বাংলাদেশে মোট উপজাতি বাস করে -৫২টি( সরকারি হিসাব ) আদম শুমারি -২০১১ তে -৪৫টি
★ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস ১৩ টি(২০১১) ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে ১৪টি
★ ভাষা ৩২ টি
টেকনিকে মনে রাখুন কে কোথায় বাস করেঃ
১।রংপুরকে "সারাও" = রংপুর এলাকায় ৩টি উপজাতি [সাঁওতাল,রাজবংশী,ওরাঁও]
২।পার্বত্য "তিন জেলাতেই" বাস করে = ত্রিলুচা [ত্রিপুরা,লুসাই,চাকমা]
৩। গহীন অরন্যে বসবাসকারী উপজাতি = বনযোগী [গহীন অরণ্য মানেই তো বন]
৪।ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এলাকায় = হাহা গারো [হাজং, হাদুই, গারো]
৫।সিলেটে = পাখামনি [পাত্রা,খাসিয়া,মনিপুরী]
৬।উপজাতীয় তিনটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান মনে রাখা কঠিন তাই মনে রাখুন = "এবি কেরা ভাই" [একাডেমী -বিরিশিরি, কেন্দ্র - রাঙ্গামাটি, বান্দরবানে - ইনস্টিউট]
৭।উপজাতিদের ভাষা = গামা খাম পাম [গারো - মান্দি, খাসিয়া - মনখেমে, পালি ভাষা - মগদের]
৮।হিন্দু = হাপাতি [হাজং, পাংখোয়া, ত্রিপুরা]
৯।খ্রিস্টান = খাগা [খাসিয়া, গারো] [এরা মাতৃতান্ত্রিক]
১০।খাগড়াছির রাজা = বোমাং [খাবো]
১১। বর্ষবরণ / চৈত্রসংক্রান্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান - বৈসাবি ; বৈ - বৈসুক = ত্রিপুরা , সা = সাংগ্রাই = মারমা, বি= বিজু= চাকমা
বাংলাদেশের উপজাতিঃ
★বাংলাদেশে মোট উপজাতি বাস করে ৪৫টি(প্রচলিত তথ্য) বর্তমানে সরকারি হিসাব মতে ৫০টি।
★বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বাস করে চাকমা উপজাতি
★চাকমা শব্দের অর্থ মানুষ।
★চাকমারা ধর্মালম্বী।
★ বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত উপজাতি চাকমা।
★চাকমাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে বলা হয় বিজু।
★ফাল্গুনী পূর্ণিমা’ চাকমাদের ধর্মীয় উৎসব।
★চাকমা বিদ্রোহের নায়ক জুম্মা খান
★চাকমারা গ্রামকে বলে আদম।
★চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাস ফাবো (২০০৪)।
★বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এথনিক গোষ্ঠী চাকমা
★ চাকমাদের প্রধান ধর্মীগ্রন্থ ত্রিপিটক।
★বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতি কোনটি চাকমা ( ২ লক্ষ ৫৩ হাজার)
★খাসিয়া গ্রামগুলোর পরিচিত পুঞ্জি বলে।
★রাখাইনদের বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা।
★মুরংদের উৎসবের নাম মুৎসলোং।
★মুরংদের দেবতার নাম ওরেং।
★মুরং উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম ছিয়াছত।
★ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাচীন অধিবাসী মুরং বা ম্রো
★ত্রিপুরা উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসুক
★বাংলাদেশের ত্রিপুরা আদিবাসী গোষ্ঠী যে ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী সনাতন।
★মারমা উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই।
★খিয়াং উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংলান।
★রাখাইন উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম সান্দ্রে।
★গারোদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নাম ওয়ানগালা।
★উপজাতিদের বর্ষবরণ উৎসব==বৈসাবি।
★আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ৯ আগস্টে।
★ ওঁরাও উপজাতিদের ভাষা ‘কুরুখ’ নামে পরিচিত।
