"আহলে হাদিসরা কেনো মুসলমান নয়"
*বর্তমান সময়ের লামাজহাবি,বিদায়াতী,জাল সালাফী ও পথভ্রষ্ট আহলে হাদিস সম্প্রদায় যারা শরীয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ তারা শিয়াদের উত্তরসুরী।বর্তমানকালের সব চেয়ে জঘন্যতম ফেতনা ও চরম প্রতারক কথিত আহলে হাদিস তথা লামাযহাবী ফেতনা। এরা খুব কৌশলে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে দিতে পারে। এদের সব চেয়ে কৌশলী অস্ত্র হল, মিথ্যাচার আর অহর্নিশি সহীহ হাদিসের ফুলঝুরি। বড্ড অবাক হই, এরা কোনো ইমামের তাকলীদ করা তথা ফতুয়া মানাকে অন্ধ বিশ্বাস বলে কটাক্ষ্য করে, অপর দিকে নিজেরাই শায়খ আলবানীর নাম জপতে জপতে মুখে ফেনা তুলে পেলে। এটা কি তাদের দ্বিমুখী চরিত্র নয়? কথিত আহলে হাদীস নামধারীদের প্রকাশিত বই থেকেই উম্মতে মোহাম্মদীকে বিভক্তকারী আকিদা, আমল ও বিদ্বেষ মাখা কথাগুলো মতবাদ হুবহু উদ্ধৃত করা হল।আহলুস সুন্নাত ওয়াল জমাতের অনুসারীগন এর থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারবেন বলে আধমের বিশ্বাস।
আকিদা-মতবাদ ১.
সারা পৃথিবীর মানুষ কালিমার মধ্যে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে এক করে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে দুই ভাই বানিয়ে ফেলেছে।(তথ্যসূত্র-ইসলামের মূলমন্ত্র কালিমা তয়্যেবাহ লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, পৃষ্ঠা-৯, লেখক-আব্দুল্লাহ ফারুক বিন আব্দুর রহমান)
আকিদা-মতবাদ ২.
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ এটা কোন পবিত্র বাক্য নয়।(কালিমার মর্মকথা, পৃষ্ঠা-৩১৮, লেখক আকরামুজ্জান বিন আব্দুস সালাম)
আকিদা-মতবাদ ৩.
হানাফী ইহুদীদের অভ্যাস হল তারা কুরআনের মাঝে কম-বেশি করে কুরআনের হুকুম অস্বীকার করে। (মাসায়েলে গাইরে মুকল্লিদীন, পৃষ্ঠা-৪৭, লেখক-মাওলানা আবুবকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ৪.
কোন নবী বা অন্যকোন সৎ আমলকারীর কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা জায়েজ নেই। (দ্বীন ইসলামের জানা অজানা, পৃষ্ঠা-১১৯, লেখক-ড. ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ)
আকিদা-মতবাদ ৫.
“সাহাবাগণের (রা.) কথা দলীল স্বরূপ পেশ করা যাবে না।” এবং তাদের বুঝ নির্ভরযোগ্য নয়। (আর রাওজাতুল নাদীয়া- পৃ.১/১৪১] [আর রাওজাতুল নাদীয়া-পৃ.১/১৫৪, লেখক-নবাব সিদ্দীক হাসান খান)
আকিদা-মতবাদ -৬.
“সাহাবীদের কথা প্রমাণযোগ্য নয়”।( ফাতাওয়ায়ে নজীরিয়া-পৃ.১/৩৪০, লেখক মিয়া নজীর হুসাইন দেহলবী)
আকিদা-মতবাদ ৭.
“সাহাবাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক ফাসেক্বও ছিল, যেমন-ওয়ালিদ, তেমনি ভাবে মুয়াবিয়া, উমর, মুগীরা ও সামুরা (রা.) প্রমুখ সম্বন্ধেও অনুরূপ বলা যেতে পারে ”। (নুযুলুল আবরার, পৃ.২/৯৪, লেখক-নবাব ওহীদুজ্জামান খান)
আকিদা-মতবাদ ৮.
