"বাংলাদেশের যেসকল আলেম সবার আগে জাহান্নামি হবে"

মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা অতিশয় দয়ালু। ভীষণ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ। একই সঙ্গে তিনি মন্দ কাজের কঠোর শাস্তিদাতাও। কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি দেন। তবে যদি গুনাহগার ও অন্যায়কারী নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেয় তাহলে ভিন্ন কথা।
সাধারণত প্রতিটি মানুষই গুনাহ করে। কেউ বেশি, আবার কেউ কম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ অনেক সময় আল্লাহকর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজ করে ফেলে। কিন্তু একজন মুসলিম গুনাহ করে তাওবা করবে- এটিই স্বাভাবিক।
আল্লামা ইবনে কাইয়্যুম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, যে গুনাহ করে সে মানুষ। যে গুনাহ করে তার ওপর অটল অবস্থানে থাকে সে শয়তান। আর যে গুনাহ থেকে তাওবা করে, সে হলো মুমিন।
মানুষ যখন আমল করে— তখন তার সামনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ত বা উদ্দেশ্যের প্রশ্ন চলে আসে। সে কী আল্লাহর জন্য ইবাদত করছে— নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করছে; সেটি ঠিক করার পরেই ইবাদাত কবুল হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যায়। মানুষ যদি নিজের আমলকেই বড় মনে করতে থাকে অথবা লোক-দেখানো উদ্দেশ্যে সালাত, জাকাত আদায়, ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও জিহাদ করে, তাহলে সেটি দয়াময় আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন না।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে উল্লিখিত রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার মনে যাররা (যবের দানা পরিমাণ) গর্ব বা অহংকার থাকবে— সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এরপর জনৈক ব্যক্তি বললেন, মানুষ এটাই পছন্দ করে যে তার পোশাক সুন্দর হোক, এমনকি তার জুতা জোড়াও সুন্দর হোক (তাহলে তাও কি অহংকার)? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ সুন্দর ও তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। আসলে অহংকার হচ্ছে সত্য ও ন্যায়কে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯১; সুনানে আত-তিরমিজি, হাদিস : ১৯৯৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৯১; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৩৭৭৯)
তিন ব্যক্তি সবার আগে জাহান্নামে যাবেঃ
সবার আগে তিন ব্যক্তিকে জাহান্নামে পাঠানো হবে। হাদিসে এসেছে, ওই তিন ব্যক্তির নিয়ত শুদ্ধ ছিল না। অর্থাৎ তারা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করেনি।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের সবার আগে যাদের বিচারের জন্য আনা হবে— তাদের মধ্যে অন্যতম দানবীর, আলেম ও আল্লাহর পথে জিহাদকারী শহীদ। আল্লাহ তাআলা প্রথমে শহীদকে নেয়ামতগুলো দেখিয়ে প্রশ্ন করবেন, ‘এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কী করেছো?’ সে উত্তর দেবে, ‘আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি।’ তখন আল্লাহ বলবেন : ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি শহীদ হয়েছো— লোকে যাতে তোমাকে বীর-বাহাদুর বলে। তুমি সেটি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। সে কারণে এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ তখন তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এরপর একজন দানবীরকে উপস্থিত করে করা হবে। তাকে দেওয়া সম্পদ দেখিয়ে আল্লাহ বলবেন, ‘এসব নেয়ামতের পরিপ্রেক্ষিতে তুমি কী করেছো?’ সে উত্তর দেবে, ‘আমি আপনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এ সম্পদগুলো আপনার পথে ব্যয় করেছি।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি দান করেছো যাতে লোকে তোমাকে দানবীর বলে। তুমি সেটি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। সে কারণে এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ তাকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
এবার একজন আলেমকে নিয়ে আসা হবে। আল্লাহ তাআলা আলেমকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তোমাকে আমি যে জ্ঞান দিয়েছিলাম— সেটি তুমি কোন পথে ব্যয় করেছো?’ তখন সে বলবে, ‘আমি আপনাকে খুশি করার জন্য সে জ্ঞান অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি মিথ্যা বলেছো। তুমি এসব জ্ঞান অন্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছো— যাতে লোকেরা তোমার প্রশংসা করে এবং তোমাকে প্রাধান্য দেয়। সেটি তুমি দুনিয়ায় পেয়ে গেছো। তাই এখানে তোমার কোনো প্রাপ্য নেই।’ এরপর তাকেও জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮২)
এখন আসেন বাংলাদেশের বেশীর ভাগ আলেমদের চরিত্র বর্ননা করি।
১। মাহফিলে প্রত্যেক আলেম নিজের গুনকীর্তন ২মিনিটের জন্য হলেও করে।এমনও আলেম দেখা যায় অহংজকারের চোটে স্টেজ পছন্দ না হলে ওয়াজ করে না।
২। এমন কোনো আলেম নাই যারা ব্যাংকের সুদি মাধ্যমে লেনদেন করে অথচ মসজিদে বা বক্তৃতায় কখনো এটা যে হারাম তা বলে না।
৩। কওমী মাদরাসার একটা বিশাল অংশ শিশু বলাদকার ও সমকামীতার সাথে জড়িত এবং কওমী আলেম উসামা সহ অনেকের বকৃতব্য মতে শতকরা ৯০ ভাগের বেশী আলেম সরাসরি সমকামীতায় জড়িত(এটা কওমী আলেম ও মিডিয়ার তথ্য মতে)।তা ছাড়াও হাসান জামিলের মত কওমী আলেমরা নিজের ইবাদত নিয়ে গর্ব করতে করতে হযরত আবুবকর (রা:) এর সাথে তোলনা কর বসে, চিন্তা করেন এসকল ওলামা কতটা অহংকারী হয়।
৪। আলিয়া মাদরাসার ১০০% আলেম বিনা বাক্যে অনৈসলামিক সরকারের পুরোপুরি আনুগত্য করে।
৫। আহলে হাদিস নামক মডিফাইড খ্রিস্টান তথা ওহাবী মতাদর্শের আলেমরা ১০০% বাতিল সরকারের আনুগ্যকারী ও শায়েখ পূজার নামে ব্যক্তি পূজার মত মুশরিকী কাজে লিপ্ত, তারা এক শায়েখের অনুসারীরা অন্য শায়েখকে সহ্য করতে পারে না।
৬। চরমোনাই ওয়ালারা ১০০% পীরের মূরীদ, পীর পূজার নামে ১০০%ব্যক্তি পূজারী।
৭। মাজার পূজারী নাম ধারী সুন্নীরা ১০০% শিরকী কাজে লিপ্ত।
৮। দূর্গা পূজা -২০২৪শে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের বহু আলেম পূজা মন্ডপে গিয়ে মা দূর্গার আরাধনা, গান, গজল, প্রহরা, মূর্তী আঁকা শেরওয়ানী পড়া থেকে মন্ত্র পড়া পর্যন্ত সব কিছু করে প্রমান করলো এদেশের বেশীর ভাগ আলেম তাদের আমানত খেয়ানত করেছে।
এজন্যই বলছি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ আলেমই সবার আগে জাহান্নামে যাবে।
বর্তমানে ঈমান বাঁচানো হাতে জল্ত অঙ্গার রাখার মতই।
লেখক:চিকিৎসক, জার্নালিস্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