যে ইতিহাস আওয়ামিলীগের মুখে শোনবেন না
আওয়ামিলীগ এই করেছে,সেই করেছে,জাতির স্বাধীনতা এনেছে বলে অনেক কথা শোনবেন তাদের মুখে কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার, গৌরী বালা ও অরন্যকুমার চক্রবর্তীর অবৈধ সন্তান শেখ মুজিবের ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এই চার বছরের শাসনামলের কোনো কথা তাদের মুখে শোনবেন না। এই চার বছর ছিলো ২০০৯ হতে ২০২৪ এই ১৬ বছরের মতই জঘন্য।
আওয়ামী লীগ ৭১-এর স্বাধীনতা থেকে সোজা ৭৫-এর ১৫ আগস্টে চলে যায়। মধ্যখানের ৪ বছর নিয়ে কোনো আলাপ করে না কিংবা করতে কখনো দেখবেন না তাদের। প্রশ্ন হলো, স্বাধীতার পরের ৪ বছরের ইতিহাস প্রজন্ম থেকে আড়াল করার কারণ কী?
সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় উদ্দাম বিচার এই তিনটি বিষয়ের উপর ঐক্যমতেই ১৯৭১ সালে মুজিনগর সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ছিল। প্রশ্ন হলো, যে ৩টি অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতাযুদ্ধ হলো, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা কতটুুকু প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন? ১৯৭২ হতে ১৯৭৫ এই চার বছরে?
১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ৬ দফা পেশ করেছিল। প্রথম দফা ছিল, 'লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।'
প্রশ্ন হলো, যে শেখ মুজিব মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলন করল, তিনি কেন স্বাধীনতার পরই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে স্বৈরাচার হতে গেলো? কাদের প্ররোচনায় তিনি এমনটি করলেন? এগুলো প্রজন্মের চোখের আড়ালে রাখা হয়েছে যুগ যুগ ধরে।
রাজনৈতিকভাবে সফল নেতা বঙ্গবন্ধু শাসক হিসেবে কেন ব্যর্থ হলেন? আওয়ামী লীগের উচিত ছিল সেটা খতিয়ে দেখা। ভুল সংশোধন করে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু তারা শিক্ষা না নিয়ে নতুন বাকশালের পথে এগিয়েছিল। নেতা থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রভুর আসনে বসাতে চেয়েছিল!
স্বৈরশাসক শেখ মুজিবের শাসনের ধারাবাহিকতায় দেখা গেলো তারই সুযোগ্য স্বৈরাচার মাফিয়া রানী শেখ হাসিনাও একই কায়দায় ১৬ বছর দেশ শাসন করলো। তৈরী করলো আয়নাঘর নামক নির্যাতন শেল।
ক্ষমতা আর অস্ত্র দিয়ে আপনি মানুষের সাময়িক আনুগত্য পেতে পারেন; কিন্তু হৃদয়ে জায়গা পাবেন না! আশা করি বাংলাদেশের ক্ষমতায় যারা যাবেন, আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা নেবেন! ইতিহাস আপন গতিপথে চলে। ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