expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

ইসকন(ISKON) কেনো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা জরুরী?

 বাংলাদেশে কেনো ইসকন(ISKON) নিষিদ্ধ জরুরী





ইসকন (ISKON) এর বিষয়ে বাংলাদেশে তাদের অপকর্মের বিষয়ে হাজারও প্রমান সহ অনেক লেখা লিখেছি যা আমার ফেসবুকের ফলোয়ার গন ভাল ভাবেই জানেন, এমনকি এই  ইসকনের অপকর্ম নিয়ে লেখর কারনে দুই দুইটা আইডি ডিসেবল করা হয়েছে।

আজ অত্যান্ত দু:খের সাথে দেখলাম এই ইসকনীরা কিভাবে দিনে দুপুরে ও প্রকাশ্যে আদালত প্রঙ্গন হতে একজন সরকারী উকিলকে হত্যা করেছে।

বাংলাদেশ হলো হাজাট বছরের ঐতিয্যবাহী সাম্প্রদায়ুক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে থাকতে পছন্দ করে।এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরন গুলো বড়ই চমৎকার ও নজিরবিহীন। শহীদ কামরুজ্জামান এর মিথয়া মামলায় স্বাক্ষী হতে রাজি না হওয়ায় মিনা ফারাহর দেশান্তরি হওয়া, সাঈদীকে মিথয়া মামলায় আটক করে স্বৈরাচারদের হত্যার পর তাঁর লাশ মাটির উপরে থাকা কালীন মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে সাঈদিকে (রাহি:) কে নির্দোষ ঘোষনা, রক্তাক্ত জুলাই ২৪ এর পর সকল ধর্মের মানুষ বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাদের ধর্মীয় উৎসবের জমানো টাকা সকল ধর্মের মানুষের মিলিত ভাবে ত্রান ভান্ডারে উজার করে দান করা, দূর্গা পূজায় স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগের আঘাত হতে সুরক্ষার জন্য মাদরাসার আলেমদের পাহারা দেওয়া, এসকল ঘটনা বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতিকে আরো অনন্য উচ্চতায় পৌঁছিয়েছে।

কিন্তু এমন একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশকে অকার্যকর প্রমানের জন্য পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা কোনো প্রকারে পেরে উঠতে না পেরে এখন এই হিন্দুত্ববাদি সন্ত্রাসী সংগঠ ইসকনকে ব্যবহার করছে।

সারা বিশ্বে ইসকন দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করলেও বাংলাদেশে এই ইসকন সাবেক স্বৈরাচারী ও পলাতক শেখ হাসিনার এজেন্ট হিসাবেই কাজ করছে। এর প্রমান ইদানীং আটক হওয়া ইসকনের ব্রহ্মচারীর বক্তব্যেই প্রমানিত হয়।

তার পর ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার দালালদের পূনর্বাসনের অপচেষ্টা এটাই প্রমান করে এই ইসকন সারা বিশ্বে দাতব্য প্রতিষ্ঠান হলেও বাংলাদেশে এরা সন্ত্রাসী ও স্বৈরাচার হাসিনার দালাল।

এই ইসকন বাংলাদেশে সনাতনীদের অধিকারপর জন্য ৮ দফা প্রস্তাব করেছে, কিন্তু এই হিন্দুদের জমি দখল, ভুমিমদখল, দেবোত্তর সম্পত্তি দখল সব কিছু গত ১৫ বছর যাবত স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগের সহযোগীতায় এই ইসকনীরাই করেছে।অথচ বিগত ১৫ বছর এই ইসকন হিন্দুদের কোনো অধিকার নিয়ে তৎপরতা দেখতে দেখা যায় নি, যতটুকু তৎপরতা দেখিয়েছে সেটা শুধু বিএনপি-জামায়াত সহ আওয়ামিলীগ বিরোধী শক্তিকে বহির্বিশ্বে বিতর্কিত করার জন্য।

এডভোকেট আলিফকে হত্যা নেহায়েত কোনো দূর্ঘটনা নয়, এটা পূর্নাঙ্গ একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই হাসিনার প্রেসক্রিপশনে ৫ আগষ্টের পর হতে কৌশলে রাজনৈতিক অপতৎপরতা শুরু করে স্বৈরাচার হাসিনাকে এদেশে পুনর্বাসনের জন্য এই ইসকনীরা। ইসকনের ঘাড়ে চেপে হাসিনা যাতে বাংলাদেশে আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারে সে কাজই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইংসের মাধ্যমে করে যাচ্ছে।

এই এডভোকেট আলিফকে হত্যার মূল কারন হলো এই এডভোকেট আলিফ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের এক বড়সহযোগী ও জামায়তে ইসলামীর আইনজিবী। তাকে হতয়া করলে জামায়াত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে সাধারন হিন্দুদের উপর চড়াও হয়ে এমন কাজ করে বসবে যে বহির্বিশ্বে হাসিনা দেখাতে সক্ষম হবে বর্তমান সরকারের কাছে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়, শেখ হাসিনাই এদেশের সংখ্যা লঘুূদের একমাত্র আশ্রয় স্থান।

বাংলাদেশের হিন্দুরা এক ধরনের বোকা এবং আজীবন ব্যবহার হয়ে আসছে, কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই মাথামোটা হিন্দুরা যে ব্যবহার হয়ে আসছে এটাও বুঝতে পারছে না।

১৯৪৭ এর পর ভারত কৌশলে ভারত সরকার পাকিস্তান, হায়দ্রাবাদ, জুনাগর, আলীগর এসকল রাজ্যকে দখলের জন্য হিন্দুরা এখানে নিরাপদ নয় তাই এসকল রাজ্য দখলে নেওয়া জায়েজ এটা বিশ্ববাসীর নিকট প্রমানের জন্য ইচ্চা করেই পূর্বপাকিস্তানে তারা কৌশলে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগায়। তারা সফলও হয়, হায়দ্রাবাদ, পুনে, আলীগর, জুনাগর দখল করে নেয়, কিন্তু পূর্বপাকিস্তানকে দখল করতে পারে নি, পূর্বপাকিস্তানের হিন্দুরা যেহেতু সংখ্যায় কম ছিলো সেহেতু তারা নির্যাতিত হয় বেশী, অনেকে অধিক সুখের আশায় ভারতে যায় সহায় সম্পত্তি হারিয়ে, কিন্তু ভারত বিমাতা সরুপ আচরন করে, কেননা অদ্যবধি বাললাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া হিন্দুদের অনেকেরই পূর্নাঙ্গ নাগরিকত্ব ভারত দেয় নি।

বাংলাদেশের হিন্দুদের বেশীরভাগ মানুষই এত দিন স্বৈরাচার আওয়ামিলীগকে ভারত পন্থি হিসাবে সমথন দিয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু এই বোকা হিন্দুরা বুঝতে পারছে না এই আওয়ামিলীগ সরকারের আমলেই হিন্দুরা বেশী নির্যাতিত। 

আর বর্তমানে ইসকনীরা আওয়ামিলীগ এর এমন একটা হাতিয়ার যার মাধ্যমে হিন্দু-মুসলমান ইস্যু তৈরী করে সাধারন সনাতনীদেরকে বলির পঠা বানিয়ে স্বৈরাচার হাসিনাকে পূনর্বাসনের চেষ্টা চলছে।

এজন্যই বলি হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ইসকনকে নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের আপামর জনতার জন্য ফরজ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...