"জামায়াত চোখ খুলেন, কাগুজে বাঘ আর বাস্তব বাঘ চিনতে শিখুন"
![]() |
কাগুজে বাঘ |
২০১৪ সালে সিলেটের মেয়র নির্বাচনের কথা করো মনে আছে? আওয়ামী প্রার্থী ছিলো আরিফুল হক, বিএনপি ও জামায়াত তখনও জোটে ছিলো কিন্তু জামায়াত জোটবদ্ধ নির্বাচন করে নি,তারা বলে ছিলো তাদের ১৫-২০% ভোট আছে মহা নগরীতে,তাই তারা আলাদা নিবাচনে অংশরহন করেছিলো। সে বার মেয়র প্রার্থীর জামানত টিকে নি এবং অনেক কাউন্সলরেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে ছিলো।
লক্ষীপুর বার নির্বাচনের মতো, কক্সবাজার আইনজীবী ফোরাম নির্বাচনেও জামাতের বিশাল ভরাডুবি!!
লক্ষীপুর বার কাউন্সিল নির্বাচনে, একই প্যানেলে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার জন্য লক্ষীপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জামাতের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। যাতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তির একজনও সেখানে জয়ী হতে না পারে ।
জামাত বিএনপির প্রস্তাব পেয়ে সরাসরি সভাপতি পদ চেয়ে বসে। বিএনপি তাদের সাধারণ সম্পাদক পদ নিতে বলেন, যেহেতু বিএনপি বড় দল । বিএনপি'র প্রস্তাব তারা সরাসরি প্রত্যাখান করে আলাদা ফুল প্যানেলে নির্বাচন করে।
ফলাফলঃ-
সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক দুটা পদেই বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। বাকী পদ গুলাতেও বিএনপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। শুধুমাত্র মাঝখান থেকে আওয়ামী লীগ ৪টি পদ জিতে নেয়।
আর প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী ও নিজেদের সর্বসেবা ভাবা জামায়াত প্রাপ্তির খাতা শূন্য রেখে সব গুলা আসনে পরাজিত হয়।
এই দিকে আবার,
লক্ষীপুর বার নির্বাচনের মতো কক্সবাজার আইনজীবী ফোরাম নির্বাচনেও জামাতের একই অবস্থা।
কক্সবাজার আইনজীবী ফোরাম নির্বাচনের ফলাফলঃ-
বিএনপি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ- ৯ টি পদে জয়ী।
জামায়াত- ৬ টি পদে জয়ী।
আওয়ামী লীগ (স্বতন্ত্র)- ২ টি পদে জয়ী।
মাঠের ভোট আর অনলাইনের পার্থক্য এখানেই। অনলাইনে বিভিন্ন বট আইডির দৌরাত্ম ও মিথ্যা মিডিয়া হাইপে অনেক কিছু মনে হলেও বাস্তবে ফলাফল সব সময়ই ভিন্ন আসে। এটা অনেকটা অনলাইনে চকচকে শাড়ী অর্ডার দিয়ে বাস্তবে পুরাতন শাড়ী হাতে পেলে যেমন হয় সেরকম।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও বিএনপি এখনকার মতো মিডিয়া ওয়ারের শিকার হয়েছিলো। তখন মিডিয়ায় বসে থাকা সকল আওয়ামী মদদপুষ্ট কর্মকর্তারা একটি ঘৃণ চক্রান্তের আশ্রয় নেয়।
তারা এক দিকে বিএনপি এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়, অন্যদিকে বিএনপির সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র জামায়েতের পক্ষে নিয়মিত গুনগান মূলক প্রচারণা চালায়। এমন ভাবে গুনগান করে যেন জামায়াত বাংলাদেশের ১০০টি আসন পেয়ে যাবে। জামায়তকে এমন ভাবে কনভেন্স করে যে, এই নির্বাচনে জামায়েতের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। আর যদি বাই চান্স ক্ষমতায় আসতে নাও পারে তাহলে বিরোধী দল হবে নিশ্চিত।
কিন্তু বিএনপি ১/১১ এর ফাঁদ সম্পর্কে অবগত ছিলো। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে, মরহুম আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের পরামর্শে জামায়ত বিএনপিকে হুমকি এই মর্মে হুমকী দেয়, আপনারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও আমরা নিব। কারণ মিডিয়ার আই ওয়াশে জামায়ত অলরেডী ভাবা শুরু করেছিলো তারা ক্ষমতায় অথবা দেশের বিরোধীদল। এটাই মোক্ষম সুযোগ। বিএনপি হয়তো এই জন্যই নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে না!
ফলে বাধ্য হয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়,ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছিলো,১টি আসনও জয় করতে পারে নি, যদিও ২০০৮ এর নির্বাচনে স্থুল কারচুপি ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার এক বিশাল নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের কথা এখন উঠে আসছে।
এবারের নির্বাচনেও যেন জামায়াত এমন ভুল করে না বসে সে পরামর্শ থাকবে তাদের দলের নেতৃত্বের প্রতি। বাস্তবতা আর মিডিয়া এক জিনিস নয়, বাস্তবতা আলাদা।
এখন জামায়াত তাদের পালে যে হাওয়া অনুভব করছে তা আওয়ামিলীগ এর কিছু লোক তাদের দলের সাথে মিশে কিংবা জামায়াতের দলের ছায়াতলে থেকে নিজের পীঠ বাঁচানোর জন্য। মনে রাখবেন আওয়ামিলীগ জাতে মাতাল তালে ঠিক। জামায়াত যে জনপৃরিয়তা দেখছে এটা ভারতীয় 'র' এর নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার আইওয়াশ। মিডিয়ার তৈরী জনপ্রিয়তা কাগুজে বাঘ কিংবা হাসিনার কল্পিত রাসেল ভাইপার যার অস্তিত্ব বাস্তবে নাই কিন্তু তা নিয়েই ফোলে ফেঁপে কলাগাছ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