“তাক্বলীদ হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য শয়তানের সৃষ্ট বিভ্রান্তি।(কাটহুজ্জাতীর জওয়াব, পৃ.৮৩, লেখক- মাও. আবু তাহের বর্দ্ধমানী)
আকিদা-মতবাদ ৯.
”মুক্বাল্লিদগণকে মুসলমান মনে করা উচিত নয়।(তাওহীদী এটম বোম, পৃ.১৫, লেখক- মাওলানা আব্দুল মান্নান সিরাজনগরী,বগুড়া)
আকিদা-মতবাদ ১০.
“মাযহাবীগণ ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত, তাদের মধ্যে ইসলামের কোন অংশ নেই।(তাম্বিহুল গাফেলীন, আব্দুল কাদির রচিত পৃ.৭)
আকিদা-মতবাদ ১১.
”চার ইমামের মুক্বাল্লেদ এবং চার তরিকার অনুসারীগণ মুশরিক ও কাফির।(ইতেছামুস সুন্নাহ পৃ.৭-৮, লেখক- মাও. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদী) ** পবিত্র কুরআনের কোন আয়াত বা কোন সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে এ উদ্ভট মতবাদ? আহলে হাদিস ভাইয়েরা বলবেন কি?
আকিদা-মতবাদ ১২.
পাঞ্জাবী, টুপি এগুলো সুন্নতী পোশাক নয় বরং ভিক্ষা বৃত্তির পোশাক। ইসলামে সুন্নতী পোশাক বলতে কোন পোশাক নেই। বরং প্রত্যেক দেশের প্রচলিত পোশাকই সুন্নতী পোশাক এবং যে পোশাক যার কাছে ভাল লাগে তাই সুন্নতী পোশাক তবে শর্ত হল উক্ত পোশাক দেখতে সুন্দর হতে হবে। টুপি পাগড়ী পড়লে সুন্দর লাগে এতটুকুই কিন্তু এগুলোকে সুন্নতী পোশাক বলা যাবে না। কেননা, পাগড়ি হল সুদান, আফগানিস্তান, ইরান আর ভারতের শিখদের পোশাক। এটা কোন সুন্নতী পোশাক নয়।(দ্বীন ইসলামের জানা অজানা, পৃ-২১২-২১৩, লেখক-ড. ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ)
আকিদা-মতবাদ ১৩.
হানাফীরা রাসূল সাঃ এর তরীকা অনুযায়ী নামায আদায় করে না, কেননা তাদের ধর্ম ইসলাম নয় বরং হানাফী, তাদের প্রভু আল্লাহ নয় বরং আবূ হানীফা, তাদের নবী মুহাম্মদ নয় বরং উলামায়ে আহনাফ।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন, পৃ-৪৯, লেখক-মাওলানা আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ১৪.
হানাফীরা যদিও যাহেরীভাবে কালেমা “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” বলে কিন্তু তাদের আসল কালিমা হলো “লা ইলাহা ইল্লা আবু হানীফা ওয়া উলামাউল আহনাফ আরবাবুন মিন দুনিল্লাহ”।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন, পৃ-৪৯, লেখক-মাওলানা আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ১৫.
সাহাবীদের মধ্যে আমর বিন আস, ওয়ালিদ বিন মুগীরা, মুআবিয়া বিন আবু সুফিয়ান, মুগীরা বিন শু’বাহ, সামুরা বিন জুন্দুব, এরা সকলেই ফাসেক ছিল। এদের নামের সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলা হারাম।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন, পৃ-৬০, লেখক-মাওলানা আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ১৬.
“ আহলে সুন্নাতের ইয়াহুদী হল রক্ষণশীল মাযহাবপন্থীরা, বিশেষতঃ কিছু হানাফী।(আদদেওবন্দিয়া , পৃ.৪৫০, লেখক শেখ সাইফুর রহমান)
আকিদা-মতবাদ ১৭.
