আমারা ছোট বেলা হতে এটা জেনে, শোনে ও দেখে বড় হয়েছি যে গ্রাম হলো শান্তির জায়গা, বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রাম গুলো। এখানে এক সময় ছিলো স্নিগ্ধতা, নম্রতা, ভদ্রতা আর ভালবাসায় ভরা একটা সমাজ। পাখির কলতান, নদীর প্রবাহমান স্রোত আর মানুষ গুলোর সারল্যতা। আজ আর এমনটা নাই। যারা এখনও গ্রামে আছে তারা বুঝতে না পারলেও যারা শহরে সারা বছর মানুষের কোলাহলে থাকে তারাই আজও এটা হৃদয় হতে অনুভব করে এবং বুঝতে পারে।আপনি সারা বছর টাকার জন্য বাধ্য হয়ে দেশ বিদেশ হতে বছরে একবার যাবেন গ্রামে শান্তির জন্য, একটু হাফ ছেড়ে নি:শ্বাস ফেলার জন্য? উপায় নাই, শান্তি পাবেন না, এখন আর এই গ্রাম সেই গ্রাম নাই। আগে মুরব্বীরা বলতো গ্রামের মানুষ আগে স্বর্গে যাবে, আর এখন গেলে দেখবেন গ্রামের লোক গুলো এতই নীচু চিন্তভাবনা ধারন করে আদতে তারা স্রষ্টার নিকট ক্ষমা পাবে কিনা তাহাই অনিশ্চিত।গ্রামে এখন একজন ভদ্রলোক গেলে তাকে কিভাবে অপমান করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করা যায় তা নিয়ে প্রতিযোগীতা করে একদল নিরক্ষর মানুষের দল, আরেক দল বসে থাকে বছরে একবার গ্রামে আসা লোকটাকে ঠকিয়ে কিছু টাকা আনার আশায়, আরেক দল বসে থাকে কোনো ভাবে তার বাসায় দরবার বসিয়ে তার বাড়ুতে কিভাবে শালীশ বসানো যায়। হিংসার আগুনে সুপ্ত আগ্নেয় গিরির মত গ্রামের মানুষ গুলোর হৃদয়, কিন্তু কাউকে বুঝতে দেয় না।আমার মতে সামর্থ্য থাকলে কোন ভদ্রলোকের কখনোই গ্রামে থাকা উচিত না। এখানে বেশিরভাগ মানুষ এতটাই টক্সিক যে তারা তাদের ব্যাক্তিগত জীবনের থেকে আপনার জীবন নিয়ে বেশি চিন্তিত। আপনার চুল বড় কেন, আপনি বোরকা পড়েন না কেন, অনার্সে পড়লেও মেয়ের বিয়ে দেয়না কেন, মেয়ের ভাই নাই কেন, বয়স ২৫ পেরিয়ে গেলেও এখনো জব হয়না কেন, আপনার ব্যাচমেট কেউ বিদেশে গিয়ে লাখ লাখ টাকা কামায় আপনি এখনো পড়াশুনা করেন কেন এসব আজগুবি বিষয় নিয়ে তাদের অনেক টেনশন।মাঝে মাঝে দেখবেন আপনার নিজের ফ্যামিলিও যেসব বিষয় নিয়ে চিন্তিত নয় অন্যান্য মানুষ এর থেকে বেশি চিন্তিত।গ্রামের টক্সিক বিষয়গুলোর আরেকটি বড় পার্ট হচ্ছে ঝগড়া, আপনি এমন কোনো বাড়ি খুজে পাবেন না যেখানে জায়গা-জমি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই ফ্যামিলি সেই ফ্যামিলির সাথে কোনো একভাবে ঝগড়া লেগেই থাকে। ১ ইঞ্চি জায়গা নিয়ে মাথা ফাটাফাটি,অশ্লিল ভাষায় গালাগালি,মামলা মোকদ্দমা চলতেই থাকে।এইজন ওইজনের নামে গোপনে প্যাঁচ লাগিয়ে ঝগড়া বাদিয়ে দেওয়া,কাউকে পছন্দ নাহলে তার নামে জায়গায় অজায়গায় বদনাম রটিয়ে দেওয়া,এমনকি বিয়ে আসলেও গোপনে প্যাঁচ লাগিয়ে দেওয়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের যেনো একটি নিত্যদিনের কাজ।গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ই এতটা অজ্ঞ যে তারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বুঝেনা, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বুঝেনা, এমবিবিএস ডাক্তার এর মানে বুঝেনা। তাদের কাছে সরকারি চাকুরী মানে পুলিশ(হউক কনস্টেবল), সেনাবাহিনী (হউক সৈনিক), প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এসব ই। আর একজন নার্সিং এ পড়া স্টুডেন্টকে যেমনভাবে ডাক্তার ভাবে তেমনি সরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস পড়ুয়া কাউকেও সেরকম ই ভাবে। এলাকার একটা কলেজে থেকে ডিগ্রি পাশ করা মেয়ে, আর ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করা একই জিনিস ভাবে। তাদের কাছে আপনি সরকারের কত গ্রেডের চাকুরী করেন তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনি প্রাইভেট জব করেন নাকি সরকারি। আপনি যদি প্রাইমারি স্কুলের পিওন ও হোন তাও মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি,কিন্তু বেসরকারি যতো ভালো চাকুরী ই করেন,আমতা আমতা করবেই। তাদের কাছে আপনার উচ্চশিক্ষা গ্রহনের থেকে আপনার সে বন্ধুর দাম বেশি যে এসএসসির পর সৈনিক/কনস্টেবল/ বিদেশে বা কোনো কাজে চলে গেছে।আর টক্সিসিটির সবচেয়ে বিরক্তিকর পার্ট হচ্ছে গ্রামের চায়ের দোকানগুলো। গ্রামের প্রতিটি চায়ের দোকানে চায়ে চুমুক উঠেই গীবত দিয়ে। যেখানে কার বৌয়ের বাচ্চা হচ্ছেনা, কার বৌ প্র্যাগন্যান্ট থেকে শুরু করে রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা কোনোটার ই গবেষণা বাকি থাকেনা। যার অধিকাংশই আবার গুজব।জন্ম থেকেই গ্রামের পলিমাটি গায়ে মেখেও,একজন খাঁটি গ্রাম্য মানুষ হয়েও এ কথাগুলো লিখার একমাত্র কারন তিক্ততা,কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য লিখিনি, লিখেছি জীবনের বাস্তব উপলব্ধি গুলো শেয়ার করতে।এখন গ্রামে নতুন একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে, গ্রামের যুব সমাজ ভদ্রলোজ গুলো বাড়ি গেলে তার সমস্যা খোঁজে বের করে তাকে সন্মানিত করার নামে গ্রামে থাকা দালাল গুলোর সাথে কৌশলে জড়িয়ে দেয়, তারা ভাবে এই ভদ্রলোকটা বছরে একদিন আসে, আর গ্রাম্য দালাল গুলা সারা বছর তাদের পাশে থাকে, তাই দালালদের দালালী করে এই যুবক গুলা ভদ্রতার মুখোশ পড়ে আসল ভদ্রলোককে অপমান করে।ভার্সিটি পড়ুয়া / বেকার যে কেউ আশা করি কথাগুলো রিয়েলাইজ করতে পারবে। কারন ঈদের ছুটিটা সবার জন্য সুখকর নয়!
dr-bashir.blogspot.com এখানে কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, চিকিৎসা, ভৌত, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন যাবতীয় বিষয়ের সাথে ইসলামের যোগসূত্র রয়েছে। পবিত্র কুরআন থেকে জ্ঞান বিজ ‘কুরআনের প্রায় সাত হাজারেরও বেশি জ্ঞানের কথা সন্নিবেশিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’ তাছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, আরবী, ইসলাম শিক্ষা, যুক্তিবিদ্যা, রাষ্ট্রনীতি, লোকপ্রশাসন, লোকগীতি, প্রবাদসাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, গণিত, জ্যামিতি, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান,
Wikipedia
শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
গ্রামগুলো আজ মাকাল ফল
মাওলানা মওদূদীকে সমালোচনার কারন
মাওলানা মওদূদীর প্রতি আলেমদের অভিমত
মীর জাফরের নতুন ভার্শন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতাদের নিকট রাজনৈতিক প্রত্যাশা
বাংলাদেশের মুক্তির পথ কি?
বাংলাদেশের মুক্তির পথ কি?
