expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

ব্যাফোমেট বা কুফুরী বিদ্যা ও ইলুমিনাতির আদ্যোপান্ত,পর্ব-২

 


"ব্যাফোমেট বা কুফুরী বিদ্যা ও ইলুমিনাতির আদ্যোপান্ত,পর্ব-২"


উত্তরাধিকার: 
তাদের সামরিক মিশন এবং ব্যাপক আর্থিক সংস্থান সহ, নাইট টেম্পলার ইউরোপ এবং পবিত্র ভূমির চারপাশে প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল। এর মধ্যে অনেক স্থাপনা এখনো দাঁড়িয়ে আছে। অনেক সাইট টেম্পলারদের সাথে শতাব্দী-প্রাচীন সম্পর্ক থাকার কারণে "মন্দির" নামটিও বজায় রাখে। উদাহরণস্বরূপ, লন্ডনে টেম্পলারদের কিছু জমি পরবর্তীতে আইনজীবীদের ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে টেম্পল বার গেটওয়ে এবং টেম্পল আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনের নাম হয়েছে। চারটি ইনস অফ কোর্টের মধ্যে দুটি যেটি সদস্যদের ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করার জন্য ডাকতে পারে তা হল অভ্যন্তরীণ মন্দির এবং মধ্যমন্দির – পুরো এলাকাটি টেম্পল, লন্ডন নামে পরিচিত। টেম্পলার ভবনগুলির স্বতন্ত্র স্থাপত্য উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে "একটি ঘোড়ায় দুই নাইট", নাইটদের দারিদ্র্যের প্রতিনিধিত্ব করে এবং জেরুজালেমের গির্জা অফ দ্য হলি স্কালপচ্যারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ গোলাকার বিল্ডিংগুলির ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত। আধুনিক সংগঠন: 1309 সালে রোলস অফ দ্য ক্যাথলিক চার্চে নাইট টেম্পলার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। অর্ডারের দমনের পরে, বেশ কিছু নাইট টেম্পলার নতুন প্রতিষ্ঠিত অর্ডার অফ ক্রাইস্টে যোগদান করে, যা কার্যকরভাবে নাইট টেম্পলার এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলিকে 1319 খ্রিস্টাব্দে পুনঃশোষিত করে, বিশেষ করে পর্তুগাল। গোপন অথচ শক্তিশালী মধ্যযুগীয় টেম্পলারদের নিপীড়ন এবং আকস্মিকভাবে দ্রবীভূত হওয়ার গল্পটি তাদের নিজস্ব ভাবমূর্তি এবং রহস্য বাড়ানোর উপায় হিসাবে তাদের সাথে কথিত সংযোগ ব্যবহার করার জন্য আরও অনেক গোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করেছে। ক্রাইস্টের আদেশ ব্যতীত, নাইট টেম্পলার এবং অন্য কোনো আধুনিক সংগঠনের মধ্যে কোনো সুস্পষ্ট ঐতিহাসিক সংযোগ নেই, যার মধ্যে প্রথমটি 18 শতকে সর্বজনীনভাবে আবির্ভূত হয়েছিল। আরও তথ্য: অর্ডার অফ ক্রাইস্ট (পর্তুগাল) এবং হিস্ট্রি অফ দ্য অর্ডার অফ ক্রাইস্ট নাইট টেম্পলারের বিলুপ্তির পর, 1319 সালে অর্ডার অফ ক্রাইস্ট তৈরি করা হয় এবং পর্তুগালে নাইট টেম্পলারের বৈশিষ্ট্য সহ অনেক নাইট টেম্পলারকে এর পদে শুষে নেয়। এর সদর দফতর টোমারে একটি প্রাক্তন নাইট টেম্পলার দুর্গে পরিণত হয়েছিল। দ্য মিলিটারি অর্ডার অফ ক্রাইস্ট নিজেদেরকে প্রাক্তন নাইট টেম্পলারের উত্তরসূরি মনে করে। 22 মার্চ এ টেম্পলারদের বিলুপ্ত করার পর,পর্তুগিজ রাজা ডেনিসের সুরক্ষায় 1319 সালে আর্ডার অফ ক্রাইস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি প্রাক্তন নাইটদের অত্যাচার করতে অস্বীকার করেছিলেন। ডেনিস টেম্পলার অফ টোমারকে ক্রাইস্টের আদেশ হিসাবে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন, রিকনকুইস্তার সময় এবং যুদ্ধের পরে পর্তুগালের পুনর্গঠনে তাদের সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞ। ডেনিস নতুন আদেশের স্বীকৃতি এবং টেম্পলার সম্পদ ও সম্পত্তির উত্তরাধিকারের অধিকারের জন্য ক্লিমেন্টের উত্তরসূরি জন XXII-এর সাথে আলোচনা করেছিলেন। এটি 14 মার্চ 1319-এর পোপ বুল Ad ea ex quibus-এ দেওয়া হয়েছিল।