“হানাফী মাযহাবের মাসআলা কাফির হিন্দুদের পঞ্চভ্রাতাদের মাসআলার চাইতেও জঘন্য-ঘৃণ্য।
(তাওহীদী এটম বোম,পৃ. ৬৬, লেখক- মাও.আব্দুল মান্নান সিরাজনগরী (বগুড়া), অনুরূপ” আমি কেন মুসলিম হইলাম” সুজাউল হক, ৫-১৭)
আকিদা-মতবাদ ১৮.
মাযহাবীদের যুক্তির সন্ধান, বইয়ের লিখক মাও. আব্দুর রহমান লিখে- “ হানাফী মাযহাব ৭২টি জাহান্নামী দলের একটি দল।” (মাযহাবীদের যুক্তির সন্ধানে ভূমিকা)
আকিদা-মতবাদ ১৯.
মৌ. আব্দুল কাদের এবং কথিত নব মুসলিম সুজাউল হক লিখেছে-” আবু হানীফা মানুষের মন জয় এবং আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে হানীফা নামক সুন্দরী যুবতী মেয়েটির নাম অনুসারে মাযহাবের নামকরণ করেছে।(“তাম্বিহুল গাফেলীন” আঃ কাদির রচিত, পৃ. ১৯, সুজাউল হক নব মুসলিম রচিত “আমি কেন মুসলিম হইলাম” পৃ. ১৯)
আকিদা-মতবাদ ২০.
“আমি কেন মুসলিম হইলাম” বইয়ের লিখক সুজাউল হক নব মুসলিম, হানাফী ছিলেন। লা-মাযহাবী মতবাদ অবলম্বন করতঃ উক্ত বিতর্কিত বই রচনা করে। এ বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল ইমাম আবু হানীফা ও হানাফী মাযহাবের প্রতি অপবাদ, অপপ্রচার ও কুৎসা রটানোর চুক্তিতেই লাগামহীনভাবে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করেছে। এ বইয়ের ৩,৪,৯ ও ১৩ পৃষ্ঠায় লিখেছে, হানাফীরা মুরতাদ, ৪ ও ৮ পৃষ্ঠায় লিখেছে- হানাফীরা নাস্তিক। ৫ও১৮নং পৃষ্ঠায় লিখেছে, হানাফীরা ধর্মের দালাল ও প্রতারক, ইমাম আবু হানীফা (রহ.) সম্বন্ধে উক্ত বইয়ের ১৭ পৃষ্ঠায় লিখেছে- “ ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, ইসলামদ্রোহী শত্রুদলসমূহের মধ্যে অন্যতম ইমাম আবু হানীফার নগ্ন ভূমিকার কুৎসিত ইতিহাস।
আকিদা-মতবাদ ২১.
“ইমাম আবু হানীফা ও ফিক্বহের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানীফা এক নয় কারণ ফিক্বহের উদ্দেশ্য সৎ ছিল না, ফিক্বহের উদ্দেশ্য হলো মানুষের শয়তানী ইচ্ছাকে পূর্ণ করা এবং সরকারী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের রায়কে বাস্তবায়িত করা।(ইমাম আবু হানীফ বনাম আবু হানীফা, পৃষ্ঠা-২, লেখক- মাওলানা আব্দুর রউফ, আমীর আহলে হাদীস তাবলীগে ইসলাম)
আকিদা-মতবাদ ২২.
কথিত মাওলানা আব্দুর রউফ সাহেব তার “ইমাম আবু হানীফা বনাম আবু হানীফা” নামক বইয়ের ৭ম পৃষ্ঠায় লিখেছে- “ আবু হানীফা বে-ঈমান হয়ে মারা গেছে” , ৮ম পৃষ্ঠায় লিখেছে-” ইমাম আবু হানীফা কাফির হয়ে মারা গেছে”, ১০ম পৃষ্ঠায় লিখেছে- “মুসলিম জাতির মধ্যে আবু হানীফার চাইতে বড় সর্বনাশা সন্তান আর কোনটি জন্মায়নি।” একই পৃষ্ঠায় আরো লিখে-” ইসলামের প্রতি আবু হানীফার কোন শ্রদ্ধাই ছিল না।”
আকিদা-মতবাদ ২৩.
