সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার না করে কেনো অতিরিক্ত ১-২মিনিট পর ইফতার করা হয়
![]() |
ইফতার ও সূর্যাস্ত |
dr-bashir.blogspot.com এখানে কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, চিকিৎসা, ভৌত, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন যাবতীয় বিষয়ের সাথে ইসলামের যোগসূত্র রয়েছে। পবিত্র কুরআন থেকে জ্ঞান বিজ ‘কুরআনের প্রায় সাত হাজারেরও বেশি জ্ঞানের কথা সন্নিবেশিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’ তাছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, আরবী, ইসলাম শিক্ষা, যুক্তিবিদ্যা, রাষ্ট্রনীতি, লোকপ্রশাসন, লোকগীতি, প্রবাদসাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, গণিত, জ্যামিতি, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান,
সূর্যাস্তের সাথে সাথে ইফতার না করে কেনো অতিরিক্ত ১-২মিনিট পর ইফতার করা হয়
![]() |
ইফতার ও সূর্যাস্ত |
আমরা যারা ১৯৭০- ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্মেছি আমরা বিশেষ কিছু ছিলাম না😉,তবে আমরা ভাগ্যবান ছিলাম😜যখন আমরা ছোট ছিলাম হাতগুলো জামার ভিতর ঢুকিয়ে রেখে বলতাম আমার হাত নাই🙋।একটা কলম ছিলো যার চার রকমের কালি ছিলো🚦,আর তার চারটা বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম🤗আমাদের সময়ে এক হাত সমান কলম পাওয়া গেলেও আমরা আবার কলম কেটে অনেক ছোট কলম আবিষ্কার করতাম🤑দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দিব বলে,😇সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম 😓।রাতে হাটার সময় ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি চাঁদ টাও আমার সাথে যাচ্ছে💥কারেন্টের💡 সুইচের দুইদিকে আঙ্গুল চেপে সুইচটাকে অন অফ এর মাঝামাঝি অবস্থানে আনার চেষ্টা করতাম😜।স্কুলে যাওয়ার সময় সবাই এক সাথে দৌড়াদৌড়ী করে যেতাম🏃🏃।ক্লাসে কলম কলম খেলা🖋,খাতায় ক্রিকেট খেলা🏏,চোর👽-ডাকাত👻-বাবু😘-পুলিশ 🤗খেলতাম। অনেক সময় স্কুল ফাকি দিয়ে কয়েক জন বন্ধু মিলে ঘুরতে যেতাম আড্ডা দিতাম আর ও কত কি😎। এক টাকার রঙ্গিন বা নারকেলি আইসক্রিম🍿🍣 খেতে না পারলে মনটাই খারাপ হয়ে যেত😑।হঠাৎ আকাশ দিয়ে হেলিকপ্টার🚁 গেলে সবাই রুম থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকাই থাকতাম👫। স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনা কার্টুন👰দেখবো বলে। শুক্রবার দুপুর ৩ টা থেকে আপেক্ষা করতাম কখন BTV তে সিনেমা শুরু হবে😬। এবং সন্ধার পর আলিফ লায়লা👽,সিন্দবাদ,👺রবিনহুড,👹ম্যাকাইভার👦হাতিম, দেখার জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম😬। ফলের গুটি খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম পেটের ভিতর গাছ হবে কিনা😭 মাথায় মাথায় ধাক্কা লাগলে শিং গজানোর ভয়ে আবার নিজের ইচ্ছায় ধাক্কা দিতম😈 কেউ বসে থাকলে তার মাথার উপর দিয়ে ঝাপ দিতাম যাতে সে আর লম্বা হতে না পারে😜 বিকেলে কুতকুত,কানামাছি,🤓গোল্লাছুট 🏃না খেললে বিকাল টাই যেন মাটি হয়ে যেত😓 ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হলে তো সকালে পড়া নেই এতো মজা লাগতো যা বলার বাইরে😎। নানু বাড়ি,দাদু বাড়ি যাওয়ার এটাই তো ছিলো সময়🤗ব্যাডমিন্টন,কেরাম,লুডু না খেললে কি হয়🤔ডিসেম্বর মাস ও শিতকাল টা আমাদের ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল😍তবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যতই আগাই আসতো মনের মধ্যে ভয় ততই বাড়তো🙄,ওই দিন যে ফাইনালের রেজাল্ট দিবে তাই আর কি
আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা এগুলো পড়ছো ,নিশ্চই তোমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে??
এসব কথা মনে পড়লে ইচ্ছা করে আবার যদি সেই ছেলে বেলা টা ফিরে পেতেম !! আসলেই ঐ দিন গুলোকে খুব মিস করি।
"জামায়াত চোখ খুলেন, কাগুজে বাঘ আর বাস্তব বাঘ চিনতে শিখুন"
![]() |
কাগুজে বাঘ |
"জুলাই বিপ্লবে বিএনপির অবদান সবেক শিবওর নেতা ও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের মূখ্যপাত্রের মূখে"
"রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের আসল মাষ্টারমাইন্ড"
"ছাত্রলীগ হলেই মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার অধিকারো নাই"
"বাংলাদেশের যেসকল আলেম সবার আগে জাহান্নামি হবে"
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা অতিশয় দয়ালু। ভীষণ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ। একই সঙ্গে তিনি মন্দ কাজের কঠোর শাস্তিদাতাও। কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেন। তবে যদি গুনাহগার ও অন্যায়কারী নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয় তাহলে ভিন্ন কথা।
সাধারণত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে। কেউ বেশি, আবার কেউ কম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক সময় আল্লাহকর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজ করে ফেলে। কিন্তু একজন মুসলিম গুনাহ করে তাওবা করবে- এটিই স্বাভাবিক।
আল্লামা ইবনে কাইয়্যুম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, যে গুনাহ করে সে মানুষ। যে গুনাহ করে তার ওপর অটল অবস্থানে থাকে সে শয়তান। আর যে গুনাহ থেকে তাওবা করে, সে হলো মুমিন।
মানুষ যখন আমল করে— তখন তার সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ত বা উদ্দেশ্যের প্রশ্ন চলে আসে। সে কী আল্লাহর জন্য ইবাদত করছে— নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করছে; সেটি ঠিক করার পরেই ইবাদাত কবুল হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যায়। মানুষ যদি নিজের আমলকেই বড় মনে করতে থাকে অথবা লোক-দেখানো উদ্দেশ্যে সালাত, জাকাত আদায়, ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও জিহাদ করে, তাহলে সেটি দয়াময় আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন না।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে উল্লিখিত রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার মনে যাররা (যবের দানা পরিমাণ) গর্ব বা অহংকার থাকবে— সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এরপর জনৈক ব্যক্তি বললেন, মানুষ এটাই পছন্দ করে যে তার পোশাক সুন্দর হোক, এমনকি তার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক (তাহলে তাও কি অহংকার)? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ সুন্দর ও তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। আসলে অহংকার হচ্ছে সত্য ও ন্যায়কে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯১; সুনানে আত-তিরমিজি, হাদিস : ১৯৯৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৯১; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৩৭৭৯)
তিন ব্যক্তি সবার আগে জাহান্নামে যাবেঃ
সবার আগে তিন ব্যক্তিকে জাহান্নামে পাঠানো হবে। হাদিসে এসেছে, ওই তিন ব্যক্তির নিয়ত শুদ্ধ ছিল না। অর্থাৎ তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করেনি।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের সবার আগে যাদের বিচারের জন্য আনা হবে— তাদের মধ্যে অন্যতম দানবীর, আলেম ও আল্লাহর পথে জিহাদকারী শহীদ। আল্লাহ তাআলা প্রথমে শহীদকে নেয়ামতগুলো দেখিয়ে প্রশ্ন করবেন, ‘এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কী করেছো?’ সে উত্তর দেবে, ‘আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি।’ তখন আল্লাহ বলবেন : ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি শহীদ হয়েছো— লোকে যাতে তোমাকে বীর-বাহাদুর বলে। তুমি সেটি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। সে কারণে এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ তখন তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এরপর একজন দানবীরকে উপস্থিত করে করা হবে। তাকে দেওয়া সম্পদ দেখিয়ে আল্লাহ বলবেন, ‘এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কী করেছো?’ সে উত্তর দেবে, ‘আমি আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এ সম্পদগুলো আপনার পথে ব্যয় করেছি।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি দান করেছো যাতে লোকে তোমাকে দানবীর বলে। তুমি সেটি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। সে কারণে এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ তাকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এবার একজন আলেমকে নিয়ে আসা হবে। আল্লাহ তাআলা আলেমকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তোমাকে আমি যে জ্ঞান দিয়েছিলাম— সেটি তুমি কোন পথে ব্যয় করেছো?’ তখন সে বলবে, ‘আমি আপনাকে খুশি করার জন্য সে জ্ঞান অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি এসব জ্ঞান অন্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছো— যাতে লোকেরা তোমার প্রশংসা করে এবং তোমাকে প্রাধান্য দেয়। সেটি তুমি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। তাই এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ এরপর তাকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮২)
