expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের নিকট রাজনৈতিক প্রত্যাশা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  নেতাদের নিকট রাজনৈতিক
 প্রত্যাশা




বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি যা অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জন হয়েছে। আর এই অর্জনের পুরোটা কৃতজ্ঞতাই ছাত্রদের। ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে ঐক্য করতে হয়, কিভাবে পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গতে হয়। কিভাবে একটি দেশ স্বাধীন করতে হয়। তবে এই বিপ্লবের মূল কারিগর শুধু ছাত্ররাই ছিলো বিষয়টা এমন না,এ আন্দোলনে শিশু, শ্রমিক,রিকৃসা ওয়ালা, লুলী মজুর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সবারই অবদান ছিলো।

এখন আসেন ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। ছাত্রদের নিষ্পাপ চিন্তা ভাবনা, দেশ প্রেম, নি:স্বার্থ আত্মত্যাগ প্রমান করে এদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকারই নয়, বরং তারা রাজনীতি করার প্রয়োজনীয়তা ১০০% জরুরী।

কিন্তু তারা কি ধরনের রাজনীতি করবে? কোন  আদর্শে রাজনীতিটা করবে? বাংলাদেশে কোন কিছুই তো নিরপেক্ষ থাকে না, তাইলে এই বস্তা পঁচা রাজনীতি করে আবারও কি লেজুর বৃত্তি শুরু করবে এক সময়? না, এটা হতে দেওয়া যাবে না। 

তাইলে কিভাবে কোন রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করবে? যে দলের রাজনীতি করুক না কোনো লেজুর বৃত্তি তো করতেই হবে। এখন যে বিপ্লবীরা রাজনৈতিক দল করতে চায় তারাই এক দিন হয়তো সংসদ সদস্য হবে, দেশ শাসন করবে, আবার ছাত্রদের ব্যবহার করতে চাইবে। 

নতুন দল গঠন করলে কি কি নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে?

১। একটি নতুন রাজনৈতিক দলে সকল ছাত্ররা কখনোই সর্ব সম্মত ভাবে যোগদান করবে না।
২। নেতৃত্বের কোন্দল হতেই পারে।
৩। নতুন যে দলটি গঠন হবে সে দলের আদর্শের সাথে সকল ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ নাও হতে পারে।
৪। ক্যাম্পাস গুলোতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সাথে মতানৈক্য হবে, মতানৈক্য হলে আবারও ক্যাম্পাস গুলো উত্তপ্ত হবে।
৫। নতুন স্বাধীনতার বিপ্লবীরা বলছে ক্যাম্পাসে কোন রাজনীতি চলবে না, বিপ্লবীরা যখন নতুন দল করে সংসদ নির্বাচন করবে, তখন তাদের ছাত্র সংগঠন গুলো ক্যাম্পাসে থাকবে, এমতাবস্থায় বাকি রাজনৈতিক দল গুলো বসে থাকবে কি? তারাও ছাত্র সংগঠন খুলবে,  লাগবে ভেজাল।

ফাইনালে সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মাঠে মারা যাবে।

তাইলে করনীয় কিঃ
ছাত্ররা প্রমান করেছে যে ছাত্রদের হস্তক্ষেপ ছাড়া বাংলাদেশের কোন জাতীয় সমস্যা সহজে সমাধান যোগ্য নয়। অতএব তাদেরও রাজনীতি করা উচিত, তারা রাজনীতি না করলে দেশের বিপদের সময় উদ্ধার কর্তা হিসাবে কেউ থাকবে না। এমতাবস্থায় করনীয় নিম্নরূপঃ
১। সকল স্কুল ও কলেজের  ছাত্রদের সমন্বয়ে তৈরী হবে এই সংগঠন এবং এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর সাথে মিল রেখে, প্রয়োজনে সংবিধান নতুন ভাবে প্রনয়ন করতে হবে।

২। যারা স্কুলে ভার্তি হবে তারাই এই দলের সদস্য হিসাবে গন্য হবে, ছাত্রত্ব যেদিন শেষ হবে সেদিন হতে অটোমেটিক ভাবে সদস্য পদ শেষ হয়ে যাবে।

৩। এদলের কোন সদস্য ছাত্র থাকা অবস্থায় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারনবে না, আবার ছাত্ররাও কোন রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডের লেজুর বৃত্তি ক্যাম্পাসে প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠিত করার কাজে নিয়োজিত হতে পারবে না।

৪। সকল ছাত্ররা ছাত্রত্ব শেষ করার পর যে কোন রাজনৈতিক দলে স্বাধীন ভাবে যোগ দিতে পারবে। 

৫। ছাত্রদের কাজই হবে দেশ,জাতি ও দেশের মানুষের স্বার্থে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত থাকা, যখনই দেশের কোন স্বার্থে আঘাত আসবে এই ছাত্ররা প্রতিহত করার জন্য সম্মিলিত ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এতে করে কোন ক্ষমতাসীন দেশ বিরোধী কাজ করা হতে নিজেকে বিরত রাখবে ছাত্রদের ভয়ে।


৬।এভাবে চলতে থাকলে দেশে যোগ্য রাজনৈতিক নেতা তৈরী হবে এবং পরবর্তীতে কোন রাজনৈতিক দলে যখন কাজ করবে তখন দেশ প্রেম ও দক্ষতা দিয়ে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবে।

৭। দলের সবগুলো কমিটির নেতৃত্বে থাকবে স্ব স্ব ক্যাম্পাসের মেধাবী ছাত্ররা।

শেষ কথা হলো দেশে ছাত্রদের কথাই হবে শেষ কথা, গরিবের কথাই হবে আইন, ছাত্রদের টপকে কেউ কোনো কিছু চিন্তাও করতে পারবে না।

এরকম হলে যত বড় ক্ষমতাসীন দলই সংসদে থাকবে ছাত্রদের ভয়ে টথস্ত থাকবে, দেশ বিরোধী বা জনগন বিরোধী কাজ করার কথা মাথায় আনার দু:সাহসও করবে না।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...