expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

একজন গুপ্ত ঘাতকের কথা




হাসিনার স্বৈরশাসন ও একজন খলনায়কের গুপ্ত কথা আজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দলের কিছু গোপন বিষয় এবং হাসিনার আমলে কিছু ব্যর্থতা সম্পর্কে লিখবো। শুরুটা ২০১১ সালের মার্চ থেকে যখন বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি তখন বিপর্যস্ত অবস্থা, চারদিকে ষড়যন্ত্র,দলের ভাইস চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে, খালেদা জিয়া দেশে থাকলেও দেশী বিদেশি বহু ষড়যন্ত্রে দল জর্জরিত। মির্জা ফখরুল মহাসচিব হওয়ার পরেই ভারতীয় গোয়েন্দারা তার সাথে সখ্যতা বাড়াতে থাকে।যার পরিপ্রেক্ষিতে হেফাজত, জামায়াত সহ সব দল ২০১৩/১৪ সালে মাঠে থাকলেও মির্জা ফখরুলের সায় ছিলোনা বলে বিএনপি অন্যদের সাথে মাঠে নামেনি, বরং ধর্মীয় আন্দোলন বলে তারা ঘরে বসে ছিলো। এরপরে দলের হাইকমান্ড বিশেষ করে তারেক রহমান ফখরুলের এসব দেখে তাকে সরিয়ে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দলের মহাসচিব করতে চান, এ ব্যাপার আঁচ করতে পেরে হাসিনার বাহিনী ভারতের পরামর্শক্রমে ২০১৫ সালে ১০ই মার্চ দেশপ্রেমিক সালাহউদ্দিন আহমেদকে ঢাকার উত্তরার একটি বাড়ি থেকে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৬২ দিন বাংলাদেশে আয়নাঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হয়। দেশে থাকলে বা জীবিত থাকলে অসুবিধা আছে এ কথা ভেবে তার জন্য সিদ্ধান্ত হয় তাকে ভারতে কোথাও ফেলে রেখে আসবে,যেহেতু মির্জা ফখরুল সহ অনেকেই এটার সাথে জড়িত তাই তাকে ইলিয়াস আলীর মতো মেরে ফেলা হইনি, এবং সিদ্ধান্ত হয় ভারত থেকে তাকে আসতে দেওয়া হবেনা। এমনকি ভারত বিরোধিতা করার কারণে দেশপ্রেমিক ইলিয়াস আলীকেও গুম হতে হয়। তারপর একই বছরের ১১ মে সালেহ উদ্দিন আহমেদকে ভারতের শিলংয়ে একটা গলফ মাঠে পাওয়া যায় মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায়।তারপর সেখানে দীর্ঘদিন জেল খাটার পর মুক্তি পেলেও মির্জা ফখরুলদের অপতৎপরতা আর ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে দেশে আসতে দেওয়া হইনি। তারপর যখন বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হন, তখন কার্যত দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন মির্জা ফখরুল এবং দলের সবকিছু তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। আন্দোলন, নীতিনির্ধারণী সব সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং ২০১৮ সালে বিএনপির হাই কমান্ড ভারতে যায় নির্বাচনের ব্যাপারে, ভারতের আশ্বাসে, ভারতের যোগসাযশে আওয়ামী ল্যাসপেন্সার ড. কামালকে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করে মির্জা ফখরুলের সিদ্ধান্তে রাতের ভোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি এবং প্রতারিত হয় বিএনপির কোটি সমর্থক। তারপর থেকে মির্জা ফখরুল গান্ধীর শান্তিবাদী আন্দোলনের নামে দেশবাসীকে প্রতারিত করে আসছেন। দেশের বহু জায়গায় বড়ো বড়ো মহা সমাবেশ চলতে থাকে এবং মহাসমাবেশ গুলোতে লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতি থাকলেও আন্দোলনের সময় সফলতা আসতোনা। মানুষ সাড়া দিয়ে আসলেও ফখরুলদের অপতৎপরতার কারণে আন্দোলন চলা অবস্থায় পুলিশ সহজেই আন্দোলন নস্যাৎ করে দিতো।