এখন আসেন বাংলাদেশের বেশীর ভাগ আলেমদের চরিত্র বর্ননা করি।
১। মাহফিলে প্রত্যেক আলেম নিজের গুনকীর্তন ২মিনিটের জন্য হলেও করে।এমনও আলেম দেখা যায় অহংজকারের চোটে স্টেজ পছন্দ না হলে ওয়াজ করে না।
২। এমন কোনো আলেম নাই যারা ব্যাংকের সুদি মাধ্যমে লেনদেন করে অথচ মসজিদে বা বক্তৃতায় কখনো এটা যে হারাম তা বলে না।
৩। কওমী মাদরাসার একটা বিশাল অংশ শিশু বলাদকার ও সমকামীতার সাথে জড়িত এবং কওমী আলেম উসামা সহ অনেকের বকৃতব্য মতে শতকরা ৯০ ভাগের বেশী আলেম সরাসরি সমকামীতায় জড়িত(এটা কওমী আলেম ও মিডিয়ার তথ্য মতে)।তা ছাড়াও হাসান জামিলের মত কওমী আলেমরা নিজের ইবাদত নিয়ে গর্ব করতে করতে হযরত আবুবকর (রা:) এর সাথে তোলনা কর বসে, চিন্তা করেন এসকল ওলামা কতটা অহংকারী হয়।
৪। আলিয়া মাদরাসার ১০০% আলেম বিনা বাক্যে অনৈসলামিক সরকারের পুরোপুরি আনুগত্য করে।
৫। আহলে হাদিস নামক মডিফাইড খ্রিস্টান তথা ওহাবী মতাদর্শের আলেমরা ১০০% বাতিল সরকারের আনুগ্যকারী ও শায়েখ পূজার নামে ব্যক্তি পূজার মত মুশরিকী কাজে লিপ্ত, তারা এক শায়েখের অনুসারীরা অন্য শায়েখকে সহ্য করতে পারে না।
৬। চরমোনাই ওয়ালারা ১০০% পীরের মূরীদ, পীর পূজার নামে ১০০%ব্যক্তি পূজারী।
৭। মাজার পূজারী নাম ধারী সুন্নীরা ১০০% শিরকী কাজে লিপ্ত।
৮। দূর্গা পূজা -২০২৪শে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের বহু আলেম পূজা মন্ডপে গিয়ে মা দূর্গার আরাধনা, গান, গজল, প্রহরা, মূর্তী আঁকা শেরওয়ানী পড়া থেকে মন্ত্র পড়া পর্যন্ত সব কিছু করে প্রমান করলো এদেশের বেশীর ভাগ আলেম তাদের আমানত খেয়ানত করেছে।
এজন্যই বলছি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ আলেমই সবার আগে জাহান্নামে যাবে।
বর্তমানে ঈমান বাঁচানো হাতে জল্ত অঙ্গার রাখার মতই।
লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
"ডেভিল জামায়াতেও আছে, ফেরেশতার দল নয়"
![]() |
জামায়াতি ডেভিল |
"শেখ মুজিব ও আওয়ামী ডেভিল আখ্যান"
"ছাত্রদলের প্রতি উপদেশ"
![]() |
ছাত্রদলের প্রতি উপদেশ |
"দুনিয়ায় মায়ের মত আজব সৃষ্টি আর নাই"
![]() |
আজব সৃষ্টি মা |
জুলাই বিপ্লব ২০২৪ নিয়ে জাতি সংঘের রিপোর্ট
![]() |
জুলাই বিপ্লবের জাতিসংঘের রিপোর্ট |
OHCHR ইতিমধ্যেই একটি দূরবর্তী পর্যবেক্ষণ দলকে ভিডিও এবং ছবি সহ প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্বাসযোগ্য ওপেন-সোর্স উপাদান সনাক্ত এবং সংরক্ষণের জন্য নিযুক্ত করেছে। এই তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ভিডিও এবং ছবিগুলির উপর কেবলমাত্র ততক্ষণ নির্ভর করা হয়েছিল যতক্ষণ না তাদের সত্যতা OHCHR পদ্ধতি অনুসারে যাচাই করা হয়েছে।
৭. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং বাংলাদেশের তিনটি আধাসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীর বর্তমান মহাপরিচালক: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB), আনসার/গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (আনসার/ভিডিপি) এবং বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (BGB) এর সাথে সাক্ষাৎকারের সুবিধা প্রদান করেছে। বিজিবি প্রধান ছাড়া, এই কর্মকর্তাদের কেউই বিক্ষোভের সময় তাদের পদে ছিলেন না এবং তারা বিক্ষোভের সময় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে সীমিত তথ্যই জানিয়েছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে OHCHR-এর অনুরোধ সত্ত্বেও, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব বা ডিরেক্টরেট-জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (DGFI)-এর সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করা যায়নি।
8. OHCHR সেনাবাহিনী, পুলিশ, RAB, আনসার/ভিডিপি, গোয়েন্দা পরিষেবা, রাজনৈতিক দল এবং বিচার ব্যবস্থার প্রাক্তন এবং বর্তমানে কর্মরত ঊর্ধ্বতন এবং মধ্য-স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে অতিরিক্ত 32টি সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যারা বিক্ষোভের দিকগুলি মোকাবেলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।
9. কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনের সময় বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। OHCHR-কে এই বন্দীদের সাথে তত্ত্বাবধান ছাড়াই এবং ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দুঃখের বিষয়, আটক প্রাক্তন ইন্সপেক্টর-জেনারেল অফ পুলিশকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য OHCHR-এর অনুরোধ গ্রহণ করা হয়নি।
10. OHCHR আওয়ামী লীগের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎকার এবং তথ্য চেয়েছিল এবং প্রাক্তন সরকারের মন্ত্রিসভার চারজন মন্ত্রীর কাছ থেকে অনলাইন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল, যাদের প্রত্যেকেরই বিক্ষোভের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। OHCHR আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ও মধ্যম স্তরের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
১১. OHCHR বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। OHCHR জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সাথে সাক্ষাৎকার চেয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা তাদের সাক্ষাৎকার দিতে পারেনি। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, যা সাধারণত জামায়াতে ইসলামীর সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়, তাদের কাছে সাক্ষাৎকারের জন্য পাঠানো অনুরোধের কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে, OHCHR বেশ কয়েকজন জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবির সমর্থকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
১২. ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে, OHCHR অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে লিখিত তথ্যের জন্য একটি বিস্তৃত অনুরোধ জানিয়েছে। ৯ ডিসেম্বর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনুরোধকৃত কিছু তথ্য সরবরাহ করে, বিজিবি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘ প্রতিবেদন এবং ডিজিএফআই, আনসার/ভিডিপি এবং কোস্টগার্ডের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া প্রেরণ করে। ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ পুলিশ এবং র্যাবের কাছ থেকে একটি অতিরিক্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন ভাগ করে নেয়। দুঃখের বিষয়, সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনও লিখিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
১৩. OHCHR-এর জনসাধারণের কাছে জমা দেওয়ার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায়, OHCHR ব্যক্তি ও সংস্থার কাছ থেকে ৯৫৯টি যোগাযোগ পেয়েছে। "OHCHR এই প্রতিটি দাখিল বিবেচনা করেছে, যেগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে।"
