতে সক্ষম হলেন। এর ফলে মুসলিমরা মদিনার অভ্যন্তরীণ গোলযোগ হতেও সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে গেলেন; যে গোলযোগের শঙ্কা বহু দিন থেকে তাঁদেরকে চিন্তিত, শঙ্কিত ও উদ্বেগাকুল করে রেখেছিল এবং যার নেতৃত্বে ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত দুর্বৃত্ত কা ব বিন আশরাফ।সূত্র থেকেঃ০১। সহীহ বুখারী ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৪১, ৪২৫,০২। সহীহ বুখারী ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৫৭৭,০৩। সুনানে আবূ দাউদ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪২, ৪৩,০৪। যাদুল মায়াদ ২য় খন্ড পৃষ্ঠা ৯১,০৫। সিরাতে ইবনে হিশাম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৫১, ৫৭।০৬। আর রাহীকুল মাখতুম (বঙ্গানুবাদ), মূলঃ আল্লামা ছফিউর রহমান মোবারকপুরি, অনুবাদকঃ খাদিজা আকতার রেজায়ী, আল কোরআন একাডেমি লন্ডন কর্তৃক প্রকাশিত, পৃষ্ঠা ২৪৮ - ২৫১ন্ডন কর্তৃক প্রকাশিত, পৃষ্ঠা ২৪৮ - ২৫১
দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!
দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক. শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...

-
শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ও সত্যতা শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয় বিতর্ক ইদানীং বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গৌরিবালা ...
-
ইসলামে সূফিবাদ নামক কুফুরী ভ্রান্তি সূফীবাদ একটি কুফুরী মতবাদ কম বেশী সকল মুসলমান সুফিবাদ শব্দটি সথে পরিচিত। সুফিবাদ বা সুফি দর্শন ...
-
" বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের সহায়তার নামে পুকুর চুরি" ভারতীয় বাহিনীর সম্পদ চুরি ভারত বাংলাদেশের জঘন্যতম প্রতিবেশী চ...
-
ঈমান আনায়নের পর প্রথম কাজ মুসলমানদের ভূমি রক্ষা মুসলমানদের ভূমি রক্ষা ঈমান আনার পর একজন ঈমানদারের প্রথম কাজ কি? একথা ব...
-
"ওহাবীজমের আদ্যোপান্ত" ভন্ড আহলে হাদিস "আধুনিক ওহাবীজমের নতুন ফেতনা" বিখ্যাত তাবেঈ ইবনে শিরিন (রঃ) বলেছেন, 'নিশ্চয...
-
"জামায়াত সমর্থক বহিষ্কার ও শালী তালাক একই কথা" গত দুই দিন আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কৃষক লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তি যোদ্ধা(৭১) কানু ...
-
প্রকৃত বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী নিজামী নয় আওয়ামিলীগ, তাদের বিচার চাই শিরোনাম দেখে চোখ কপালে উঠলো? আসুন প্রমান দেই শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজ...
-
জয় বাংলা কখনোই বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ছিলো না,এটা হাইব্রিড স্লোগান। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ লেখা সমরিক ব্যাজ জাতীয় স্লোগান হিসাবে জয় বাংলাকে ...
-
উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের ভীতিকর ইতিহাস ও ভারতীয় সম্রাজ্যবাদের অজানা ইতিহাস ভারতীয় অধিবাসীদের মধ্যে অতীতে উপনিষদ, জৈন, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য দ...
-
নযদি-ওহাবী মুনাফেকরা কিভাবে জামায়াতে ইসলামীর ঘাড়ে চড়ে দলের সর্বনাশ করছে তার ইতিহাস ১। জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মওদুদী(রাহিঃ) এ...