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
বিএনপির নির্বুদ্ধিতা ও আত্মতুষ্টি
অমুসলিমদের সাথে মুসলমানদের বিয়ে
প্রথমেই জানা দরকার যে, এ যুগের অধিকাংশ ইহুদী ও খৃস্টান আহলে কিতাব নামধারীরা আদমশুমারীতে ওই দুই ধর্মের লোক বলে সরকারিভাবে রেজিষ্ট্রিকৃত হলেও মূলত তারা কোনো আসমানী কিতাব বা ধর্মে বিশ্বাসী নয়; বরং ঘোষিত বা অঘোষিতভাবে জড়বাদী ও বস্তুবাদী নাস্তিকই বটে। তাই কোনো নারীর শুধু সরকারী খাতায় ধর্মাবলম্বী বলে নিবন্ধিত হওয়া কিংবা ইহুদী বা খৃস্টান নামধারী হওয়াই তার সাথে মুসলমান পুরুষের বিবাহ সহীহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়; বরং বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিুোক্ত শর্তসমূহ পূর্বে যাচাই করে নিতে হবে।
(১) মেয়েটি বস্তুবাদী নাস্তিক না হতে হবে; বরং প্রকৃত অর্থে ইহুদী বা নাসারা তথা আহলে কিতাব হতে হবে। এ জন্য তার মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপস্থিতি জরুরি।
(ক) আল্লাহ তাআলার সত্তা ও অস্তিত্ব স্বীকার করা।
(খ) আল্লাহ প্রেরিত যেকোনো নবী-রাসূল ও তার উপর নাযিলকৃত আসমানী কিতাবের উপর ঈমান থাকা।
(২) মেয়েটি পূর্ব থেকেই ইহুদী বা খৃস্টান ধর্মে বিশ্বাসী হতে হবে। মুরতাদ, অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ইহুদী বা খৃস্টান হয়েছে এমন না হতে হবে। এমনিভাবে কোনো মুরতাদের ইহুদী-খৃস্টান মেয়ের সাথেও মুসলমান পূরুষের বিবাহ সংগঠিত হওয়ার সুযোগ নেই।
এসব শর্ত কোনো ইহুদী বা খৃস্টান মেয়ের মধ্যে পাওয়া গেলে শরীয়তের নিয়ম অনুযায়ী তাকে বিয়ে করলে বিবাহ শুদ্ধ বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ এ সকল শর্ত সাপেক্ষে বিবাহের আকদ করলে তাদের একত্রে থাকা ব্যভিচার হবে না; বরং তাদের মেলামেশা বৈধ ধরা হবে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, কেবল এ শর্তগুলো পাওয়া গেলেই তাদেরকে বিবাহ করা জায়েয তথা নিস্পাপ কাজ বলে গণ্য হবে; বরং সে জন্য দরকার আরও কয়েকটি শর্তের উপস্থিতি। যা পরবর্তী ধাপে বর্ণনা করা হচ্ছে। -আহকামুল কুরআন, জাস্সাস ২/৩২৩-৩২৬; তাফসীরে রূহুল মাআনী ৪/৬৪; ফাতহুল কাদীর ৩/১৩৫; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৫, ৪/২৫৫-২৫৬; বাদায়েউস্ সানায়ে ৬/১২৫-১২৬; বুহুস ১/৪১৫; তাফসীরে মাজহারী ৩/৪২
দুই: বিয়ে জায়েজ হওয়ার শর্তাবলিঃ
(১) ইহুদী-খৃস্টান মেয়েকে বিবাহের আগে এই বিষয়ে প্রবল আস্থা থাকতে হবে যে, এই বিবাহে স্বামীর দ্বীন-ধর্মের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই; বরং এই বিবাহের পরও সে ঈমান ও দ্বীনের উপর অটল থাকতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
(২) এই ব্যাপারেও নিশ্চিত ধারণা ও আস্থা থাকতে হবে যে, এই দম্পিতির যে সন্তানাদি জন্মগ্রহণ করবে (মা আহলে কিতাব হওয়ার কারণে) তাদের দ্বীন-ঈমান রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বাধা শিক্ষা-দীক্ষা অনুযায়ী জীবন কাটাতে পারবে। পুরুষ অথবা তার ভবিষ্যত সন্তানদের ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে কোনো আশঙ্কা থাকলে বিবাহ জায়েয হবে না।