১৪. OHCHR তার মানক পদ্ধতি অনুসারে প্রতিটি উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং তাদের প্রদত্ত তথ্যের বৈধতা, অভ্যন্তরীণ সামঞ্জস্য এবং প্রাসঙ্গিকতা কঠোরভাবে মূল্যায়ন করেছে। অন্যথায় উল্লেখ না করা হলে, এই প্রতিবেদনে প্রতিফলিত প্রতিটি লঙ্ঘন বা অপব্যবহার ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং অন্যান্য বিশ্বাসযোগ্য উৎসের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে, যা অন্যান্য সাক্ষ্য, প্রমাণিত ভিডিও এবং ছবি, চিকিৎসা তথ্য এবং চিকিৎসা ফরেনসিক বিশ্লেষণ, অস্ত্র বিশ্লেষণ, অথবা বিশ্বাসযোগ্য উন্মুক্ত উৎস দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, সুনির্দিষ্ট অবস্থান, তারিখ, অপরাধীর পরিচয় বা অন্যান্য বিবরণ যা ভুক্তভোগী এবং সাক্ষীদের প্রতিশোধের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে তা বাদ দেওয়া হয়েছে কিন্তু OHCHR-এর কাছে জানা আছে।
১৫. OHCHR পদ্ধতি অনুসারে, এই প্রতিবেদনে OHCHR যখন কোনও ঘটনা বা আচরণের ধরণ ঘটেছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছে তখন তথ্য রয়েছে। প্রমাণের এই মান একটি উপযুক্ত ফৌজদারি আদালতের সামনে একজন ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণের চেয়ে কম। তবে উপযুক্ত ফৌজদারি বিচার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গুরুতর অপরাধের আরও তদন্তের জন্য এটি যথেষ্ট উচ্চ। আটটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে
OHCHR-এর ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমকে প্রতীকী হিসেবে আরও বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বৃহত্তর ধরণগুলিকে চিত্রিত করে অথবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা খাতের কর্মকর্তাদের সাথে জড়িত অপারেশনাল পরিকল্পনা, আদেশ এবং নির্দেশাবলীর সাথে সরাসরি যুক্ত।
১৬. প্রতিষ্ঠিত তথ্য থেকে প্রাপ্ত মানবাধিকার-সম্পর্কিত তথ্য, তা সে রাষ্ট্রের দ্বারা দায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক বা রাষ্ট্র বহির্ভূত ব্যক্তিদের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে সম্পর্কিত হোক, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের উপর ভিত্তি করে সেই তথ্য বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের মূল মানবাধিকার কনভেনশনের একটি রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের চুক্তির বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।"
১৭. এছাড়াও, OHCHR বিবেচনা করেছে যে যুক্তিসঙ্গত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত তথ্যগুলি বাংলাদেশী বা অন্যান্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আন্তর্জাতিক অপরাধ, যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধও অন্তর্ভুক্ত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধিতে সংজ্ঞায়িত, যেখানে বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্রপক্ষ, এবং নির্যাতনকে একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, আরও ফৌজদারি তদন্তের জন্য বাংলাদেশী বা অন্যান্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কতটা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে কোন ব্যক্তিদের আচরণ আরও ফৌজদারি তদন্তের বিষয় হওয়া উচিত সে সম্পর্কে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যদিও OHCHR আন্তর্জাতিক মান অনুসারে ভবিষ্যতের জবাবদিহিতা প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য সংরক্ষণ করেছে।
১৮. OHCHR তার মানক পদ্ধতি অনুসারে, এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে শেয়ার করেছে, যাতে তারা তথ্যগত ত্রুটি বা ভুলত্রুটি এবং প্রাপ্ত প্রাসঙ্গিক মন্তব্য সম্পর্কে তাদের মন্তব্য জানতে পারে।
III. প্রাসঙ্গিক সারসংক্ষেপ: দমন-পীড়নের তীব্রতা
১৯. ৫ জুন ২০২৪ তারিখে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ একটি কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে যা ১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের যোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য সমস্ত সরকারি চাকরির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করে। হাইকোর্ট ২০১৮ সালের একটি সরকারি সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়, যার মাধ্যমে সরকার সেই সময়ে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের পর কোটা ব্যবস্থা বাতিল করার চেষ্টা করেছিল।
২০. কিছু আওয়ামী লীগ সমর্থক সহ শিক্ষার্থীরা এই ধরনের কোটাগুলিকে বৈষম্যমূলক বলে মনে করেছিল, বস্তুনিষ্ঠ, মেধা-ভিত্তিক মানদণ্ডের চেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাতি-নাতনিদের পক্ষপাতী করে। সিভিল সার্ভিস কোটা থেকে উপকৃত অনেকেই ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্কযুক্ত সুবিধাভোগী পরিবার থেকে এসেছেন। একজন ছাত্র বিক্ষোভকারী ব্যাখ্যা করেছিলেন, "আমি সরকারি চাকরি পেতে পারি না কারণ আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। আমি কেবল একজন গ্রামের ছেলে।"
২১. শুরু থেকেই, প্রতিবাদ আন্দোলনটি পূর্ববর্তী সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানবাধিকার অস্বীকারের মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া সম্পর্কে আরও গভীর অভিযোগ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, যেমন প্রতিবাদকারী নেতারা এবং অংশগ্রহণকারীরা OHCHR-কে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এই অভিযোগগুলি একজন মহিলা বিক্ষোভকারীর দ্বারা রচিত একটি বহুল প্রচারিত গানে ভালভাবে ধরা হয়েছে: "যারা সুবিধাভোগী, তারা আরও বেশি পেতে থাকে, এবং দুর্নীতির সামনে সবকিছুই ব্যর্থ হয়। যারা সৎ, তাদের খাওয়ার কিছু নেই।" "বিক্ষোভগুলি দ্রুত আন্তঃসমাজ বিদ্রোহে পরিণত হয় কারণ বেশিরভাগ বাংলাদেশী এই অভিযোগগুলির দিকগুলি ভাগ করে নিয়েছিল এবং দেশটিকে ভুল পথে এগিয়ে চলেছে বলে মনে করেছিল।"
২২. প্রতিক্রিয়ায়, সরকার বিক্ষোভের উপর তার দমন-পীড়নকে প্রগতিশীল, পরিকল্পিত এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে আরও তীব্র করে তোলে, প্রাথমিকভাবে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে আরও মারাত্মক এবং সামরিক শক্তি প্রয়োগের দিকে পরিচালিত করে যার ফলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটে।
২৩. এই বিভাগটি বিক্ষোভের পিছনে কিছু অন্তর্নিহিত কারণ পরীক্ষা করে এবং সরকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিক্রিয়ায় দমন-পীড়নের বৃদ্ধির রূপরেখা তুলে ধরে।
১. দ্বিমুখী রাজনীতি, দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য
২৪. বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি ঐতিহাসিকভাবে স্বতন্ত্র নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল যারা পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি অনুসরণ করেছিল এবং তাদের বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ নিয়মিতভাবে শাসক দলকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এই ধরণের অনুশীলনের পরিণতি হ্রাস পেয়েছিল। এটি একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা দ্বারা সহজতর হয়েছিল অস্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা যা নতুন দফা নির্বাচনের আগে খেলার মাঠ সমান করার চেষ্টা করবে। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে। তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে, যে নির্বাচনে নিরাপত্তা বাহিনীর অনিয়ম, সহিংসতা এবং ভয় দেখানোর খবর পাওয়া যায় এবং ২০১৪ সালে বিরোধী দল বয়কট করে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচনে জয়লাভ করে, যেখানে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয় এবং সরকার বিরোধী দলের সমাবেশগুলিকে বলপ্রয়োগ করে দমন করার, নির্বিচারে হাজার হাজার বিরোধী কর্মীকে গ্রেপ্তার করার এবং নাগরিক সমাজকে ভয় দেখানোর পর বিএনপি কর্তৃক বয়কট করা হয়।