আমরা যে জ্ঞান অর্জন করি তা কখনোই ১০০% সহীহ জ্ঞান নয়। এক মাত্র ঐশী জ্ঞানই সয়ং সম্পূর্ণ,  যেমন আল কোরআন।

হযরত আদম (আ:) এর হাবিল ও কাবিল নামের দুই পুত্রের মধ্যে হাবিল ছিলো সত্যবাদি আর কাবিল ছিলো অপরাধী। ইতিহাস মতে হাবিলকে কাবিল তার নিজের স্বার্থে নফসের প্রতারনায় হত্যা করে। হত্যার পর সে হাবিলের মৃত দেহ কি করবে আর না করবে খোঁজে কূল কিনারা পাচ্ছিলো না। তখনই একটি কাক একটি বস্তুকে মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলার ঘটনা দেখে কাবিলের মাথায় হাবিলের মৃতদেহ মাটির নীচে চাপা দেওয়ার বুদ্ধি আসল।

আচ্ছা কখনো কি চিন্তা করেছেন যে কাকটি কেনো ঐ সময়েই কাবিলের সামনে কোন বস্তু পাটিতে পুঁতলো? এটা কি দৈব ঘটনা না কোন নিদর্শন? নিদর্শন হলে এই নিদর্শন কে দেখলো? কাক তো পাখি মাত্র, সে তো কাবিলের সমসযা বুঝারও কথা না, আর সমাধান বের করাও কাকের কাজ না, ওতো স্রেফ একটা কাক মাত্র।এটা কি আল্লাহর হুকুমে করেছে, এটাতো করার কথা না। 

আরেকটা বিষয় আসুন জানা যাক আল কোরআনের সূরা বাকারার ১০২ নং আয়াতে কি আছে।

সুরা: আল-বাক্বারাহ
আয়াত নং :-১০২

وَ اتَّبَعُوْا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیْنُ عَلٰى مُلْكِ سُلَیْمٰنَ١ۚ وَ مَا كَفَرَ سُلَیْمٰنُ وَ لٰكِنَّ الشَّیٰطِیْنَ كَفَرُوْا یُعَلِّمُوْنَ النَّاسَ السِّحْرَ١ۗ وَ مَاۤ اُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَیْنِ بِبَابِلَ هَارُوْتَ وَ مَارُوْتَ١ؕ وَ مَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰى یَقُوْلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ١ؕ فَیَتَعَلَّمُوْنَ مِنْهُمَا مَا یُفَرِّقُوْنَ بِهٖ بَیْنَ الْمَرْءِ وَ زَوْجِهٖ١ؕ وَ مَا هُمْ بِضَآرِّیْنَ بِهٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ١ؕ وَ یَتَعَلَّمُوْنَ مَا یَضُرُّهُمْ وَ لَا یَنْفَعُهُمْ١ؕ وَ لَقَدْ عَلِمُوْا لَمَنِ اشْتَرٰىهُ مَا لَهٗ فِی الْاٰخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ١ؕ۫ وَ لَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهٖۤ اَنْفُسَهُمْ١ؕ لَوْ كَانُوْا یَعْلَمُوْنَ


তরজমা:
আর এই সঙ্গে তারা এমন সব জিনিসের অনুসরণ করাতে মেতে ওঠে, যেগুলো শয়তানরা পেশ করতো সুলাইমানী রাজত্বের নামে। অথচ সুলাইমান কোন দিন কুফরী করেনি। কুফরী করেছে সেই শয়তানরা, যারা লোকদেরকে যাদু শেখাতো। তারা ব্যবিলনে দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছিল তা আয়ত্ব করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। অথচ তারা(ফেরেশতারা) যখনই কাউকে এর শিক্ষা দিতো, তাকে পরিষ্কার ভাষায় এই বলে সতর্ক করে দিতোঃ দেখো, আমরা নিছক একটি পরীক্ষা মাত্র, তুমি কুফরীতে লিপ্ত হয়ো না। এরপরও তারা তাদের থেকে এমন জিনিস শিখতো, যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছিন্নতা এনে দিতো। একথা সুস্পষ্ট, আল্লাহর হুকুম ছাড়া এ উপায়ে তারা কাউকেও ক্ষতি করতে পারতো না। কিন্তু এ সত্ত্বেও তারা এমন জিনিস শিখতো যা তাদের নিজেদের জন্য লাভজনক ছিল না বরং ছিল ক্ষতিকর। তারা ভালো করেই জানতো, এর ক্রেতার জন্য আখেরাতে কোন অংশ নেই। কতই না নিকৃষ্ট জিনিসের বিনিময়ে তারা বিকিয়ে দিল নিজেদের জীবন!হায়, যদি তারা একথা জানতো!

