expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

আলকোরআনে সকল ধর্মের কথা বলা হয়েছে?


 কোরআনে নাস্তিক,হিন্দু,বৌদ্ধদের ব্যাপারে কিছু বলেনি কেন? নাকি আল্লাহ্ এদের ব্যাপারে জানতনা?



জবাব:
কোরআনে সকল অমুসলিম ও তাদের ধর্ম সম্পর্কে স্পষ্ট আলোচনা আছে।
তবে কুরআন মুলনীতির আলোকে বর্ণনা
করেছেন,আপনার মতো করে নয়। তাই কোরআন বুঝতে হলে নিরপেক্ষ ভাবে পড়তে হয়, মনে নেফাক রেখে পড়লে আরো বিপদ হয়, যেটা নাস্তিকদের হয়েছ । কারণ যদি আল্লাহ ধর্মের নাম ধরে ধরে বলতেন, তাহলে কুরআন এতো বড় হতো, যে কুরআনের জন্য আলাদা এক বিগা করে প্রতিটি মানুষের জমির প্রয়োজন হতো তাই আল্লাহ মুলনীতি দিয়েছেন। যার আলো
কে বুঝা যাবে কারা হিন্দু কারা বৌদ্ধ।
কারা নাস্তিক। মুলনীতি বলার আরো একটা
কারণ হলো অদূর ভবিষ্যতে আরো এমন হাজার
মতবাদ সৃষ্টি হবে।
তাই মুলনীতি উল্লেখ করাই যুক্তিসম্মত।
এবার আসুন আমরা দেখি।
পৃথিবীর সমস্ত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত
১. আস্তিক
২. নাস্তিক
আস্তিক দুই প্রকার
৩. মুসলিমঃ-স্রষ্টার সাথে অংশিদারী
স্থাপন করে না ? মূর্তি পুঁজা করে না।
৪. অমুসলিমঃ হিন্দু ,বৌদ্ধ সহ যারা স্রষ্টার
সাথে অংশিদারী স্থাপন করে এবং
অধিকাংশই মূর্তি পুঁজা করে।
এবার আমরা কুরআন থেকে প্রমাণ নিচ্ছি।


