দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা দরকার জামায়াতের
ইন্টার্নালী রোকন হোক আর যা হওয়ার হোক। কিন্তু প্রকাশ্যই কোন একটা প্লাটফরমের মাধ্যমে যেন সবসময় আলোচনায় হাজির থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু লোককে টাকা দিয়ে চাকরির মত করে পালতে হবে। যেমন, যে ছেলেটা ভার্সিটিতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ওরে বিদায়র পরে রোকন বানানো হয়। জীবিকার জন্য ও আর রাজনীতিও করে না। আর জামায়াতের তো দীর্ঘমেয়াদের সুদুরপ্রসারী চিন্তা করার নেতা একন নাই। থাকলে ওরে সিপিবি করানোটাই হতো চাকরি। বামদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যাম্পাসে যারা বাম করেছে তাদের দিয়েই দখলে নিতে হবে।
অনেকের অভিযোগ ডেইলি স্টারে চাকরি করে এখন ওদের মতোই আচরণ করে আমাদের ভাইয়েরা। অথচ ভার্সিটির সাংবাদিক সমিতির সভাপতি উনারে আমরাই বানিয়েছিলাম। ভাই ক্যাম্পাসে আপনি উনার থেকে আদায় করে নিতে পেরেছেন কারণ আপনার ঐটুকই কন্ট্রোলে ছিল। এখন আপনি তো শিবির থেকে বিদায় নেয়ার পরে এদের ঐভাবে আর ইউজ করার জন্য কিছুই করেন নাই। তার যারা নেতা ছিল বিদায়ের পরে পেশাগত সেক্টরে তাদের দিয়েই প্ল্যাটফরম গঠন করে ন্যাশনাল লেভেলেও সিন্ডিকেট করার জন্য এজন্যই তো বলছি।
জামায়াত যে একটা মারা খেয়েছে এটা কি আপনারা টের পেয়েছেন? ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি জুনায়েদ, নাগরিক কমিটিতে যোগ দেওয়ার পরে ভবিষ্যতে জামায়াত মেধাবী নেতৃত্ব আর পাবে না শিবির থেকে। এমনকি প্রথমবারের মত জুনায়েদ জামায়াতকে ধারন না করে পোষ্টও নাকি করেছে। সুতরাং ভবিষ্যতে ঢাবি শিবিরের যারা জামায়াতের মধ্যে মূল্যায়িত হবে না সে আর জামায়াত করবে না। এটা সারাদেশেও প্রভাব পড়বে। শিবিরের যে ছেলেটার সুযোগ আছে নাগরিক কমিটিতে গিয়ে ভালো পলিটিকস করার সে রুকন হয়ে কেন নিজেকে রাজনীতি করার যে মজা সেটা থেকে বঞ্চিত করে খোয়াড়ে ঢুকাবে? আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি নাগরিক কমিটির শিবির রিক্রুট করার মাধ্যমে সবচেয়ে বড় মারা খেয়েছে দুইটা দল নুরুর পার্টি, এবি পার্টি। আর জামাতের লোকসংখ্যা বেশিই থাকবে তবে এটা ক্রমান্বয়ে চরমোনাই পার্টি হয়ে যাবে হয়ত।কেননা জামায়াতের শপথ শুধু আনুগত্যই তৈরী করে না, অতি আনুগত্যের কারনে প্রতিভাও ধ্বংশ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