২৫. ১৫ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালীন, শেখ হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, বিচার ও নিরাপত্তা ক্ষেত্র এবং সরকারের বৃহত্তর আমলাতন্ত্রের উপর ক্রমবর্ধমান আধিপত্য বিস্তার করে। এই দখল বৃহত্তর অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়ে, মক্কেলবাদ, স্বজনপ্রীতিমূলক পুঁজিবাদ এবং দুর্নীতির আকারে। পূর্ববর্তী সরকার প্রায়শই বৃহৎ ব্যবসা এবং রপ্তানি শিল্প, বিশেষ করে পোশাক খাত, এবং বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পগুলিকে অগ্রাধিকার দিত, বরং একটি বিস্তৃত শিল্প ভিত্তি গড়ে তোলা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহিত করার পরিবর্তে। সরকার ২০১৩ সাল থেকে মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন দ্বিগুণ হওয়ার রিপোর্ট করা সত্ত্বেও, অর্থনৈতিক লাভের সামগ্রিক বন্টন ক্রমবর্ধমানভাবে অসম ছিল। আয় এবং ভোগ বৈষম্য, সেইসাথে দেশের সবচেয়ে ধনী পাঁচ শতাংশের মধ্যে আয়ের ঘনত্ব, ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
২৬. শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য তরুণরা বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে লড়াই করছিল, যার ফলে এই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মধ্যে অভিযোগ দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে কোটা ব্যবস্থার কারণে সরকারি খাতে কর্মসংস্থানে তাদের প্রবেশাধিকার হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের একটি সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের বাইরে থাকা ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণদের অংশ সকল তরুণদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং বিশেষ করে তরুণী ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।"
২৭. ২০২২ সাল থেকে, মধ্য ও নিম্ন আয়ের বাংলাদেশীরা খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যস্ফীতির কারণে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮ কিছুটা হলেও, রাশিয়ান ফেডারেশনের ইউক্রেন আক্রমণের সাথে সম্পর্কিত ছিল, সেইসাথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের শর্ত হিসেবে বাংলাদেশের উপর আরোপিত কৃষি ভর্তুকি কর্তন এবং অন্যান্য কঠোর ব্যবস্থা। বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের প্রয়োজন হওয়ায় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের উপর রাষ্ট্রের ব্যয় আরও হ্রাস পেয়েছে। দেশটির কর ভিত্তিও খুব কম, যা পরোক্ষ করের উপর নির্ভরশীল, যা মধ্য ও নিম্ন আয়ের বাংলাদেশীদের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বোঝা চাপিয়ে দেয়। ১৯
২৮. অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও সম্পদের ঘনত্ব এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার উপভোগের উপর সম্পর্কিত নেতিবাচক প্রভাবগুলিও সরকারি ক্রয়ে বৃহৎ আকারের দুর্নীতি এবং দখল ও নিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ অভিজাতদের দ্বারা ব্যাংক, জ্বালানি সরবরাহকারী এবং অর্থনীতির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতের উপর প্রভাব ফেলেছে। রাজনৈতিকভাবে সংযুক্ত ক্লায়েন্টদের পক্ষে ঋণ আত্মসাৎ প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি বৃহৎ ব্যাংক ফাঁকা হয়ে গেছে, যা দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ যথেষ্ট পরিমাণে ছিল। এই এবং অন্যান্য অবৈধভাবে অর্জিত লাভের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দেশ থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাদের সাথে যুক্ত বাংলাদেশী অভিজাতদের সুবিধার্থে বিদেশী এখতিয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 22
29. আমলাতন্ত্র এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিম্ন স্তরে ব্যাপক দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে সর্বোচ্চ স্তরে দুর্নীতি প্রতিফলিত হয়েছে। প্রতি চারজন বাংলাদেশীর মধ্যে তিনজন (74.4 শতাংশ) আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। বিক্ষোভে যোগদানকারী অনেক শ্রমিক, ব্যবসা মালিক এবং ছাত্র আওয়ামী লীগ কর্মকর্তা এবং ছাত্রলীগ সদস্যদের চাঁদাবাজির ঘটনা সম্পর্কে OHCHR-এর সাথে তাদের হতাশা ভাগ করে নিয়েছেন। ৭৪
২. সরকার ভয় দেখানো এবং অবৈধ ঘোষণা করার চেষ্টা করছে
ছাত্র প্রতিবাদ আন্দোলন
৩০. জড়িতদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে OHCHR-এর সাক্ষাৎকার অনুসারে, ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা এবং সরকারি কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন যে ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে কোটা বিক্ষোভ অজনপ্রিয় সরকারের ক্ষমতায় অব্যাহত থাকার জন্য একটি বড় রাজনৈতিক হুমকি হয়ে উঠছে। তারা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে বিরোধী দলগুলিও শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
সমস্যাটির নিরসনের জন্য একটি সমাধান। তবে, প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একান্তে বলেছিলেন যে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে যে তারা বৃথা প্রতিবাদ করছে। ২৬ জুলাই, তিনি প্রকাশ্যে বলেন: "[উচ্চ] আদালতের রায়ের পর, কোটা বিরোধী আন্দোলনের কোনও যুক্তি নেই।"২" সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাত্র বিক্ষোভ আন্দোলনকে বিরোধীদের দ্বারা "অনুপ্রবেশকারী" বলে প্রকাশ্যে নিন্দা করতে শুরু করেন।
৩১. প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, ১০ থেকে ১১ জুলাই রাতে ডিজিএফআই মহাপরিচালক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে আতঙ্কিত সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে ছাত্র নেতাদের সাথে গোপন আলোচনা করার জন্য অনুমোদন দেন।২৯
৩২. ১১ জুলাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন একটি স্পষ্ট হুমকি জারি করেন: "কিছু লোক আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে এবং ছাত্রলীগ তাদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।" একই দিনে, পুলিশ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে শান্তিপূর্ণ ছাত্র বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করে, মূলত লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। শাহবাগ এলাকায় শে-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং চট্টগ্রামে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে। ৩২ ১৩ জুলাই, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা পুলিশ তদন্তের ঘোষণা দেয় বিক্ষোভের কথিত "অনুপ্রবেশ"। 33
33. ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলেন: "তাদের [ছাত্র বিক্ষোভকারীদের] মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি এত বিরক্তি কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরা যদি কোটা সুবিধা না পান, তাহলে রাজাকারদের নাতি-নাতনিরাও কি এই সুবিধা পাবেন?" 34
34. প্রধানমন্ত্রীর রাজাকারদের উল্লেখে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত বলে মনে হয়েছিল, যা বাংলাদেশের একটি গভীর আপত্তিকর শব্দ, যেখানে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগিতাকারী ব্যক্তিদের বর্ণনা করা হয়েছিল। ১৪ জুলাই সন্ধ্যায়, বিপুল সংখ্যক ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করে এবং "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার" স্লোগান দেয়। এটি প্রতিবাদ আন্দোলনের জন্য একটি সমাবেশে পরিণত হয়, পরে স্পষ্টীকরণের মাধ্যমে প্রসারিত হয়, "কে বলে? কে বলে? স্বৈরশাসক, স্বৈরশাসক!" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, শত শত মহিলা তাদের ছাত্রাবাসের রাতের তালা ভেঙে বিক্ষোভে যোগ দেন।**
৩৫. ছাত্রদের রাজাকার স্লোগানের জবাবে, সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সহ্য করার সময় শেষ হয়ে গেছে। ১৪ জুলাই, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল চৌধুরী বলেছিলেন যে "এই রাষ্ট্রের পক্ষে এই বিশ্বাসঘাতকদের সম্মান করা সম্ভব নয়", একই সাথে বিক্ষোভকারীদের "এই যুগের রাজাকার" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আরাফাত ঘোষণা করেছিলেন যে "যারা রাজাকার হতে চায় তাদের কোনও দাবি গ্রহণ করা হবে না।" একইভাবে, তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে "যারা নিজেদের রাজাকার হিসেবে পরিচয় দেয় তাদের কপালে [বাংলাদেশের] পতাকা নিয়ে মিছিল করার কোনও অধিকার নেই।"97
