expr:class='"loading" + data:blog.mobileClass'>

Wikipedia

সার্চ ফলাফল

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জুলাই বিপ্লবে মাস্টার মাইন্ড কে?

 "রক্তাক্ত জুলাই বিপ্লবের আসল মাষ্টারমাইন্ড"



জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ইতিহাসের জঘন্য খুনী হাসিনাকে হটানোর পর হতে মূল মাষ্টার মাইন্ড কে এটা নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা।কিন্তু আদতে কে সেই মাষ্টার মাইন্ড তা কেউ জানে না। চলুন আসল মাষ্টার মাইন্ড কে তা জানা যাক।

মাষ্টার মাইন্ড মানে কি?
মাস্টারমাইন্ড হল মূল ধারণা সংবলিত একজন সুস্পষ্ট চিন্তাবিদ,পরিকল্পনা কারী,পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী। যিনি রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিপ্লব, দাবা কিংবা ফৌজদারী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হতে পারেন: যেভাবেই হোক, মানুষ তাকে বিনা সন্দহে মূল পরিকল্পনা কারী ও পরিকল্পনা নিয়ন্ত্র ও বাস্তবায়নকারী হিসাবে স্বীকৃতি দিতে কুন্ঠা করে না।

বুঝা গেলো কেউ কোনো ঘটনার বিষয়ে মাষ্টারমাইন্ড হওয়া মানে সে মূল ঘটনা পরিকল্পনা করে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকল কাজ চালাবে।

মাষ্টার মাইন্ড হতে হলে ঘটনায়,
১। একজন মূল পরিকল্পনা কারী লাগবে।
২। এইকাজের সুস্পষ্ট একটা লক্ষ্য থাকবে।
৩।পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে এই পরিকল্পনা কারীর মর্জি মত।
৪।আগাগোড়া পরিকল্পনা কারিই নিয়ন্ত্রণ করবে।

জুলাই আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহঃ
১। প্রথমে স্বৈরাচার হসিনা ভারতে সফরে গিয়ে ভারতকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিনা শুল্কের করিডোর অনুমতি দিলো আর এই ঘটনা আলোচনার বাইরে রাখার জন্য আজগুবী রাসেলস ভাইপার সাপের ঘটনা মিডিয়ায় চালু করে দিলো।

২।তার পর সে চীনে গিয়ে খালি হাতে ফিরে সরকারী চাকুরীতে কোটা পদ্ধতি পুন:বহাল করালো ইচ্ছে করে যাতে ভারতকে দেওয়া অসম চুক্তিগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। 

৩। এর পর হতে প্রতিদিন হাসিনা ছাত্রদের উসকানী দিতে থাকে যাতে ছাত্ররা আরো ক্ষীপ্ত হয়।

৪। তার পর হাসিনা বিরোধী মতের ছাত্রদের টার্গেট কিলিং শুরো করে।

৫।কোটা বিরোধী ছাত্ররা বারং বার বলে আসছিল এই আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক দলের হাত নাই, এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন। 

৬। সকল রাজনৈতিক দল একযোগে বলে আসছিলো এই আন্দোলনে তারা কেউ জড়িত না।

৭।৩০ জুলাইয়ের আগের দিন পর্যন্ত পরিস্থিত  দিন দিন উত্তপ্ত হলেও হাসিনকে সরানোর কোনো দাবী কারো ছিলো না।বরং ৯ দফা দাবী ছিলো।

৮। একদফা দাবীর আগ পর্যন্ত আওয়ামি লীগেরও একটা বিশাল অংশ আন্দোলনের পক্ষে কাজ করেছিলো।পরে একদফা দাবী উঠলে তারাই ছাত্রদের পক্ষ হতে সরে পড়ে।

৯।হঠাৎ হাসিনার গন হত্যার বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ও ছাত্রদের রক্ত দেখে আওয়ামী ডেভিলরা ব্যতিত দেশের সকল নাগরিক হাসিনা পদত্যাগের দাবীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছাত্রদের সাথে আন্দোলনে যুক্ত হয় দেশের সর্বস্তরের জনগন। 

১০। আগা হতে গোড়া এই আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেরই যেখানে মিল নাই সেখানে মাষ্টার মাইন্ড এর বিষয়টাই তো আসে না।

আন্দোলন যেখানে শুরু হয় টার্গেট নিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যাবে ছাড়া বাড়ি, আন্দোলন হাসিনাকে নিয়ে চলে গেলো শ্বশুর বাড়ি। তাইলে এখানে একক মাস্টার মাইন্ড এর বিষয়টা আসলো কোত্থেকে?

মাস্টার মাইন্ড যদি কিছু হয়েই থাকে তাইলে হাসিনার পাগলামী আর ছাত্র-জনতার রক্তই হাসিনাকে পতনের মূল মাস্টার মাইন্ড। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে!

  দলিল প্রমাণসহ রবীন্দ্রনাথের কুকর্ম তুলে ধরা হলো, কষ্ট করে পড়ুন—কত জঘন্য ব্যক্তি ছিল সে! এক.   শুনতে খারাপ শোনালেও এটা সত্য, রবীন্দ্রনাথের...