“পর্যালোচনা ও চ্যালেঞ্জ” নামে আকরামুজ্জান বিন আব্দুস সালাম বাইতুল মুকাররমের সম্মানিত খতীব উবায়দুল হক রহঃ এর ব্যাপারে চরম বিষোদগার করে। ৩য় পৃষ্ঠায় লিখেছে, তাক্বলীদপন্থীরা হাদীস অবলম্বন ছাড়া যা ইচ্ছা তা-ই বলে। ৬ষ্ট পৃষ্ঠায় লিখেছে, খতীব সাহেবের উক্ত বক্তব্য হাদীস অস্বীকারকারীদের কথারই সাদৃশ্য। ১৩নং পৃষ্ঠায় লিখেছে, বল্গাহীনতা ও দলীল প্রমাণের বালাই না থাকার কারণে হানাফী মাযহাবের লোক সংখ্যা বেশী।”
আকিদা-মতবাদ ২৪.
কাফের ব্যক্তির ইমামতিতে মুসলমানের নামায সহীহ হয়ে যাবে। এমনকি কাফের ব্যক্তি যদি বলেও আমি কাফের তবুও নামায হয়ে যাবে।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৩৮২, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ২৫.
মহিলারা পুরুষের ইমামতী করতে পারবে।(মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৩০৯, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ২৬.
তাবলীগ জামাত শিরক জনিত আক্বীদার জালে আবদ্ধ এক ফেরকা, এদের নিসাবী কিতাব কুরআন ও সহীহ হাদীস পরিপন্থী জাল ও জঈফ হাদীসে ভরপুর। তাবলীগী নিসাবের কিতাবে জাল হাদীস ও কিচ্ছা কাহিনী এবং বিভিন্ন শিরকি কথা ছাড়া আর কিছুই নেই। কুরআন ও সহীহ হাদীসের দু একটা থাকলেও তা অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। (সহীহ আক্বীদার মানদন্ডে তাবলীগী নিসাব-লেখক মুরাদ বিন আমজাদ)
আকিদা-মতবাদ ২৭.
পৃথিবীতে যত মাযহাব আছে এদের মধ্যে আহলে হাদীসই সঠিক পথ প্রাপ্ত বাকি সব মাযহাব জাহান্নামী একথা সুষ্পষ্ট সুতরাং আহলে হাদীসের জন্য ওয়াজিব হলো ঐ সমস্ত বাতিল ফেরক্বার সাথে চলাফেরা, লেনদেন এবং ধর্মীয় সম্পর্ক বর্জন কর। এমনকি তাদের পিছনে নামায পড়বে না, তাদের জানাযায় শরীক হবে না, তাদের সালাম দিবে না, তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেবে না এবং তাদের মেয়ে আনবেও না। (মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৫১২, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ২৮.
হানাফীরা শরীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কাফির,.সুতরাং আহলে হাদীসের জন্য তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়া তাদের মেয়ে বিয়ে করা হারাম। (মাসায়েলে গাইরে মুকাল্লিদীন-৫১২, লেখক আবু বকর গাজিপুরী)
আকিদা-মতবাদ ২৯.
প্রচলিত কালিমা তাইয়্যিবাহ তথা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) ভুল। (মাযহাবীদের গুপ্তধন-৩৩, লেখক- মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম.)
আকিদা-মতবাদ ৩০.
হানাফী মাযহাবের আলেম/ওলামাগণের ইজমা একমত মান্য করা হলে তারা বিদআত হানাফী মাযহাব পালনকারী জনগণ বিদআতী কাজ করে চলেছেন তাদের পরিণাম জাহান্নাম। (ফিক্বহে ইসলাম বনাম দ্বীন ইসলাম-১৭৯, লেখক- ইঞ্জিনিয়ার শামসু)
আকিদা-মতবাদ ৩১,
আহলে হাদীস আলেম ওহিদুজ্জামান হাইদ্রাবাদী তার হাদইয়াতুল মাহদী কিতাবে লিখেছে,আমাদের জন্য অন্যান্য নবীদের নবুওয়াত অস্বীকার করা উচিৎ নয়, যাদের কথা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়নি, কিন্তু তাওয়াতুর বা অসংখ্য লোকের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত যে, তারা নেককার নবী ছিলো; যদিও এসব বর্ণনাকারী কাফের হয়। যেমন, হিন্দুদের রামচন্দ্র, লক্ষণ, কিশান জী, পারস্যের ঝারাতুশত, চীন ও জাপানের গৌতম বুদ্ধ ও কনফুসিয়াস। গ্রিকদের সক্রেটিস, পিথাগোরাস (এরা সবাই নবী ছিলো)। (হাদইয়াতুল মাহদী, পৃ.৮৫, মাতবুয়া শাওকাতুল ইসলাম, বেঙ্গলোর)
আকিদা-মতবাদ ৩২.
