expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

এর জন্য ক্ষমতালোভী মুসলিম শাসক ও তার জনগণ দায়ী,দীপা মনি

 এর জন্য ক্ষমতালোভী মুসলিম শাসক ও তার জনগণ দায়ী,দীপা মনি



পৃথিবীর বুকে হাজারো হ্নদয়-বিধারক ঘঠনা ঘঠেই চলেছে, অখচ আমরা জালিমেরা নির্বিকার। ক্ষমতা, লোভ-লালসা, স্বার্থ, আরাম-আয়েশের লক্ষ্যে আমরা কখন যে শয়তানের গোলামে পরিণত হয়েচি, আমরা জেনেও তা জানিনা।


মুচলমানরা যদি তাদের আল্লাহকে ভয় করতো, তার দেয়া জীবন বিধান আল-কোরআনকে বিশ্বাস করতো, সেইসাথে সেই বিশ্বাসকে বাস্তবে রুপ দিত, তাহলে পৃথিবীর সকল মাখলুকাত এর থেকে উপকার পেত। 


আজকে মুচলিম জাতী কুরআনকে বাদ দিয়ে মানব রচিত দলের জন্য সংগ্রাম, শাষনের পক্ষে কাজ করার কারনেই, শয়তান ও অ-মুচলিম সম্প্রদায় তাদেরকে গিণিপিগ হিসাবে শিয়াল-কুকুরের চেয়ে নিকৃষ্টতম হিসাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে।


নিচের হ্নদয় বিধারক ঘঠনাটি আমাকে নিরবে কাঁদাতে বাধ্যে করেচে। আরাকানের মুচলমানদের হত্যাকান্ড, কাস্মীরের মুচলমানদের নির্যাতন, ফিলিস্তীনের গণহত্যা সমুহ আমাকে অসংখ্যবার কাঁদিয়ে চলেচে। আমি ইহুদি-নাচারাদের থেকেও সেসব মুচলমানকে আরো বেশি ঘৃনা করি, যারা কোরানের সমাজ কায়েমের পরিবর্তে মানব-রচিত জাতীয়তাবাদ, সমাজবাদ, ধর্ম-নিরপেক্ষতাবাদ কায়েমের সংগ্রামে লিপ্ত। একজন অ-মুচলিম নারী হয়ে জীবনের প্রথম লেখাটি এই অ-মানুষদের নিয়ে লিখেচিলাম। যাদেরকে আমি নাম দিয়েচি গরু মুচলমান।


ফিলিস্তীনের এই মা তার মৃত সন্তানদের একটু মুখও দেখতে পারেননি। কারণ সবগুলো সন্তান আগুনে পুড়ে কঙ্কাল হয়ে গিয়েছিল। তার সামনে ছিল এক সারি লাশের প্যাকেট। অথচ সকালেই তিনি ওদেরকে সুস্থ রেখে ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। গেছেন অন্য কাজে নয়, নিজ সন্তানের মত আহত ও অসুস্থ শিশুদের সেবা করতে। 


ঘরে বাবুগুলো ডাক্তার বাবা-মায়ের ফেরার অপেক্ষায় ছিল। পড়ালেখা খেলাধুলায় তারা মেতে ছিল। বিকেলে বাবা ওবাড়ি ফিরবেন। তাদের আদর সোহাগে ভরে দিবেন, যেভাবে প্রতিদিন করে থাকন। কিন্তু আজ তাদের প্রতিতিনের মত ছিল না। ডাক্তার বাবা হামদী নাজ্জার বাড়িতে পৌঁছতেই বর্বর পৈচাশিক হামলা। ঘর ছাদসহ ভেঙে পড়ে মাথার ওপর। দাউ দাউ করে আগুন ঘিরে নেয় তাদের। সাতজনই ঘরসুদ্ধ পুড়ে ছাই। দুজন দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছে। মা তখনো হাসপাতালে শিশুদের চিকিৎসায় ব্যস্ত। এরই মাঝে আনা হয় তার সন্তানদের লাশের প্যাকেট। যা তিনি ভাবতেই পারেননি!


আশ্চর্য ব্যাপার কি জানেন, পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যাওয়ার কারণে কেউ লাশ চিন্হিত করতে পারছিল না। কিন্তু মা ঘ্রান শুঁকে শুঁকে প্রত্যেকের নাম বলে দিলেন। কী মরমী মমতাসয়ী অন্তপ্রাণ মা! কী সন্তান সোহাগিনী মা! 