(৩) বিবাহের আগে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে, যে রাষ্ট্রের মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছা করছে সে রাষ্ট্রে সন্তানদেরকে মায়ের ধর্মের অনুসারী গণ্য করার আইন রয়েছে কি না। অর্থাৎ ‘মা অমুসলিম হলে সন্তানও অমুসলিম ধর্তব্য হবে’ এরকম আইন থাকলে সেখানে থেকে ওই মহিলাকে বিবাহ করা জায়েয হবে না।
(৪) তালাক বা স্বামীর ইন্তেকালের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলে সন্তানরা ধর্মের দিক থেকে মায়ের অনুসারী গণ্য হবে এবং স্বামী বা স্বামীর ওয়ারিশরা তাদের নিতে পারবে না-এই ধরনের কোনো আইন যে দেশে রয়েছে সে দেশে অবস্থিত কোনো আহলে কিতাব মহিলাকেও বিবাহ করা জায়েয হবে না।
(৫) যদি আলামত-প্রমাণের মাধ্যমে স্পষ্টত বোঝা যায় যে, এই বিবাহের কারণে ইসলামী রাষ্ট্র বা মুসলমানদের কোনো ক্ষতি হবে তাহলে এ বিবাহ থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। বিধর্মী রাষ্ট্রের ইহুদী-খৃস্টানদের মধ্যে যেহেতু সাধারণত উপরোক্ত শর্তগুলো পাওয়া যায় না তাই ফুকাহায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধভাবে এই ফতোয়া দিয়েছেন যে, বিধর্মী রাষ্ট্রের কোনো আহলে কিতাব মহিলাকে বিবাহ করা মাকরূহে তাহরীমী; তথা না জায়েয ও গোনাহের কাজ। কোনো আহলে কিতাব মহিলা যদি ইসলামী রাষ্ট্রের অধিবাসী হয়ে থাকে এবং উপরোক্ত শর্তগুলো পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায় তাহলে বিবাহ যদিও সংঘটিত হয়ে যাবে কিন্তু তা হবে খুবই অনুত্তম কাজ। যার আলোচনা তৃতীয় ধাপে আসছে। উপরোক্ত আলোচনার স্বপক্ষে কিছু নির্ভরযোগ্য দলীল প্রামাণ নিম্নে পেশ করা হল,
جاء في روح المعاني ৪/৬৬ : قال ابن عباس رضي الله عنه : لَا يَحِلُّ نِكَاحُ نِسَاءِ أَهْلِ الْكِتَابِ، إِذَا كَانُوا حَرْبًا.
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ‘আহলে কিতাব মহিলাগণ ‘হারবী’ তথা কাফের রাষ্ট্রের অধিবাসিনী হলে তাদের সাথে বিবাহ বন্ধন বৈধ নয়। -তাফসীরে রুহুল মাআনী ৪/৬৬
সুপ্রসিদ্ধ ফক্বীহ আল্লামা ইবনে হুমাম রহ. (মৃত : ৮৬১ হি.) বলেন,
وتكره كتابية الحربية إجماعا، ل
কাফের রাষ্ট্রের আহলে কিতাব মহিলাকে বিয়ে করা ফিকাহবিদদের সর্বসম্মতিক্রমে মাকরূহে তাহরীমী (না জায়েয)। কারণ স্বামীকে কাফের রাষ্ট্রে তার সাথে বসবাস করতে হবে। ফলে সকল প্রকার ফিতনার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যাবে এবং এতে সন্তানদেরকে কাফেরদের সমাজে তাদের মতো করে বেড়ে উঠতে বাধ্য করা হবে। -ফাতহুল কাদীর ৩/১৩৫
সুপ্রসিদ্ধ ফকীহ আল্লামা দারদীর রহ. বলেন,
ويتأكد الكره أن تزوجها بدار ال
কাফের রাষ্ট্রের আহলে কিতাব মেয়েকে বিয়ে করা আরও কঠিনভাবে নিন্দনীয়। কারণ মুসলিম রাষ্ট্রের আহলে কিতাব মহিলার চেয়ে এদের ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। ফলে মহিলাটি সন্তানদেরকে স্বীয় ধর্মের উপর লালিত পালিত করতে থাকবে এবং সন্তানের পিতাকে এ ব্যাপারে সে কোনো পরওয়াই করবে না। -আশশারহুস সাগীর ১/৪০৬
বিখ্যাত ফকীহ আল্লামা শারবীনী রহ. বলেন,
لكن تكره حربية ليست بدار الإسل
কিন্তু যে সকল আহলে কিতাব মহিলা কাফের রাষ্ট্রে থাকে তাদেরকে বিবাহ করা মাকরূহ। তদ্রƒপ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মুসলমান দেশে বসবাসকারিনী আহলে কিতাব মহিলাকে বিয়ে করা দোষনীয়; ফিতনার আশঙ্কার কারণে। কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্রের চেয়ে কাফের রাষ্ট্রের অধিবাসিনীকে বিয়ে করা অধিক গর্হিত কাজ। -মুগনীল মুহতাজ ৩/১৮৭