৩. ছাত্রলীগ, পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীকে একত্রিত করা
৩৬. ১৪ জুলাই সন্ধ্যা থেকে, আওয়ামী লীগের মহাসচিব এবং ছাত্রলীগ সভাপতি সহ ঊর্ধ্বতন আওয়ামী লীগের কর্মকর্তারা পরবর্তী দুই দিন ধরে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্র বিক্ষোভকারীদের উপর সশস্ত্র আক্রমণ চালানোর জন্য ছাত্রলীগ সমর্থকদের একত্রিত এবং উস্কানি দেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যায় এবং প্রায়শই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে, যদিও OHCHR-কে দেওয়া তথ্য অনুসারে, পুলিশ ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়। একজন প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা OHCHR-কে ব্যাখ্যা করেছেন যে, "আমাদের (আওয়ামী লীগ) মহাসচিবের আহ্বানের ভিত্তিতে, আমাদের ছাত্রদের বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যা ঘটেছিল তা অপ্রত্যাশিত ছিল, ছাত্ররা পাল্টা লড়াই করেছিল,39
37. যেহেতু ছাত্রলীগের ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভ দমন করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না, তাই পুলিশ আরও জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করে। ঢাকা এবং তার বাইরেও বিভিন্ন স্থানে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেটের মতো কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে প্রাণঘাতী ধাতব গুলি ভর্তি শটগানও ব্যবহার করে, যখন সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পুলিশের সমর্থনে আক্রমণ শুরু করে। শুধুমাত্র 16 জুলাই কমপক্ষে ছয়জন নিহত হন। 40 তাদের মধ্যে আবু সাঈদ (মামলা 1) ছিলেন। তার হত্যার ব্যাপক প্রচারিত ফুটেজ আরও বিক্ষোভকারীদের একত্রিত করে, যার মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রও ছিল।
38. সাধারণ বিক্ষোভ এবং সংশ্লিষ্ট সহিংস অস্থিরতা শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে, সরকার আরও বেশি সামরিকীকরণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল, কারণ তারা পুলিশকে সামরিক রাইফেল দিয়ে সজ্জিত আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে শক্তিশালী করেছিল। একজন প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনে করেছিলেন যে যদি তারা তাদের "ভারী ইউনিট" মোতায়েন করে, তাহলে কেবল জিহাদিরা রাস্তায় থাকবে এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফিরে যাবে, 42
39. বিক্ষোভের সময়, তারা ইতিমধ্যেই 10 জুলাই থেকে নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি তাদের 15টি ব্যাটালিয়নের সমস্ত মোতায়েন করেছিল। 15 জুলাই থেকে কমপক্ষে 14টি আনসার/ভিডিপি ব্যাটালিয়ন সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 16 জুলাই থেকে, বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভের সময়, তারা সারা দেশে 58টি স্থানে প্রায় 4,000 সীমান্তরক্ষী মোতায়েন করেছিল। এছাড়াও 16 জুলাই থেকে, পুলিশের মহাপরিদর্শকের নির্দেশের ভিত্তিতে বিভিন্ন অভিযান জোরদার করার জন্য ছয়টি সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছিল এবং শটগান এবং রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছিল। ডিজিএফআইও জড়িত ছিল, তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রায় 110 জন কর্মকর্তা এবং 900 জন ফিল্ড স্টাফ মোতায়েন করেছিল, যখন আরও 140 জন কর্মকর্তা এবং 1,000 কর্মী গোয়েন্দা তথ্য পরিচালনা, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রচার করছিলেন। 45 উদাহরণস্বরূপ, 17 জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিশাল, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর পুলিশের সহিংস দমনে র্যাব এবং বিজিবি সহায়তা করেছিল (কেস ২ দেখুন)। বিক্ষোভকারীদের নিরুৎসাহিত করার পরিবর্তে, এটি কেবল বিক্ষোভের গতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
৪০. বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সমন্বয় সাধন, তাদের মোতায়েন পরিচালনা, অভিযান পরিকল্পনা এবং বিক্ষোভ এবং তাদের দমনের প্রচেষ্টা ট্র্যাক করার জন্য, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 'কোর কমিটি' নামে পরিচিত একটি সংস্থার নিয়মিত সভা পরিচালনা করেছিলেন, যা অংশগ্রহণকারী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, বিক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকটি সন্ধ্যায় তার বাসভবনে মিলিত হত। মন্ত্রী নিজে ছাড়াও, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবি, র্যাব এবং আনসার/ভিডিপির মহাপরিচালক, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা (ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং প্রায়শই এনটিএমসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং ২০ জুলাই থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন জেনারেল। ৪৫ একই সাথে, শেখ হাসিনা এবং তার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে এবং টেলিফোনে আলোচনা করতেন যাতে তারা সরাসরি তাদের কার্যক্রম তদারকি ও নির্দেশনা দিতে পারেন, যেমনটি প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার এবং OHCHR-কে দেওয়া কল লগ নিশ্চিত করে। ৪৬
বাংলাদেশে পুলিশিং-এর সামরিকীকরণ
বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, যার মধ্যে জনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনাও অন্তর্ভুক্ত, তাদের কার্যপ্রণালী, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও সরঞ্জামের দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশের চেয়ে বেশি সামরিকীকরণপ্রাপ্ত এবং সশস্ত্র বাহিনী থেকে নিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা লক্ষ্য করা গেছে। এই সংস্থাগুলি সহজেই প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা OHCHR-কে সাক্ষ্য দিয়েছেন: "তারা ভিন্নভাবে গুলি করে: একটি গুলি, একজন ব্যক্তি মারা যায়।"
গুরুতর অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য 2004 সালে প্রতিষ্ঠিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB) হল একটি আধাসামরিক বাহিনী যা পুলিশ, সামরিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা থেকে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত এবং সামরিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং হেলিকপ্টার দিয়ে সজ্জিত। যদিও নামমাত্র একজন পুলিশ কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত, একজন নিযুক্ত সেনা কর্নেল র্যাবের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেছেন। দুই দশক ধরে, র্যাব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং অন্যান্য গুরুতর লঙ্ঘনের একটি উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে যা অপরাধী সন্দেহভাজন, বিরোধী রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের ব্যক্তিত্ব এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের উপর অবাধ্য হিসেবে দেখা হয়।*
বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি) তার সরঞ্জামের দিক থেকে একটি বেসামরিক সংস্থার চেয়ে বরং একটি আধাসামরিক বাহিনী। মেজর এবং তার উপরে, এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের দ্বারা সেকেন্ডমেন্টে পরিচালিত হয়েছে। যদিও বিজিবির প্রধান কাজ ছিল সীমান্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা, আইনটি অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য স্পষ্টভাবে তাদের মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে। পূর্ববর্তী সরকার বিজিবির দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছিল, যদিও কম প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হয়নি। ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে, বিজিবি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগে জড়িত বলে জানা গেছে, যার মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিজিবির নিজস্ব মহাপরিচালক ওএইচসিএইচআরকে বলেছেন যে বিজিবিকে একটি যুদ্ধ বাহিনী হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল এবং আইন প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত ছিল না।"