হায়েজ নেফাসের রক্ত ছাড়া মানুষ ও সকল প্রাণীর রক্ত পাক।(দলীলুত তালেব-২৩০, বুদুরুল আহিল্লাহ-১৮,উরফুল জাদী-১০)
আকিদা-মতবাদ ৩৩
ব্যবসায়িক সম্পদে কোন জাকাত নেই। (বুদুরুল আহিল্লাহ-১০২)
আকিদা-মতবাদ ৩৪.
হাদীসে বর্ণিত ছয়টি বস্তু ছাড়া বাকি সকল বস্তুতে সুদ নেয়া জায়েজ। (দলীলুত তালেব, উরফুল জাদী, আল বুনয়ানুল মারসূস, বুদূরুল আহিল্লাহ ইত্যাদি গ্রন্থ)।
আকিদা-মতবাদ -৩৫.
গোসল ছাড়াই নাপাক ব্যক্তি কুরআন কারীম স্পর্শ করা, উঠানো, রাখা, হাত লাগানো জায়েজ। (দলীলুত
তালেব-২৫২, উরফুল জাদী, আল বুনইয়ানুল মারসূস)
আকিদা-মতবাদ -৩৬
স্বর্ণ রোপার অলংকারে যাকাত আবশ্যক নয়। (বুদুরুল আহিল্লাহ-১০১)
আকিদা-মতবাদ -৩৭
মদ নাপাক ও অপবিত্র নয়, বরং তা পাক। (বুদূরুল আহিল্লাহ-১৫, দলীলুত তালেব-৪০৪, উরফুরজাদী-২৪৫)
আকিদা-মতবাদ -৩৮
স্বর্ণ রোপার অলংকারে কোন সূদ নেই। তাই যেভাবে ইচ্ছে কম- বেশি করে তা ক্রয়- বিক্রয় জায়েজ। (দলীলুত তালেব-৫৭৫)
আকিদা-মতবাদ -৩৯-
মানুষের বীর্য পাক। (বুদূরুল আহিল্লাহ-১৫)
আকিদা-মতবাদ -৪০ -
সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ার আগেই জুমআর নামায পড়া জায়েজ। (বুদূরুল আহিল্লাহ-৭১)
আকিদা মতবাদ-৪১-
জুমআর নামাযের জন্য জামাত হওয়া জরুরী নয়। যদি দুইজন ব্যক্তিও হয়, তাহলে একজন খুতবা পড়বে, তারপর উভয়ে মিলে জুমআর নামায পড়ে নিবে। (বুদূরুল আহিল্লাহ-৭২)
আকিদা-মতবাদ ৪২-
“জুমার খুতবায় খোলাফায়ে রাশেদার নাম নেয়া বিদয়াত।” (নাউযুবিল্লাহ) ।(আহলে হাদিসদের রচিত ‘হাদিয়াতুল মাহদি‘ পুস্তকের ১১০ নং পৃষ্ঠা)
আকিদা-মতবাদ ৪৩-
“খোলাফায়ে রাশেদা অর্থাৎ হযরত আবু বকর, হযরত উমর, হযরত উসমান এবং হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) উনারা শরীয়তের খেলাফ হুকুম জারি করতেন।” (নাউযুবিল্লাহ)। ‘(তানবীরুল আফা-ক‘ পুস্তকের ১০৭ নং পৃষ্ঠা)
আকিদা-মতবাদ ৪৪-
“হযরত আয়েশা (রা) আলীর সাথে যুদ্ধ করে মুরতাদ হয়ে গেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ)।‘(কাশফুল হিজাব‘ পুস্তকের ২১ নং পৃষ্ঠা)
আকিদা-মতবাদ ৪৫-
“আইম্মায়ে ইছনা আশারা যারা শীয়াদের ইমাম, আমরা তাদের অনুসারী।‘(হাদিয়াতুল মাহদি‘ পুস্তকের ১০৩ নং পৃষ্ঠা)
আকিদা-মতবাদ ৪৬-
“হযরত উমর কুরআনের হুকুম পরিবর্তন করে ফেলেছেন।” (নাউযুবিল্লাহ) । (‘তানবীরুল আফা-ক‘ পুস্তকের ৪৯৮-৪৯৯ নং পৃষ্ঠা) ‘দলীলুত ত্বলিব‘ পুস্তকের ৫২ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে “অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ।” (নাউযুবিল্লাহ) ।