জামেয়া আজহারের প্রখ্যাত শায়খ আব্দুল্লাহ আল গুমারী রহ. বলেন,
ومنها ما هو أشد قبحا أن الأولا
কাফের রাষ্ট্রের আহলে কিতাব মহিলাদেরকে বিয়ে করার বড় একটি খারাবী হল, সন্তানাদি মার মতোই খৃস্টান হয়ে যায়। কারণ পিতার মৃত্যু ঘটলে মা নিজের ধর্মের অনুসারী করে সন্তানদেরকে লালন করতে থাকে। আর যদি স্বামী তালাক দিয়ে দেয় তাহলে রাষ্ট্রীয় আইনে স্বামী সন্তান নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায় না। ফলে সন্তানরা মার সাথে থেকে তার ধর্মেই দিক্ষিত হয়। -দফউশশক ১৯
এরপর তিনি (শায়খ আব্দুল্লাহ) বেশ কিছু বাস্তব ঘটনার উদাহরণ নিয়ে এসেছেন, যেগুলোতে দেখা গেছে যে, সন্তানরাও তাদের মায়ের ধর্মাবলম্বী হয়েই বড় হয়ে উঠেছে ও আহলে কিতাব হয়ে গেছে।
আরও দ্রষ্টব্য :
আহকামুল কুরআন, জাস্সাস ২/৩২৬; আহকামুল কুরআন, থানভী ১/৪০৪; তাফসীরে মাজহারী ৩/৪১; তাতার খানিয়া ৩/৭।
দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!
দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক. শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...

-
শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয়ে বিতর্ক ও সত্যতা শেখ মুজিবের জন্ম পরিচয় নিয় বিতর্ক ইদানীং বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গৌরিবালা ...
-
ইসলামে সূফিবাদ নামক কুফুরী ভ্রান্তি সূফীবাদ একটি কুফুরী মতবাদ কম বেশী সকল মুসলমান সুফিবাদ শব্দটি সথে পরিচিত। সুফিবাদ বা সুফি দর্শন ...
-
" বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের সহায়তার নামে পুকুর চুরি" ভারতীয় বাহিনীর সম্পদ চুরি ভারত বাংলাদেশের জঘন্যতম প্রতিবেশী চ...
-
ঈমান আনায়নের পর প্রথম কাজ মুসলমানদের ভূমি রক্ষা মুসলমানদের ভূমি রক্ষা ঈমান আনার পর একজন ঈমানদারের প্রথম কাজ কি? একথা ব...
-
"ওহাবীজমের আদ্যোপান্ত" ভন্ড আহলে হাদিস "আধুনিক ওহাবীজমের নতুন ফেতনা" বিখ্যাত তাবেঈ ইবনে শিরিন (রঃ) বলেছেন, 'নিশ্চয...
-
"জামায়াত সমর্থক বহিষ্কার ও শালী তালাক একই কথা" গত দুই দিন আগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কৃষক লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তি যোদ্ধা(৭১) কানু ...
-
প্রকৃত বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী নিজামী নয় আওয়ামিলীগ, তাদের বিচার চাই শিরোনাম দেখে চোখ কপালে উঠলো? আসুন প্রমান দেই শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজ...
-
জয় বাংলা কখনোই বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ছিলো না,এটা হাইব্রিড স্লোগান। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ লেখা সমরিক ব্যাজ জাতীয় স্লোগান হিসাবে জয় বাংলাকে ...
-
উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের ভীতিকর ইতিহাস ও ভারতীয় সম্রাজ্যবাদের অজানা ইতিহাস ভারতীয় অধিবাসীদের মধ্যে অতীতে উপনিষদ, জৈন, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য দ...
-
নযদি-ওহাবী মুনাফেকরা কিভাবে জামায়াতে ইসলামীর ঘাড়ে চড়ে দলের সর্বনাশ করছে তার ইতিহাস ১। জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মওদুদী(রাহিঃ) এ...