জিবি
ছবি ২: ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিক্ষোভে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল।
ছবির কৃতিত্ব: ফাইলে অনুমতি।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (আনসার/ভিডিপি) একটি আধাসামরিক বাহিনী হিসেবেও সংগঠিত এবং দ্বিতীয় সারির সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হয়। তবে আনসারদের প্রায়শই আইন প্রয়োগের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে, যেমন নিয়মিত পুলিশকে শক্তিশালী করা বা সরকারি ভবন পাহারা দেওয়া।
সামরিক গোয়েন্দা ভূমিকার বাইরে গিয়ে, ডিরেক্টরেট-জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) একটি বৃহৎ আকারের যন্ত্র হয়ে ওঠে যা আইন প্রয়োগের জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং বেসামরিক নাগরিকদের উপর নজরদারি করার মতো অ-সামরিক বিষয়ে জড়িত। যদিও এর গ্রেপ্তারের আইনি ক্ষমতা ছিল না, ডিজিএফআই অপহরণ এবং জোরপূর্বক গুম করেছে বলে জানা গেছে এবং মিডিয়া, ব্যবসায়ী নেতা এবং অন্যান্যদের ভয় দেখানোর জন্যও এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ৫৪ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), এবং জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), ইলেকট্রনিক নজরদারি
গোয়েন্দা সংস্থা, উভয়ই সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় সারির জেনারেলদের নেতৃত্বে ছিল এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে
গোয়েন্দা তথ্য প্রদান করত।
এই প্রতিবেদনের আওতায় থাকা সময়কালে, এই সংস্থাগুলি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে ছিল, কোনও প্রাতিষ্ঠানিক সংসদীয় বা স্বাধীন তত্ত্বাবধান ছিল না। বিজিবি, আনসার/ভিডিপি, এনটিএমসি এবং কার্যকরভাবে র্যাবের মহাপরিচালকরা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করতেন। এনএসআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করত, অন্যদিকে ডিজিএফআই প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কাছে সরাসরি রিপোর্ট করত। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের সুবিধার্থে গুরুতর লঙ্ঘনে এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাগুলি ব্যবহারকে সহজতর করেছিল।
৪. সম্পূর্ণ বন্ধ অভিযান, বিক্ষোভের সাধারণীকরণ এবং সহিংস অস্থিরতা
৪১. বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য, ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে, প্রাক্তন সরকার হাইকোর্টের কোটা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি আবেদন করে, যা মূলত বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছিল। ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় এক জনসভায়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি ১৬ জুলাই প্রাণহানির জন্য আরও সমবেদনা জানান এবং দাবি করেন যে "আমাদের বিক্ষোভকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সহযোগিতা করেছে, ৫৬ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রতিবাদী নেতাদের প্রতি অকৃত্রিম বলে মনে হয়েছিল। ৫৭ বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা দেশের "সম্পূর্ণ বন্ধ" এর ডাক দেয়। বিস্তারিতভাবে বলে যে "হাসপাতাল এবং জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে, তবে অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান চলবে না এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনও যানবাহন রাস্তায় চলতে দেওয়া হবে না।" বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব তাদের অনুসারীদের হরতাল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।5"
42. এই পর্যায়ে, প্রধানমন্ত্রী ডিজিএফএল-এর চলমান প্রচেষ্টার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের, যেমন তার আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে, শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার জন্য নিযুক্ত করেছেন। তবে, সেই পর্যায়ে, ছাত্ররা আর আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল না, কারণ তারা সাম্প্রতিক ছাত্রলীগ এবং তাদের উপর পুলিশের হামলার আলোকে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
43. ১৮ জুলাই থেকে, সাধারণ জনগণও রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলিতে যান চলাচল ব্যাহত করার চেষ্টা করেছিল। এই পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করে। তারা শান্তিপূর্ণ, যদিও প্রায়শই বিঘ্নিত করে এমন বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে রাইফেল, পিস্তল এবং শটগান ব্যবহার করে, কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে, উত্তরা (মামলা 3) এবং অন্যান্য অনেক জায়গায় হত্যাকাণ্ড ঘটায়, পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় সক্রিয়ভাবে বাধা দেয় (মামলা 81 আহতদের জন্য।
৪৪. বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী জনতা যখন আরও ভিন্নধর্মী হয়ে ওঠে, তখন জনতার কিছু অংশ পুলিশ, পরিবহন অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ টিভি ভবন সহ সরকারি ভবনগুলিতে আক্রমণ করে। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় সরকার বিজিবিকে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেয় এবং ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। ১৯ জুলাই, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্যরা রামপুরা ও বাড্ডা (মামলা ৪) এবং ঢাকা এবং সারা দেশে অনেক জায়গায় জনতার উপর গুলি চালায় কিন্তু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বা সহিংস অস্থিরতা দমন করতে পারেনি। সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী মধ্যরাত থেকে কার্যকর জাতীয় কারফিউ জারির নির্দেশ দেন এবং ২৭,০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করেন। ২০ এবং ২১ জুলাই, নিরাপত্তা বাহিনী বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে তারা বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি অবরোধ মুক্ত করতে সামরিক রাইফেল এবং শটগানের গুলি চালায়, যার মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি খালি করার জন্য যাত্রাবাড়ীতে (মামলা ৫) পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৫. বিক্ষোভের তীব্রতা এবং গণগ্রেপ্তার অভিযান
৪৫ ২১শে জুলাই, সুপ্রিম কোর্টের একটি নতুন সিদ্ধান্তে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বংশধরদের জন্য সংরক্ষিত সরকারি চাকরির কোটা ৫ শতাংশের অনেক কমিয়ে আনা হয়। সরকার দ্রুত আদালতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি তার গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করে এবং প্রকাশ্যে এই পরিবর্তনকে স্বীকার করে। তবে, সেই সময়ে, ছাত্র আন্দোলন ইতিমধ্যেই তাদের নিজস্ব দাবিগুলি প্রসারিত করেছিল যার মধ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরও বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরখাস্তের পাশাপাশি ছাত্রদের হত্যাকারী পুলিশ অফিসার এবং ছাত্রলীগ সমর্থকদের জন্য ফৌজদারি জবাবদিহিতার উপর জোর দেওয়া অন্তর্ভুক্ত ছিল। ৬৩
৪৬. রাস্তার বিক্ষোভ সাময়িকভাবে কমে গেলেও, নিরাপত্তা বাহিনী ছাত্র, বিরোধী সমর্থক এবং বিক্ষোভে জড়িত থাকার সন্দেহে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালায়, যাদের প্রায়শই অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ ছাড়াই আটক করা হত এবং অনেক ক্ষেত্রে
কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ছাত্রদের হত্যাকারী পুলিশ অফিসার এবং ছাত্রলীগ সমর্থকদের ফৌজদারি জবাবদিহিতার উপর জোর দেওয়া।