আকিদা-মতবাদ ৪৭-
“সমস্ত জানোয়ার তথা জন্তুর পেশাব পবিত্র।” (নাউযুবিল্লাহ)। (‘বদূরুল আহিল্লাহ‘ পুস্তকের ১৪-১৫ নং পৃষ্ঠা).
আকিদা-মতবাদ ৪৮-
“নামাযের জন্য কাপড় পাক হওয়া জুরুরি নয়।” (নাউযুবিল্লাহ)।(‘দলীলুত ত্বালিব‘ পুস্তকের ২৬৪ নং পৃষ্ঠা)
আকিদা-মতবাদ ৪৯-
“মহিলাও মুয়াজ্জিন হতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)। (‘হাদিয়াতুল মাহদি‘ পুস্তকের ২৩ নং পৃষ্ঠা)
আকিদা-মতবাদ ৫০-
“এক বকরীতে ১০০ মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানি হতে পারে।” (নাউযুবিল্লাহ)।( ‘বদূরুল আহিল্লাহ‘ পুস্তকের ৩৯১ নং পৃষ্ঠা) “পুরুষ একই সময় যত ইচ্ছে বিয়ে করতে পারবে।” (নাউযুবিল্লাহ)।‘যফরুল কাযী‘ পুস্তকের ১৪১, ‘উরুফুল জাবী‘ পুস্তকের ১১৫ নং পৃষ্ঠা)
** পবিত্র কুরআনের কোন আয়াত বা কোন সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে এ ৫০ টি মতবাদ-আকিদা পোষন করেন? আহলে হাদিস ভাইয়েরা বলবেন কি?
উল্লেখিত মতবাদ - আকিদা দ্বারা পুরোপুরিভাবে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মাযহাবের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডাকারী ও আহলে হক্বের সাথে আলোচনার টেবিলে যোগদানে অস্বীকারকারী ক্রমাগত পালিয়ে বেড়ানো আহলে হাদিস নামধারি কথিত ছহিহ হাদিসের অনুসারীরা মূলত ইয়াহুদীদের মদদপুষ্ট শীয়াদেরই একটি অঙ্গ সংগঠন। যাদের কাজই হল আহলুস সুন্নাত ওয়াল জমাতের অনুসারী মুসলিমের বিভ্রান্ত করে মাযহাবের বন্ধন থেকে বের করে দেয়া ও ধীরেধীরে সাহাবী বিদ্বেষী করে তুলা। পর্যায়ক্রমে শীয়াদের পাল্লাই ভারি করা। যা দেরিতে হলেও আজ দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার।
সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা! সহিহ হাদিসের মোড়কে শীয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কথিত আহলে হাদিসদের এরকম হাজারো উল্টাপাল্টা ফতুয়াবাজির ডকুমেন্ট আমাদের নিকট রয়েছে। যা সুস্পষ্টভাবে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ফেরকা শীয়া কুফফারদের সাথে মিল। আল্লাহ তায়ালা এ আখেরি যামানায় এ জাতীয় নতুন ফেরকাগুলো হতে আমাদের রক্ষা করুন, আমীন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