expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আলেম সমাজের ওয়াজ ও বোকা শ্রোতা

 আলেম সমাজের ওয়াজ ও বোকা শ্রোতা 

ওয়াজ নামের সার্কাস


হুজুরদের ব্যাপারে কথা বলা বা তাদের দোষ ধরা এই লেখার উদ্দেশ্য না। আর এটা আমার কাজও না। এজন্য সবার কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার জন্য আর মুখ বন্ধ রাখতে পারলাম না। তাই কেউ কিছু মনে করবেন না। 
আামরা জানি আলেম গন নায়েবে রাসুল, তাই আমরা তাদের সন্মান করি। তবে আমরা মানি বলে উনারা আমাদের বোকা বানাবেন, কথায় কথায় কাফের বলবেন, এটা কেন? উনারা মিথ্যা বলবে আর আমরা মেনে নিতে হবে কেন? এক হুজুর বল্ল(জনাব তারেক মনোয়ার) তিনি কেমব্রীজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সেরা শিক্ষক, আবার বলে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসায় দাওয়াত খায়। আরেক হুজুরতো (কুয়াকাটা) জ্বিনের সাথে কথা বলে চুল কাটে। আব্বাসী তো কাফের ছাড়া আর কিছুই বলেনা(যদিও এখন উনি অনেক সংযত কথা বলেন)।

আবার দেখলাম মাও. মাসুদ ইবনে মুজিব ফারুকী কুয়াকাটার হুজুরকে জুতাপেটা করার জন্য স্টেজে সরাসরি জুতা নিয়ে আসলেন। ছিছি! আর কত নীচে নামতে পারেন আপনারা? 
একদিন আগে দেখলাম কুয়াকাটার হুজুর আশরাফুল মাখলুকাত  মানুষকে কুকুরের সাথে তুলনা করে কুকুরকেও বেহেস্তে নিয়ে যাবে বল্লেন।আর কত অন্ধ বিশ্বাস করব? হুজুররা যা বলেন তাই ঠিক মনে করতে হবে কেন? উনার ঐ ওয়াজটাতো শোনলাম। ওরে বাটপার বলে যে গালি দিয়েছিলেন এটাও কি আমার বুঝার ভুল ধরে নেব? বৃষ্টি না হলে জন প্রিয়তা দেখাইতে, কারে দেখাতে? এটা কোনো আলেমের ভাষা?

উনি কি ভিত্তিহীন কীচ্ছা কাহিনী মাহফিলে বলেন না?
আমি সম্পূর্ন কথা না শোনে মন্তব্য করি না, আপনাদের অনুরোধ করব আপনারা নিজে নিরপেক্ষ ভাবে ভাল করে শোনুন ওয়াজ গুলো।
কিছু হুজুররা সবাইকে বোকা মনে করে। বোকা বানানোর দিন শেষ। বাংলাদেশে প্রত্যেকটা কওমী মাদরাসার হুজুররা যে তাবিজ ব্যবসা করেন তা কি জায়েজ? 
কুয়াকাটার হুজুরও তাবিজ ব্যবসা করেন তাই বলে এটা হালাল হয়ে যাবে?
উনি নাকি জ্বিনের সাথে কথা বলে, জ্বিনকে জিজ্ঞাসা করে সেলুনে আর চুল কাটে না, এটাও বিশ্বাস করতে হবে সকল মুসলমানকে? উনি জ্বিন দেখেছেন? 
উনারা জাহাজে করে মুরীদ নিয়ে যাবে বেহেস্তে তাও সত্য?
কে দিল এই ক্ষমতা উনাদেরকে?
এই যে এক আলেম আরেক আলেমকে ওয়াজের স্টেজে জুতা হাতে নিয়ে গালাগাল দিচ্ছে। আহারে আলেম সমাজ আর বোকা মুসলমান! ধিক্কার জানাই এসব আলেমদের যারা জ্ঞান পাপী,ধর্ম ব্যবসায়ি ও হিংসা ছড়ায়।
এসব আজগুবী কথা আর মানুষ মানেন না। আর এসব দেখতে কারো ভাল লাগে না।
মানুষকে বোকা ভাবা বন্ধ করুন, আপনাদের সব কথা বিশ্বাস করি না, কোরআন ও হাদীসের সামঞ্জস্য নয় এমন কথা আর গেলাতে পারবেন না।
এক চরমোনাই ভক্ত বলতে শোনলাম বাঘ নাকি হুজুরের পায়ে সালাম করে। আমার প্রশ্ন এইঘটনা কি আপনি আর আপনার পীর হুজুরই দেখেছেন না অন্য আরোও কেউ উপস্থিত ছিল? মিথ্যা বলার একটা সীমা থাকা উচিৎ। আপনাদের মিথ্যা গল্পের কারনে ইসলাম বিরোধীরা হাস্যরস করে।
এভাবে মানুষকে বোকা বানাতে থাকলে সেই দিন হয়ত বেশী দূরে নয় মাহফিলের পেন্ডেলে হুজুরদের মানুষ প্রতিহত করবে।আসলে প্রতিহত করছেও।

কারন প্রত্যেকটা মাহফিল হয় চাঁদা নামক ভিক্ষার টাকায়।
আর এই ভিক্ষার টাকা নেয়ার জন্য ওয়ায়েজিয়ানরা কোরআন হাদীস বাদ দিয়ে বানানো কিচ্ছা বলে মানুষ জমাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত জেনে শোনে একে অন্যের গীবতের মত অপরাধটি করে,লোক জমানোর প্রতিযোগীতা করে।  এ কেমন ধর্ম ব্যবসা হুজুরদের?

আর আমরা স্রোতাদের আপনারা বোকা মনে করছেন।
অথচ গীবত সম্পুর্ণ হারাম। এসকল হুজুরদেরও তো একই আল্লাহ, একই নবী, একই কোরআ'ন, একই হাদীস এবং একই কেবলা। এত সব মিল হওয়ার পরও  তবে একহওয়া তো দূরের কথা একে অন্যের অন্যের প্রকাশ্যে গীবত করছেন কেন? কেন এত বিভাজন?

মাহফিলে হাসাহাসি, অনর্থক শব্দ করা, লাফিয়ে বাঁশে উঠা ইত্যাদি কি ইসলামী আলোচনার মধ্যে পড়ে?
 কারন একটাই লোভ, অহংকার আর ধর্মকে সম্পত্তি মনে করা।
আমার দাবী আপনারা আগে হেদায়েত হউন তার পর অন্যকে হেদায়েতের দাওয়াত দিন।

লেখকঃ চিকিৎসক ও সাংবাদিক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...