৪৬. রাস্তার বিক্ষোভ সাময়িকভাবে থেমে গেলেও, নিরাপত্তা বাহিনী ছাত্র, বিরোধী সমর্থক এবং বিক্ষোভে জড়িত থাকার সন্দেহে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালায়, যাদের প্রায়শই অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ ছাড়াই আটক করা হত এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরণের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হত। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য অনুসারে, কর্তৃপক্ষ ছয়জন বিশিষ্ট ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার এবং আটক করে। ২৮ জুলাই, গোয়েন্দা শাখার প্রধান জনসাধারণের ক্ষোভের জন্ম দেন যখন তিনি একটি জোরপূর্বক বিবৃতির একটি ভিডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেন, যেখানে আটক ছয়জন ছাত্রনেতা বিক্ষোভের নিন্দা করেন। ৬৪
৪৭. এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙচুর করা মেট্রো স্টেশন (২৫ জুলাই) এবং পুড়ে যাওয়া বাংলাদেশ টিভি ভবন (২৬ জুলাই) পরিদর্শন করেন, পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে আহতদের চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আহত রোগীদের সাথে কথা বলেন (২৬ জুলাই) এবং নিহত ছাত্রদের পরিবারকে তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান (২৮ জুলাই)। এই উপলক্ষে, তিনি প্রকাশ্যে সহিংসতা এবং প্রাণহানির জন্য সমস্ত দোষ বিরোধী দলগুলির উপর চাপিয়ে দেন।
৪৮. ২৬ জুলাই, বিএনপি সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং অন্যান্য শক্তির মধ্যে "জাতীয় ঐক্য" প্রতিষ্ঠার এবং সরকারের পতনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানায়। ৬৬ ৩০ জুলাই, সরকার জামায়াতে ইসলামী এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৬৭
৪৯. এই সমস্ত ঘটনা ২০২৪ সালের আগস্টের শুরুতে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং সহিংস অস্থিরতার পুনরুত্থানে অবদান রাখে।
৬. শেখ হাসিনার বিদায়ের জন্য পুনর্নবীকরণ করা গণবিক্ষোভ
৫০. বিক্ষোভ পুনরায় শুরু হলে, প্রতিবাদ আন্দোলন একটি নতুন, একক দাবির চারপাশে একত্রিত হয়: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের পদত্যাগ। প্রতিক্রিয়ায় প্রাণঘাতী শক্তি সহ ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ সম্পর্কিত উদ্বেগগুলি আগস্টের শুরুতে একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন।
৫১. রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন অব্যাহত ছিল, কিন্তু বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের জন্য অফিসার এবং সৈন্যদের মধ্যে সমর্থন হ্রাস পাচ্ছিল। ৩ আগস্ট, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান একটি বিশাল সেনাবাহিনীর সভা আহ্বান করেন, যেখানে জুনিয়র অফিসাররা তাকে জানান যে তারা বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালাতে চান না, 09
52. প্রতিবাদ আন্দোলন ৫ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রস্থলে একটি গণ-মিছিলের পরিকল্পনা করেছিল ("ঢাকার দিকে মার্চ" দেখুন, মামলা ৬)। ৪ আগস্ট, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যেখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। শিক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন। তারা ঢাকায় মার্চ ঠেকাতে পুনরায় কারফিউ আরোপ এবং তা কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা করেন। ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে, সেনাপ্রধান এবং অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন যে ঢাকায় সমাবেশ করা যেতে পারে। একটি পরিকল্পনায় সম্মতি জানানো হয় যে, প্রয়োজনে ঢাকায় বিক্ষোভকারীদের জোর করে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য পুলিশের সাথে সেনাবাহিনী এবং বিজিবি মোতায়েন করা হবে। ৫ আগস্ট, লক্ষ লক্ষ বিক্ষোভকারী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে মিছিল করে। পুলিশ এবং সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা অনেক স্থানে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায়। সেনাবাহিনী এবং বিজিবি বেশিরভাগ সময় পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের মিছিল করতে দেয়, যদিও সৈন্যরা অন্তত একবার গুলি চালিয়েছিল, যথা যমুনা ফিউচার পার্কে (মামলা ৭)।
৫৩. দেরিতে সকালে, সেনাপ্রধান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের তার বাসভবনে পৌঁছাতে বাধা দিতে পারবে না। দুপুর ২টার দিকে, শেখ হাসিনাকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে এবং তারপর দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই, বিক্ষোভকারীরা তার সরকারি বাসভবনে হামলা চালায়।
৫৪. শেখ হাসিনা যখন দেশ ছেড়ে যাচ্ছিলেন, তখন সেনাপ্রধান তার প্রস্থান ঘোষণা করে একটি ভাষণ দেন। তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়োগ এবং "সকল হত্যার বিচার" করার প্রতিশ্রুতি দেন, পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের ""পথে ফিরে না যাওয়ার" জন্য অনুরোধ করেন।
সহিংসতা, তা সত্ত্বেও, সহিংস জনতা পুলিশ, আওয়ামী লীগের সদস্য, সংবাদমাধ্যম এবং আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত বলে বিবেচিত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছিল। কিছু ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী বিভিন্ন ধর্মীয় ও আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংস নির্যাতনেও লিপ্ত হয়েছিল।
৫৫. ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে, সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ছাত্র আন্দোলনের দাবি মেনে নেয় যে ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হোক, যার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট সুশীল সমাজের নেতারা, যাদের মধ্যে ছাত্র প্রতিবাদী নেতা, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ এবং প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
IV. রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে হত্যাকাণ্ডসহ বিক্ষোভ-সম্পর্কিত মৃত্যু ও আহতের হিসাব
৫৬. এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার সময়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিক্ষোভ-সম্পর্কিত ৮৪১ জন নিহতের রেকর্ড করেছিল, যার মধ্যে ১০ জন মহিলা এবং আরও ১২,২৭২ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯৪ জন মহিলা এবং চারজন "অন্যান্য" হিসাবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি। ৭৩ এই তথ্য সম্ভবত অসম্পূর্ণ কারণ চিকিৎসা কর্মীরা প্রায়শই মৃত ও আহতদের ভিড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন, যার ফলে বেশ কয়েকটি মামলা সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয়নি। ৭৪ বেশ কিছু রোগী কর্তৃপক্ষের গ্রেপ্তার এবং প্রতিশোধ এড়াতে নাম প্রকাশ করেননি বা নাম প্রকাশ করেননি, অথবা নিবন্ধন ছাড়াই চিকিৎসা করা হয়েছিল। ২৫ ধর্মীয় কারণে এবং বিক্ষোভের সাথে জড়িত থাকার কারণে প্রতিশোধের ভয়ে অনেক পরিবার দ্রুত তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ সংগ্রহ করে ময়নাতদন্ত রোধ করতে এবং দ্রুত দাফন নিশ্চিত করতে। কিছু ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত মৃত্যু ও আহতদের নিবন্ধন থেকে বিরত রাখতে ভয় দেখানো হয়েছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রে, পুলিশ মৃতদেহ সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরাও রয়েছেন, এবং পরবর্তীতে মৃতদেহগুলি কতটা মর্গে হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথভাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।"
57. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে প্রদত্ত তথ্য থেকে আরও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অসম্পূর্ণ, বিশেষ করে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত মৃত্যুর তথ্য। তাদের সংগ্রহ করা গোয়েন্দা তথ্য এবং উন্মুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, সরকারের অন্যতম গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) বিক্ষোভের সময় নিহত 314 জনের নাম এবং মৃত্যুর তারিখ OHCHR-কে সরবরাহ করেছে, যাদের NSI অনুসারে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর মধ্যে চার থেকে 17 বছর বয়সী 40 জন শিশু (মোট সংখ্যার 13 শতাংশ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।"