এখনে প্রশ্ন আসে শয়তান কি শিখতো, কিভবে শিখতো, এতে সমাজোর কি ক্ষতি হতো? শয়তান এমন কি শিখাতো যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি হয়? এটা এমন কোন জ্ঞান যা আল্লাহর হুকুমকে পরিবর্ত করে দেয়? কেননা স্বামী স্ত্রীর বন্ধন তো আল্লাহ প্রদত্ত, তা আবার শয়তান কোন জ্ঞান দিয়ে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে?


চলুন ব্যাখ্যা করি:
শয়তানরা বলতে জ্বিন জাতি ও মানবজাতি উভয়ের অন্তর্ভুক্ত শয়তান হতে পারে। এখানে উভয়ের কথাই বলা হয়েছে। বনী ইসরাঈলদের মধ্যে যখন নৈতিক ও বস্তুগত পতন সূচিত হলো, গোলামি, মূর্খতা, অজ্ঞতা, দারিদ্র্য, লাঞ্ছনা ও হীনতা যখন তাদের সমস্ত জাতিগত উচ্চ মনোবল ও উচ্চাকাঙ্খার বিলোপ সাধন করলো তখন যাদু-টোনা, তাবিজ–তুমার, টোটকা ইত্যাদির প্রতি তারা আকৃষ্ট হতে থাকলো বেশী করে। তারা এমন সব পন্থার অনুসন্ধান করতে লাগলো যাতে কোন প্রকার পরিশ্রম ও সংগ্রাম–সাধন ছাড়াই নিছক ঝাড়-ফুঁক তন্ত্রমন্ত্রের জোরে বাজীমাত করা যায়। তখন শয়তানরা তাদেরকে প্ররোচনা দিতে লাগলো। তাদেরকে বুঝাতে থাকলো যে, সুলাইমান আলাইহিস সালামের বিশাল রাজত্ব এবং তাঁর বিস্ময়কর ক্ষমতা তো আসলে কিছু মন্ত্র-তন্ত্র ও কয়েকটা আঁচড়, নকশা তথা তাবীজের ফল। শয়তানরা তাদেরকে সেগুলো শিখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিল। বনী ইসরাঈলরা অপ্রত্যাশিত মহামূল্যবান সম্পদ মনে করে এর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। ফলে আল্লাহর কিতাবের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ ও আকর্ষণ থাকলো না এবং কোন সত্যের আহবায়কের আওয়াজ তাদের হৃদতন্ত্রীতে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলো না।


এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। কিন্ত এখানে আমি যা কিছু বুঝেছি তা হচ্ছে এই যে, সমগ্র বনী ইসরাঈল জাতি যে সময় ব্যাবিলনে বন্দী ও গোলামির জীবন যাপন করছিল, আল্লাহ‌ তখন তাদের পরীক্ষার উদ্দেশ্যে দু’জন ফেরেশতাকে মানুষের বেশে তাদের কাছে হয়তো পাঠিয়ে থাকবেন। লূত জাতির কাছে যেমন ফেরেশতারা গিয়েছিলেন সুদর্শন বালকের বেশ ধারণ করে তেমনি বনী ইসরাঈলদের কাছে তারা হয়তো পীর ও ফকীরের ছদ্মবেশে হাযির হয়ে থাকবে। সেখানে একদিকে তারা নিজেদের যাদুর দোকান সাজিয়ে বসে থাকতেন আর অন্যদিকে লোকদেরকে এই মর্মে সতর্ক করে দিতেনঃ দেখো, আমরা তোমাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। কাজেই নিজেদের পরকাল নষ্ট করো না। কিন্তু তাদের এই সতর্কবাণী ও সুস্পষ্ট ঘোষণা সত্ত্বেও লোকেরা তাদের দেয়া ঝাড়-ফুঁক ও তাবীজ-তুমারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।ফেরেশতাদের মানুষের আকার ধারণ করে মানুষের মধ্যে কাজ করার ব্যাপারটায় অবাক হবার কিছুই নেই। তারা আল্লাহর সাম্রাজ্যের কর্মচারী। নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য যে সময় যে আকৃতি ধারণ করার প্রয়োজন হয় তারা তাই করেন। এখনই এ মুহূর্তে আমাদের চারদিকে কতজন ফেরেশতা মানুষের আকার ধরে এসে কাজ করে যাচ্ছেন তার কতটুকু খবরই বা আমরা রাখি। তবে ফেরেশতাদের এমন একটা কাজ শেখাবার দায়িত্ব নেয়া, যা মূলত খারাপ, এর অর্থ কি? এটা বুঝার জন্য এক্ষেত্রে এমন একটি পুলিশের দৃষ্টান্ত পেশ করা যেতে পারে যে পুলিশের পোশাক ছেড়ে সাধারণ নাগরিকের পোশাক পরে কোন ঘুষখোর প্রশাসকের কাছে হাযির হয় তার ঘুষখোরীর প্রমাণ সংগ্রহের জন্য। একটি নোটের গায়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে সে ঘুষ হিসেবে প্রশাসককে দেয়, যাতে ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে তাকে ধরতে পারে এবং তার পক্ষে নিজের নির্দোষিতা প্রমাণ করার কোন অবকাশই না থাকে।


অর্থাৎ সেই বাজারে সবচেয়ে বেশী চাহিদা ছিল এমন তাবীজের যার সাহায্যে এক ব্যক্তি অন্য একজনের স্ত্রীকে তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে নিজের প্রতি প্রেমাসক্ত করতে পারে। তাদের মধ্যে নৈতিক পতন দেখা দিয়েছিল এটি ছিল তার নিকৃষ্টতম পর্যায়। যে জাতির সদস্যবৃন্দ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হওয়া ও অন্যের বিয়ে করা বউকে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়াকে নিজেদের সবচেয়ে বড় বিজয় মনে করে এবং এটিই তাদের দৈনন্দিন জীবনের সর্বাধিক আকর্ষণীয় কাজে পরিণত হয়, তার নৈতিক অধঃপতন যে ষোলকলায় পূর্ণ হয়ে গেছে তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।আসলে দাম্পত্য সম্পর্ক হচ্ছে মানব সভ্যতা-সংস্কৃতির মূল। নারী ও পুরুষের সম্পর্কের সুস্থতার ওপর সমগ্র মানব সভ্যতার সুস্থতা এবং অসুস্থতার ওপর সমগ্র মানব সভ্যতার অসুস্থতা নির্ভরশীল। কাজেই যে বৃক্ষটির দৃঢ়ভাবে সংবদ্ধ থাকার ওপর ব্যক্তির ও সমগ্র সমাজের টিকে থাকা নির্ভর করে তার মূলে যে ব্যক্তি কুঠারঘাত করে তার চাইতে নিকৃষ্ট বিপর্যয় সৃষ্টিকারী আর কে হতে পারে? হাদীসে বলা হয়েছে, ইবলিস তার কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর প্রত্যেক এলাকায় নিজের এজেন্ট পাঠায়। এজেন্টরা কাজ শেষে ফিরে এসে নিজেদের কাজের রিপোর্ট শুনাতে থাকে। কেউ বলে আমি অমুক ফিতনা সৃষ্টি করেছি। কেউ বলে, আমি অমুক পাপের আয়োজন করেছি। কিন্তু ইবলিস প্রত্যেককে বলে যেতে থাকে, তুমি কিছুই করোনি। তারপর একজন এসে বলে, আমি এক জোড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এসেছি। একথা শুনে ইবলিস তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। সে বলতে থাকে, তুমি একটা কাজের মতো কাজ করে এসেছো। এ হাদীসটি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করলে বনী ইসরাঈলদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে ফেরেশতা পাঠানো হয়েছিল তাদের কেন যে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার ‘আমল ’লোকদেরকে শিখাবার হুকুম দেয়া হয়েছিল তা সুস্পষ্টরূপে অনুধাবন করা যায়। আসলে তাদের নৈতিক অধঃপতনের যথাযথ পরিমাপের জন্য এটিই ছিল একমাত্র মানদন্ড।

(চলবে..)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...