expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আহলে হাদিস নামক ব্রিটিশ ধর্মের চুড়ান্ত ভন্ডামী

 "আহলে হাদিস নামক ব্রিটিশ ধর্মের ভন্ডামী"



আহলে হাদিস ধর্মের নেতা

এদের ভন্ডামী ও গোড়ামীর একাংশঃ
এরা যা আমল করে সেগুলো সহীহ হাদীছ। যা করে না তা বেদয়াতী, কুফরী, শিরকী আমল। অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। যে সমস্ত হাদীছ তাদের দলের/মতের পক্ষে সেগুলোকে বলে ছহীহ হাদীছ। আর যে হাদীছগুলো তাদের মতের বিরুদ্ধে যায় সেগুলো ছহীহ হলেও তারা বলে এটা জাল হাদিস। (নাউযুবিল্লাহ) বুখারী শরীফ খুলে যা বুঝবে তাই আমল করবে। কাউকে অনুসরণ করবে না বা কোন বিশেষজ্ঞদের নিকট জ্ঞান অন্বেষণ করবেনা।

মাযহাব মানা বেদয়াত ও নাজায়েয। অথচ মাযহাব অনুসরণ করেছিলেন বুখারী, মুসলিম, তিরিমীযী, আবু দাউদ, নাসাঈ সহ সমস্ত হাদীছ শরীফ এর লিখকগণ এবং হক্কানী রব্বানী আলিম ওলামাগণ সকলেই। এমনকি মদীনায় মালেকী মাযহাব এবং মক্কা শরীফে হাম্বলী মাযহাবের প্রচলন রয়েছে।

বড়ই আশ্চর্যের বিষয় যে, রমযান এলে বেনামাযী নামাযী হয়ে যায়। ফরজ যারা পড়তেন তারা নফল পড়া শুরু করেন। সকল আমলকে বাড়িয়ে দেন। যে কুরআন পড়েনা, সেও কুরআন পড়তে শুরু করে। যে নফল দুই রাকাত পড়ত সেও ৪ রাকাত বা বেশি পড়তে থাকে। কিন্তু এই নাফরমান, ওহাবী, গায়রে মুকাল্লিদ, আহলে হাদীছ গ্রুপ ২০ রাকাত তারাবীহকে কমিয়ে ৮ রাকাত পড়ে। তারা যে বুখারী শরীফের দলীল যে তাতে তারাবীর নামাযের কথা নেই। মক্কা-মদীনা শরীফেও ২০ রাকাত তারাবীহ পড়া হয়। মুলতঃ তারাবীর নামায বিশ রাকায়াত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম-এর যুগ থেকেই শুরু হয়েছে। (মুসান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ২/২৮৬, আবু দাউদ ১/২০২, বাইহাকী ২/৯৬) ফেতনাবাদ এই দলের অযৌক্তিক প্রশ্ন “তোমরা

মুহাম্মদী না হানাফী ? ওদের এই প্রশ্নটিই একটা ধোঁকাবাজি। এরকম প্রশ্ন মূর্খতা ছাড়া কিছু নয়, আজ শনিবার নাকি ৫ তারিখ? আজ নভেম্বর নাকি রবিবার? প্রশ্ন হবে সামঞ্জস্যতামূলক আজ শনিবার নাকি রবিবার? আজ নভেম্বর নাকি ডিসেম্বর? সুতরাং এক্ষেত্রেও প্রশ্ন হবে-“তুমি মুহাম্মদী না ঈসায়ী? তুমি হানাফী না শাফেয়ী?” কিন্তু একথা বলা ভুল- আজ নভেম্বর না শনিবার? তুমি হানাফী না মুহাম্মদী?” আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। এরা মুহাম্মদি পরিচয় দিতে চায় কিন্তু আমরা উপরে ইতিহাস পড়েছি যে, এরা কথিত আহলে হাদীছ যারা ছিল ইংরেজদের দালাল তথা ওহাবী ।

