শাবান মাসে হালুয়া রুটির ফজিলত
এ বিষয়ে দারুর রাশাদ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও মিরপুর বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী ঢাকা পোস্টকে বলেন, উহুদ যুদ্ধ তো শাবান মাসের ১৫ তারিখে হয়নি তা হয়েছে শাওয়ালের ৭ তারিখে। সুতরাং যদি সে কেন্দ্রিক কোনো বিষয় থাকত তাহলে তা শাওয়াল মাসের ৭ তারিখে থাকত শাবানের ১৫ তারিখে নয়।
তিনি বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে অনেক কাজ-কর্মে শিয়াদের কিছু প্রভাব রয়েছে। তাদের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি খাওয়ার এই প্রচলন শুরু থাকতে পারে।
এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিববান, হাদিস: ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস: ৬২০৪)।(হাদিসবিশারদদের মতে, হাদিসটির মান সহিহ তথা বিশুদ্ধ)।
তাই সবার উচিত হাদিসে এ রাতের যতটুকু ফজিলত প্রমাণিত আছে শুধু ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকা। নবী-সাহাবিদের যুগে প্রচলন ছিলো না এমন কোনও বিষয় ও রসম-রেওয়াজের পিছে পড়ে এর মূল ফজিলত থেকে বঞ্চিত হওয়া কোনও ভাবে ঠিক নয়।
প্রশ্ন: শবে বরাতে হালুয়া রুটি খাওয়া যাবে কি?
উত্তর: শুধু শবেবরাতে নয় সারা বছরই হালুয়া রুটি খেতে পারে যে কোনো মুসলমান, কোনো সমস্যা নাই, তবে বিশেষ দিনে,বিশেষ মাসে এবং বিশেষ সময়ে, বিশেষ সাওয়াবের আশায় হালুয়া রুটি খাওয়া বিদা'ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