★ সুন্দরবনের গোলপাতা সংগ্রহকারীদেরকে বাওয়ালী বলে।
★খাগড়াছড়ির আদিবাসী রাজা বোমাং রাজা নামে পরিচিত।
★বাংলাদেশে উপজাতিদের জন্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আছে ৩টি।
১।ট্রাইবারাল কালচারাল একাডেমি দিনাজপুর
২।ট্রাইবারাল কালচারাল ইনষ্টিটিউট রাঙ্গামাটি
৩।উপজাতিয় সাংস্কৃতিক একাডেমি ১টি (বিরিশিরি নেত্রকোণা)।
★একমাত্র খেতাব প্রাপ্ত আধিবাসী মুক্তিযুদ্ধা ইউ কে সিং
★বাংলাদেশে দ্বিতীয় বসবাসরত বেশি উপজাতি সাঁওতাল
★সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক দুই ভাই কানু সরূার আর সাদু সরদার।
★সাঁওতাল বিদ্রোহ সংগঠিত হয় ১৮৫৫ সালে।
★একমাত্র জড় উপাসক উপজাতি সাঁওতাল।
★মুসলমান উপজাতি পাঙ্গন ও লাওরা।
★ এক মাত্র খেতাব প্রাপ্ত উপজাতি - ইউ কে সিং মারমা
→ খেতাব - বীর বিক্রম,
→ ৬ নং সেক্টর,
→ চিম্বুক পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস মারমা,
→ মগ নামে পরিচিত ছিল, আদি নিবাস আরাকান,
→ এর জাতিতে মঙ্গলীয়,
★রাখাইন বড় ধর্মীয় উৎসব - বুদ্ধপূর্ণিমা
→ বর্ষবরণ উৎসবের নাম সান্দ্রে,
→ বসবাস পটুয়াখালী জেলায়,
→ মগের বংশধর, যারা সমতলে থাকে,
→ আদি নিবাস আরাকান,
>উৎসবের নাম মুৎসলোং
★মুরংদের দেবতার নাম ওরেংঃ
→ মুরং উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম ছিয়াছত
→ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাচীন অধিবাসী মুরং বা ম্রো।
★ত্রিপুরা বর্ষবরণ উৎসবের নাম - বৈসুক
খাগড়াছড়ির আদিবাসী রাজা যে নামে পরিচিত - বোমাং রাজা
★মাহাতো জাতি গোষ্ঠীর বসবাস - সিরাজগঞ্জ,নওগাঁ,পাবনা,বগুড়া প্রভৃতি জেলায়।
→ মাহাতোদের গ্রাম প্রধানকে মাহাতোয়া বলে।
মাহাতোদের ভাষার নাম নাগরি/কুরমালী।এই ভাষা পৃথিবী থেকে বিলুপ্তির হুমকিতে।
→ মাহাতোদের ধর্মের নাম - সনাতন।
মাহাতোদের সমাজ ব্যবস্থা - পিতৃপ্রধান।
→ মাহাতোদের প্রধান উৎসব- সহরায় ও কারাম
→ মাহাতো ভাষায় প্রথম উপন্যাস "কারাম"।
-মাহাতোদের ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে উপন্যাসটি লিখেছেন উজ্জ্বল মাহাতো।
→মাহাতোদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ- আঁইন্যাশ।
★বাংলাদেশে সংখ্যা সবচেয়ে কম - খুমি ও চক।
বাংলাদেশে বসবাস নেই - মাওরী, মোর, পিগমী, জুলু, কুলু, কুর্দি, টোডা, শেরপা প্রভৃতি।
-
★পিতৃতান্ত্রিক - মারমা ও হাজং।
★মাতৃতান্ত্রিক - গারো,খাসিয়া ও সাঁওতাল।
★উপজাতি নেই যে বিভাগে - খুলনা
★পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি হয় - ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭।
প্রধান উপজাতিরা কে কোন জেলায় বাস করে -
★গারো – ময়মনসিংহ।
★চাকমা – রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি।
★সাঁওতাল – রাজশাহী ও দিনাজপুর।
★রাখাইন – পটুয়াখালী।
★মারমা – কক্সবাজার , বান্দরবান ও পটুয়াখালী।
★হাজং – ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা।
★রাজবংশী – রংপুর।
★মাহাতো – সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ।
★মুরং – বান্দরবানের গভীর অরণ্যে।
★কুকি – সাজেক ভেলী (রাঙ্গামাটি)।
★হুদি – নেত্রকোনা।
★পাংখো – বান্দরবান।
★খাসিয়া, গারো– সিলেট।
★ওঁরাও – বগুড়া, রংপুর।
★লুসাই – পার্বত্য চট্টগ্রাম।
★খুমি – বান্দরবান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