আহ, এ মায়ের কত কষ্ট বুকে! মাত্র বার বছরে নয় সন্তান প্রসব করেছেন তিনি। একেক সন্তানকে গর্ভে ধারণ ও প্রসব করণ কত যে কষ্টের- মা ও তার মনিব ছাড়া আর কেউ বুঝে না। তথাপি তিনি ঘন ঘন এ সন্তান ধারণ করেছেন। পেটে সন্তান, পীঠে দায়িত্ব, ঘরে কাজ, বাইরে সেবা- সব নিয়েও এতগুলি সন্তান ধারণ করেছেন নবীজির গর্বের মুকুট উঁচু করার জন্যে। কারণ, নবীজি অধিক সন্তান নিতে আদেশ করেছেন, যেন তাঁর উম্মাত সংখ্যা বেশি হয়।


তাঁর একটিই আশা- এরা হাফেজ হবে, আলেম হবে, জ্ঞানী ও শিক্ষিত হবে। দীনের অনুসারী ও নবীজির সাচ্চা উম্মতী হবে। আর হবে আকসার সেই মুজাহিদ, যারা দখলদারদের তাড়িয়ে ফিরবে জাযিরাতুল আরবের বাইরে! ইতিমধ্যে একটি শিশু হেফজ সম্পন্ন করে পাগড়ি নিয়েছে। অন্যগুলিও কুরআন দীনিয়াত পড়া আরম্ভ করে দিয়েছে। কিন্তু নিষ্ঠুর এক দানবীয় হাত সবগুলো ফুলকলি দলিত মথিত করে দিয়েছে।


তিনি কোনো সাধারণ মা নন। তিনি এক অসাধারণ মা। অতিপ্রাকৃতিক মা। যিনি মাত্র ১৩ বছরে দশ দশটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আবার নয়টি সন্তান একত্রে হারিয়েছেন। এসব হারিয়েও তিনি ধৈর্যের হিমালয়। আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক একটি শব্দও নেই তার মুখে। নেই হতাশা কোনো ছাপ।


তিনি এক মহিয়সী মা! যুগের উম্মে তালহা আনসারীয়া, যিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও স্বামীর তুষ্টির জন্যে কলিজার টুকরার মৃত্যুসংবাদ গিলে ফেলেছিলেন। কিংবা তিনি সেই হযরত খানসা, যিনি চার সন্তান শহীদ হওয়ার সংবাদ শুনে আনন্দে নেচে ছিলেন। ইতিহাসে শত্রুর আক্রমণে ৯সন্তান হারিয়ে অবিচল থাকা প্রথম মা তিনি!


আলা নাজ্জার। সত্যি একজন অসাধারণ মা। একজন পর্দাবতী মা। ঠিক আমাদের দেশের রক্ষণশীল আলিমদের স্ত্রী-কন্যাদের মত। হাতে মোজা মুখ নেকাবে ঢাকা। এত সন্তান হারানোর পরে তিনি পর্দা অনাবৃত হননি। এ যেন আরেক উম্মে খাল্লাদ, যিনি বলেছিলেন - “আমি সন্তান হারিয়েছি, তাই বলে কি লজ্জা হারাব নাকি?”


হাঁ, আমাদের বোন আলা নাজ্জার যেন সে কথাই বলছেন। আরও বলছেন, “সন্তান হারিয়েছি বলে আমি আমার রবকে হারাব নাকি?” : “বাড়ি হারিয়েছি, তাই বলে জান্নাত হারাব নাকি?” “দুনিয়ায় সন্তান ও সম্পদ হারিয়েছি, তাই বলে আখেরাতের নেকি হারাব নাকি?”


বস্তুত, মুমিন তো দুনিয়ার সব হারালেও কোনোভাবেই আখিরাত হাতছাড়া করে না! বোনটি আমাদের কত কথাই যেন বললেন। কিন্তু মুখে তিনি কোনো কথাই বললেন না।


এ বোনের স্বামী হামদী নাজ্জার এখনো আইসিওতে। একমাত্র বেঁচে যাওয়া সন্তান আদম নাজ্জারের শরীরও থেতলে গেছে। 


আর্শিবাদ করি, এবং পরম আকুতি নিয়ে দুআ করি- হে সকল সৃষ্টির শ্রষ্ট্রা, বাবু আদমকে তুমি বাঁচিয়ে রাখ। তাকে পূর্ণ সুস্থ করে তোল! তার ঔরষ থেকে এত এত সুসন্তান দাও, যারা এ জনপদকে আবাদ করে তুলবে, যেভাবে তুমি আদমকে দিয়ে এই পৃথিবীকে আবাদ করিয়েচ। আদম ও তার সন্তানেরা যেন শত্রুদেরকে আটলান্টিকের কেনারা পর্যন্ত তাড়া করতে পারে, কিংবা জাহান্নামের গর্ত পর্যন্ত!


 সেইসাথে সেসব গরুমার্কা মুচলমানদেরকেও তুমি পাকড়াও কর, যারা ক্ষমতার জন্য মানব রচিত দলের পাশাপাশি জালিমের পদ-লেহনে ব্যস্ত। 


~লেখা-সাইফুদ্দীন গাজীর টাইম লাইন হতে সংগৃহিত ও পরিমার্জিত………..

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...