তখন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সবাইকে সহজেই গ্রেফতার করে ফেলতো এবং তারা জেলে চলে যেতেন, সেখানে ভালো ই থাকতেন,নিজের বাসার মতো থাকতেন। আর বাহিরের মানুষ ভাবতো তিনি তো জেল খাটছেন,অনেক ত্যাগী নেতা। কিন্তু তার এই জেল খাটাও ছিলো ঐ কূটকৌশলের অংশ।প্রতিটা আন্দোলনে এমন হইছে, মানুষ গণতন্ত্রের জন্য মাঠে নামছে কিন্তু ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নাটক করে পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে আন্দোলন সেখানেই শেষ করে দিতেন। একদিকে তিনি বড়ো বড়ো সমাবেশ করে বড়ো নেতা সাজতেন অন্যদিকে আন্দোলনের পিক টাইমে হাসিনার সাথে আঁতাত করে সব শেষ করে দিতেন, যার কারণে একটা আন্দোলন ও সফলতার মুখ দেখেনি এবং একারণেই এতো বছর হাসিনা টিকে ছিলো। তিনি জেল খাটা বেছে নিয়েছেন যাতে নিরাপদ থাকেন, মানুষ ও সন্দেহ করতে না পারে।নেতাকর্মীরা ত্যাগের সর্বোচ্চ মানসিকতা নিয়ে আসলেও পুলিশের কয়েকটা সাউন্ড গ্রেনেডে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতো এবং রাতে পরিকল্পিত ভাবে তারা পুলিশের কাছে ধরা দিতেন এবং জেলে যেতেন।একই কাহিনী ঘটেছে ২৮ অক্টোবরেও। লক্ষ লক্ষ লোক এনেও মির্জা ফখরুলদের কারণে কিছুই হয়নি,বরং সেখানেই সব আন্দোলন শেষ হয়ে যায় এবং ড্যামি নির্বাচনে হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসলো।এবার ছাত্ররা যেভাবে সম্মুখ ভাবে লড়ে হাসিনাকে হটাইছে তিনি কখনো এমন সিদ্ধান্ত নেন নাই এবং প্রতি বার তিনি একই ভাবে আন্দোলনকে শেষ করে দিয়েছেন।যদি আসলেই বিএনপি সামনাসামনি লড়তো তাহলে বহু আগেই হাসিনা হটে যেতো। এমনকি এবারের আন্দোলনেও বিএনপি একই পন্থা বেছে নেয়, বহু নেতাকর্মী গ্রেফতারও হয় কিন্তু নেতৃত্ব ছাত্রদের হাতে থাকায় তার কূটচাল কাজে লাগেনি। আবার ফিরে আসি সালাহউদ্দিন আহমেদের কাছে, তিনি ৮ বছর আগে মুক্তি পেলেও দেশে ফিরতে পারেন নাই। তাকে জিজ্ঞেস করলেই বলতেন, এগুলা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, পলিটিক্সের অংশ। ডিটেইলস বলতে পারবোনা, সমস্যা আছে। বারবার তিনি এড়িয়ে গেছেন।একমাত্র ভারতপ্রেমী গাদ্দার মির্জা ফখরুলদের কারণে দেশপ্রেমিক সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশে আসতে পারেন নাই, বহু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।এখনো যে দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না এটাও তার ষড়যন্ত্রের অংশ। কারণ তারেক রহমান আসলে তার খবর আছে। তারেক রহমানের মামলা গুলি,জামিন নিয়ে গড়িমসি, তাকে ফিরাতে কোনে তৎপরতা নাই মির্জা ফখরুলদের!বরং তারেক রহমান যেনো ফিরতে না পারে এজন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে! আর তা না হলে আজ দু মাসের বেশি হলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না কেনো? এরপরে তারা আরেকটা ষড়যন্ত্র করেছেঃ সালাউদ্দিন আহমেদকে বিতর্কিত করার জন্য এস আলম গ্রুপের গাড়িতে তাকে পরিকল্পিত ভাবে উঠাইছে এবং সংবাদপত্র গুলোতে নিউজ করিয়ে তাকে বিতর্কিত করাইছে,যাতে সে উপরে উঠতে না পারে, ইমেজ সংকট হয়,যাতে বিএনপি কর্মীদের কাছে সে বিতর্কিত হয়! এ জাতি বড়ো দূর্ভাগা। মির্জা ফখরুলের মতো গাদ্দারদের কাছে দেশপ্রেমিক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইলিয়াস আলী, তারেক রহমানেরা হেরে যান। না হলে বহু আগেই এ জাতির মুক্তি সম্ভব ছিলো। এ যেন মীর জাফর, মীর কাশেম, লেন্দুপ দর্জীর নতুন ভার্শন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...