নাস্তিকঃযারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না
তাদের বৈশিষ্ট্য হলো:
ক. আমরা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এমনিতেই সৃষ্টি
হয়ছি
খ.মরার পরে আমাদের হিসাব নিকাশ কিছু
হবে না। আমরা মাটির সাথে মিশে যাবো।
প্রমাণঃ
ক. ২নং সুরার ২৮-২৯ নং আয়াত।
ﻛَﻴْﻒَ ﺗَﻜْﻔُﺮُﻭﻥَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻛُﻨﺘُﻢْ ﺃَﻣْﻮَﺍﺗﺎً ﻓَﺄَﺣْﻴَﺎﻛُﻢْ ﺛُﻢَّ ﻳُﻤِﻴﺘُﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ
ﻳُﺤْﻴِﻴﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ
কেমন করে তোমরা আল্লাহকে অস্বীকার
করো? (ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ?) অথচ
তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই
তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার
মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে
জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি
প্রত্যাবর্তন করবে।
ﻫُﻮَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﻓِﻲ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﺟَﻤِﻴﻌﺎً ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﻓَﺴَﻮَّﺍﻫُﻦَّ ﺳَﺒْﻊَ ﺳَﻤَﺎﻭَﺍﺕٍ ﻭَﻫُﻮَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻋَﻠِﻴﻢٌ
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন
তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে
সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন
আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী
করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ
সর্ববিষয়ে অবহিত।
এ সম্পর্কে আরো আয়াত
# সুরা নিসা ১৫৩ আয়াত
# সুরা বাকারা ৫৫নং আয়াত
ইত্যাদি
খ. ২৩নং সুরার ৮৩ নং আয়াত
ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﺃَﺋِﺬَﺍ ﻣِﺘْﻨَﺎ ﻭَﻛُﻨَّﺎ ﺗُﺮَﺍﺑًﺎ ﻭَﻋِﻈَﺎﻣًﺎ ﺃَﺋِﻨَّﺎ ﻟَﻤَﺒْﻌُﻮﺛُﻮﻥَ
তারা বলেঃ যখন আমরা মরে যাব এবং
মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হব, তখনও কি
আমরা পুনরুত্থিত হব ?
এ সম্পর্কে আরো আয়াত
# সুরা সফ্ফাত ২৩নং
# সুরা সফফাত ৫৩ নং
# সুরা ক্বফ ৩নং
#সুরা ওয়াকিয়া ৪৭ নং
ইত্যাদি
অমুসলিমঃ- এদের মধ্যে আছে অসংখ্য দল
উল্লেখযোগ্য। হিন্দু, বৌদ্ধ,
এদের বৈশিষ্ট্য।
ক. মূর্তি পূজা । কুরআনের তার অসারতার
বর্ণনা। খ.স্রষ্টার সহিত অংশীদার স্থাপন ।
কুরআনে তার ক্ষতির বর্ণনা
ক. # ২৯ নং সুরার ১৭ নং আয়াত
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻭْﺛَﺎﻧًﺎ ﻭَﺗَﺨْﻠُﻘُﻮﻥَ ﺇِﻓْﻜًﺎ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ
ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺎ ﻳَﻤْﻠِﻜُﻮﻥَ ﻟَﻜُﻢْ ﺭِﺯْﻗًﺎ ﻓَﺎﺑْﺘَﻐُﻮﺍ ﻋِﻨﺪَ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮِّﺯْﻕَ ﻭَﺍﻋْﺒُﺪُﻭﻩُ ﻭَﺍﺷْﻜُﺮُﻭﺍ ﻟَﻪُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ
তোমরা তো আল্লাহর পরিবর্তে কেবল
প্রতিমারই পূজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন
করছ। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের
এবাদত করছ, তারা তোমাদের রিযিকের
মালিক নয়। কাজেই আল্লাহর কাছে রিযিক
তালাশ কর, তাঁর এবাদত কর এবং তাঁর
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা
প্রত্যাবর্তিত হবে।
# ২২নং সুরার ৭৩নং আয়াত
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺿُﺮِﺏَ ﻣَﺜَﻞٌ ﻓَﺎﺳْﺘَﻤِﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺗَﺪْﻋُﻮﻥَ
ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻦ ﻳَﺨْﻠُﻘُﻮﺍ ﺫُﺑَﺎﺑًﺎ ﻭَﻟَﻮِ ﺍﺟْﺘَﻤَﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَﺇِﻥ
ﻳَﺴْﻠُﺒْﻬُﻢُ ﺍﻟﺬُّﺑَﺎﺏُ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻟَّﺎ ﻳَﺴْﺘَﻨﻘِﺬُﻭﻩُ ﻣِﻨْﻪُ ﺿَﻌُﻒَ ﺍﻟﻄَّﺎﻟِﺐُ
ﻭَﺍﻟْﻤَﻄْﻠُﻮﺏُ
হে লোক সকল! একটি উপমা বর্ণনা করা
হলো, অতএব তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে
শোন; তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের
পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি
করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে
একত্রিত হয়। আর মাছি যদি তাদের কাছ
থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা
তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না,
প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা
হয়, উভয়েই শক্তিহীন।
# ১২ নং সুরার ৪০ নং আয়াত
ﻣَﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺃَﺳْﻤَﺎﺀ ﺳَﻤَّﻴْﺘُﻤُﻮﻫَﺎ ﺃَﻧﺘُﻢْ ﻭَﺁﺑَﺂﺅُﻛُﻢ
ﻣَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﻣِﻦ ﺳُﻠْﻄَﺎﻥٍ ﺇِﻥِ ﺍﻟْﺤُﻜْﻢُ ﺇِﻻَّ ﻟِﻠّﻪِ ﺃَﻣَﺮَ ﺃَﻻَّ
ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍْ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﺪِّﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻢُ ﻭَﻟَـﻜِﻦَّ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻻَ
ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো
নামের এবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং
তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে
নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ
অবতীর্ণ করেননি। আল্লাহ ছাড়া কারও
বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ
দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও
এবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু
অধিকাংশ লোক তা জানে না।
খ. সুরা নিসা ৪৮ নং আয়াত
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺃَﻥ ﻳُﺸْﺮَﻙَ ﺑِﻪِ ﻭَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﻣَﺎ ﺩُﻭﻥَ ﺫَﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ
ﻳَﺸَﺎﺀ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﺎﻟﻠّﻪِ ﻓَﻘَﺪِ ﺍﻓْﺘَﺮَﻯ ﺇِﺛْﻤًﺎ ﻋَﻈِﻴﻤًﺎ
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না,
যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি
ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার
জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক
অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে
যেন অপবাদ আরোপ করল।
এ সম্পর্কে কুরআনে আরো বলা আছে
# ৫নং সুরার ৭২ নং আয়াত

لَقَدْ كَفَرَ الَّذِیْنَ قَالُوْۤا اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْمَسِیْحُ ابْنُ مَرْیَمَ ؕ وَ قَالَ الْمَسِیْحُ یٰبَنِیْۤ اِسْرَآءِیْلَ اعْبُدُوا اللّٰهَ رَبِّیْ وَ رَبَّكُمْ ؕ اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللّٰهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللّٰهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیْنَ مِنْ اَنْصَارٍ

নিঃসন্দেহে তারা কুফরী করেছে যারা বলেছে, মারয়াম পুত্র মসীহ্ই আল্লাহ। অথচ মসীহ্ বলেছেন, “হে বনী ইসরাঈল! আল্লাহর বন্দেগী করো, যিনি আমার রব এবং তোমাদেরও রব! যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেছে তার ওপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর এ ধরনের জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।”(আল-মায়িদাহ, আয়াত: ৭২)

আশাকরি উত্তরটা পেয়েছেন।




 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...