এরা সন্দেহ সৃষ্টির এক ভয়ানক দল: আহলে হাদীস গ্রুপ ইংরেজদের হওয়ার কারণে, নবীজির শান মুবারকে মানহানি ও সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের সমালোচনায়, এবং জঙ্গিপনায়, দুর্নীতি মামলায় জর্জরিত। এসবের দিকে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং যেই লোকগুলো নামায পড়ছে তাদের মনে ওয়াসওয়াসা তথা সন্দেহ সৃষ্টি করে দিয়ে বলছে যে, তোমাদের নামায হয়না। তোমাদের নামায মুহাম্মদী নামায নয় হানাফী নামায। এদের ওয়াসওয়া থেকে আশ্রয়ের জন্য আল্লাহ তায়ালা শিক্ষা দিয়েছেন যে, যারা মানুষের মনে ওয়াসওয়াসা তথা সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয় মানুষ ও জিন জাতির মধ্য থেকে তাদের থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। {সূরা নাস-৫-৬} তথাকথিত আহলে হাদীছ নেতাদের সম্পর্কে জাতীয় পত্রিকায় যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে তার একাংশ: সোনালী ব্যাংকের আরো ঋণ জালিয়াতির তথ্য ফাঁস ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২ (বাসস) : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক অর্থ জালিয়াতির ঘটনা তদন্তকালে আরো কিছু কোম্পানীর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ......

অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন, সম্পদের বিষয়ে তথ্য গোপন, অর্থ পাচার ও প্রতারণার অভিযোগে দুদক গত এক মাসে জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ মোট ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এনজিও'র মাধ্যমে দেশ ও 
দেশের বাইরে থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে তার অপব্যবহার করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অপসারিত শিক্ষক ড. আসাদুল্লাহ গালিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। (বাসস সংবাদ সংস্থা)

আহলে হাদীস আন্দোলন নেতা গালিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী জানান,|ল আহলে হাদীস আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় থেকে বেআইনীভাবে ব্যবসায় জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। .... মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কুয়েতের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে ইসলামের প্রচার, প্রসার ও সমাজ কল্যাণের স্বার্থে ১৯৯০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকার পে-অর্ডার দেন। ওই পে-অর্ডার ড. গালিব নিজের নামে খোলা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহী শাখায় (হিসাব নম্বর-১৭৪৮) জমা করে পরবর্তীতে ব্যাংক হতে অর্থ তুলে বিভিন্ন খাতে খরচ করেন।

সরকারী বেতনে নিয়োজিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং দ-বিধির ২১ ধারা অনুযায়ী পাবলিক সারভেন্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাওহীদ ট্রাস্ট গঠন করে চেয়ারম্যান/আমির পদে নিয়োজিত থেকে বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাখ লাখ টাকার নির্মাণ কাজের চুক্তি ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারী কর্মচারী হয়ে বেআইনী ব্যবস্থায় জড়িত হয়েছেন, যা দ-বিধির ১৬৮ ধারার অপরাধ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সরকারী কর্মচারী হিসেবে বহাল থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে লাভজনক বেসরকারী এনজিওর সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ ২ নম্বর আইনের ৫ (১) (ডি) বর্ণনামতে ওই আইনের ৫ (২) ধারার অপরাধ করেছেন বলেও এজহারে বলা হয়।

(২৪-০৮-২০১২, দৈনিক জনকণ্ঠ, কালের কণ্ঠ, প্রথম আলো সহ সকল জাতীয় পত্রিকা) দুর্নীতি মামলায় জামিন পাননি ড. গালিব বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর, ২৯ আগস্ট, ২০১২, ঢাকা: আহলে হাদিস আন্দোলনের আমির ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের শিক্ষক ড. আসাদুল্লাহ আল গালিবের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন উপস্থাপিত হননি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, জঙ্গি মদদদানের অভিযোগে ২০০৫ সালে ড. গালিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরবিরুদ্ধে দায়ের করা হয় একাধিক মামলা। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেতাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তবে ২০০৮ সালে তিনি জামিনে ছাড়া পান। ... উল্লেখ্য যে,এরা আব্দুল্লাহ বিন সাবার কায়েম মোক্বাম আব্দুল্লাহ বিন সাবা যেমন মুসলমনাদের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে সুচারুভাবে। ঠিক একই কাজ করছে এই ইংরেজ প্রসূত দল গায়রে মুকাল্লিদ ওহাবী তথা আহলে হাদীস গ্রুপ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...