58. মৃত্যুর আরও সম্পূর্ণ অনুমানে পৌঁছানোর জন্য, OHCHR স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের সাথে সুশীল সমাজ সংস্থা সহ অন্যান্য উৎস দ্বারা সংকলিত রিপোর্ট করা মৃত্যুর বিস্তারিত তালিকা তুলনা করেছে এবং নকলগুলি সরিয়ে দিয়েছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে, OHCHR মূল্যায়ন করে যে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩ জন মহিলা সহ ১,৪০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভ-সম্পর্কিত মৃত্যু হতে পারে।
৫৯. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সহ অন্তর্নিহিত তথ্য দুর্ভাগ্যবশত বয়স অনুসারে ধারাবাহিকভাবে পৃথক করা হয়নি। তবে, NSI তথ্য অনুসারে নিহতদের মধ্যে শিশুদের অনুপাত (১৩ শতাংশ) অন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে গোপনে প্রাপ্ত মৃত্যুর দ্বিতীয় অনেক বৃহত্তর নমুনার সাথে মিলে যায়, যেখানে নিহতদের মধ্যে ১২ শতাংশ শিশু ছিল (সেই উৎস দ্বারা রেকর্ড করা ৯৮৬ জনের মধ্যে ১১৮ জন মৃত্যুর রিপোর্ট),
৬০. OHCHR এই প্রতিটি মৃত্যুর অন্তর্নিহিত প্রতিবেদনগুলিকে সমর্থন করেনি, এবং এটিও অনুমান করা যায় না যে এই প্রতিটি মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র দায়ী হতে পারে বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ হতে পারে। তবে, নীচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ আগ্নেয়াস্ত্র, যার মধ্যে রয়েছে সামরিক রাইফেল এবং শটগান, যা মারাত্মক ধাতব গুলি দিয়ে ভরা, যা সাধারণত কেবল বাংলাদেশের পুলিশ, আধাসামরিক এবং সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে।
৬১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত ফরেনসিক মেডিকেল তথ্য, ১৩০ জন মৃত্যুর ফরেনসিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে, ইঙ্গিত দেয় যে সমস্ত মৃত্যুর তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি (৭৮ শতাংশ) (যা OHCHR-এর ১,৪০০ মোট মৃত্যুর এক হাজারেরও বেশি) রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা চালিত আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা সৃষ্ট এবং বাংলাদেশে বেসামরিক নাগরিকদের কাছে সহজলভ্য নয়। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৬ শতাংশ) মৃত্যু উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক স্বয়ংক্রিয় এবং আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে ছোড়া গুলি দ্বারা সৃষ্ট, যা BGB, RAB, সেনাবাহিনী, আনসার/ভিডিপি ব্যাটালিয়ন এবং সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের আদর্শ সমস্যা এবং যা নিয়মিত ব্যবহৃত হত।
![]() | |||||||
১০ নম্বর ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে আবু সাঈদ গুলি করার পর রক্তের মতো থুতু ফেলছেন, যা চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যকে সমর্থন করে যে গুলি তার ঘাড় এবং ফুসফুসে প্রবেশ করেছে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে একজন চিকিৎসা পেশাদার পরে মূল্যায়ন করেছেন যে গুলি আবু সাঈদের ফুসফুসে প্রবেশ করেছে, যার ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়েছে।
OHCHR-এর ফরেনসিক চিকিৎসক আবু সাঈদের মামলার জন্য উপলব্ধ মেডিকেল রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখেছেন যে আন্তর্জাতিক ফরেনসিক মান অনুসারে কোনও যথাযথ ময়নাতদন্ত করা হয়নি। চিকিৎসকের নিজস্ব মেডিকেল প্রমাণ, যার মধ্যে শরীরের ছবিও রয়েছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তার বুকের ডানদিকে কমপক্ষে চল্লিশটি ধাতব গুলির ক্ষত রয়েছে এবং বাম দিকে পঞ্চাশটি ধাতব গুলির ক্ষত রয়েছে, যার মধ্যে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং পেটের চারপাশের অংশও রয়েছে। ফরেনসিক বিশ্লেষণে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে আঘাতের ধরণ এবং বন্টন আবু সাঈদকে প্রায় ১৪ মিটার দূর থেকে প্রাণঘাতী ধাতব গুলির গুলি দিয়ে কমপক্ষে দুবার গুলি করা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজের ফরেনসিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে আবু সাঈদকে গুলি করার ফলে তার ঘাড়, বুক এবং বাহু থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তারপরে হাইপোভোলেমিয়া এবং মাথা ঘোরার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। বিশ্লেষণে এমন কোনও গুরুতর মাথার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি যা মৃত্যুর বিকল্প কারণকে সমর্থন করে, যেমন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় আবু সাঈদের মাথা মাটিতে আঘাত করা। যথাযথ ময়নাতদন্তের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, নথিভুক্ত ক্ষত এবং সম্পর্কিত ভিডিও ফুটেজ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে যে আবু সাঈদকে কমপক্ষে দুটি গুলির ফলে প্রাণঘাতী ধাতব গুলি দ্বারা হত্যা করা হয়েছিল,
প্রাপ্ত এবং বিশ্লেষণ করা তথ্যের ভিত্তিতে, OHCHR এর বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে আবু সাঈদ পুলিশের দ্বারা ইচ্ছাকৃত বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।
মারাত্মক গোলাবারুদ ভর্তি শটগানের পদ্ধতিগত নির্বিচার ব্যবহার
আবু সাঈদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের একটি বৃহত্তর প্রবণতার প্রতীক, যেখানে বিক্ষোভের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের উপর প্রাণঘাতী ধাতব গুলি ভর্তি শটগান ব্যবহার করা হয়।
মারাত্মক গোলাবারুদ ভর্তি শটগানের পদ্ধতিগত নির্বিচার ব্যবহার
আবু সাঈদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের একটি বৃহত্তর প্রবণতার প্রতীক, যেখানে বিক্ষোভের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের উপর প্রাণঘাতী ধাতব গুলি ভর্তি শটগান ব্যবহার করা হয়।
Systematic indiscriminate use of shotguns loaded with deadly ammunition
The extrajudicial killing of Abu Saeed is emblematic of a larger trend by Bangladesh police, in which shotguns loaded with lethal metal bullets are used on protesters from the initial stages of the protests to the end.
প্রাণঘাতী গোলাবারুদ বোঝাই শটগানের পদ্ধতিগত নির্বিচারে ব্যবহার
শটগানের মাধ্যমে আবু সাঈদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিক্ষোভের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর শর্ট-ব্যারেল, স্টকবিহীন শটগান গুলি পরিকল্পিতভাবে গুলি চালানোর বৃহত্তর প্রবণতার প্রতীক।
Systematic indiscriminate use of shotguns loaded with lethal ammunition
The extrajudicial killing of Abu Saeed with a shotgun is emblematic of a larger trend of the systematic firing of short-barreled, stockless shotguns at protesters from the early stages of the protests to the end.
মারাত্মক গোলাবারুদ বোঝাই শটগানের পদ্ধতিগত নির্বিচার ব্যবহার
শটগানের মাধ্যমে আবু সাঈদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিক্ষোভের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর শর্ট-ব্যারেল, স্টকবিহীন শটগান গুলি পরিকল্পিতভাবে গুলি চালানোর একটি বৃহত্তর প্রবণতার প্রতীক।
বাংলাদেশে, জনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় শটগান হল স্ট্যান্ডার্ড ইস্যু অস্ত্র। পুলিশ অফিসাররা এগুলি বহন করে দুইশ ২-৩ মিমি ধাতব গুলি ধারণকারী গোলাবারুদ কার্তুজ এবং ছয় থেকে আটটি বড় রাবার বুলেট ধারণকারী কম-মারাত্মক গোলাবারুদ দিয়ে ভরা অন্যান্য কার্তুজ নিয়ে মোতায়েন থাকে। ২০২২ এবং ২০২৩ সালে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে, পুলিশ ত্রিশ লক্ষেরও বেশি ধাতব শট কার্তুজ অর্ডার করেছিল, যা একই সময়ের মধ্যে অর্ডার করা রাবার বুলেটের দ্বিগুণেরও বেশি। এটি পুলিশের দ্বারা প্রাণঘাতী ধাতব শটের উপর উচ্চ স্তরের নির্ভরতা এবং ব্যাপক ব্যবহারের একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত।
(অনুবাদ চলমান, পরবর্তী অংশ পেতে অপেক্ষায় থাকুন, কাজ চলছে...)
দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক. শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...